• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

ইলেকশন করবো ভেবে আমার পেছনে লেগেছে : ইলিয়াস কোবরা (ভিডিও)

সাইফুর রহিম শাহীন, কক্সবাজার

  ১০ আগস্ট ২০২০, ২০:৫৫
Thinking that I will hold an election, I followed him: Elias Cobra
ইলিয়াস কোবরা ।। ফাইল ছবি

ঢাকাই সিনেমায় ভয়ংকর ভিলেন ইলিয়াস কোবরা। দীর্ঘদিন ধরেই চলচ্চিত্রে অভিনয়ে সরব নন তিনি। তবু হঠাৎ টক অব দ্যা কান্ট্রি এই ইলিয়াস কোবরা। কারণ গেল ৩১ জুলাই ঈদ উল আজহার আগের রাতে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ রোডে টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় জড়িত আছেন ইলিয়াস কোবরা এমন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আরটিভি নিউজের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন ইলিয়াস কোবরা।

গত ৩১ জুলাই অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা খুন হওয়ার পর থেকে সারাদেশে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে- এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-পর্যালোচনা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে আপনি তাকে তার বাগান বাড়িতে নিয়ে গেছেন, আপনার সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল, কথা হয়েছিল- এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী?

‘প্রথম কথা হচ্ছে আমার কোনও বাগানবাড়ি নেই। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেখান থেকে আমার বাড়ি প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে। ঘটনার কথা শুনেছি প্রায় একদিন পর। তখন আমি এ বিষয়ে কোনও কিছু শুনিনি। গতকাল আমি ঢাকা থেকে সকাল দশটার সময় আসি, আসার পরে আমি দেখলাম কয়েকটা অনলাইন পত্রিকা এরকম কথা লিখেছে। আমি হান্ড্রেট পার্সেন্ট দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি- এসব সম্পূর্ণ বানোয়াট। আমার সঙ্গে সিনহা সাহেবের কখনো দেখা হয়নি, আমি চিনিও না, আমার কোনও বাগানবাড়ি নেই। এটা যে ভদ্রলোক বলছেন তাকে আমি আপনার মাধ্যমে বলতে চাই- তিনি এটার প্রমাণ দিক। যে সিনহা সাহেবের সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল, বাগানবাড়ি তো দূরের কথা আমার এসব কিছুই নেই। আমি মনে করি আমি একজন অভিনয় শিল্পী এবং একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আমার সম্মানটুকু ক্ষতি করা হচ্ছে এ বিষয় টেনে এনে।’

অনেকে অভিযোগ করেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এসেছে- আপনার সঙ্গে ওসি প্রদীপের ভালো সম্পর্ক ছিল। ক্রসফায়ারের নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে।

‘এখানে অভিযুক্ত ব্যাপারটা হচ্ছে- আমি লিয়াকত সাহেবকে যিনি টেকনাফ থানার ইনচার্জ, উনাদের সাথে কথাগুলো বলেছি বা যেসব কথা আমার সঙ্গে তার রেকর্ড আছে- এমন একটা রেকর্ড দেখান যা আমি উনাদের সাথে বলেছি, এমন একটা রেকর্ড দেখান। একটা ব্যাপারে আমার কথা হতেই পারে, সেটা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গঠিত নোয়াখালীপারাতে মাদকবিরোধী একটি কমিটিতে আছি আমি। এখানে ২৪ জন সদস্য আছে এবং কমিটির সভাপতি হিসেবে আমি সামাজিক দায়িত্বটা পালন করি। আমি ওসির সঙ্গে কথা বলেছি আজ থেকে ২০-২৫ দিন আগে। আমার কাছে রেকর্ড আছে, আমি তার কাছে একটা দরখাস্ত দিয়েছিলাম। একটা আবেদনের মাধ্যমে আমি লিখেছি যে- করোনার কারণে ইয়াবা সেবন বেড়েছে এটা আপনি তদন্ত করে সুব্যবস্থা করার জন্য আপনার প্রতি অনুরোধ রইলো।’

ওসির সঙ্গে আপনার সখ্যতা আছে কি?

‘না না ওসি সাহেবের সঙ্গে আমার কোনও সখ্যতা ছিল না। এটা কখনো না। চ্যালেঞ্জ করে বলেন, প্রমাণ করুক ভয়েস, ছবি এমন একটা কিছু তার কাছে আমি এমন কাজে জড়িত হয়েছি। এটা অসম্ভব বিষয়।

মেজর সিনহার বিষয়ে আপনার কিছু বলার আছে কি?

‘এটাতো একটা মর্মান্তিক ঘটনা, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক একটা ঘটনা। সেনাবাহিনীর অফিসার মেজর সিনহার এ ঘটনাটা আজকে আলোচনায় আসছে। আলোচনা আসাও উচিত যেন এটার সুষ্ঠু তদন্ত হয়। এটার ব্যাপারে আমি আরও সেমিনারে কথা বলেছি। এসপি মহোদয় সংবাদ সম্মেলনে ডেকেছে এবং কথা হয়েছে যে, এই হত্যা মারাত্মক একটা বিষয়, এ কারণে তো সমাজের কোনও উন্নতি হবে না, এটা ক্ষতিকর বিষয় আমি একজন শিল্পী হিসেবে বলব।

এখন তো অনেকে বলছে বন্দুকযুদ্ধগুলো সাজানো, ওখানে অনেক নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, অনেক ইয়াবা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে- এ বিষয়ে আপনার কোনও বক্তব্য আছে কী?

‘এ বিষয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই। কিন্তু আপনি তো শুনছেন আমিও শুনছি। এই ঘটনা যখন ঘটেছে তখন আমি বাড়িতে আর এই ডিজিটাল সময়ে কোনও কিছু গোপন রাখার মতো না।’

৩১ জুলাই ঈদের আগের দিন মেজর সিনহার সঙ্গে আপনার দেখা হয়েছে কি?

‘আমি প্রথমেই বললাম এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা বিষয়। এটা আমাকে না জিজ্ঞেস করে আসলে একটা ভুল হচ্ছে- আরও দু-তিনজন ছিল তাদের কাছে প্রশ্ন করেন যে আমাকে দেখেছে কিনা।’

তাহলে আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে কেন?

‘অভিযোগটা আমি গ্রামে স্কুল-মাদরাসা করেছি, মসজিদ চালাই এবং সামাজিক কাজ করি। অনেক নেতৃবৃন্দ মনে করেছে আমি ইলেকশন করবো বা রাজনীতি করবো এজন্য আমার পেছনে লাগিয়ে দিয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়।’

আপনার কোনও শত্রু আছে এলাকায়?

‘শত্রু তো অবশ্যই আছে এলাকায়। যেমন গত দু-তিন মাস আগে এলাকায় মসজিদের একটা জায়গা খেয়ে ফেলেছিল তার জন্য মামলা করেছি, পুলিশ তাকে এরেস্ট করেছে এবং জেল খেটেছে- এমন কিছু শত্রু থাকতে পারে।’

আপনার কি মনে হয় ঘটনা অন্যদিকে ঘুরানো হচ্ছে?

‘এই ঘটনা কখনো ডাইভার্ট হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঠিকই তো খুঁজে বের করবে। এখানে ফাঁকি দেয়ার কোনও সুযোগ নাই। এখানে তো ফাঁকি দিতে পারবেন না, আসল দোষী বের হয়ে যাবে।’

এনএম/এম/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh