• ঢাকা শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন সৌম্য সরকার
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে  ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি সৌম্য সরকার। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ৬৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। সেই সঙ্গে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দুই হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন এই টাইগার ওপেনার।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই লিটনকে হারায় টাইগাররা। এরপর দেখেশুনে থিতু হয়ে, তবেই ব্যাট চালিয়েছেন সৌম্য। চল্লিশের পর থেকে কিছুটা সময় নিলেও ফিফটির ল্যান্ডমার্ক স্পর্শ করেছেন এই অলরাউন্ডার। চার মেরে পূর্ণ করেছেন নিজের অর্ধশতক। ৫২ বলে স্পর্শ করেছেন ফিফটি।  এদিন আরও একটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সৌম্য সরকার। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের দুই হাজার রান পূরণ করেছেন তিনি। ফিফটির মতো এবারও মাইলফলকে গিয়েছেন চার মেরে। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলার আগে তার রান ছিল ১৯৪৪। ৫৬ রান করে সেটা নিয়ে গিয়েছেন ২ হাজারের ঘরে। তবে শেষ পর্যন্ত ৬৮ রানে থামতে হয়েছে সৌম্যকে।  বাংলাদেশে হয়ে সবচেয়ে দ্রুত সময়ে দুই হাজার রান স্পর্শ করেছেন সৌম্য সরকার। এই মাইলফলক স্পর্শ করতে তাকে খেলতে হয়েছে ৬৪ ইনিংস। এর আগে ৬৫ ইনিংসে জায়গাটি দখল করে রেখে ছিলেন লিটন দাস ও শাহরিয়ার নাফিস। এরপরই রয়েছেন সাকিব আল হাসান। ৬৯ ইনিংস দুই হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন টাইগার পোস্টারবয়।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৫৫

বিতর্কিত নট-আউট নিয়ে যা বললেন সৌম্য সরকার
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা; যার শুরু হয়েছিল নাগিন ডান্স দিয়ে, এরপর টাইমড-আউট বিতর্ক। এবার আল্ট্রা-এজ বিতর্ক। দ্বিতীয় ম্যাচে আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউ নিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। পরে থার্ড আম্পায়ার সেই সিদ্ধান্ত বদলে সৌম্যকে নট-আউট দেন। তবে এমন সিদ্ধান্ত সহজে মেনে নিতে পারেনি সফরকারীরা। পুরো বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন সৌম্য সরকার। বাংলাদেশের ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বিনুরা ফান্দান্দোর শর্ট লেংথের বলটা ঠিকঠাক খেলতে পারলেন না সৌম্য সরকার। উইকেটের পেছনে কুশাল মেন্ডিসের গ্লাভসে যেতেই জোরাল আবেদনে আঙুল তুলে দিলেন আম্পায়ার গাজী সোহেল। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন সৌম্য। এরপর তাকিয়ে থাকলেন বড় পর্দার দিকে। সেখানে আল্ট্রা-এজে স্পাইক দেখার পর ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটতেও শুরু করেছিলেন সৌম্য। চোখেমুখে তখন আরেকটি সুযোগ নষ্ট করার হতাশা। সেই হতাশা কিছুক্ষণের মধ্যেই আনন্দে রূপ নেই। কারণ আল্ট্রা-এজে স্পাইক দেখানো সত্ত্বেও টেলিভিশন আম্পায়ার মাসুদুর রহমান ঘোষণা করলেন, বল ব্যাটে লাগেনি। মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত তাই বদলে যায়। থার্ড আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল জানালেন, স্পাইক দেখানোর সময় বল ও ব্যাটের মধ্যে দূরত্ব রয়েছে। তাই মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলে দেন তিনি। ফলে রিভিউ নিয়ে এ যাত্রায় বেঁচে গেলেন সৌম্য। টিভি আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্ত বদলে সন্তুষ্ট হতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। অনফিল্ড আম্পায়ারকে ঘিরে ধরে তর্কে জড়ায় তারা। মাঠে যখন শিষ্যরা প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন, মাঠের বাইরে তাদের গুরু কোচ ক্রিস সিলভারউডও বসে থাকেননি। ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে শরণাপন্ন হন চতুর্থ আম্পায়ার তানভীর আহমেদের। ম্যাচ শেষে এ নিয়ে সৌম্য বলেন, যখনই আম্পায়ার আউট দিয়েছে আমি সরাসরি রিভিউ নিয়েছি কারণ আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে আমার (ব্যাটে) লাগেনি। হয়তবা কোনো একটা আওয়াজ আসছিল। ‘হয়ত চেইন বা হেলমেট থেকে। ব্যাটের সঙ্গে গ্যাপ ছিল। আমি যখন চলে আসছিলাম বড় পর্দায় দেখেছিলাম তো বুঝতে পারি নাই। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম দেখে লিটনের কাছে জিজ্ঞেস না করে রিভিউ নেয়া।’ ইনিংসের শুরুটা দারুণ করলেও এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পর আর বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি সৌম্য। সবমিলিয়ে ২২ বলে ২৬ রান করেছেন এই ওপেনার। ভালো শুরু পেয়ে আরও একবার ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপ তার কণ্ঠে। তিনি বলেন, যদি শেষ করে আসতে পারতাম বা আরও কিছুটা এগিয়ে দিয়ে আসতে পারতাম আরও ভালো লাগত। শুরুটা ভালো হয়েছিল। একটা ভুল হয়েছিল পরে যেন আর এটা না করি সেই চেষ্টা থাকবে।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৪

সৌম্য ও মুশফিকের ব্যাটে বরিশালের লড়াকু পুঁজি
প্রথম ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে জয় পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে বড় পুঁজি সংগ্রহ করেও ম্যাচ জিততে পারেনি তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে রিয়াদ-মুশফিকরা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে কুমিল্লাকে ১৬২ রানের লক্ষ্য দেয় বরিশাল। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কুমিল্লা। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বরিশালের হয়ে ওপেন করতে আশা মেহেদী হাসান মিরাজ। তানভীর ইসলামের প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দেন এই ডান হাতি ব্যাটার। এরপর সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন তামিম ইকবাল। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি বরিশালের অধিনায়কও। ১৬ বলে ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তামিম। ৭ বলে ৮ রান ফেরেন প্রীতম কুমারও। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন সৌম্য সরকার। ৩১ বলে ৪২ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি ক্রিকেটার। মাত্র ৭ রান করে ফেরেন শোয়েব মালিকও। তবে পিচে থিতু হন মুশফিক। ১৭তম ওভারে মোস্তাফিজের টানা তিন বাউন্ডারিতে ৩৫ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার।  শেষ দিকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (৪) ও দুনিথ ওয়েল্লালাগে (৪) আউট হলে, মুশফিকের ৪৪ বলে ৬৩ রানে ভর করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বরিশাল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজুর রহমান। ম্যাথু ওয়াল্টার ফোর্ড ও রোস্টন চেজ দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও তানভীর ইসলাম ও খুশদিল শাহ একটি করে উইকেট নেন।  
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়