• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জাবিতে তৃতীয় দিনের মতো প্রশাসনিক ভবন অবরোধ 
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সম্প্রতি বহিরাগত এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, অছাত্রদের আবাসিক হল থেকে বের করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ ও মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ।  বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে ফটকের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।  এ সময় দুই ঘণ্টা প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রাখেন তারা। সকালে অফিসে যোগদান করতে আসা কর্মকতার্তা-কর্মচারীদের এ সময় ভবনের বাইরে অপেক্ষা করে থাকতে দেখা যায়। পরে বেলা ১১টায় অবরোধ তুলে নেন তারা। আন্দোলনকারীদের অন্য দাবিগুলো হলো- ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমানের বিচার নিষ্পত্তি করাসহ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা, নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের অপরাধ তদন্ত করা এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের তদন্ত চলাকালে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা; মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িত ব্যক্তিদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এ সময় ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পাঁচটি দাবি উত্থাপন করছি। কিন্তু এর সন্তোষজনক ও দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পাইনি। প্রশাসনের এ নির্লিপ্ততা চোখে আঙুল দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার জন্যই আমাদের এই অবরোধ কর্মসূচি ও মৌন প্রতিবাদ। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিবেকবান মানুষদের বিবেক জাগ্রত হবে। এ সমস্যা সমাধান না হলে আমরা আশংকা করছি, ভর্তি পরীক্ষা হয়তো ঠিকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। প্রশাসন অনতিবিলম্বে এর সমাধান না করলে আমরা ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হব।’ জানার্লিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনা ইসলাম বলেন, চলমান আন্দোলনের আজ ১২তম দিনে আমরা মুখে কালো কাপড় ধারণ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, সংস্কৃতি, গবেষেণা কার্যক্রম চলমান রেখেই আমরা আমাদের দাবি আদায় করতে চাই। আমি প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই আগামী সপ্তাহে ভর্তি পরীক্ষার জনসমাগমে হাজার হাজার মানুষের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত আছে কিনা; প্রক্টর ও প্রশাসনিক টিম প্রস্তুত আছেন কিনা। আমরা ধর্ষণের ঘটনার সর্বোচ্চ বিচার ও পদক্ষেপ আশা করছি। প্রশাসন যদি আমাদের সহযোগিতা চায় তাদের সহযগিতায় আমরা এগিয়ে আসব। এই প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয়, আমরা প্রধানমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, প্রশাসনের কারণে যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান দেশবাসীর কাছে ক্ষুন্ন হয়েছে, প্রশাসনে থাকা দায়িত্বশীল ও জড়িত সেই শিক্ষকদের অপসারণের মাধ্যমে সেই সম্মান ফিরিয়ে আনতে হবে। অছাত্রদের বের না করে বরং প্রশাসন নিয়মিত শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছে। সিন্ডিকেটের গৃহীত সিদ্ধান্ত না মেনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের অবমাননা করেছেন। আমরা আজ কালো কাপড় মুখে বেধে প্রতিবাদ করছি। দাবি না মানলে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবো। নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের সদস্য সচিব মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, প্রশাসন জরুরি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। আইওয়াশের জন্য তারা যেসব কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তা বাস্তবায়িত না হলে আমাদের আন্দোলন চলবে।  আজকে মৌন মিছিল পরবর্তী আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি জানিয়ে দেয়া হবে।   এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. এনামউল্ল্যা, গণিত বিভাগের অধ্যাপক মুহম্মদ নজরুল ইসলাম, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু, প্রাণরসান ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ প্রমুখ।  এর আগে, বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি হিসাবে ৫ দফা দাবিতে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, মৌন মিছিল এবং মোমবাতি প্রজ্বলন করেছে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ। মোমবাতি প্রজ্বলন শেষে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের সদস্য সচিব মাহফুজ ইসলাম মেঘ বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষন, শিক্ষকের নিপীড়ন, যৌন নিপীড়ন এবং অছাত্রদের হলে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ করছি। আজকে আমাদের প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ছিল চলচিত্র প্রদর্শন, মোমবাতি প্রজ্বলন। আমরা দেখতে পাচ্ছি এই প্রশাসন আমাদের দাবিগুলো মানতেছে না, তারা যেরকম স্বেচ্ছাচারী আচরণ করতেছে তাতে মনে হচ্ছে তারা স্বৈরাচারী হয়ে উঠছে দিনকে দিন। আজ এই সুত্রে মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে আমরা বলতে চাই আজকে যে বিশেষ দিন রয়েছে স্বৈরাচার বিরোধী দিবস সেই দিবসের সঙ্গে আমরা একাত্মতা প্রকাশ করছি। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রব্বানি বলেন ও অধ্যাপক খো. লুৎফুল এলাহী প্রমুখ।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৪

জাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো প্রশাসনিক ভবন অবরোধ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্তপূর্বক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা এবং র‌্যাগিং সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে প্রশাসন ভবন অবরোধ করেছে ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো পাঁচ দফা দাবি নিয়ে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এরপর বেলা ১১টার দিকে বুধবার পুনরায় প্রতীকি অবরোধের ঘোষণা দিয়ে আজকের অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। অবরোধ কর্মসূচিতে হাসিব জামানের সঞ্চালনায় সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট বলেছিল ৫ কর্মদিবসের মধ্যে অছাত্রদের বের করে দিবে কিন্তু প্রশাসন তা পারেনি। রাজনৈতিক যে রুমগুলো আছে সেখানে তারা যাচ্ছে না। রাষ্ট্রে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে তার ছোঁয়া এখানেও পড়েছে। হলের যারা প্রশাসন আছে তারা অনেকেই ক্যাম্পাসের বাইরে থাকেন তাহলে তো হলে অরাজকতা সৃষ্টি হবেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে ৫ দফা দাবি করেছে সেই দাবি গুলো যৌক্তিক। যদি দাবি মানা না হয় এই আন্দোলন চলতেই থাকবে। ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, সন্ত্রাস ও মাদক কারবারের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। অছাত্রদের বের করে দেয়ার জন্য সিন্ডকেটে নেওয়া সিদ্ধান্তের পাঁচ কর্মদিবস পার হয়ে গেলেও আমরা কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখিনি। অছাত্রদের বের না করে বরং প্রশাসন নিয়মিত শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছে। নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিশ্চিতসহ তাকে সহায়তাকারী প্রক্টরের পদত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনে যাবো। প্রশাসন দায় এড়িয়ে যেতে পারবেনা। নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের নাটক ও নাটকতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী কনোজ কান্তি রায় বলেন, একজন বৈধ শিক্ষার্থী হলে সিট পায়না, চেয়ার টেবিল পায় না, পড়াশোনার ভালো পরিবেশ পাচ্ছে না। অন্যদিকে কিছু অবৈধ শিক্ষার্থী ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে তাদের সঙ্গে লেজুড়বৃত্তি করে হলে থাকছে, যার ফলে বৈধ শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকের ব্যবসা, চোরাচালান, মাদক সেবন কীভাবে ছড়িয়ে গেছে তা সামনে এসেছে। র‌্যাবের ব্রিফিং থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনের পর দিন যে পাশবিক ঘটনাগুলো ঘটছিল, তা এই অছাত্ররা করছিল। প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে, তারা এসব ঘটনার দায় এড়াতে পারে না। এ সময় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমেনা ইসলাম, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নূরুল ইসলাম প্রমুখ।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৫

ধর্ষণ ও মাদককাণ্ডে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সম্প্রতি স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত ও অছাত্রদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্তপূর্বক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিতসহ ৫ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের ব্যানারে সকাল পৌনে ৯টায় প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে প্রতীকি অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অবরোধ কর্মসূচিতে আ র ক রাসেলের সঞ্চালনায় নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের সদস্য সচিব পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম মেঘ বলেন, আমরা নায্য দাবি আদায়ের জন্য এখানে এসে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছি। এই প্রশাসন আমাদেরকে দাঁড়াতে বাধ্য করেছে। আমরা বিশ্বাস করি আজকে যারা এখানে দাঁড়িয়েছি শুধু তারাই আন্দোলনকারী নয়। বরং প্রত্যেকটি শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিনিধি হিসেবে হাজির হয়েছি আমরা। ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের কোনো বাস্তবায়ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করতে পারেনি। অছাত্রদেরকে বের তো দূরে থাক বরং প্রশাসন তাদেরকে নিয়ে ভাগবাটোয়ারার মিটিং করছে প্রতিনিয়ত। আমরা প্রথমিকভাবে প্রতিকী অবরোধ করছি। প্রশাসন আমাদের ন্যায্য দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে, প্রয়োজনে আরো কঠোর কর্মসূচিতে যাবো। ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী বলেন, উপাচার্য গতকাল বলেছেন আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি অছাত্রদের বের করার। তিনি যদি আপ্রাণ চেষ্টা করেই থাকেন তাহলে এই পাঁচ দিনে অন্তত পাঁচ শ সাবেক শিক্ষার্থী হল থেকে বের করার কথা। যদি সেটা না পারেন তাহলে তিনি কোন নৈতিকতার বলে তিনি তার পদে আছেন সেই প্রশ্নটি করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গত কয়েক বছর ধরে ঘুরে ঘুরে পদে আসছেন। আমরা জানিনা তার মধ্যে বিশেষ কী গুণ রয়েছে, কোনো বিশেষ গুণ তো দেখতে পাই না। তিনি নিজেও নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত, অসংখ্য নিপীড়নের ঘটনাকে তিনি উসকে দিচ্ছেন। তাকে বারবার ক্ষমতায় বসিয়ে কি বোঝাতে চান আমরা বুঝি না। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৩

বাকৃবিতে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি : বিচারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছে ওই অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা।  এ সময় আমার বোন লাঞ্চিত কেন প্রশাসন জবাব চাই, বোবা প্রশাসনের টনক নড়বে কবে, সিসিটিভি আছে ফুটেজ নাই, নিরাপত্তা কোথায়, ক্যাম্পাসে বহিরাগত কেন এমন সব স্লোগান ও পোস্টার হাতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।   রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় পশুপালন অনুষদীয় গেইট থেকে ছাত্রী শ্লীলতাহানির বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।  এ ঘটনার পরবর্তীতে সম্মানহানির অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দেন।  বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম বলেন, যেখানে শিক্ষকদের সম্মান নেই সেখানে আমাদের কাজ করা অসম্ভব। আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করে গালিগালাজ করেছেন। আমরা প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা স্বাক্ষর করে একযোগে পদত্যাগপত্র প্রক্টরিয়াল অফিসে জমা দিয়েছি। পরবর্তীতে দুপুর ১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীরা আলোচনায় বসেন। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের নিকট তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।  শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট রাস্তা ব্যতীত সিএনজি, অটো চলাচল নিষিদ্ধ করা এবং রিকশার নির্ধারিত কোড ও রিকশাচালকদের নির্দিষ্ট পোশাকের ব্যবস্থা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মের রাস্তাগুলোতে অবিলম্বে নিরাপত্তা জোরদার করা এবং গতদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনার অবিলম্বে বিচার করা। এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রবেশপথগুলোতে নিরাপত্তাকর্মী বাড়ানো ও সাধারণ নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মের রাস্তাগুলোতে সোমবার থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। শ্লীলতাহানির এ ঘটনার উপযুক্ত বিচারের জন্যে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।  প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগের বিষয়ে তিনি জানান, প্রক্টর এবং ছাত্রদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এটি সাময়িক বিষয়। বিষয়টির সমাধান করা হচ্ছে। ২-১ দিনের মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। প্রক্টররা আবার তাদের কর্মস্থলে যোগদান করবেন। উল্লেখ্য, শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বারের মোড় হতে শাহজালাল পশুপুষ্টি মাঠ গবেষণাগার সংলগ্ন রাস্তায় শ্লীলতাহানির শিকার হন পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী। ইচ্ছাকৃতভাবেই ওই রাস্তায় সিএনজি প্রবেশ করান চালক। সেই সময়, তার সিএনজিতে কোনও যাত্রী ছিলো না। পরবর্তীতে সেই সিএনজিচালককে ধরতে যাওয়ার চেষ্টা করা হলে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৬

প্রশাসনিক কর্মকর্তা হলেন ডিসি-ইউএনও অফিসের ১৮৪ জন
জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে (ইউএনও) কর্মরত মাঠ প্রশাসনের ১৮৪ জন কর্মচারীকে পদোন্নতি দিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এও) পদে উন্নীত করেছে সরকার।  সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এ পদোন্নতি দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই আদেশে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) সুপারিশ মোতাবেক আগের ‘অফিস সুপারিনটেনডেন্ট, সিএ কাম উচ্চমান সহকারী, প্রধান সহকারী, ট্রেজারি হিসাবরক্ষক, পরিসংখ্যান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর’ পদের ১৮৪ কর্মচারীকে ‘উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ পদে পদোন্নতি দেওয়া হল। সেই সঙ্গে বেতন জাতীয় স্কেল ২০১৫ এর দশম গ্রেডের ১৬ হাজার থেকে ৩৮ হাজার ৬৪০ টাকা করা হল। পদোন্নতির পর তাদের পদায়নও করা হয়েছে।  পদোন্নতিপ্রাপ্ত এসব কর্মকর্তা আগের দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার পদমর্যাদার। যদিও সরকারি চাকরিতে এখন শ্রেণি ব্যবস্থা নেই।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়