• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সামাজিকমাধ্যমে গুজব প্রতিহতে ব্যবস্থার নির্দেশ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রতিহত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। রোববার (২১ এপ্রিল) সভাপতি কাজী কেরামত আলীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে প্রথম বৈঠকের কার্যবিবরণী নিশ্চিত করা হয় এবং প্রথম বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বাংলাদেশ টেলিভিশনের চলমান কার্যক্রমসহ ঢাকা ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বিগত অর্থবছরগুলোর খাতওয়ারি অর্থ বরাদ্দ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এ ছাড়া বৈঠকে গঠনমূলক সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের চিত্র তুলে ধরার জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। এ সময় কমিটি কর্তৃক সুষ্ঠু ও সুষম বিজ্ঞাপন বণ্টন নীতি বাস্তবায়নে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করা হয়। বৈঠকে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদ, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনসহ সর্বস্তরের স্বাধিকার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মো. শিবলী সাদিক, মুহম্মদ শফিকুর রহমান, আলী আজম, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী এবং মো. আফজাল হোসেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাসহ, বিটিভির কর্মকর্তারা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৭

বিএসসিএলের টিআরপি সেবা উদ্বোধন করলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিএল) টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট (টিআরপি) সেবার বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে বিএসসিএল-এর প্রধান কার্যালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে সাথে নিয়ে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বিএসসিএলের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহজাহান মাহমুদ, একাত্তর মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু এবং বিএসসিসিএল-এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)-এর টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট (টিআরপি) সেবার বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধনের মাধ্যমে অত্যন্ত চমৎকার একটি কাজের সূচনা হয়েছে। সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথ উদ্যোগে এ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এ বিষয়টি অত্যন্ত গর্বের। প্রযুক্তিটি আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে। এ প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে, সরকার বেসরকারি খাত বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথভাবে প্রযুক্তিপণ্য তৈরি করতে পারে যেটি বাণিজ্যিকভাবে লাভবান করা সম্ভব। এটিই আমাদের জন্য ব্যাপক অর্জন। এ কার্যক্রমের জন্য সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনাদের উদ্যোগ ও সহযোগিতা ছাড়া বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সহযোগিতা ছাড়া এ প্রযুক্তি উদ্ভাবন সম্ভব হতো না। সামনের দিনগুলোতে নিজেদের প্রচেষ্টায় নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশে আরও বড় উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব হবে বলেও এ সময় জানান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের উদ্যোগে ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সহযোগিতায় টিআরপি সিস্টেমের মতো দেশে এ ধরনের আরও বড় কাজ হবে, যেগুলো বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবে এবং যার উপযোগিতা থাকবে। পরে প্রতিমন্ত্রী বিএসসিএলের প্রধান কার্যালয়ে টিআরপি সিস্টেমের কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। উল্লেখ্য, টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট (টিআরপি) হলো টেলিভিশন চ্যানেল অথবা টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তা নির্ধারনের পরিমাপক। বিএসসিএল টিআরপি সিস্টেম একটি বিজ্ঞান ও পরিসংখ্যানভিত্তিক মাধ্যম যা টেলিভিশন চ্যানেল অথবা টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তা নির্ণয়ের পাশাপাশি কোন এলাকায়, কখন, কতজন, কোন বয়সের মানুষ, নারী কিংবা পুরুষ কে, কতক্ষণ কোন চ্যানেলে কোন অনুষ্ঠান দেখেছেন তার সকল তথ্য সংগ্রহ করে। এই সকল তথ্যাদি বিএসসিএল কর্তৃক রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্পূর্ন সুরক্ষিত থাকবে এবং সংশ্লিষ্ট সেবা গ্রহিতাগণ তথা টেলিভিশন চ্যানেল এবং বিজ্ঞাপন সংস্থা তা সরাসরি বিএসসিএল টিআরপি সিস্টেম সেবা হতে গ্রহণ করতে পারবে।   
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৬

চার ঘণ্টা টিভি সম্প্রচার বন্ধ রাখার ঘোষণা
বিভিন্ন দাবিতে সারা দেশে সম্প্রচার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। আগামী ১১ মার্চ (সোমবার) সারাদেশে ৪ ঘণ্টা টেলিভিশন সম্প্রচার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোশাররফ আলী (চঞ্চল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের ব্যবসায়িক অস্তিত্ব রক্ষা করা কঠিন হয়ে গেছে। এ জন্য গত ৩ মার্চ কোয়াবের বার্ষিক সাধারণ সভায় আমরা কিছু দাবি তুলেছিলাম। এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ১১ মার্চ সারাদেশে ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি অর্থাৎ প্রতীকী ধর্মঘট পালন করা হবে।  কোয়াবের দাবিগুলো হলো- ১. ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা আইপিভিত্তিক ভিডিও প্রোগ্রাম, অনলাইন টিভি প্ল্যাটফর্ম এ এফটিপি, এনআইক্স, বিডিআইএক্সসহ অন্যান্য সার্ভারের মাধ্যমে কেবল টিভির দেশি-বিদেশি পে-চ্যানেল প্রচার করে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এগুলো অতিদ্রুত বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। ক্যাবল অপারেটররা বৈধভাবে ইন্টারনেট ব্যবসা পরিচালনায় বাধা দূর করতে কালো আইন বাতিল করা। ২. ওটিপি, আইপি টিভি প্লাটফর্মে লিনিয়ার টিভি চ্যানেল প্রচার বন্ধ করাসহ যেন বিনামূল্যে প্রচারিত না হয় সে বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া। ৩. নীতিমালা ও বিধিমালার আলোকে অতি দ্রুততার সঙ্গে কেবল টিভি ডিজিটালাইজেশন বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া। ৪. কেবল টিভি ব্যবসার শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পূর্বের নিয়মে ক্যাবল টিভি খাতে বিবিধ অভিযোগ ও অনিয়ম দ্রুত সমাধান করার জন্য এবং এই খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আহরণে বাংলাদেশ টেলিভিশনকে এককভাবে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া। 
০৯ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৯

‘অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে’
অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনলাইনে কতগুলো অনিবন্ধিত পোর্টাল আছে, যেগুলো বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। সেগুলোকে শৃঙ্খলায় আনার একটা পরিকল্পনা আমাদের আছে। যেসব অনলাইন পোর্টাল পেশাদার, রেজিস্টার্ড (নিবন্ধিত) এবং আইনগতভাবে সিদ্ধ, সেগুলোই থাকবে এবং চলবে। যাতে করে সবকিছুর মধ্যে একটা জবাবদিহি এবং শৃঙ্খলা থাকে। যেটা সাংবাদিকরাও চান। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা যেমন বলেন, গোটা বাংলাদেশে গণমাধ্যমে একটা শৃঙ্খলা নিয়ে আসা দরকার, সাংবাদিকদের ন্যূনতম একটি যোগ্যতা থাকা দরকার, গণমাধ্যমকর্মী আইন শিগগিরই করে ফেলা দরকার। জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকেও একই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। সাংবাদিকসহ সবার দাবি যেহেতু একই রকম আমরা সরকারের পক্ষ থেকে এ দাবিগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করে সে জায়গায় কাজ করব। এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গুজব নিয়ে জেলা প্রশাসকরাসহ আমরা সবাই চিন্তার মধ্যে আছি। গুজব প্রতিরোধ নিয়ে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে কিছু আলাপ হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে যে গুজবগুলো ছড়ানো হয় তা প্রতিরোধ করতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় একা পারবে না। এ জন্য আমাদের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করতে হবে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ২১:২৭

‘জানুয়ারি পর্যন্ত ২০৮ নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে’
চলতি বছর জানুয়ারি পর্যন্ত ২০৮টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ১৬৮টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এ তথ্য জানান। তবে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ প্রশ্নের উত্তর দেন। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্যদেশগুলোর তথ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তুরস্ক সফর শেষে ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ফিরবেন তিনি। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে আইনমন্ত্রী জানান, সারাদেশের অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো নিবন্ধনের জন্য সরকার রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালু করেছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে তথ্য অধিদপ্তর নিবন্ধনের কাজ পরিচালনা করে থাকে। তথ্য অধিদপ্তর থেকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ২০৮টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ১৬৮টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হয়েছে।  তিনি বলেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের বিষয়টি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে আরও অনলাইন পোর্টালের নিবন্ধন দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে অন্যান্য অনলাইন পোর্টালগুলো নিবন্ধনের আওতায় এনে সরকারিভাবে নজরদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের আছে। এ ছাড়া দেশের অনিবন্ধিত কোনো অনলাইন সংবাদপত্রে বা অনলাইনভিত্তিক পোর্টালে দেশবিরোধী সংবাদ প্রচার বা মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেলে তা বন্ধের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩১

সাংবাদিকদের চাকরি নিয়ে নতুন নির্দেশনা আসছে
সরকার গণমাধ্যমকর্মীদের চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে শিগগিরই নতুন নির্দেশনা জারি করবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা জানান। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান তার কর্মীদের বিনা নোটিশে কিংবা হুট করে চাকরিচ্যুত করতে পারবে না। একইভাবে গণমাধ্যমকর্মীরাও প্রতিষ্ঠানকে সময় না দিয়ে যেকোনো সময় হুট করে চাকরি ছাড়তে পারবে না। এ বিষয়ে খুব শিগগিরই তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা জারি করা হবে।   এসময় ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ ও বিভিন্ন তথ্য প্রচারিত হচ্ছে। এসব বিষয় জবাবদিহিতার আনতে নীতিমালা গঠনের দাবি জানান সাংবাদিকরা। মোহাম্মদ আরাফাত তাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে। তবে তিনি এও বলেন, অপতথ্য রোধ করতে গিয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় যেন ব্যাঘাত না ঘটে, সেদিকে সরকারের সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৫

প্রযুক্তির মাধ্যমে অপপ্রচার বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত জানিয়েছেন, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে অপপ্রচারের জবাব তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমেই রোধ করা সম্ভব। প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে শিগগিরই অপপ্রচার বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সংসদে সরকারি দলের সদস্য চয়ন ইসলামের তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বিদেশে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আনাইনুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সরাসরি কোন এখতিয়ার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নেই। তবে এ বিষয়ে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। দেশের অভ্যন্তরে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বা অন্তর্ঘাতমূলক কোন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করলে, তা দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, গুজব প্রতিরোধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অন্যান্য অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত যে কোনো গুজব, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দ্রুততার সাথে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তার মাধ্যমে গুজব বলে নিশ্চিত হলে, প্রকৃত তথ্যসহ তাৎক্ষণিক তথ্যবিবরণী জারি করে, তা সকল মিডিয়ায় প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।    একই সাথে দেশে এবং বিদেশে বসে দেশবিরোধী অসত্য তথ্য দিয়ে এবং বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার ও গুজবরোধে বাংলাদেশ টেলিভিশনে নিয়মিতভাবে টিভিসি, স্পট/ফিলার প্রচার করে থাকে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ঢাকা ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রে বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার ও গুজবরোধে সেসব উল্লেখযোগ্য টিভিসি, স্পট/ফিলার নিয়মিতভাবে প্রচার করে আসছে বলেও জানান তিনি।  সূত্র বাসস
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২৬

শেখ হাসিনা না থাকলে দেশের শান্তি বিনষ্ট হতো : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার শক্তিশালী নেতৃত্ব না থাকলে অনেকের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে দেশের শান্তি বিনষ্ট হতো। তার কারণেই আমরা সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবিলা করে দেশের শান্তি বজায় রাখতে পেরেছি। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মিরপুর হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে আবার দেশের দখল নিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির প্রেতাত্মারা এখনও দেশের আনাচে-কানাচে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে রয়েছে। সুযোগ পেলেই তারা মাথাচাড়া দেয়। তাদের বিপক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের হাত ধরে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঝাঁপিয়ে না পড়লে এ দেশকে আমরা হানাদার মুক্ত করতে পারতাম না। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে এখনও আমাদের দাসত্ব করতে হতো। মোহাম্মদ আরাফাত বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা তুলে ধরতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে এত সহজে আমরা স্বাধীনতা পাইনি। তাহলে তারা স্বাধীনতাকে এত সহজে অন্য কারও হাতে হরণ করতে দেবে না। তিনি আরও বলেন, এই যুগেও আমাদের একেক জনের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তৈরি হতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতিতে দেশের শত্রুর বিপক্ষে শক্তভাবে দাঁড়াতে হবে। দেশের শত্রুদের বিরুদ্ধে শক্তভাবে দাঁড়াতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৩

গুজব রটনাকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি আরাফাতের
সরকারের গুজব রটনাকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেছেন, সরকারের ব্যর্থতা-বিচ্যুতি নিয়ে গণমাধ্যমে সমালোচনা করা যাবে, তবে অপতথ্য বা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাটকোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, প্রধানমন্ত্রী সমালোচনার ঊর্ধ্বে নন। তবে তিনি চান, সমালোচনা যেনো ব্যর্থতা-বিচ্যুতি নিয়ে হয়। কোনো অপপ্রচার, অপতথ্য বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে কেউ যেন দেশের বিরুদ্ধে কাজ করতে না পারে, সেটার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। অর্ধসত্য তথ্য দিয়ে গুজব ছড়ানোর বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।   প্রতিমন্ত্রী মনে করেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা অবশ্যই থাকতে হবে। তবে দেশ, পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে বিরুদ্ধাচরণ করা মত প্রকাশের স্বাধীনতা নয়।  এরপর গণমাধ্যমগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, যেসব গণমাধ্যম পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করবে, তারা টিকবে। যাদের পেশাদারিত্ব নেই, তারা টিকবে না। আমাদের দেশে গণমাধ্যমের অনুমোদন লাগে। বিশ্বের অনেক দেশেই কোনো অনুমোদন লাগেনা। সেটাও ভাবতে হবে। আরাফাত আরও বলেন, সময়ের সঙ্গে প্রযুক্তি এগিয়েছে, সেটা মেনে নিতে হবে। ছাপা পত্রিকা অনলাইনে এসেছে, সেখানে টকশো করছে। আবার টিভি চ্যানেলগুলোও অনলাইনে নিউজ করছে। এই সবকিছুই মেনে নিতে হবে। তবে তা নিয়মের মধ্যে থেকে করতে হবে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৬

‘যুক্তরাষ্ট্রের স্টেটমেন্ট ধোঁয়াশায় ভরা’
‘আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচনকে মেনে নেয়নি এটি সঠিক নয়’ এবং ‘যুক্তরাষ্ট্র যে স্টেটমেন্ট দিয়েছে সেখানে কিছু বক্তব্য আছে, তাও সেটা ধোঁয়াশায় ভরা’ বলে মন্তব্য করেছেন নতুন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত৷ তিনি বলেন, এতগুলো অবজারভার এসেছে, তারা যেটা দেখেছে, সেটাই বলেছে৷ সবাই বলেছে সুষ্ঠু হয়েছে নির্বাচন৷ ভারতসহ বিদেশিদের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সরকারের ভাষ্য কতটা সত্যনিষ্ঠ, সরকার তথ্যের প্রবাহ কতটা নিয়ন্ত্রণ করে, নতুন তথ্যপ্রতিমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী সেসব বিষয়ে আলোচনা করতে ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায় টকশো-তে অতিথি হিসেবে ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত৷ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি বলেন, নির্বাচনটি অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে৷ সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-র প্রকাশিত প্রতিবেদনে নির্বাচনে প্রার্থীরা নির্ধারিত বাজেটের চেয়েও অনেক বেশি ব্যয় করেছেন বলে উঠে আসা তথ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিআইবিকে এই আলোচনায় কোট করবেন না৷ টিআইবি সোর্স হিসেবে অথেনটিক না৷ এই প্রতিবেদনের তথ্যগুলো ভেরিফাইড না৷  বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতকরণে তার ভূমিকা কেমন হতে পারে জানতে চাইলে মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চাই৷ এই স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে গুজব, ডিসইনফরমেশন ছড়ানো, এগুলোর উপর নজর থাকবে৷ বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার ও ব্যাংকিং খাতের অনিয়মের বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা প্রতিবেদনকেও খারিজ করে দিয়ে সরকারের এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো পিআর প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে৷ তারা পপুলিস্ট বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে৷ সকল প্রশংসা যদি প্রধানমন্ত্রীর হয় তাহলে দেশের ব্যাংকিং খাতে লুটপাট, অনিয়মের দায় কেন তার হবে না সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীনের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোথায় অনিয়ম হয়েছে? ৩০ হাজার কোটি টাকা কোথায় গিয়েছে? ব্যাংকিং সেক্টরের সমস্যা শুধু বাংলাদেশে না, পাশের দেশ ভারতেও আছে৷ সরকারের পক্ষ থেকে অনেক প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেলকে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন অনুষ্ঠান লাইভ করতে বাধ্য করা হয় বলে যে অভিযোগ রয়েছে সে বিষয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সত্য নয়৷ টেলিভিশন চ্যানেলগুলোই পাগল হয়ে থাকেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান লাইভ দেখানোর জন্য৷
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়