• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে মৌয়াল নিহত
সুন্দরবনে মধু আহরণে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মনিরুজ্জামান বাচ্চু গাজী (৪৫) নামে এক মৌয়াল নিহত হয়েছেন। সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের নটাবেকী এলাকায় বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি। শনিবার (২০ এপ্রিল) বনবিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে। নিহত বাচ্চু গাজী সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের মৃত আবুল কাশেম গাজীর ছেলে। সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা নুর আলম জানান, গত ২ এপ্রিল বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন থেকে পাশ নিয়ে বাচ্চু গাজী সহকর্মী মৌয়ালদের সঙ্গে সুন্দরবনের গহীনে মধু আহরণ করতে যায়। শনিবার সকালে বাঘের আক্রমণে তার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে বনবিভাগের একটি দল মরদেহ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। 
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০৬

সুন্দরবনে আজ থেকে মধু আহরণ শুরু
আজ থেকে সুন্দরবনে মধু আহরণ মৌসুম শুরু হয়েছে। এই মধু আহরণ মৌসুম চলবে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত। বন বিভাগ থেকে পাস-পারমিট নিয়ে নৌকায় করে দল বেঁধে মধু আহরণ করতে বনে যাচ্ছেন মৌয়ালরা। এবার বৃষ্টির কারণে সুন্দরবনের গাছে পর্যাপ্ত ফুল ফোটায় চলতি আহরণ মৌসুমে মধু সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা সুন্দরবন বিভাগের। এ বছর সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার কুইন্টাল। আর মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০০ কুইন্টাল। এর মধ্যে শরণখোলা রেঞ্জে ৬০০ কুইন্টাল মধু, ২০০ কুইন্টাল মোম ও চাঁদপাই রেঞ্জে ৪০০ কুইন্টাল মধু, ১০০ কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।  গত বছর সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে মধু আহরিত হয় ৮৬৩ কুইন্টাল ও মোম আহরিত হয় ২৫৮.৯৬ কুইন্টাল।  শরণখোলা ও চাঁদপাই থেকে এবার তিন হাজারের অধিক মৌয়াল সুন্দরবনে মধু সংগ্রহে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহম্মদ নূরুল করিম জানান, একেকজন মৌয়ালকে ১৪ দিনের জন্য পাস দেওয়া হয়। বনে প্রবেশ করার পর মধু আহরণের জন্য ৯টি নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে মৌয়ালদের। 
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৮

কুমিরের পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে নদীতে অবমুক্ত
এশিয়া মহাদেশে এই প্রথম কুমিরের পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনের নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।  বুধবার (১৩ মার্চ) শ্রীলঙ্কার কুমির বিশেষজ্ঞ ড. রু সোমাওয়ারি এবং অষ্ট্রেলিয়ার কুমির বিশেষজ্ঞ ড. পাউল বন বিভাগ ও আইইউসিএনের সহযোগিতায় করমজলের কুমির জুলিয়েট এবং যশোরের মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ির এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত স্ত্রী কুমির মধুকে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার ডিভাইস সেট করে সুন্দরবনের ভদ্রা নদীতে অবমুক্ত করেন।  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন করমজল বন্যপ্রাণী কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবীর।  তিনি জানান, এর মাধ্যমে কুমিরের চলাচল ও যেসকল কুমির নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে তার সারভাইভাল রেট জানা যাবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নুরুল করিম, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন, বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা  নির্মল কুমার পাল, আইইউসিএনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. সরোয়ার আলম দীপু, মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো. মফিজুর রহমান, করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবীর।
১৪ মার্চ ২০২৪, ০৫:০২

৯৯৯-এ ফোন, সুন্দরবনে পথ হারানো ৩১ পর্যটককে উদ্ধার
সুন্দরবনে পথ হারিয়ে যাওয়ার প্রায় ৩ ঘণ্টা পর হটলাইন নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ৩১ পর্যটককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত পর্যটকদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলায়। তারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।   সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আজিজুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম তাদের উদ্ধার করে। মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাগেরহাটের চিতলমারীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ ৩১ জনের একটি দল সোমবার সকালে সুন্দরবনের করমজলে ভ্রমণে যায়। সেখান থেকে বনে প্রবেশের কিছুক্ষণ পরেই তারা পথ হারায়। কিশোরদের মধ্যে ফেরদৌস তার মোবাইল থেকে ৯৯৯-এ খবর দেয়। সেখান থেকে তারা সরাসরি মোংলা থানায় যোগাযোগ করে। তিনি আরও জানান, ফেরদৌস জানান তার ফোনে চার্জ নাই তাই আমি আরও দুটি মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করি। এরপর দফায় দফায় মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে বিকেলে তাদের সন্ধান মেলে। তারা লোকালয় থেকে গভীর বনে ঢুকে পড়েছিল। তাদের নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। কিশোর ফেরদৌস জানান, তার মোবাইলে ব্যালেন্স ছিল না। কিন্তু সে জানতো ব্যালেন্স না থাকলেও ৯৯৯-এ ফোন করা যায়। তাই সে ফোন করে সহযোগিতা চায়।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৫

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার, গ্রেপ্তার জেলে
সুন্দরবনের খালে বিষ ঢেলে মাছ শিকারের সময় শেখ নাফিজ হোসেন (৪৭) নামের এক জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে কোবাদক স্টেশনের বনরক্ষীরা। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের হাড়িপোতা খাল থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় বিষ দিয়ে শিকার করা নয় কেজি চিংড়ি মাছ, চার বোতল বিষ, একটি নৌকা ও ভেসালী জাল জব্দ করা হয়। সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এ কে এম ইকবাল হোসাইন বলেন, অনুমতি না নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে নাফিজ হোসেন ৪১ কম্পার্টমেন্টাল হাড়িপোতা খালে বিষ ঢেলে মাছ শিকার করছিলেন। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকারি চক্রের ব্যাপারে তথ্য দিলে বন বিভাগের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৪

সুন্দরবনে খালে ভাসছিল বাঘের মরদেহ
সুন্দরবনের খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় একটি বাঘের মরদেহ উদ্ধার করেছেন বন বিভাগ। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাঘটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করতে কচিখালী এলাকায় প্রাণিসম্পদ বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাঠানো হয়েছে। এর আগে, সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে মৃত অবস্থায় বাঘের ভাসমান মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। খুলনা বিভাগীয় বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কী কারণে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ রয়েল বেঙ্গল টাইগারটি মারা গেছে তা জানতে ময়নাতদন্ত প্রয়োজন। এজন্য মঙ্গলবার সকালে বাগেরহাটের শরণখোলা ও মোড়লগঞ্জ থেকে দুইজন বিশেষজ্ঞ প্রাণী চিকিৎসক শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী বন অফিসে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই বাঘটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হবে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত এই বাঘটির চামড়া, দাঁত ও নখ সংরক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া বাঘটির মরদেহ কচিখালীতেই মাটিচাপা দিয়ে রাখা হবে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৮

সুন্দরবনে জেলের জালে বিরল প্রজাতির মাছ
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির একটি সামুদ্রিক জাভা ভোল মাছ। শুকুর আলী নামের ওই জেলের জালে এ মাছ ধরা পড়ে। মাছটির দাম চাওয়া হচ্ছে পাঁচ লাখ টাকা। তবে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত পর্যন্ত মাছটির দাম উঠেছে তিন লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এ বিষয়ে জেলে শুকুর আলী বলেন, বনবিভাগ থেকে পাস নিয়ে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে সুন্দরবনের ফিরিঙ্গি এলাকার একটি খালে জোয়ারের সময় খাল পাটা দিয়েছিলাম। পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের মালঞ্চ নদীর ফিরিঙ্গি এলাকা থেকে ২৫ কেজি ৩৬০ গ্রাম ওজনের মাছটি ধরা পড়ে। সন্ধ্যায় মাছ নিয়ে ঘাটে পৌঁছালে ব্যবসায়ীরা মাছটি কিনতে এসেছিলেন। সেখানে নিলামে দাম উঠেছে তিন লাখ ৭৫ হাজার টাকা। তবে এটির দাম আরও অনেক বেশি। তিনি আরও বলেন, এখানকার ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে তারা মাছটির সঠিক মূল্য বলছেন না। এটি খুলনায় নিয়ে গেলে আরও বেশি দামে বিক্রি করতে পারবো। এজন্য এখনও মাছটি বিক্রি করিনি।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৭

সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরায় ১০ জেলে আটক
প্রজনন মৌসুমে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের গহীন অরণ্যে নদীতে কাঁকড়া ধরার অপরাধে মালামালসহ ১০ জেলেকে আটক করেছেন বনবিভাগের সদস্যরা।  মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে সুন্দরবনের নোটাবেকী অভয়ারণ্য এলাকা থেকে জেলেদের আটক করা হয়। সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) এ কে এম ইকবাল হোসেন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আটকৃতরা হলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চুনকুড়ি গ্রামের আবু সাইদ, আজিকুল ইসলাম, মহসীন মোল্যা, আবুল কালাম, আরাফাত হোসেন, রিকাব আলী, মোজাফ্ফার মোড়ল, আবু হানিফ ও বিল্লাল হোসেন। পরে আটককৃত জেলেদের কাছ থেকে পরে বন আইনে দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। বনবিভাগের সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের গভীন অরণ্যে প্রজনন মৌসুমে কয়েকজন জেলে কাঁকড়া আহরণ করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। ভোর ৬টার দিকে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) হাবিবুল ইসলামের নেতৃত্বে বনবিভাগের সদস্যরা সুন্দরবনের নোটাবেকী অভয়ারণ্য এলাকার একটি নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সেখান থেকে ১০ জেলেকে আটক করা হয়। পরে জেলেদের ব্যবহৃত ২টি নৌকা ও ৪০০ কেজি মা কাঁকড়াসহ অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত কাঁকড়াগুলো নদীতে অবমুক্ত করা হয়। সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) এ কে এম ইকবাল হোসেন চৌধুরী জানান, আটককৃত জেলেদের বন আইনে দুই লাখ টাকা জরিমানা করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৯

সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার অভিযোগে ৩ জেলে আটক
সুন্দরবনে প্রজনন মৌসুমে কাঁকড়া ধরার অভিযোগে ৩ জেলেকে আটক করেছে বন বিভাগের স্মার্ট টিমের সদস্যরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি নৌকাসহ ২শ আটন (বিশেষভাবে তৈরি ফাঁদ) জব্দ করা হয়। রোববার (১৪ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ খুলনা রেঞ্জের কালিরখাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটক জেলেরা হলো দাকোপ উপজেলার পানখালী গ্রামের জুয়েল শেখ, আজিজুল শেখ ও আবু হুরাইরা। খুলনা রেঞ্জের স্মার্ট টিম লিডার নির্মল কুমার মন্ডল বলেন, এর আগে পুষ্পকাটি অভয়ারণ্যে এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭টি নৌকাসহ ৭শ পিস আটন জব্দ করা হয়। খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এজেডএম হাছানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আটক জেলেদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪২

সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরায় ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা 
প্রজনন মৌসুমের কারণে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। সোমবার (১ জানুয়ারি) থেকে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই জেলেদের কাঁকড়া ধরার পাস (অনুমতিপত্র) বন্ধ রাখা হয়েছে। ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুন্দরবনের পশ্চিম ও পূর্ব এই দুই বিভাগে এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মো. নুরুল করিম জানান, প্রজনন মৌসুমে কাঁকড়া রক্ষা করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এ দুই মাস সুন্দরবনের নদী-খালে কাঁকড়া ডিম পাড়ে। এ সময়কালে কাঁকড়ার প্রজনন নির্বিঘ্ন রাখতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া কাঁকড়ার যখন ডিম হয়, তখন কাঁকড়া ধরা খুবই সহজ হয়ে থাকে। কারণ এ সময়ে কাঁকড়া খুব ক্ষুধার্ত থাকে। এদের সামনে যে খাবার দেওয়া হয়, তাই খাওয়ার জন্য দ্রুত এগিয়ে আসে। যদি এ সময় কাঁকড়া শিকার না করা হয়, তাহলে পরের বছর বেশি কাঁকড়া উৎপাদন সম্ভব। কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুমকে ঘিরে সুন্দরবনে বনরক্ষীদের টহল জোরদার করা হয়েছে।
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়