• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তীব্র গরমের জন্য দায়ী সরকার : মির্জা আব্বাস
তীব্র গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, আজকে দেশে ঋতু নেই। এখনকার মানুষজনও বলতে পারে না বাংলাদেশে কয়টি ঋতু। দেশটি পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী সরকার। চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীতে সাধারণ মানুষের মাঝে বোতলজাত সুপেয় খাবার পানি, স্যালাইন ও হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বিএনপির এ নেতা। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) এ কর্মসূচির আয়োজন করে। মির্জা আব্বাস বলেন, ১১শ’র বেশি নদী ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু তিনশ’র মতো নদী নিখোঁজ হয়ে গেছে আওয়ামী ভূমি দস্যুদের কারণে। এই হলো দেশের অবস্থা। অন্যদিকে ঢাকা শহরকে ইট-কাঠ-পাথরে ভরে দেওয়া হয়েছে। গাছ দেখা যায় না। ঢাকার চারপাশে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে গেছে। সরকারের মদদপুষ্ট ভূমি দস্যুরা সেসব ভরাট ও দখল করেছে। ভূমি দস্যুদের সঙ্গে সরকারের তলে তলে যোগাযোগ আছে। রাজধানীকে কৃত্রিম মরুভূমি বানানো হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে তাপমাত্রা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই হিটস্ট্রোকে কোথাও না কোথাও মানুষ মারা যাচ্ছে। ঢাকা শহরও এর ব্যতিক্রম নয়। এ অবস্থায়ও সাধারণ মানুষকে সহায়তার জন্য জেডআরএফ পানি ও স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ, আমরা রাজনীতি করি সমাজের কল্যাণের জন্য।  এ সময় হিট অফিসারকে উদ্দেশ্য করেও কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য। তিনি বলেন, একজন নাকি হিট অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাকে বলব- সরকারকে বলুন ঢাকার চারপাশে খালগুলো খুলে দিতে। ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলুন। না হলে সারাদেশের জন্য পানি আনতে হবে। আজকে ঢাকা শহরসহ দেশকে মরুকরণ করা হচ্ছে। এসব নিয়ে কথা বলুন। তবেই বুঝব আপনি দেশ ও ঢাকাকে ভালোবাসেন। জেডআরএফ’র নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও ড্যাবের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, শিক্ষাবিয়ষক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।  
২০ ঘণ্টা আগে

জাপার অন্তঃকোন্দলের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির অন্তঃকোন্দলের জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বনানী কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। জিএম কাদের বলেন, দল হিসেবে জাতীয় পার্টি অনেক সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে। কিন্তু সরকার সেখানে ইন্ধন দেয়, এসব ঠিক নয়। তিনি বলেন, বৈষম্যকে লালন করে দেশকে নানাভাবে বিভক্ত করার চেষ্টা চলছে। স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে ব্যবসা চলছে। সুবিধাভোগীরা লুটপাটের রাজত্ব তৈরি করেছে। জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে মামলা হয়। যেভাবে আইনকানুন করে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এভাবে বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দল টিকবে না। সরকার ঠিক থাকলেও দল হিসেবে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকবে না। তিনি বলেন, ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে, কিছু মানুষকে উপরে ওঠানো হচ্ছে, কিছু মানুষকে মুছে ফেলা হচ্ছে, এটা ঠিক নয়। এমনও দেখা যাচ্ছে, বয়স ৫০ হয়নি অথচ সে মুক্তিযোদ্ধা, এইগুলো কী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা? জিএম কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্যসহ কোনো কিছুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার। দেশকে ভুবিয়ে দিয়ে আপনারা বাঁচতে পারবেন না, মানুষের অভিশাপ লাগবে।  তিনি বলেন, বৈষম্য করে দেশকে বিভক্ত করা হয়েছে। আমরা বৈষম্যমুক্ত দেশ ও সমাজ চাই। আর এই বৈষম্যের কারণেই একটা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে।  
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৭

গাজার দুর্ভিক্ষের জন্য ইসরায়েল দায়ী : ইইউ
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষের জন্য ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করেছেন ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র নীতি বিভাগের প্রধান জোসেপ বরেল। এই পরিস্থিতিকে ‘পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। খবর আনাদোলু এজেন্সির। সোমবার (১৮ মার্চ) থেকে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইইউ’র অন্যতম অঙ্গসংস্থা ইউরোপিয়ান হিউম্যানিটেরিয়ান ফোরামের ২ দিনের সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে জোসেপ বরেল বলেন, গাজা এখন আর দুর্ভিক্ষের প্রান্তে নেই, সেই স্তর অতিক্রম করে এখন দুর্ভিক্ষের মধ্যে পৌঁছেছি, যা উপত্যকার হাজার হাজার মানুষের জন্য সীমাহীন ভোগান্তি এনে দিয়েছে। ইইউ পররাষ্ট্র নীতি বিভাগের প্রধান বলেন, যুদ্ধের জেরে গাজা শিগগিরই এমন একটি অঞ্চলে পরিণত হতে চলেছে, যেখানে কোনো প্রকার আইনের শাসনের অস্তিত্ব থাকবে না এবং সামগ্রিকভাবে ফিলিস্তিন একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে রূপ নিচ্ছে এমন একটি রাষ্ট্র যা কিনা জন্মের আগেই ব্যর্থ হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আর এই পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী ইসরায়েল। গাজার যুদ্ধে ক্ষুধাকে তারা যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। এটা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।এতে নারী ও শিশুসহ হাজার ৩১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজা উপত্যকায় বসবাসকারী ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্থিনির এক তৃতীয়াংশই জাতিসংঘ ও অন্যান্য দাতা দেশ ও সংস্থার ত্রাণের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল। গাজায় অভিযান শুরুর পর থেকে উপত্যকায় ত্রাণের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে খাদ্যের অভাবে পশুখাদ্য, গাছের পাতা খেতে বাধ্য হচ্ছেন গাজার লোকজন। ইতোমধ্যে সেখানে খাদ্যের অভাবে মৃত্যু শুরু হয়েছে। দেখা দিয়েছে দুর্ভিক্ষ।  
১৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫৭

ভবনে অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের জন্য দায়ী সরকারি ৭ সংস্থা
ভবনে অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের জন্য অনুমোদন প্রদানকারী ৭টি সংস্থাকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞদের একটি দল। আর এ ধরনের ঘটনায় অনুমোদন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং ভবন মালিকদের ‘অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ডের’ আসামি করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ভবন বিপজ্জনকতায় আচ্ছন্ন নগরী: প্রেক্ষিতে করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে অগ্নিদুর্ঘটনার বিভিন্ন কারণ উল্লেখসহ এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) ও বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলা)। সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি ও স্থপতি ইকবাল হাবিব। প্রবন্ধে বলা হয়, অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে বাংলাদেশে নগরায়ণের প্রবণতা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)-১১ অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ, অভিঘাত–সহনশীল এবং টেকসই নগর ও জনবসতি গড়ে তোলার কথা বলেছে। কিন্তু এখনো আমরা একটি নিরাপদ এবং অভিঘাত–সহনশীল নগরী গড়ে তুলতে পারিনি। নগরে সংঘটিত অগ্নিদুর্যোগ আজ বিপর্যয়ে রূপ নিয়েছে। এতে আরও বলা হয়, সারাদেশে গত ৯ বছরে ১ লাখ ৯০ হাজার ১৬৭টি অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ১ হাজার ৫১ জন নিহত ও আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৬০৬ জন। ঢাকাসহ সারাদেশে অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণ হচ্ছে অনুমোদনহীন অবৈধ ভবন, অবৈধ ভূমি ব্যবহার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর তদারকির অভাব। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একটি রেস্তোরাঁ স্থাপনে ১০টি সংস্থার প্রত্যয়নপত্র প্রয়োজন। এগুলো হলো- ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনাপত্তিপত্র, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেস্তোরাঁ লাইসেন্স, সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের লাইসেন্স নিবন্ধন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের দোকান লাইসেন্স, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ই-ট্রেড লাইসেন্স, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ফায়ার লাইসেন্স, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের অবস্থানগত ছাড়পত্র। বক্তারা বলেন, এসব ছাড়পত্র যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং তদারকি ছাড়াই প্রদান করা অথবা ছাড়পত্রহীনভাবে কর্মকাণ্ড পরিচালনায় নিরুদ্বেগ থাকার কারণেই বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আইনের ব্যত্যয় এবং তদারকির অভাবে ক্রমাগত ঘটে যাওয়া এই অগ্নিকাণ্ডগুলোর জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো অর্থাৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা (ওয়াসা, তিতাস, ডিপিডিসি/ডেসা), আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সর্বোপরি ভবনমালিক দায়ী। প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অবহেলা, অব্যবস্থাপনা ও প্রস্তুতিহীনতার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান বক্তারা। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ঢাকায় গত পাঁচ বছরে হওয়া অন্তত ৯টি বড় অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দুর্ঘটনার পর তদারকির দায়িত্বে থাকা সরকারি সংস্থা পারস্পরিক দোষারোপের মাধ্যমে নিজেদের দায়িত্ব থেকে ‘দায়মুক্তি’ নেওয়ার চেষ্টা করছে। হাতে গোনা দু-একটি ক্ষেত্রে মামলা হলেও সাজার কোনো নজির নেই।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৩

বেইলি রোডের ঘটনায় দায়ী সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : ডিএমপি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেছেন, রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে কাদের দায় আছে, ভবন মালিকের দায়, নাকি রেস্টুরেন্ট মালিক ও ম্যানেজারের দায়, কোথায় কোথায় অবহেলা আছে, কোন কোন সংস্থা এখানে কাজ করার কথা ছিল, তারা কীভাবে কাজ করছে সব বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করছি। যাদের দায় থাকবে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  শনিবার (২ মার্চ) নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। ডিসি মো. ফারুক হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ৪৩ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি তিনজনের পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি। সিআইডি এ তিনজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে। পরবর্তীতে কেউ মরদেহের সন্ধানে এলে তাদের ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলে গেলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেউ না আসেন সে ক্ষেত্রে আঞ্জুমান মফিদুলকে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হবে এবং তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহে রাখা হবে। তিনি বলেন, এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা শুক্রবার চারজনকে আটক করেছি। তারা এখন রমনা থানায় রয়েছেন। এরপর যাদের দায় পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। আজ মামলা করা হবে। যারা আটক আছেন তাদের সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। বেইলি রোডে দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশও আগুন নিয়ন্ত্রণের আপ্রাণ চেষ্টা করেছে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, কর্তব্যরত সার্জেন্ট সর্বপ্রথম আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন এবং তার প্রচেষ্টায় অনেকে জীবন বাঁচাতে সক্ষম হন। এ দুর্ঘটনার পরে ফায়ার সার্ভিস এবং রাজউক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিগুলো তাদের অনুসন্ধান শেষে রিপোর্ট প্রদান করার পরে যাদের বিরুদ্ধে দায় পাওয়া যাবে তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।   আমরা এর আগেও এমন ঘটনায় যেসব মামলা দায়ের হয়েছিল সেগুলো সুষ্ঠুভাবে তদন্ত সম্পন্ন করেছি এবং অভিযুক্তদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করেছি। 
০২ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৬

‘আমার মৃত্যুর জন্য উজ্জ্বল বিশ্বাস দায়ী থাকলো’
ফেসবুকে স্ট্যাটাস লিখে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নদী বিশ্বাস (১৫) নামে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী।  বুধবার (৭ ফোব্রুয়ারি) সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার জেঠুয়া গ্রাম থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  নদী বিশ্বাস একই এলাকার কার্তিক বিশ্বাসের মেয়ে ও জেঠুয়া জাগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। এর আগে নিজ ফেসবুক আইডি ‘Angel Nodi’ থেকে ‘আমার মৃত্যুর জন্য উজ্জ্বল বিশ্বাস দায়ী থাকলো’ বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ওই স্কুলছাত্রী।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মফিদুল হক লিটু। নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্যক্ত করতেন উজ্জ্বল বিশ্বাস নামে এক বখাটে যুবক। বুধবার সকালে তার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা-কাটাকাটি হয় উজ্জ্বলের। এরপর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সবার অজান্তে নিজঘরে আঁড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। ঘটনা খবর পেয়ে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুর রহমান জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে একটি মামলা থানায় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।  অভিযুক্ত উজ্জ্বলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৮

ম্যাচ হারের জন্য যাকে দায়ী করলেন মিরাজ
চলমান বিপিএলে চার ম্যাচ খেলে হ্যাটট্রিক হারের স্বাদ পেয়েছে ফরচুন বরিশাল। সবশেষ চট্টগ্রামের বিপক্ষে জয়ের কাছে গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তামিম-রিয়াদদের। যার জন্য ব্যাটসম্যানদের স্লো রানরেটকে দায়ী করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) টস জিতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল তারা। ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশালকে ১৯৪ রানের বড় লক্ষ্য দেয় চট্টগ্রাম। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান তুলতে পারে বরিশাল। এতে ১০ রানের জয় পায় চট্টগ্রাম। এদিন সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিমরা স্ট্রাইক রোটেট করে খেলতে পারেননি। এমনকি তামিমও ৩৩ রান করেছেন ৩০ বলে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেন, টি-টোয়েন্টিতে বেশি রান করতে গেলে প্রত্যেক ওভারে রান-রেট ঠিক রাখতে হবে। আমরা ১৯৪ রান চেজ করতে নেমেছি, সাড়ে ৯ করে লাগে ওভারে। টি-টোয়েন্টিতে কোন ওভারে রিল্যাক্সে খেলা যাবে না। প্রথম ৬ ওভারে আমরা যেভাবে খেলেছি, ২০ ওভার পর্যন্ত ওভাবে খেলতে হবে। এভাবে না খেললে রান-রেট বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, ওরা মাঝখানে দুটো ওভার ভালো বোলিং করেছে। ওই সময় তিনটা উইকেটে চলে গেছে আমাদের। সেই সঙ্গে আবার রান-রেটও বেড়েছে। একটা সময়ে আমাদের ১৪ করে রান দরকার ছিল। ওটা যদি ১০-১১ বা কাছাকাছি থাকতো, তাহলে হয়তো আমাদের জন্য সহজ হত। আমরা ১০ রানে হেরেছি, একটা ওভার বেশি রান হতেই পারে। উইকেটটা ভালো। আমাদের ছোট-ছোট যে ভুলগুলো ছিল এজন্য আমরা হেরে গেছি। এই ম্যাচে ১৬ বলে ৩৫ রানের মারকুটে ইনিংস খেলেন এই টাইগার ব্যাটার। মিরাজের আউটের পরই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ফরচুন বরিশাল। শেষ পর্যন্ত ১০ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে তামিম ইকবালের দল।  
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৫০

টেস্ট ক্রিকেটের ‘দুর্দশার’ জন্য যাকে দায়ী করলেন ডি ভিলিয়ার্স
ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজটি দুই ম্যাচে শেষ হওয়ার কারণে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন দেশটির সাবেক তারকা ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্স। টেস্ট ক্রিকেটের এমন দুর্দশার জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটকে দায়ী করেছেন তিনি। সেঞ্চুরিয়ানে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে কেপটাউনে নাটকীয় এক টেস্ট ম্যাচ দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। দুই দিনে শেষ হওয়া এই টেস্টে ৭ উইকেটের ব্যবধানে জিতে সিরিজ ভাগাভাগি করেছে ভারত। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ৩৬০ ডিগ্রি খ্যাত ডি ভিলিয়ার্স বলেন, তৃতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত না হওয়ায় আমি খুশি নয়। এর জন্য আইসিসি, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ও শিডিউলকে আপনার অবশ্যই দায়ী করতে হবে। আমি জানি না আসলে কাকে দোষারোপ করব।  ‘কিন্তু আমি বুঝতে পারছি, এখানে ভুল কিছু ঘটছে। আপনি যদি সবগুলো দলকে প্রতিযোগিতায় নামাতে চান এবং সেরা দলকে বাছাই করে নিতে চান, তাহলে অবশ্যই কিছু জিনিসে পরিবর্তন আনতে হবে।’ এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য ৭ নতুন মুখ নিয়ে স্কোয়াড ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলার জন্য দলের মূল ক্রিকেটাররাই নেয়। এ ছাড়াও টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা নেইল ব্রান্ডকে অধিনায়ক করেছে প্রোটিয়া টিম ম্যানেজমেন্ট। তাদের এমন সিদ্ধান্তে টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা। এমন সমস্যা সমাধানে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বনিম্ন তিন ম্যাচের সিরিজ বাধ্যতামূলক করার পরামর্শ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিক হকলি। এ বিষয়ে ডি ভিলিয়ার্স বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোয়াড ঘোষণা ক্রিকেটবিশ্বকে একটি সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। যা দ্বারা প্রমাণ হয়েছে ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেট আসলেই চাপে আছে। সবকিছু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে নিয়ে আবর্তিত হচ্ছে। খেলোয়াড়, বোর্ড এবং কোচ যেদিকে বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবে, সেদিকেই মনোযোগ দিচ্ছে। আপনি তাদের ভবিষ্যৎ এবং পরিবার নিয়ে ভাবনাকে কোনোভাবেই দোষারোপ করতে পারেন না।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়