• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঘুমন্ত শ্বশুরকে জবাই করল জামাই
গোপালগঞ্জে ঘুমন্ত অবস্থায় মেয়ের জামাইয়ের হাতে খুন হয়েছেন বাদশা গাজী (৬৫) নামে এক ব্যক্তি। জবাই করে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে তার।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের চর ধলইতলা গ্রামে ঘটে এ ঘটনা। ঘাতক মুরাদ আলীকে (৪০) ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিচুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।  স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে বাদশা গাজীর মেয়ে তানিয়া বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয় নড়াইলের মুরাদ আলীর। দীর্ঘদিন সৌদি আরব চাকরি শেষে বছর খানেক আগে দেশে ফিরে আসেন মুরাদ। তারপর থেকে স্ত্রী-সন্তানসহ শ্বশুর বাড়িতেই বসবাস করে আসছিলেন তিনি। সম্প্রতি  তাকে জাদুটোনা করা হয়েছে বলে শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে দোষারোপ করে আসছিলেন মুরাদ। স্ত্রী তানিয়ার দাবি, তার আচরণও অস্বাভাবিক ছিল কয়েকদিন ধরে।  এরই মধ্যে গত বৃহষ্পতিবার (৪ এপ্রিল) মুরাদ তার দুই সন্তানকে নিয়ে নিজ গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যান। শুক্রবার দুপুরে সেখান থেকে ফিরে এসে শ্বশুরের সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করেন। পরে বিকেলে বাদশা গাজী নিজের ঘরে ঘুমিয়ে পড়লে বটি দিয়ে জবাই করে তার দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন মুরাদ। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এলাকার অনেক মানুষ এবং মুরাদকে বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দেন তারা। পরে পুলিশ এসে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় তাকে।  এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি মো. আনিচুর রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।   
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৬

সিএনজি চালককে জবাই করে হত্যার দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লায় সিএনজি চালক নাজমুল হাসানকে (১৪) হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কোরপাই গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে মো. সুমন মিয়া (২৬) ও মৃত আলম মিয়ার ছেলে মো. শিহাব মিয়া (২০) এবং একই উপজেলার নয় কামতা গ্রামের মৃত আমীর হোসেনের ছেলে মো. সোহেল মিয়া (২৮)। এ ছাড়াও ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন একই উপজেলার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আবুল বাশার (৩৮)। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৭ অক্টোবর বিকেলে ভিকটিম মো. নাজমুল হাসান সিএনজি চালানোর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে না আসায় অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার পরিবার। পরে পুলিশ বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলার মধ্যমতলা গ্রামের বাসিন্দা মো. আবদুর রব (৪৮) বাদী হয়ে মো. সুমন মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি সুমন মিয়া ও আবুল বাশারকে গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেপ্তার দুজন আদালতে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। রায় ঘোষণাকালে আসামি মো. সুমন মিয়া, মো. সোহেল মিয়া ও আবুল বাশার আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন এবং অপর আসামি মো. শিহাব মিয়া পলাতক ছিলেন। এ দিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন বলেন, আমরা আশা করছি মহামান্য হাইকোর্ট এ রায় বহাল রেখে দ্রুত দণ্ড কার্যকর করবেন। অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, রায়ের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৭

মেয়েকে জবাই করে বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মেয়েকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার হরিণহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, খুন হওয়া মেয়েটি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার শিবপুর কানিপাড়া গ্রামের বুলু মন্ডলের মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার বৃষ্টি (১৪)।  পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুলু মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরে গাইবান্ধা জেলা থেকে স্ত্রী সন্তান নিয়ে তার শশুর (চাঁন মিয়ার) বাড়ি কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটিতে বসবাস করছেন। বিয়ের পর থেকেই বুলু মণ্ডলের তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া লেগেই থাকতো। বুধবার বিকেলেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার বাবাকে ঝগড়া করতে নিষেধ করলে একপর্যায়ে মেয়ে ইয়াসমিন আক্তারের ওপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। নিজের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে মেয়ে বৃষ্টির গলায় কোপ দেন বুলু মণ্ডল। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওই মরদেহটি উদ্ধার করেছে। মেয়েকে জবাইয়ের পর বুলু মণ্ডল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে নিজে নিজের শরীরে আঘাত করলে মাটিতে লুটে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিন হাসপাতালে নিয়ে যান।  কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান পিপিএম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৮

মাংসের দোকানে কুকুর জবাই
বরিশাল নগরীতে রাস্তা থেকে কুকুর ধরে এনে মাংসের দোকানের পেছনে জবাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে নগরী জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরিশাল শহরের বটতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। অ্যানিমেল কেয়ার টিম নামে একটি সংগঠন জানায়, রায়হান নামের এক যুবক একটি বেওয়ারিশ কুকুর ধরে এনে মাংসের দোকানের পেছনে জবাই করে। বিষয়টি জানাতে পারলে মুহূর্তেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তারা। এসে দেখেন কুকুরটি জবাই করা হয়ে গেছে। অভিযুক্ত রায়হান নগরীর বটতলা এলাকার। সে ওই বাজারে মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করে। সংগঠনটির কর্মীরা বলে দাবি করেন, গরু ও খাসির মাংসের সাথে মিলিয়ে কুকুরের মাংস বিক্রির জন্যই কুকুরটি জবাই করেছে সে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকাবাসী জানান, কুকুরের চামড়া ছাড়ানোর পর বোঝার উপায় নেই এটি কুকুর নাকি ছাগল। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি বাড়ানোর দাবি তুলেছেন তারা।  জানা গেছে, বটতলা বাজারে ১১টি মাংস বিক্রির দোকান আছে। সিটি করপোরেশনের তালিকাভুক্ত শহরের মধ্যে বাজার আছে ১৭টি। অর্ধশত মাংসের দোকান রয়েছে এসব বাজারে। এর একটিতে কাজ করে রায়হান। বটতলা বাজারের মাংস ব্যবসায়ী শামসুল আলম বলেন, তারা রায়হানকে চেনেন না। কুকুর জবাইয়ের কারণটিও তাদের জানা নেই। বিষয়টি তদন্ত করে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ের সঙ্গে কোনো ব্যবসায়ী জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হোক। জড়িত রায়হানের শাস্তি দাবি করছি। বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিচুল হক বলেন, খবর পেয়ে অভিযুক্ত রায়হানের বাড়িতে আমরা অভিযান চালায়। তবে তাকে পাইনি। সে বটতলা বাজারের একটি মাংসের দোকানের কর্মচারী। সে ওই এলাকার দিলবাগ গলির বাসিন্দা মিন্টু মোল্লার ছেলে। এ ঘটনার তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়