• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যে কারণে ১০ মিনিট বন্ধ ছিল মেট্রোরেল
বারবার ভুল জায়গায় থামার কারণে প্রায় ১০ মিনিট বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, উত্তরা থেকে মতিঝিলগামী একটি ট্রেন কাজীপাড়া স্টেশনের কাছে পৌঁছে হঠাৎ বড় ধাক্কা দেয়। এরপর স্বাভাবিক গতিতে গিয়ে কাজীপাড়া স্টেশনের ভেতরে ঢুকে আরেকটি ধাক্কা দেওয়ার পর নির্ধারিত স্থানের বাইরে গিয়ে থামে ট্রেনটি। এর কিছুক্ষণ পরে ওই ট্রেনটি কয়েক দফায় স্টেশনের দরজা বরাবর থামার চেষ্টা করে কিন্তু ব্যর্থ হয়। বারবার ভুল জায়গায় গিয়ে থামে। একপর্যায়ে ট্রেনটি ১০ মিনিট ধরে বন্ধ থাকে। ট্রেন বন্ধ থাকায় ভেতরে থাকা যাত্রীদের মধ্যে কৌতূহল এবং আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে কেউ কেউ ইমারজেন্সি বাটন প্রেস করে ট্রেনচালকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু তখন কোনো সিগন্যাল এবং সেন্সরই কাজ করছিল না।  এদিকে বাইরের যাত্রীরা অপেক্ষা করছিলেন ভেতরে ঢুকতে আর ভেতরের যাত্রীরা অপেক্ষা করছিলেন বের হওয়ার জন্য। এভাবে অনেকটা সময় পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও সিগন্যালের ত্রুটি দেখা দেয়। এরপর কয়েকবার গেট খুলে এবং বন্ধ করার পর ধীর গতিতে চলা শুরু করে ট্রেনটি। এমনভাবে কাজীপাড়া থেকে শেওড়াপাড়া স্টেশন পর্যন্ত আসে ট্রেনটি। এরপর শেওড়াপাড়া স্টেশন থেকে মেট্রোরেল আবার স্বাভাবিক গতিতে চলা শুরু করলেও ভয়েস ও ডিসপ্লের নির্দেশনা ঠিক হয়নি তখনও। এমআরটি লাইন-৬ এর দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, কাজীপাড়া সেকশনে ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেমে (ওসিএস) বৈদ্যুতিক তারের ভোল্টেজ কমে যাওয়ায় মেট্রোরেল চলাচলে এমন সমস্যা হতে পারে। বিষয়টি না জেনে এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) মোহাম্মদ ইফতিখার হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আসলে কী কারণে এ সমস্যা হয়েছে তা এখনও বলতে পারছি না। তবে সম্ভবত ভোল্টেজজনিত সমস্যার কারণে এমনটা হতে পারে। অথবা, কারিগরি ত্রুটির কারণেও এটি হতে পারে। মেট্রোরেল এ দেশে নতুন, এজন্য আমাদের সামনে এসব চ্যালেঞ্জ আসছে। আমরা দ্রুত তা সমাধান করার চেষ্টা করছি।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২২

এক মিনিট অন্ধকারে ছিল দেশ
এক মিনিট আলোহীন (ব্ল্যাক-আউট) সোমবার (২৫ মার্চ) ছিল দেশ। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার স্মরণে রাত ১১টা থেকে ১১টা এক মিনিট পর্যন্ত ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষ আলোহীন (ব্ল্যাক-আউট) কর্মসূচি পালন করেছে। এ সময় লাল সবুজের বাতিতে সাজানো ঝলমলে সরকারি ভবনে নেমে আসে অন্ধকার। তবে গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত স্থাপনা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত ছিল। এবারও ২৫ মার্চ রাতে এক মিনিট আলো নিভিয়ে ভয়াল রাতকে স্মরণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। অন্যান্য বছরগুলোতে রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত আলো নিভিয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হতো। এবার রমজান মাসের কারণে রাত ১১টায় করা হলো বলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সুত্রে জানা গেছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। বাঙালির মুক্তির আন্দোলনের শ্বাসরোধ করতে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে সেদিন ঢাকায় চালানো হয় গণহত্যা। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান। তার আগে ৭ মার্চ ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম- এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ মূলত সেটাই ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা, যার পথ ধরে কালরাতের পর শুরু হয় বাঙালির প্রতিরোধ পর্ব। নয় মাসের যুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি এবং জাতির অসাধারণ ত্যাগের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। ২০১৭ সালে জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হওয়ার পর থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে এ দিবস পালিত হয়ে আসছে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ০০:২২

রাতে এক মিনিট অন্ধকারে থাকবে দেশ
গণহত্যা দিবস স্মরণীয় রাখতে আজ রাত ১১টা থেকে রাত ১১টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ‘ব্ল‍্যাক আউট’ পালন করা হবে। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনাসমূহ এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ২০২৪ পালন এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উদ্‌যাপন’ উপলক্ষে গঠিত স্টিয়ারিং কমিটির সভার কার্যবিবরণীসংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সোমবার (২৫ মার্চ) রাত ১১টা থেকে ১১টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে। এক মিনিট অন্ধকার থাকবে সারাদেশ। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনাসমূহ এই কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। ব্ল‍্যাক আউটের সময় প্রয়োজনীয় সতর্কতা এবং নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলেও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া স্কুল, কলেজ এবং মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনের মিনিপোলগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে।  দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রাতটি ছিল ভয়াবহ একটি রাত। মানব ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যায় সেই কালরাতে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী মেতেছিল উল্লাসে। ঢাকা শহর হয়েছিল ধ্বংসস্তূপ।  ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পরিচালিত পরিকল্পিত গণহত্যার মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চে বাঙালির জাতীয়তাবাদী, স্বাধিকার আন্দোলনকে সশস্ত্র হামলার মাধ্যমে দমন করতে চেয়েছিল তারা।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২১:২৩

বেইলি রোড ট্র্যাজেডির জন্য বিপিএলে এক মিনিট নীরবতা
বিপিএলের দশম আসরের ফাইনালে বরিশালের মুখোমুখি হয়েছে বরিশাল ও কুমিল্লা। এই ম্যাচের  শুরু আগে বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুনে পুড়ে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শোক প্রকাশ করে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন সবাই। শুক্রবার (১ মার্চ) ফাইনালে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বরিশাল। এদিন মাঠে নামার আগে ৬ টা ২৫ মিনিটে বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুনে পুড়ে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শোক প্রকাশ করে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন সবাই। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে আগুন লাগে। মাত্র দুই ঘণ্টায় ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেছে ৪৩ জনের। আজ শুক্রবার সর্বশেষ পাওয়া তথ্যানুসারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে। চার বছর পর পর আসে লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ। ফেব্রুয়ারি মাসের ২৯ তারিখ সে হিসেবে বিশেষ এক দিন। এমন দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রিয়জনদের নিয়ে অনেকেই গিয়েছিলেন রাজধানীর নাম করা রেস্টুরেন্টটিতে। কে জানতো, প্রিয়জনদের সঙ্গে কাটানো বিশেষ মুহূর্ত নিমিষেই রূপ নেবে বিষাদে! মুখরোচক সব খাবারের রেস্তোরাঁয় ঠাসা ভবনটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যত সময় যাচ্ছে, লাশের সারি যেন আরও দীর্ঘ হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে স্বজনদের মাতমে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৯

শনিবার থেকে মেট্রোরেল চলবে ৮ মিনিট পরপর 
যাত্রীদের চাহিদার বিবেচনায় মেট্রোরেল আগামী শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে বলে জানিয়েছেন, ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এন ছিদ্দিক। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। এম এন ছিদ্দিক বলেন, যাত্রীদের চাহিদার বিবেচনায় মেট্রোরেলের যাতায়াতের সময় ১০ মিনিট থেকে কমিয়ে ৮ মিনিটে নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে তা কার্যকর হবে। তিনি বলেন, মেট্রোরেলে বর্তমানে দৈনিক ২ লাখ ৭০ হাজার যাত্রী চলাচল করছে। অফ পিকে আগের মতো ১২ মিনিট পরপর এবং পিক আওয়ারে ৮ মিনিট পরপর ট্রেন চলবে। এ ছাড়া পিক আওয়ারে ১০টি এবং অফ পিক আওয়ারে ৭টি ট্রেন চলবে। তিনি আরও বলেন, ‌‘সিগন্যাল সিস্টেমে’ ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। সকালে ট্রেন চলাচল শুরুর পর চারটি ট্রিপ শেষে এই সমস্যা দেখা দেয়। তবে এ সমস্যার কারণে ট্রেন চলাচল স্থগিত করা হয়নি, যাত্রা বিলম্ব হয়েছিল। এর আগে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ১০ মিনিটের পরিবর্তে ৮ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করবে। মেট্রোরেলের বগি বাড়ানো বা সময় কমানো হবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি তখন বলেন, বাংলাদেশে মেট্রোরেল চালু করা যাবে- এটি কয়েক বছর আগে স্বপ্নের মত ছিল। বিশ্বের কোনো দেশে মেট্রোরেলের বগি পাঁচের বেশি না। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে ছয়টি কাজ করছে। এটা ম্যানেজ করা হয়েছে। এটি তো একটি কারিগরিসংক্রান্ত বিষয়। এটা সাধারণ রেলওয়ে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, এমআরটি-৬ এর সময় ছিলো ২০২৪ সাল। আমরা তা আগে করে ফেলেছি। পৃথিবীতে এখন চেইঞ্জিং সো ফার্স্ট। এটা জীবনযাত্রা, অবকাঠামো সব ক্ষেত্রে একটা গুরুত্ব পাচ্ছে। বর্তমানে সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করছে। ব্যস্ত সময় অর্থাৎ পিক আওয়ারে ১০ মিনিট এবং বাকি সময় ১২ মিনিট পরপর ছাড়ছে মেট্রোরেল।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৭

৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ১০ মিনিটের পরিবর্তে ৮ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করবে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মেট্রোরেলের বগি বাড়ানো বা সময় কমানো হবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে মেট্রোরেল চালু করা যাবে- এটি কয়েক বছর আগে স্বপ্নের মত ছিল। বিশ্বের কোনো দেশে মেট্রোরেলের বগি পাঁচের বেশি না। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে ছয়টি কাজ করছে। এটা ম্যানেজ করা হয়েছে। এটি তো একটি কারিগরিসংক্রান্ত বিষয়। এটা সাধারণ রেলওয়ে না। তবে ফ্রিকোয়েন্সি ২ মিনিট করে কমানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। চাহিদা যেহেতু বেশি সেই কারণে ১০ মিনিট থেকে ৮ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচলের ব্যবস্থা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।  তবে কবে নাগাদ এ সুবিধা মিলবে তা স্পষ্ট করেননি মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। কাদের বলেন, এমআরটি-৬ এর সময় ছিলো ২০২৪ সাল। আমরা তা আগে করে ফেলেছি। পৃথিবীতে এখন চেইঞ্জিং সো ফার্স্ট। এটা জীবনযাত্রা, অবকাঠামো সব ক্ষেত্রে একটা গুরুত্ব পাচ্ছে। বর্তমানে সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করছে। ব্যস্ত সময় অর্থাৎ পিক আওয়ারে ১০ মিনিট পর পর এবং বাকি সময় ১২ মিনিট পরপর বর্তমানে ট্রেন চলাচল করে থাকে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৯

আহমেদ রুবেলের সঙ্গে জীবনের শেষ ৪০ মিনিট যা ঘটেছিল
বাবার কাছ থেকে শেষ বিদায় নিয়ে বের হয়েছিলেন সদ্যপ্রয়াত অভিনেতা আহমেদ রুবেল। গন্তব্য ছিল বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সে তার অভিনীত নতুন সিনেমা ‘পেয়ারার সুবাস’র প্রিমিয়ার শো’র অনুষ্ঠানস্থল। কিন্তু তার আগেই যেন সব ওলটপালট হয়ে গেল। সিনেমাটি আর দেখা হলো না রুবেলের। পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে।  নিজে গাড়ি চালিয়ে বিকেল সোয়া ৫টায় বসুন্ধরা সিটিতে পৌঁছান রুবেল। তবে অনুষ্ঠান স্থলে যাওয়ার আগেই মারা যান দাপুটে এই অভিনেতা। কিন্তু জীবনের শেষ ৪০ মিনিট কী ঘটেছিল তার সঙ্গে?      বেজমেন্টে গাড়ি থেকে নেমে হঠাৎ পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান রুবেল। পরে বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। ৫টা ৫৮ মিনিটে রুবেলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।     জানা গেছে, গাজীপুরের ছায়াবীথি থেকে হাতে সময় নিয়েই বের হয়েছিলেন রুবেল। গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি নিজেই। পথে উত্তরা থেকে ‘পেয়ারার সুবাস’র নির্মাতা নূরুল আলম আতিক এবং সহকারী পরিচালককে গাড়িতে তুলে নেন। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বসুন্ধরা সিটিতে পৌঁছান তারা।    গাড়ি নিয়ে সোজা বসুন্ধরা সিটির পার্কিংয়ে ঢুকে গাড়ি রেখে বেজমেন্টের হাঁটা পথে  হাঁটছিলেন রুবেল। এর মাঝেই হঠাৎ পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান রুবেল। সঙ্গে থাকা নির্মাতা আতিক, নিরাপত্তারক্ষী মাসাদুল হকসহ আরও কয়েকজন এগিয়ে আসেন।   দেশের একটি গণমাধ্যমকে মাসাদুল বলেন, দেয়ালে লেগে কপাল ফুলে যায় রুবেলের। ধরাধরি করে দ্রুত রুবেলকে পাশের চেয়ারে বসাই আমরা। মাথায় পানি দেই। আমরা ভেবেছিলাম, তিনি মাথা ঘুরে পড়ে গেছেন। তাই মাথায় পানি দিচ্ছিলাম। তখনও তার জ্ঞান ছিল। সঙ্গে বারবার ঢেকুরও তুলছিলেন।    তিনি আরও জানান, বসুন্ধরা সিটির প্রথম তলায় জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া দরকার রুবেলকে। কিন্তু ওপর তলা থেকে হুইলচেয়ার আনতে বিলম্ব হওয়ায়  কোলে করে রুবেলকে চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক রুবেলকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। হুইলচেয়ারে বসিয়ে প্রথম তলা থেকে বসুন্ধরা সিটির নিচে নামানো হয় রুবেলকে। পরে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সহায়তায় স্কয়ার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয় রুবেলকে। এ সময় সিএনজিতে পরিচালক আতিকও ছিলেন। হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানান, রুবেলকে বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার পালস ছিল না। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা নিশ্চিত হই, ডেড অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল তাকে। বিকেল ৫টা ৫৮ মিনিটে রুবেলকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।   বসুন্ধরা সিটি থেকে হাসপাতালে নেওয়ার সময়ের মধ্যেই মৃত্যু হয় রুবেলের। তবে  চিকিৎসকরা এখনও অভিনেতার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে পারেননি। কিন্তু ধারণা করছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন রুবেল।  অভিনেতা আহমেদ রুবেলের পুরো নাম আহমেদ রাজিব রুবেল। ১৯৬৮ সালের ৩ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের রাজারামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তবে ছোটবেলা থেকেই বেড়ে উঠেছেন ঢাকা শহরে। দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে এক ভাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এবার রুবেলও চলে গেলেন। চার বোনের মধ্যে দুই বোন ঢাকায় এবং দুই বোন থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। আহমেদ রুবেলের স্ত্রীর নাম মনোয়ারা বেগম। তবে রুবেল-মনোয়ারা দম্পতির কোনো সন্তান নেই। মঞ্চে ‘ঢাকা থিয়েটার’ হয়ে অভিনয়ে হাতেখড়ি আহমেদ রুবেলের। ছোটপর্দায় তার অভিনীত প্রথম নাটক গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নযাত্রা’। একুশে টেলিভিশনের ধারবাহিক নাটক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘প্রেত’-এ অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান। বড়পর্দাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আখেরী হামলা, শ্যামলছায়া, গেরিলা, ব্যাচেলর, চন্দ্রকথা ইত্যাদি।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৬

১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর মেট্রোরেল চলাচল শুরু
কারিগরি ত্রুটির কারণে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট বন্ধ থাকার পর ফের মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে। আটকা পড়া ট্রেনটি কারওয়ান বাজারে এসেছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৪টা ২০ মিনিটে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়। এর আগে, দুপুর ২টা ৪০ মিনিট থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন হাজার হাজার যাত্রী। অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ডিএমটিসিএল’র জেনারেল ম্যানেজার নজরুল ইসলাম (সিগন্যালিং) জানান, মেট্রোরেলের ওভারহেড বৈদ্যুতিক লাইন ট্রিপ করায় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এদিকে, বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব আজ শেষ হওয়ার পর অনেকেই মেট্রোরেল স্টেশনে ভিড় জমান। যাত্রীর চাপে উত্তরা উত্তর স্টেশনের প্রবেশপথ সময়ে সময়ে বন্ধ করে দিতে হচ্ছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৪

১৫ মিনিট মেট্রোরেল বন্ধ থাকা নিয়ে ডিএমটিসিএল ও পুলিশের ভিন্ন দাবি
১৫ মিনিটের জন্য মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকা নিয়ে দুই রকম তথ্য দিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ। ডিএমটিসিএল বলছে, মেট্রোরেলের বিদ্যুতিক লাইনের ওপর পাশের একটি ভবন থেকে স্যাটেলাইট টিভির ক্যাবল ফেলে দেওয়া হয়। এর ফলে প্রায় ১৫ মিনিট মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। কিন্তু পুলিশের দাবি, লাইনের ওপর ক্যাবল ফেলার জন্য নয়। মূলত যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল।  মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা ১০ মিনিটের দিকে মতিঝিল থেকে উত্তরা এবং উত্তরা থেকে মতিঝিল দুই প্রান্তেই মেট্রোরেল চলাচল প্রায় ১৫ মিনিটের মতো বন্ধ থাকে। এর ফলে প্রতিটি স্টেশনে যাত্রীদের অত্যাধিক ভিড় হয়ে যায়। পরে নিচ থেকেই যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে উঠতে নিষেধ করা হয়। পরে ডিএমটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, ফার্মগেট ও শাহবাগ এলাকার মাঝামাঝি জায়গায় মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর কেউ ক্যাবল ছুড়ে মারে। এ কারণে প্রায় ১৫ মিনিট মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইনে ক্যাবল ছুড়ে মারা ব্যক্তিকে পুলিশ খুঁজছে বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পুলিশ ইউনিটের পুলিশ সুপার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর যে ক্যাবল ছোড়ার কথা বলা হচ্ছে, সেটি সঠিক নয়। এমআরটি অফিস থেকে আমরা জানতে পেরেছি, মূলত যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই মেট্রোরেল চলাচল কিছু সময়ের জন্য ধীরগতি হয়েছে। এ ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে আমরা অবগত নই।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৭

কারাদণ্ড পাওয়ার ৫ মিনিট পরই ড. ইউনূসের জামিন
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় ৬ মাসের কারাদণ্ড পাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দিয়েছেন শ্রম আদালত। এক মাসের মধ্যে আপিল করার শর্তে সোমবার (১ জানুয়ারি) শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন পাওয়া বাকি তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। এর আগে, একই আদালত ড. ইউনূসসহ চারজনকে ৬ মাস করে কারাদণ্ডা এবং প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এসএম আরিফুজ্জামান মামলাটি করেন। গত ৬ জুন এই মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন ড. ইউনূস ও অন্যরা। আপিল বিভাগ গত ২০ আগস্ট সেই আবেদন চূড়ান্তভাবে খারিজ করে দেন। এরপর ২২ আগস্ট শ্রম আদালতে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শেষ যুক্তিতর্ক শোনার পর এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন আদালত। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বাৎসরিক ছুটি দেওয়া, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয় না। মামলায় আরও অভিযোগ আনা হয়, গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয় না। অভিযোগের জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ৯ নভেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজন বিবাদী লিখিতভাবে আদালতকে বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী। কারণ, গ্রামীণ টেলিকম যেসব ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেগুলো চুক্তিভিত্তিক। তবে গ্রামীণ টেলিকমের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্থায়ী কর্মীর মতো ভবিষ্য তহবিল (প্রভিডেন্ট ফান্ড), আনুতোষিক (গ্র্যাচুইটি), অর্জিত ছুটি ও অবসরকালীন ছুটি দেওয়া হয়ে থাকে। মামলায় নিয়োগ স্থায়ী না করার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা প্রশাসনিক ও দেওয়ানি মামলার বিষয়। আদালতে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এর লভ্যাংশ বিতরণযোগ্য নয়, সামাজিক উন্নয়নে ব্যয় করা হয়।  
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়