• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে সই লাগবে না ভোটারের, বাড়ল জামানত
নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী মে মাসে হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধিমালায় কিছু সংশোধন এনেছে। একই সঙ্গে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ভোটারের সমর্থনসূচক সইসহ তালিকা জমা দেওয়ার বিধানও বাদ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানা গেছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে এসব সংশোধনী প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করেছে সংস্থাটি। আগামী উপজেলা নির্বাচনে এসব বিধান কার্যকর হবে। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামানতের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এর বাইরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধিমালায় আরও কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে।  সংশোধিত বিধি অনুযায়ী, প্রার্থীদের জামানত রক্ষায় প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট পেতে হবে। এতদিন তা ছিল প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ। এ ছাড়া এবার থেকে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে অনলাইনে। প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রার্থীরা জনসংযোগ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালাতে পারবেন। প্রার্থীরা সাদাকালোর পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ও ব্যানার করতে পারবেন। বিধিতে নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও পুনরায় ভোটের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে ইসির ক্ষমতা স্পস্ট করা হয়েছে। আগামী মে মাসে ৪ ধাপে ৪৮১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করবে ইসি। প্রথম ধাপে আগামী ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপে ২৫ মে ভোট হবে।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৯

উপজেলা নির্বাচনে জামানত বাড়ছে, লাগবে না সমর্থনকারীদের স্বাক্ষর
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বৃদ্ধি করে ১ লাখ টাকা এবং ভাইস চেয়ারম্যানের ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সমর্থনকারীদের স্বাক্ষরের বিধানও থাকছে না। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নির্বাচন ভবনে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৈঠক শেষে ইসি সচিব মো জাহাংগীর আলম এসব কথা জানান। তিনি বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ২৫০ জন ভোটারের স্বাক্ষর প্রয়োজন হতো, তা আর লাগবে না। তবে উপজেলা ভোটে চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বৃদ্ধি করে ১ লাখ টাকা এবং ভাইস চেয়ারম্যানের ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। ইসি সচিব বলেন, পোস্টারেরও পরিবর্তন আনা হয়েছে। সাদা কালো পোস্টারের পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ব্যবহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দের আগে সীমিত পরিসরে প্রচারণা করা যাবে। কাস্টিং ভোটের ১৫ ভাগ না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে বলেও জানান মো জাহাংগীর আলম। জানা গেছে, ২০১৩-এর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালার সংশোধনীতে ২৬টি এবং ২০১৬-এর উপজেলা প্রদত্ত পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালার সংশোধনীতে ৮টি বিধান সুপারিশের প্রাথমিক খসড়া তৈরি করা হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইসির আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ প্রস্তুত করা হয়।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৬

নির্বাচনে জামানত হারিয়ে শুটিংয়ে ফিরলেন কৌতুক অভিনেতা চিকন আলী
অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-৩ (বদলগাছী-মহাদেবপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন চলচ্চিত্রের কৌতুক অভিনেতা শামিনুর রহমান ওরফে চিকন আলী। তিনি নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত হয়ে জামানত হারিয়েছেন। এই কৌতুক অভিনেতা মাত্র এক হাজার ৭০১ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে সাত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী এক লাখ ৩৮ হাজার ৫৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ছলিম উদ্দিন তরফদার পেয়েছেন ৬০ হাজার ৫১ ভোট।  এ ছাড়াও মাহবুব-উল মান্নাফ কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ৩৩১ ভোট, মাহফুজা আকরাম চৌধুরী (ঈগল) ১২ হাজার ৭৮৬ ভোট, মাসুদ রানা (লাঙ্গল) তিন হাজার ৪৪১ ভোট, শামিনুর রহমার ওরফে চিকন আলী (কেটলি) এক হাজার ৭০১ ভোট, সোহেল কবির (সোনালী আঁশ) পেয়েছেন ৫৯৭ ভোট। এই আসনে মোট ভোটার ছিল চার লাখ ২০ হাজার ৯০৬ জন। ভোট পড়ে দুই লাখ ২৫ হাজার ৬৭৭। তাই পাঁচজন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। এদিকে নির্বাচনে পরাজিত হয়েই চিকন আলি শুটিংয়ে ফিরেছেন। তার ফেসবুক হ্যান্ডেলে দেখা যায় তিনি নির্বাচনের পরদিন থেকেই শুটিং শুরু করেছেন নিজ এলাকায়। চিকন আলী চলচ্চিত্রের পাশাপাশি নিজের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবের জন্যও কনটেন্ট বানান। 
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৩

শেরপুরে ১৬ প্রার্থীর ১১ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর জেলাতে তিনটি আসনে অংশ নেন ১৬ জন প্রার্থী। নির্বাচনী এলাকায় প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের একভাগেরও কম পাওয়ায় তাদের মধ্যে ১১ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। শেরপুরে স্ব-স্ব আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের থেকে প্রাপ্ত বেসরকারি ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা যায়। শেরপুর-১ (সদর) আসন এ আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিউর রহমান আতিক পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৩৭ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল হক মনি লাঙ্গল প্রতীকে ২ হাজার ২০৭ ভোট, কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের প্রার্থী বারেক বৈদেশী গামছা প্রতীকে ২০৫ ভোট, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ফারুক হোসেন সোনালী আঁশ প্রতীকে ১৯২ ভোট, বিএনএম প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল্লাহ নোঙর প্রতীকে ১৭২ ভোট ও বিএসপি প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ একতারা প্রতীকে ৭৪ ভোট পেয়েছেন। অর্থাৎ এ আসনে বিজয়ী ও নিকটতম প্রার্থী ব্যতীত অপর চারজন প্রার্থীই প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের একভাগেরও কম পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসন মোট ভোটার ৪ লাখ ১১ হাজার ৬৯৫ জন। এর মধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ২২৬ জন। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ১৪২ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী অপর দুইজনের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ সাঈদ ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৪২ ভোট। আর জাসদ প্রার্থী লাল মোহাম্মদ শাজাহান মশাল প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৬ ভোট। এতে তাদেরও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসন মোট ভোটার ৩ লাখ ৮২ হাজার ৪০০ জন। এর মধ্যে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৫৪ হাজার ৩৭৩। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এডিএম শহীদুল ইসলাম পেয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭২৮ ভোট। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী চার প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল আহসান ঈগল প্রতীকে ২ হাজার ৫৮০ ভোট, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান রাজা কেটলি প্রতীকে ৬৯৮ ভোট, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. সিরাজুল হক লাঙ্গল প্রতীকে ৪৩৯ ভোট ও কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের প্রার্থী মো. সুন্দর আলী গামছা প্রতীকে পেয়েছেন ১৭১ ভোট। তাদের মধ্যে বিজয়ী ও নিকটতম প্রার্থী ব্যতীত অপর চারজনেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) ১৯৭২ এর ৪১ এর ১ ধারা মোতাবেক নির্বাচনে প্রদত্ত সর্বমোট ভোটের ৮ ভাগের একভাগের কম ভোট যারা পেয়েছেন তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৯

স্বামীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারিয়েছেন তারা
লক্ষ্মীপুরের দুটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী চৌধুরী রুবিনা ইয়াছমিন লুবনা ও মাহমুদা বেগম তাদের স্বামীদের সঙ্গে ভোটে প্রার্থী ছিলেন। প্রচার-প্রচারণায় তেমন একটা না থাকলেও লুবনা ৩৪৫ ভোট ও মাহমুদা ৩৫৫ ভোট পেয়েছেন। লক্ষ্মীপুর-২ আসনে লুবনা ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে মাহমুদা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।  তবে এ দুই নারী প্রার্থীই নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী জামানত হারিয়েছেন। এদিকে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে লুবনার স্বামী নুরউদ্দিন চৌধুরী নৌকা প্রতীকে ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে মাহমুদার স্বামী মো. আবদুল্লাহ ঈগল প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তবে স্বামীর বিজয়ে নেতাকর্মীদের কাছ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা পাচ্ছেন লুবনা। তবে নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পাওয়ায় তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। অপরদিকে লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আবদুল্লাহ ৪৬ হাজার ৩৭২ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।  এ আসনে ভোট করে তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম ৩৫৫ ভোট পেয়েছেন। আবদুল্লাহর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ ইনু) সহসভাপতি মোশারফ হোসেন পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮১০ ভোট। আসনটির অন্য ৩ প্রার্থীর মধ্যে ট্রাক প্রতীকের ইস্কান্দার মির্জা শামীম ৭ হাজার ৪৭৪, রকেট প্রতীকের আবদুস সাত্তার পালোয়ান ৬৪৯, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির মোহাম্মাদ ছোলায়মান ৩২০ ভোট পেয়েছেন। মাহমুদাসহ এ আসনে ৪ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান বলেন, বিধি অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট কম পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। যারা কম ভোট পেয়েছেন তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৭

জামানত হারিয়েছেন শমসের মবিন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ আসনে পরাজিত হয়ে শেষ পর্যন্ত জামানত হারিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলটির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। তিনি সিলেট-৬ আসনের ২ উপজেলা মিলিয়ে সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন মাত্র ১০ হাজার ৯৩৬ ভোট। যা ওই আসনের প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশের কম। বিধি অনুযায়ী, মোট প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় শমসের মবিনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।  এ আসনে প্রদত্ত ভোট ছিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৬২ টি। সে হিসাবে জামানত টিকিয়ে রাখতে একজন প্রার্থীকে ন্যূনতম ১৪ হাজার ৩২০টি ভোট পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শমসের মবিন চৌধুরী পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৩৬ ভোট। শমসের মবিন ছাড়াও এ আসনে জামানত হারিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম উদ্দিন (৫,৫৭৯), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী আতাউর রহমান আতা (১৫৯) ও ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী সাদিকুর রহমান (৬২২)। উল্লেখ্য, রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফলে এ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৭৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৪৮৮ ভোট।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০৩

টাঙ্গাইলে জামানত হারালেন ৪০ প্রার্থী
টাঙ্গাইলে ৮টি সংসদীয় আসনে মোট ৫৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ৫টিতে এবং স্বতন্ত্র ৩টিতে জয়লাভ করেছে। জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৪০ জন প্রার্থীর। রোববার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে রাতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম ৮টি আসনের প্রার্থীদের বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসন আওয়ামী লীগ মনোনীত (নৌকা) প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ১ লাখ ৭৪ হাজার ১২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র (ট্রাক) প্রতীকের প্রার্থী খন্দকার আনোয়ারুল হক ৪ হাজার ১৭৮ ভোট পেয়েছেন। এ আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩ প্রার্থীর। তারা হলেন স্বতন্ত্র (ট্রাক) প্রতীকের প্রার্থী খন্দকার আনোয়ারুল হক। তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ১৭৮ ভোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ (গামছা) প্রতীকের প্রার্থী ফারুব আহাম্মেদ। তিনি পেয়েছেন এক হাজার ৭৪২ ভোট, জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল) প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৭৪ ভোট। টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসন আওয়ামী লীগের মনোনীত (নৌকা) প্রতীকের প্রার্থী সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি অনুপম শাজাহান জয় ৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের (গামছা) প্রতীকের প্রার্থী ও দলটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট। এ আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৪ প্রার্থীর। তারা হলেন জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল) প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল করিম। তিনি পেয়েছেন ৪৬৯ ভোট, বিকল্পধারা বাংলাদেশ (কুলা) প্রতীকের প্রার্থী আবুল হাশেম। তিনি পেয়েছেন ২১৭ ভোট, তৃণমূল বিএনপি  (সোনালী আঁশ) প্রতীকের প্রার্থী পারুল। তিনি পেয়েছেন ৫৬৯ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব) প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা কামাল। তিনি পেয়েছেন ১০৯ ভোট। টাঙ্গাইলের আটটি আসনে ১২টি উপজেলার ১১টি পৌরসভা ও ১২০টি ইউনিয়ন এবং একটি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের ১ হাজার ৫৬টি কেন্দ্রের ৬ হাজার ৮১০টি ভোট কক্ষ রয়েছে। জেলার ৩১ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭২ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ১৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬০৩ আর নারী ১৫ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯ জন। এ ছাড়া ২০ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪২

সাতক্ষীরার ৩০ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ২৩ জন
সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী ৩০ প্রার্থীর মধ্যে ২৩ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির তিন প্রার্থীসহ দুজন সাবেক সংসদ সদস্যও রয়েছেন। যদিও তারা দুজন (সাবেক সংসদ সদস্য) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কয়েকদিন পর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) শান্তিপূর্ণভাবে জেলার ৪টি অসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আরও পড়ুন : শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানালেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা জোটের ভোট বর্জনের মুখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে ১০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের ২২ জন এবং আটজন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ৩০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রার্থীদের মধ্যে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজে এবং অপর একজনকে দলের পক্ষ থেকে প্রেসবিজ্ঞপ্তি দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ৩০ প্রার্থীর মধ্যে ২৩ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত হাতুড়ি প্রতীকের প্রার্থী মুস্তফা লুৎফুল্লাহ পেয়েছেন ৪৩১ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের প্রার্থী ইয়ারুল ইসলাম পেয়েছেন ৮৩৫ ভোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ছড়ি প্রতীকের প্রার্থী শেখ মো. আলমগীরের প্রাপ্ত ভোট ২৩৫টি। আরও পড়ুন : নিজের ২ প্রার্থী হেরে যাওয়ার পর মুখ খুললেন জাহাঙ্গীর    এ ছাড়া ৪৪২ ভোট পেয়েছেন তৃণমূল বিএনপির সোনালি আঁশ প্রতীকের প্রার্থী সুমি ইসলাম, স্বতন্ত্র দোলনা প্রতীকের এস এম মুজিবুর রহমান ওরফে সরদার মুজিব পেয়েছেন ১৫ হাজার ৭০৮ ভোট, স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মো. নুরুল ইসলামের প্রাপ্ত ভোট ২০৮টি, স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী শেখ নুরুল ইসলাম পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৪৮ ভোট এবং স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী শেখ মুজিবুর রহমান ৩৫৩ ভোট পেয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৯ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রার্থী জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গলের প্রার্থী সৈয়দ দিদার বখত পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮২১ ভোট। তবে এ আসনে প্রার্থীদের মধ্যে স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের শেখ মুজিবুর রহমান পত্রিকায় এবং মুস্তফা লুৎফুল্লাহর পক্ষে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। সাতক্ষীরা-২ আসনে ন্যাশনাল পিপিলস পার্টির (এনপিপি) আম প্রতীকের প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন প্রাপ্ত ভোট ৯৩৮টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) নোঙর প্রতীকের প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান বুলু পেয়েছেন ৭২৫ ভোট, তৃণমূল বিএনপির সোনালি আঁশ প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা ফারহান মেহেদীর ভোট সংখ্যা ৩০৩টি, স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের এনছান বাহার বুলবুল পেয়েছেন ৪৮০ ভোট এবং স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মো. আফসার আলী পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৯৪ ভোট। তবে প্রার্থীদের মধ্যে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এনছান বাহার বুলবুল লাঙ্গলের পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচার অভিযানে অংশ নেন। এ আসনে জাতীয় পাটি মনোনীত লাঙ্গলের প্রার্থী মো. আশরাফুজ্জামান ৮৮ হাজার ৩৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের মীর মোস্তাক আহমেদ রবি পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৪৭ ভোট। আরও পড়ুন : শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য জনগণকে বঙ্গবন্ধু পরিষদের অভিনন্দন   সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-দেবহাটা ও কালিগঞ্জের আংশিক) আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গলের প্রার্থী মো. আলিফ হোসেন প্রাপ্ত ভোট ১২ হাজার ৪৭৩টি, ন্যাশনাল পিপিলস পার্টি (এনপিপি) আম প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুল হামিদ পেয়েছেন ৪ হাজার ১৮৩ ভোট, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মো. মঞ্জুর হোসেনের প্রাপ্ত ভোট ১ হাজার ৮৫৫টি, তৃণমূল বিএনপির সোনালি আঁশ প্রতীকের রুবেল হোসেন পেয়েছেন ৮৪৭ ভোট এবং বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এমএল) চাকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ তরিকুল ইসলামের প্রাপ্ত ভোট ৭৭৮টি। এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ ফ ম রুহুল হক ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৭৩ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর-কালিগঞ্জের আংশিক) নির্বাচনী এলাকায় তৃণমূল বিএনপির সোনালি আঁশ প্রতীকের আসলাম আল মেহেদী প্রাপ্ত ভোট ৫০৯টি, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. মাহবুবর রহমান পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৩৯ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের মো. শফিকুল ইসলাম প্রাপ্ত ভোট ১ হাজার ৩২টি, ন্যাশনাল পিপিলস পার্টির (এনপিপি) আম প্রতীকের প্রার্থী শেখ ইকরামুলের প্রাপ্ত ভোট ৪৯৩টি এবং স্বতন্ত্র কাচি প্রতীকের মো. মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৫৮২ ভোট। এ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের এসএম আতাউল হক ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) নোঙ্গর প্রতীকের প্রার্থী এইচএম গোলাম রেজা পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৮৮ ভোট। সাতক্ষীরা জেলায় মোট ভোটার ১৭ লাখ ৪৬ হাজার ২২৪ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ লাখ ৬৯ হাজার ২২৮ জন ও পুরুষ ভোটার ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯৮৪ জন এবং ১২ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:১২

বাবার কাছে জামানত হারালেন ছেলে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বেসরকারি ফলাফলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী। আর এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি। অন্যদিকে তার ছেলে গাজী গোলাম মূর্তজাসহ ৭ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে আসনটির মোট ১২৮টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহজাহান ভুইয়া কেটলি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট। এ ছাড়া অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে আলোচিত তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার সোনালী আঁশ প্রতীকে ৩ হাজার ১৯০ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম লাঙ্গল প্রতীকে এক হাজার ৫৬৫ ভোট, ইসলামি ঐক্য ফ্রন্টের প্রার্থী এ কে এম শহীদুল ইসলাম চেয়ার প্রতীকে ৮২০ ভোট, জাকের পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ যোবায়ের আলম ভুঞা গোলাপ ফুল প্রতীকে ৬০৪ ভোট, ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী গোলাম মূর্তজা ৩৯১ ভোট, ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জয়নাল আবেদীন চৌধুরী ২৯৬ ভোট, আলমিরা মার্কা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হাবিবুর রহমান ১৬৫ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী, একটি নির্বাচনী এলাকায় যত ভোট পড়ে তার শতকরা সাড়ে ১২ শতাংশ কোনো প্রার্থী না পেলে তার জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হয়। সেই হিসেবে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের নির্বাচনে নৌকার বিজয়ী প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভুইয়া ছাড়া বাকি ৭ প্রার্থীর সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী গোলাম মূর্তজা নির্বাচনে জয়লাভ করা নৌকার প্রার্থীর ছেলে। তিনি ঈগল প্রতীক নিয়ে মাত্র ৩৯১ ভোট পেয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৬১৬ জন। নির্বাচনে ১২৮ কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ১২ হাজার ৬২৪ জন ভোটার। সে হিসাবে ভোট পড়েছে ৫৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। এর আগে, রোববার (৭ জানুয়ারি) সারাদেশের ২৯৯টি আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ২২৫টিতে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৪২

বিএনপির সমর্থনে জয়ী মোকাব্বির এবার জামানত খোয়ালেন
একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে বিএনপির সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে জয় পেয়েছিলেন গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খান। এবার উদীয়মান সূর্য প্রতীক নিয়ে একই আসনে নির্বাচন করে জামানত খুইয়েছেন আলোচিত এ প্রার্থী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানসহ জামানত হারিয়েছেন ৫ সংসদ সদস্য প্রার্থী।  নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট আসনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পেলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এ আসনে স্বতন্ত্রসহ বিভিন্ন দল থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৭ প্রার্থী। তার মধ্যে ৭৮ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি নৌকার প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথ পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান ট্রাক প্রতীক নিয়ে ১৬ হাজার ৬৬১ ভোট পান।  সিলেট-২ আসনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এ আসনের দুই উপজেলা ওসমানীনগর ও বিশ্বনাথে ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৭২৯ জন ভোটারের মধ্যে ১২৮টি কেন্দ্রে এক লাখ ৬ হাজার ৮৪৭ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে বতর্মান এমপি গণফোরামের মোকাব্বির খান উদীয়মান সূর্য প্রতীকে ১৯২২ ভোট, তৃণমূল বিএনপির আব্দুর মল্লিক সোনালী আঁশ প্রতীকে ৯৪৪ ভোট, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি ইয়াহইয়া চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীকে ৬৮৭৪ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. জহির ডাব প্রতীকে ১৮৫ ভোট ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) মো. মনোয়ার হোসাইন আম প্রতীকে নিয়ে ২৫৩ ভোট পান।  নির্বাচনী আইন অনুযায়ী সিলেট-২ আসনে প্রদত্ত এক লাখ ৬ হাজার ৮৪৭ ভোটের মধ্যে ৮ শতাংশ ১৩ হাজার ৩৫৫ ভোট না পাওয়ায় এই ৫ প্রার্থী তাদের জামানত হারান। 
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়