• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বেনজীর ও তার পরিবারের নগদ অর্থের তথ্য চেয়েছে দুদক
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নগদ অর্থের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। পাশাপাশি এফডিআর, সঞ্চয়পত্রসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য জানতে চেয়ে জয়েন্ট স্টক, সাব রেজিস্ট্রি অফিসসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।   আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দুদককে এসব তথ্য সরবরাহ করতে বলা হয়। এ ছাড়া দুদকের অনুসন্ধান দল অভিযোগের বিষয়ে জানতে বেনজীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানিয়েছেন দুদকের কমিশনার জহুরুল হক। এর আগে, গত ২২ এপ্রিল পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরদিন ২৩ এপ্রিল এ-সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানির পর হাইকোর্ট আগামী দুই মাসের মধ্যে ওই কমিটির কার্যক্রমের অগ্রগতি প্রতিবেদন চেয়েছেন। এদিকে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকে আবেদন দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রোববার (২১ এপ্রিল) দুদককে দেওয়া ওই আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন যা তার আয়ের তুলনায় অসম। এতে বলা হয়, গত ৩১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী, বড় মেয়ে ও ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।
১৭ ঘণ্টা আগে

উপজেলা নির্বাচন / ঋণ খেলাপি প্রার্থী শনাক্তে তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী  প্রার্থীদের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রার্থীদের মধ্য থেকে ঋণ খেলাপিদের শনাক্ত করতেই সব রিটার্নিং কর্মকতার কাছে এ তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর অতিরিক্ত পরিচালক মো. আনিচুর রহমান। এর আগে, ঋণ খেলাপিদের তথ্য দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছিল নির্বাচন কমিশন। চিঠির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী প্রার্থীদের ঋণ খেলাপ সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের লক্ষ্যে সব প্রার্থীর পূর্ণনাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, স্বামীর নাম (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) বাংলা ও ইংরেজিতে, জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর, করদাতা শনাক্তকরণ সংখ্যা (টিআইএন), জন্ম তারিখ, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা সম্বলিত তথ্য সংযুক্ত ছক অনুযায়ী যথাযথভাবে পূরণ করে রিটার্নিং অফিসার অথবা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নামসহ সিল, স্বাক্ষর ও ফোন (মোবাইল) নম্বর যুক্ত করে ই-মেইল এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে প্রেরণ করতে হবে। প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। এই ধাপের নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য মনোনয়ন দাখিলের সময় শেষ হয়েছে আজ বিকেল ৪টায়। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ১৫০টি উপজেলায় মনোনয়ন দাখিল করেছেন ১ হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তপসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাই আগামী ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত, যা নিষ্পত্তি হবে ২১ এপ্রিলে। এছাড়া প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৩ এপ্রিল। প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৫

মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের তিন মাসের তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তিন মাসের মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব তথ্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইংয়ে পাঠানোর জন্য সোমবার (২৫ মার্চ) সব আঞ্চলিক উপ-পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চাওয়া এপিএ’র অন্যতম সূচক হলো— মাঠ পর্যায় থেকে পাওয়া এমএমসি ক্লাস, যা প্রতিবেদন আকারে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মাঠ পর্যায়ের শ্রেণি শিক্ষকরা এমএমসি অ্যাপের মাধ্যমে আপলোড করা ক্লাসের ভিত্তিতে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণি কার্যক্রমের মনিটরিং প্রতিবেদন নিয়মিত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করে থাকেন। কিন্তু এমএমসি অ্যাপে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের কোনও শ্রেণি শিক্ষক তাদের এমএমসি ক্লাসগুলো আপলোড দিতে পারছেন না।  এ অবস্থায় আঞ্চলিক উপ-পরিচালকরা (মাধ্যমিক) যেন তাদের নিজ নিজ অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জানুয়ারি থেকে মার্চ— এই তিন মাসের গৃহীত এমএমসি ক্লাসের তথ্য সংগ্রহ করে তা সার-সংক্ষেপ আকারে সংযুক্ত নির্ধারিত ছক মোতাবেক আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের ই-মেইলে ([email protected]) পাঠান সেজন্য অনুরোধ করা হয়েছে নির্দেশনায়।  নির্দেশনা অনুযায়ী, আঞ্চলিক উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) ব্যতীত মাঠ পর্যায়ের অন্য কোনও শিক্ষা কর্মকর্তা বা কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইংয়ে ই-মেইলে আলাদাভাবে এ সংক্রান্ত কোনও তথ্য পাঠানোর প্রয়োজন নেই।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২১:০৭

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে এআইআইবি’র কাছে তিন বিলিয়ন ডলার চেয়েছে বাংলাদেশ
বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ ও এডিবির বিকল্প হিসেবে গড়ে উঠছে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি)। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে সংস্থাটি। এই প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিশাল উন্নয়নযজ্ঞ বাস্তবায়নে এআইআইবিকে বড় অংশীদার হিসেবে পাওয়ার প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে আরও তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে সংস্থাটির কাছে।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সংস্থাটির ভাইস চেয়ারম্যান রজত মিশ্রের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বৈঠকে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার বেসরকারিকরণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন। এ ছাড়া একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।  বৈঠককালে এআইআইবির ভাইস চেয়ারম্যানকে স্বাগত জানিয়ে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংককে বাংলাদেশে আরও বড় আকারে দেখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী। নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ৬০২ কিলোওয়াট ঘণ্টা হলেও আমরা দ্রুত ১৫০০ কিলোওয়াট ঘণ্টা করতে চাই। বিশাল কর্মযজ্ঞ। গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প, ভূগর্ভস্থ সঞ্চালন লাইন, বিতরণ লাইনে আধুনিকায়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, গ্যাস মিটার, স্টোরেজ সিস্টেম, বায়ু ফুয়েল ইত্যাদি খাত ও উপখাতে বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ রয়েছে। এই অগ্রযাত্রায় এআইআইবিকে আমাদের অংশীদার হিসেবে পেতে চাই। এ সময় এআইআইবির ভাইস চেয়ারম্যানও তাকে বলেন, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের অন্যতম অংশীদার বাংলাদেশ। জ্বালানি মহাপরিকল্পনা ও রূপপুর সঞ্চালন ব্যবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, এআইআইবি বাংলাদেশে বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে। এআইআইবির অর্থায়নে ৯৫ কোটি ৬৪ লাখ কোটি ডলারের চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। আরও ৬টি প্রকল্পের জন্য ৩০৬ কোটি ডলারের প্রস্তাব দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এদিনের বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এআইআইবির জ্বালানি বিশেষজ্ঞ হ্যারিভাসকার রাঙারাজন ও জ্যেষ্ঠ পরিবহণ বিশেষজ্ঞ ফরহাদ আহমেদ। এ ছাড়া জ্বালানি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবীর ও বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তানিয়া খান বৈঠকে অংশ নেন। 
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪২

শ্রম আইন সংশোধনীর অগ্রগতি জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের শ্রম আইন সংশোধনীর অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার (২১ জানুয়ারি) দেশটির একজন ফার্স্ট সেক্রেটারি ও লেবার অ্যাটাশের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।  আইনমন্ত্রী বলেন, শ্রমিক অধিকার নিয়ে তারা নিজেদের বক্তব্য দিয়েছেন। আপনারা হয়তো খেয়াল রাখবেন, গত বছর থেকেই এই আলোচনা হচ্ছে। আইনটিতে কী অগ্রগতি হয়েছে, আরও অগ্রগতি সম্ভব কি না; বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করি আমরা। আরও পড়ুন : মায়ের বিরুদ্ধে যমজ সন্তানকে ‘চুবিয়ে’ মারার অভিযোগ   আনিসুল হক জানান, মার্কিন কর্মকর্তারা তাদের থ্রেসহোল্ড সম্পর্কে এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। বিশেষ করে তারা আমাকে বলেছেন যে এই ব্যাপারে (শ্রম আইন) যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে অংশীদার হিসেবে কাজ করতে চায়। আর যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে তারা খুবই সচেতন এবং এটা তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু। তখন আমি তাদের বলেছি, এটা বাংলাদেশ সরকার ও আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এরপর তিনি বলেন, এটা এতোই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, এবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিজের হাতে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমি এটাও বলেছি যে, আগামী বুধবার শ্রম মন্ত্রণালয়ের একটি টিমের সঙ্গে আলোচনায় বসবো।’ আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী মার্চে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডি বৈঠকে বসবে আমাদের অগ্রগতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়ার জন্য। এ ছাড়া তাদের দুয়েকটা জানার বিষয় আছে, সেই বৈঠকের পরে আমরা জানাব। আজ এ পর্যন্তই আলোচনা হয়েছে। আজকের বৈঠকে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে কোনো কথা হয়নি বলেও জানান আইনমন্ত্রী। তবে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বিষয়গুলো কী ছিল, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘থ্রেসহোল্ড নিয়ে তাদের বক্তব্য ছিল। এটা সবসময়ই ছিল। আমি বলেছি, থ্রেসহোল্ড আমরা ১৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। তারা এটাও বলেছেন, তিন হাজার বা তিন হাজারের বেশি শ্রমিক আছে, এমন কারখানা অনেক কম। এটা আগেও আমি শুনেছি। সেই বিষয়ে যখন প্রশ্ন এসেছে, স্টেকহোল্ডারদের (অংশীজন) সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।’ আরও পড়ুন : নতুন সরকারের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক জোরদার হবে : চীনা রাষ্ট্রদূত   তারা কত শতাংশ চাচ্ছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারণত এটা ১০ শতাংশ। আমি পরিষ্কার করে দিয়েছি, আমাদের এমপ্লয়ার্স এবং ওয়ার্কাস ফেডারেশনগুলো সবসময় বলে আসছে, আস্তে আস্তে কমানোটাই তাদের জন্য ভালো হবে। বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকারের পরিবেশ অনুসারে এটা কমানো হবে। সেটিই আমাদের সিদ্ধান্ত। যে কারণে আমরা আস্তে আস্তে কমানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছি। উল্লেখ্য, একাদশ সংসদের শেষ অধিবেশনে তড়িঘড়ি করে শ্রম আইনের সংশোধনী বিলটি পাস করা হয়। গত ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল জাতীয় সংসদে তোলা হয়। বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তিনদিন সময় দিয়ে তা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। গত ২ নভেম্বর বিলটি সংসদে পাস হয়। বিলে সম্মতির জন্য গত ৮ নভেম্বর তা রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা হয়। বিলটিতে সই না করে গত ২০ নভেম্বর তা সংসদে ফেরত পাঠান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ২২ নভেম্বর সংসদ সচিবালয় এ সংক্রান্ত বার্তাসহ একটি বুলেটিন প্রকাশ করে। তাতে রাষ্ট্রপতির বার্তা তুলে ধরা হয়। ওই বার্তায় বলা হয়, ‘এই বিলের দফা-৪৫ বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে বলে প্রতীয়মান হয়। কাজেই উক্ত দফা পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৮০(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিলটি পুনর্বিবেচনার জন্য সংসদে ফেরত পাঠানো হলো।’
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৪

ডিএমপির কাছে যা জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকদল
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) পর্যবেক্ষকদল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।  বুধবার (৩ জানুয়ারি) ডিএমপি সদর দপ্তরে আইআরআইয়ের সাত সদস্যের প্রতিনিধিদলটি ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। আরও পড়ুন : সুন্দরবন থেকে শিকার করা হরিণসহ ৬ বস্তা ফাঁদ উদ্ধার   এ সময় আইআরআই প্রতিনিধিদল ডিএমপি কমিশনারের কাছে জানতে চায়, পুলিশের পক্ষ থেকে নির্বাচনে কী ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? ভোটাররা কোনো ভয় পাচ্ছেন কি না, এ ছাড়া নির্বাচন উপলক্ষে কোনো শঙ্কা আছে কি না? প্রতিনিধিদলের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের পুলিশ সদস্যরা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় কাজ করছেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট প্রদানের জন্য পুলিশ এ পরিবেশ তৈরি করেছে। আরও পড়ুন : চাঁদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত ৫   তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও মোতায়েন থাকবে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ভোট দেবেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের মধ্যে ছিলেন আইআরআইয়ের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক নাতাশা রথচাইল্ড, ক্রিস্পিন কাহেরু, মারিয়াম তাবাতাদজে, নেনাদ মারিনোভিক, ইভো পেন্টচেভ, কাজী শহীদুল ইসলাম এবং নুরানী রুপমা। উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিল ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তির সময় ছিল ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দের সময় ছিল ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে। চলবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৮

ইসির কাছ দুই কোটি টাকা চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আতিথিয়েতায় জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে দুই কোটি ১১ লাখ টাকা চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার (১ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইসি সূত্র জানায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসির আমন্ত্রণে যেসব পর্যবেক্ষক আসবেন তাদের ব্যয় বহনের জন্য মোট দুই কোটি ১১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাচন সহায়তা সেলের পরিচালক সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে এমন চিঠি দিয়েছেন। এই অর্থ পর্যবেক্ষকদের হোটেল ব্যয়, বিভিন্ন কেন্দ্রে যাতায়াত এবং আপ্যায়ন, বিমানবন্দরের অভ্যর্থনা, স্বেচ্ছাসেবক ও নিরাপত্তায় ব্যয় হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে পর্যবেক্ষকদের এ বাজেট প্রাক্কলনে সুপারিশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদিকে বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অভ্যর্থনা জানাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি অভ্যর্থনা লাউঞ্জ স্থাপন করা হয়েছে। তাদের সহায়তা করার জন্য তথ্য প্যাকেজ এবং হোস্ট কর্মকর্তারা প্রস্তুত থাকবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে দুই শতাধিক পর্যবেক্ষক আসবেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়