• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সাতক্ষীরার ৩০ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ২৩ জন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৪
সাতক্ষীরার ৩০ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ২৩ জন
ছবি : সংগৃহীত

সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী ৩০ প্রার্থীর মধ্যে ২৩ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির তিন প্রার্থীসহ দুজন সাবেক সংসদ সদস্যও রয়েছেন। যদিও তারা দুজন (সাবেক সংসদ সদস্য) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কয়েকদিন পর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

রোববার (৭ জানুয়ারি) শান্তিপূর্ণভাবে জেলার ৪টি অসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা জোটের ভোট বর্জনের মুখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে ১০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের ২২ জন এবং আটজন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ৩০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রার্থীদের মধ্যে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজে এবং অপর একজনকে দলের পক্ষ থেকে প্রেসবিজ্ঞপ্তি দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ৩০ প্রার্থীর মধ্যে ২৩ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত হাতুড়ি প্রতীকের প্রার্থী মুস্তফা লুৎফুল্লাহ পেয়েছেন ৪৩১ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের প্রার্থী ইয়ারুল ইসলাম পেয়েছেন ৮৩৫ ভোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ছড়ি প্রতীকের প্রার্থী শেখ মো. আলমগীরের প্রাপ্ত ভোট ২৩৫টি।

এ ছাড়া ৪৪২ ভোট পেয়েছেন তৃণমূল বিএনপির সোনালি আঁশ প্রতীকের প্রার্থী সুমি ইসলাম, স্বতন্ত্র দোলনা প্রতীকের এস এম মুজিবুর রহমান ওরফে সরদার মুজিব পেয়েছেন ১৫ হাজার ৭০৮ ভোট, স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মো. নুরুল ইসলামের প্রাপ্ত ভোট ২০৮টি, স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী শেখ নুরুল ইসলাম পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৪৮ ভোট এবং স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী শেখ মুজিবুর রহমান ৩৫৩ ভোট পেয়েছেন।

এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৯ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রার্থী জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গলের প্রার্থী সৈয়দ দিদার বখত পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮২১ ভোট।

তবে এ আসনে প্রার্থীদের মধ্যে স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের শেখ মুজিবুর রহমান পত্রিকায় এবং মুস্তফা লুৎফুল্লাহর পক্ষে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

সাতক্ষীরা-২ আসনে ন্যাশনাল পিপিলস পার্টির (এনপিপি) আম প্রতীকের প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন প্রাপ্ত ভোট ৯৩৮টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) নোঙর প্রতীকের প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান বুলু পেয়েছেন ৭২৫ ভোট, তৃণমূল বিএনপির সোনালি আঁশ প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা ফারহান মেহেদীর ভোট সংখ্যা ৩০৩টি, স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের এনছান বাহার বুলবুল পেয়েছেন ৪৮০ ভোট এবং স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মো. আফসার আলী পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৯৪ ভোট। তবে প্রার্থীদের মধ্যে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এনছান বাহার বুলবুল লাঙ্গলের পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচার অভিযানে অংশ নেন।

এ আসনে জাতীয় পাটি মনোনীত লাঙ্গলের প্রার্থী মো. আশরাফুজ্জামান ৮৮ হাজার ৩৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের মীর মোস্তাক আহমেদ রবি পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৪৭ ভোট।

সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-দেবহাটা ও কালিগঞ্জের আংশিক) আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গলের প্রার্থী মো. আলিফ হোসেন প্রাপ্ত ভোট ১২ হাজার ৪৭৩টি, ন্যাশনাল পিপিলস পার্টি (এনপিপি) আম প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুল হামিদ পেয়েছেন ৪ হাজার ১৮৩ ভোট, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মো. মঞ্জুর হোসেনের প্রাপ্ত ভোট ১ হাজার ৮৫৫টি, তৃণমূল বিএনপির সোনালি আঁশ প্রতীকের রুবেল হোসেন পেয়েছেন ৮৪৭ ভোট এবং বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এমএল) চাকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ তরিকুল ইসলামের প্রাপ্ত ভোট ৭৭৮টি।

এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ ফ ম রুহুল হক ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৭৩ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন।

সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর-কালিগঞ্জের আংশিক) নির্বাচনী এলাকায় তৃণমূল বিএনপির সোনালি আঁশ প্রতীকের আসলাম আল মেহেদী প্রাপ্ত ভোট ৫০৯টি, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. মাহবুবর রহমান পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৩৯ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের মো. শফিকুল ইসলাম প্রাপ্ত ভোট ১ হাজার ৩২টি, ন্যাশনাল পিপিলস পার্টির (এনপিপি) আম প্রতীকের প্রার্থী শেখ ইকরামুলের প্রাপ্ত ভোট ৪৯৩টি এবং স্বতন্ত্র কাচি প্রতীকের মো. মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৫৮২ ভোট।

এ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের এসএম আতাউল হক ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) নোঙ্গর প্রতীকের প্রার্থী এইচএম গোলাম রেজা পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৮৮ ভোট।

সাতক্ষীরা জেলায় মোট ভোটার ১৭ লাখ ৪৬ হাজার ২২৪ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ লাখ ৬৯ হাজার ২২৮ জন ও পুরুষ ভোটার ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯৮৪ জন এবং ১২ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আম ক্যালেন্ডার প্রকাশ, কখন পাবেন কোন আম
বাগেরহাটে ৩ উপজেলায় ৩০ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল
ময়লার স্তূপে মিলল মানুষের কঙ্কাল, এলাকায় তোলপাড়
সাতক্ষীরায় সড়কে ঝরল পিতা-পুত্রের প্রাণ
X
Fresh