• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শেরপুরে ১৬ প্রার্থীর ১১ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত

শেরপুর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৯
শেরপুরে ১৬ প্রার্থীর ১১ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত
ছবি : সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর জেলাতে তিনটি আসনে অংশ নেন ১৬ জন প্রার্থী। নির্বাচনী এলাকায় প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের একভাগেরও কম পাওয়ায় তাদের মধ্যে ১১ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

শেরপুরে স্ব-স্ব আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের থেকে প্রাপ্ত বেসরকারি ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা যায়।

শেরপুর-১ (সদর) আসন

এ আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিউর রহমান আতিক পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৩৭ ভোট।

প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল হক মনি লাঙ্গল প্রতীকে ২ হাজার ২০৭ ভোট, কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের প্রার্থী বারেক বৈদেশী গামছা প্রতীকে ২০৫ ভোট, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ফারুক হোসেন সোনালী আঁশ প্রতীকে ১৯২ ভোট, বিএনএম প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল্লাহ নোঙর প্রতীকে ১৭২ ভোট ও বিএসপি প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ একতারা প্রতীকে ৭৪ ভোট পেয়েছেন।

অর্থাৎ এ আসনে বিজয়ী ও নিকটতম প্রার্থী ব্যতীত অপর চারজন প্রার্থীই প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের একভাগেরও কম পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসন

মোট ভোটার ৪ লাখ ১১ হাজার ৬৯৫ জন। এর মধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ২২৬ জন। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ১৪২ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী অপর দুইজনের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ সাঈদ ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৪২ ভোট। আর জাসদ প্রার্থী লাল মোহাম্মদ শাজাহান মশাল প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৬ ভোট। এতে তাদেরও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসন

মোট ভোটার ৩ লাখ ৮২ হাজার ৪০০ জন। এর মধ্যে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৫৪ হাজার ৩৭৩। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এডিএম শহীদুল ইসলাম পেয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭২৮ ভোট।

অপর প্রতিদ্বন্দ্বী চার প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল আহসান ঈগল প্রতীকে ২ হাজার ৫৮০ ভোট, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান রাজা কেটলি প্রতীকে ৬৯৮ ভোট, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. সিরাজুল হক লাঙ্গল প্রতীকে ৪৩৯ ভোট ও কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের প্রার্থী মো. সুন্দর আলী গামছা প্রতীকে পেয়েছেন ১৭১ ভোট।

তাদের মধ্যে বিজয়ী ও নিকটতম প্রার্থী ব্যতীত অপর চারজনেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) ১৯৭২ এর ৪১ এর ১ ধারা মোতাবেক নির্বাচনে প্রদত্ত সর্বমোট ভোটের ৮ ভাগের একভাগের কম ভোট যারা পেয়েছেন তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
বাইসাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে ব্র্যাককর্মীর মৃত্যু
উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে সই লাগবে না ভোটারের, বাড়ল জামানত
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
X
Fresh