বেইলি রোডের ঘটনায় দায়ী সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : ডিএমপি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেছেন, রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে কাদের দায় আছে, ভবন মালিকের দায়, নাকি রেস্টুরেন্ট মালিক ও ম্যানেজারের দায়, কোথায় কোথায় অবহেলা আছে, কোন কোন সংস্থা এখানে কাজ করার কথা ছিল, তারা কীভাবে কাজ করছে সব বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করছি। যাদের দায় থাকবে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার (২ মার্চ) নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ডিসি মো. ফারুক হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ৪৩ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি তিনজনের পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি। সিআইডি এ তিনজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে। পরবর্তীতে কেউ মরদেহের সন্ধানে এলে তাদের ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলে গেলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেউ না আসেন সে ক্ষেত্রে আঞ্জুমান মফিদুলকে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হবে এবং তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহে রাখা হবে।
তিনি বলেন, এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা শুক্রবার চারজনকে আটক করেছি। তারা এখন রমনা থানায় রয়েছেন। এরপর যাদের দায় পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। আজ মামলা করা হবে। যারা আটক আছেন তাদের সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
বেইলি রোডে দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশও আগুন নিয়ন্ত্রণের আপ্রাণ চেষ্টা করেছে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, কর্তব্যরত সার্জেন্ট সর্বপ্রথম আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন এবং তার প্রচেষ্টায় অনেকে জীবন বাঁচাতে সক্ষম হন। এ দুর্ঘটনার পরে ফায়ার সার্ভিস এবং রাজউক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিগুলো তাদের অনুসন্ধান শেষে রিপোর্ট প্রদান করার পরে যাদের বিরুদ্ধে দায় পাওয়া যাবে তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমরা এর আগেও এমন ঘটনায় যেসব মামলা দায়ের হয়েছিল সেগুলো সুষ্ঠুভাবে তদন্ত সম্পন্ন করেছি এবং অভিযুক্তদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করেছি।
মন্তব্য করুন