• ঢাকা শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কোয়ান্টাম ফিজিক্সে অভূতপূর্ব সাফল্য পেলেন বাংলাদেশি গবেষক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দীর্ঘ ১৫ বছর গবেষণার পর কোয়ান্টাম ফিজিক্সের কঠিন এক সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়েছেন। আর এই গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন একজন বাংলাদেশি গবেষক। তার নাম এম জাহিদ হাসান। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নেচার ফিজিক্স জার্নালে প্রকাশিত সংখ্যায় এই তথ্য জানানো হয়।  এম জাহিদ হাসান ইতিমধ্যেই কোয়ান্টাম ফিজিক্স গবেষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছেন। তিনি প্রিন্সটনের ল্যাবরেটরি ফর টপোলজিক্যাল কোয়ান্টাম ম্যাটার অ্যান্ড অ্যাডভান্সড স্পেক্ট্রোস্কোপির নেতৃত্ব দেন। এ ছাড়া জাহিদ হাসান ক্যালিফোর্নিয়ার লরেন্স বার্ক্লে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির একজন ভিজিটিং ফ্যাকাল্টি সায়েন্টিস্ট এবং কোয়ান্টাম ফেনোমেনা ইন টপোলজিক্যাল ম্যাটেরিয়ালস ক্ষেত্রে তার গবেষণার জন্য বেটি অ্যান্ড গর্ডন মুর ফাউন্ডেশন থেকে ইপিআইকিউএস-মুর ইনভেস্টিগেটর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বিসমাথ ব্রোমাইড নামের মাত্র কয়েক ন্যানোমিটার প্রশস্ত একটি বস্তু ব্যবহার করেন এবং কোয়ান্টাম কোহেরেন্স নামের একটি ঘটনা পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হন আগের তুলনায় বেশি তাপমাত্রায়।  কোয়ান্টাম কোহেরেন্স হলো- কোয়ান্টাম মেকানিক্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অন্যান্য ধারণাগুলো হলো- সুপারপজিশন ও এনট্যাংগলমেন্ট। এগুলো বুঝতে হলে কোয়ান্টাম কোহেরেন্স জরুরি। কিন্তু কোয়ান্টার কোহেরেন্স পর্যবেক্ষণ করতে খুবই কম তাপমাত্রা (প্রায় পরম শূন্য) প্রয়োজন হতো। কিন্তু প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির এই গবেষণায় সাফল্য প্রমাণ করে যে, এর চেয়ে বেশি তাপমাত্রাতেও কোয়ান্টার কোহেরেন্স পর্যবেক্ষণ সম্ভব।  বিসমাথ ব্রোমাইড ছিল এই গবেষণার তুরুপের তাস। বেশি দূরত্বে ও বেশি তাপমাত্রায় কোয়ান্টাম কোহেরেন্স ধরে রাখতে তা সক্ষম। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা অতীতের এক পরীক্ষায় বিসমাথ ব্রোমাইড তৈরি করেছিলেন। কিন্তু এই প্রথম করা হলো কোয়ান্টাম কোহেরেন্স পর্যবেক্ষণে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা।  গবেষণাটির সাফল্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা তা ভবিষ্যতে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এমন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তৈরিতে কাজে আসতে পারে। এ ছাড়া কোয়ান্টাম ফিজিক্স গবেষণা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যও এর গুরুত্ব অপরিসীম। এক সময়ে সাধারণ ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোর বদলে ইলেকট্রনের কোয়ান্টাম বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে এমন ডিভাইস সর্বজনীনভাবে ব্যবহার হবে, ফলে বিশাল পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ কমে আসবে বলে আশা গবেষকদের।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৮

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫ গুণিশিল্পী, গবেষক ও সংগঠনকে সম্মাননা 
চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিল্প ও সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদান রাখায় ৫ গুণিশিল্পী, গবেষক ও সংগঠনকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সম্মাননা প্রদান করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খান।  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আহমেদ মাহবুবুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা কালচালার অফিসার ফারুকুর রহমান ফয়সাল। সম্মাননা পাওয়া চার গুণিজন হলেন কন্ঠ সংগীতে দিলীপ সরকার, লোক সংস্কৃতিতে রেজাউল করিম কালু, চারুকলায় দেখন বালা, গবেষণায় ইমদাদুল হক মামুন এবং সংগঠন হিসেবে সম্মাননা পেয়েছে উঠান। জেলা শিল্পকলা একাডেমি এই সম্মাননা প্রদান করে। সম্মাননা প্রাপ্তদের উত্তরীয়, মেডেল, সনদ পত্রসহ আর্থিক চেক প্রদান করা হয়।  
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫২

মানবদেহে ক্যানসার নির্মূলকারী কোষের সন্ধান
অ্যালার্জি এবং অন্যান্য রোগপ্রতিরোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মানবদেহে এমন একটি ইমিউন কোষের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। এই কোষটি ক্যানসার নির্মূল এবং সার্স-কোভ-২-এর মতো ভাইরাসের সঙ্গেও লড়াই করতে সক্ষম।  ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই তথ্য পেয়েছেন মার্কিন গবেষকরা। বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ‘সেলে’ এই গবেষণার তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। হিউম্যান টাইপ-২ ইনন্যাট লাইমফোইড সেলস (আইএলসি২এস) নামের এই ইমিউন কোষটি মানবদেহের বাইরেও প্রসারিত করা যায় এবং এটি টিউমারের টিকে থাকার সক্ষমতাকে পরাজিত এবং ক্যানসার কোষকে নির্মূল করতে পারে। ‘কোষ পরিবারে আমরা আইএলসি-২ কোষকে নতুন সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করেছি, যেটি যেকোনো ধরনের ক্যানসারকে সরাসরি নির্মূলে সক্ষম; যার মধ্যে রক্তের ক্যানসার এবং সোলিড টিউমারও রয়েছে’ এমন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সিটি অব হোপের হেমাটোলোজি অ্যান্ড হেমাটোপোয়েটিক সেল ট্রান্সপ্ল্যানটেশন বিভাগের প্রফেসর জিয়ানহুয়া ইউ। জিয়ানহুয়া ইউ আরও বলেছেন, ভবিষ্যতে এই কোষ উৎপাদন, ফ্রিজিংয়ের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা এবং রোগীদের দেহে প্রয়োগ করা যাবে। টি-কোষ ভুক্ত থেরাপি যেমন সিএআর টি কোষ, যেটির বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে রোগীর নিজস্ব কোষের প্রয়োজন হয়, আইএলসি২এস কোষের ক্ষেত্রে এমনটি প্রয়োজন হবে না। এই কোষ শারীরিকভাবে সুস্থ কোনো দাতার কাছ থেকে সংগ্রহ করা যাবে।  মানবদেহের আইএলসি২এস কোষ পরীক্ষার জন্য প্রফেসর ইউ এবং তার দল প্রথমে একটি রক্তের নমুনা থেকে এই কোষকে আলাদা করেছেন। তারা অভিনব একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছেন। যেটি মানবদেহ থেকে সংগ্রহ করা আইএলসি২এস কোষকে ২০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে। এরপর তারা বাহ্যিকভাবে প্রসারিত করা এই কোষ সোলিড টিউমারে আক্রান্ত ইঁদুরের দেহে প্রবেশ করিয়েছেন। যারমধ্যে রয়েছে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার, ফুসফুসের ক্যানসার ও গ্লিওব্লাস্টোমা। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে, এই প্রসারিত কোষ এসব টিউমারকে নির্মূল করতে পারে। তবে প্রফেসর ইউ জানিয়েছেন, আইএলসি২এস কোষটি ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর নিজস্ব কোষ থেকে নিতে হবে না। অর্থাৎ ক্যানসার রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য এই কোষ অন্য সুস্থ ব্যক্তির কাছ থেকে সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করে রাখা যাবে। সূত্র: আইএএনএস
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৪

বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় বাকৃবির ৩৯২ জন গবেষক
আন্তর্জাতিক গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাঙ্কিং প্রকাশক সংস্থা 'অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স' সম্প্রতি বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ৩৯২ জন গবেষক জায়গা করে নিয়েছেন। জানা যায়, প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র‍্যাঙ্কিং-২০২৪-এ বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় বাংলাদেশের ২০৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার ৩৩ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন। এর মধ্যে বাকৃবির বিভিন্ন বিভাগের ৩৯২ জন গবেষক এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। এতে বিশ্বের ২১৯টি দেশের ২২ হাজার ৭৬৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৪ লাখ ৪৩ হাজার ৯৩ জন বিজ্ঞানী ও গবেষক স্থান পেয়েছে। র‍্যাঙ্কিং তালিকায় এ বছর দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বাকৃবির অবস্থান চতুর্থ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‍্যাঙ্কিং হিসেবে আঞ্চলিক (এশিয়া) পর্যায়ে বাকৃবির অবস্থান ৮শ ৪৯তম ও বিশ্বে ২ হাজার ৪৪৩তম। এ বছরের তালিকায়ও বাকৃবি গবেষকদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম রফিকুল ইসলাম। তিনি এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফরেস্ট্রি বিষয়ে গবেষণা করে বর্তমানে বাকৃবির সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কে স্থান পেয়েছেন। এ ছাড়া প্রকাশিত র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে বাকৃবির অবস্থান পঞ্চম। বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাঙ্কিংয়ে সেরা ১০ জনের অন্য গবেষকরা হলেন, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম জহিরুদ্দিন, জেনেটিক্স ও প্লান্ট ব্রিডিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অ্যানিম্যাল ব্রিডিং অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের লেকচারার মো. রফিকুল ইসলাম, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান, এনাটমি অ্যান্ড হিস্টোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, অ্যাগ্রোনমি বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুর রহমান সরকার, মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তানভীর রহমান, ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তফা আলী রেজা হোসাইন ও বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হান্নান। এ বিষয়ে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণামুখী। এখানকার গবেষকবৃন্দ বিশ্বসেরায় জায়গা করে নেবে, এটি খুব স্বাভাবিক বিষয়। তাদের গবেষণার সুফল আজকে জাতি ভোগ করছে। এটি সবাই এখন স্বীকার করে। সামনে আরও গবেষণার মাধ্যমে দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় আমাদের গবেষকবৃন্দ ভূমিকা রাখবেন। তখন বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকাটি আরও বড় হবে বলে আমি মনে করি। উল্লেখ্য, প্রকাশিত এই তালিকায় বাংলাদেশের সেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সেরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র; বাংলাদেশ, সেরা কোম্পানি হিসেবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং সেরা হাসপাতাল হিসেবে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল স্থান করে নিয়েছে।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৭

বিশ্বসেরাদের তালিকায় রাবির ২৩৭ গবেষক
বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় এ বছর দেশের ২০৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার ৩৩ জন গবেষকের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভিন্ন বিভাগের ২৩৭ জন গবেষকের নাম এসেছে। আন্তর্জাতিক গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাঙ্কিং সংস্থা অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র‌্যাঙ্কিং-২০২৪’থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এ বছর এডি র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের ২১৯টি দেশের ২২ হাজার ৭৬৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান পেয়েছে মোট ১৪ লাখ ৪৩ হাজার ৯৩ জন বিজ্ঞানী ও গবেষক। র‌্যাঙ্কিং তালিকার ‘এইচ’ ইনডেক্সে দেশীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে গত বছরের তুলনায় এ বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানের উন্নতি হয়েছে। এ বছর বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান সপ্তম; যা গত বছর ছিল দশম, আঞ্চলিক (এশিয়া) পর্যায়ে এক হাজার ১৯৪তম; যা গত বছর ছিল এক হাজার ৩৪৮তম এবং বিশ্বে ৩ হাজার ৯১২তম; যা গত বছর ছিল ৪ হাজার ২৯৮তম। গত বছরের ন্যায় এ বছরের তালিকায়ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলি আকবার। প্রকৃতি বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা করে রাবির সকল গবেষকদের মধ্যে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কে স্থান পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির মধ্যে সেরা ১০ জনের অন্যান্য গবেষকরা হলেন, অধ্যাপক এম. ইয়ামিন হোসাইন (ফিশারিজ বিভাগ), অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিব (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ), অধ্যাপক আকমা ইসলাম (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ), অধ্যাপক এ.এইচ.এম. মাহবুবুর রহমান (উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ), অধ্যাপক ড. এম. আশিক মোসাদ্দিক (ফার্মেসি বিভাগ), অধ্যাপক আবু ড. মো. খালেদ হোসাইন (বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ), সহযোগী অধ্যাপক ইমতিয়াজ হাসান (বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ), সহযোগী অধ্যাপক ড. আহমাদ হুমায়ুন কবীর (উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ), অধ্যাপক মো. ইসমাইল তারেক (পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগ)। এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স সূত্রে জানা যায়, সারাবিশ্বে গবেষণাপত্রের কার্যকারিতা মূল্যায়নের মাধ্যমে ‘এইচ’ এবং ‘আই-১০’ সূচকে তারা এ তালিকা তৈরি করে।  এ পদ্ধতির উদ্ভাবক দুই গবেষকের (অধ্যাপক মুরত আলপার এবং চিহান ডজার) দাবি, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী-গবেষক-অধ্যাপকদের কাজ এবং তাদের শেষ ৬ বছরের কাজের তথ্য বিশ্লেষণের পর তা এইচ-ইনডেক্স, আইটেন-ইনডেক্স স্কোর এবং সাইটেশনের ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা প্রকাশিত হয়। এতে নিজ নিজ গবেষণার বিষয় অনুযায়ী গবেষকদের বিশ্ববিদ্যালয়, নিজ দেশ, মহাদেশীয় অঞ্চল ও বিশ্বে নিজেদের অবস্থান জানা যায়। এ ছাড়া সূচকটিতে গবেষকদের বিশ্লেষণ ও বিষয়গুলো নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে গণ্য করা হয়। কৃষি ও বনায়ন, কলা, নকশা ও স্থাপত্য, ব্যবসায় ও ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ইতিহাস দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব, আইন, চিকিৎসা, প্রকৃতিবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞানসহ মোট ১২টি ক্যাটাগরিতে প্রতি বছর এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১৮

বিশ্বসেরা গবেষক সংখ্যায় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তম নোবিপ্রবি
বিশ্বসেরা গবেষক সংখ্যায় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সপ্তম স্থান অর্জন করেছে উপকূলের বিদ্যাপীঠ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। শনিবার (৬ জানুয়ারি) আলপার ডজার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র‍্যাঙ্কিংয়ের ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গবেষক সংখ্যায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম স্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  (৬৬৫), দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়  (৫০৩),তৃতীয় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (৩৯২),৪র্থ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৩৭৮),৫ম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (২৩৭), ৬ষ্ঠ খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (২০৯), সপ্তম নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  (১৯৮) অষ্টম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (১৭৮), নবম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (১৭৪) এবং দশম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (১৭৩)। নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.আনিসুজ্জামান বলেন, বিশ্বসেরা র‍্যাঙ্কিংয়ে নোবিপ্রবি শিক্ষকেরা স্থান করে নেওয়ায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং এটা অনেক সম্মান ও গৌরবের বিষয়। তাই শিক্ষকদের শিক্ষকতার পাশাপাশি গবেষণা কাজে আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার জন্য আহ্বান করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় ল্যাবসহ বিভিন্ন সুবিধা বাড়ানো হলে এই সংখ্যা দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আশাবাদী। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড.নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, এটি আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় স্থান করে নেওয়া সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা গবেষণার জন্য ফান্ড বাড়িয়েছি।তার সুফলও পাচ্ছি। আগামীতে এ ধারা অব্যাহত রাখতে গবেষকদের আরও বেশি গবেষণায় মনোযোগী হয়ে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম বলেন,  আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বেশ এগিয়ে যাচ্ছেন। গবেষণার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে আমরা তাদের বিভিন্নভাবে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছি। এর ফলে গবেষকরা গবেষণার প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। এখন তার সুফল আমরা পাচ্ছি। নোবিপ্রবিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে যারা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়