• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে বোনাস পাবেন কর্মকর্তারা
অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে ৫ শতাংশ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে বোনাস বা প্রণোদনা হিসাবে বিতরণ করার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দুই বছরের অধিক সময়ে বকেয়া মন্দ ঋণ বা অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) সরাসরি তত্ত্বাবধানে প্রধান কার্যালয়ে ‘অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিট’ গঠন করতে হবে। আর শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকসমূহের ক্ষেত্রে ‘অবলোপনকৃত বিনিয়োগ আদায় ইউনিট’ হবে। এই ইউনিটে ঋণ মঞ্জুরি কার্যক্রম, ঋণের ডকুমেন্টেশন ও ঋণ আদায়ে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত হবে। এতে আরও বলা হয়, অবলোপনকৃত ঋণের বিপরীতে আদায়কৃত অর্থের ৫ শতাংশ বা সমপরিমাণ অর্থ প্রণোদনা হিসেবে অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে বিতরণযোগ্য হবে। বিতরণযোগ্য অর্থের সর্বোচ্চ শতাংশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রাপ্য হবেন। অবশিষ্ট অর্থ অবলোপনকৃত ঋণ আদায় ইউনিটের প্রধানসহ ওই ইউনিটের অন্য কর্মকর্তারা প্রাপ্য হবেন। পাশাপাশি যে শাখা বা বিভাগের অবলোপনকৃত ঋণ আদায় করা হবে ওই শাখা কিংবা বিভাগের সরাসরিভাবে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাও ইউনিটের কর্মকর্তাদের অনুরূপ আনুপাতিক হারে প্রণোদনা পাবেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, যেসব ঋণ হিসাব একাদিক্রমে দুই বছর মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত রয়েছে সেসব ঋণ হিসাব অবলোপন হবে। এ ছাড়া অবলোপনের জন্য নির্বাচিত ঋণ হিসাবসমূহের ক্ষেত্রে আগে আইনগত ব্যবস্থা সূচিত না হয়ে থাকলে অবলোপনের আগে অবশ্যই অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ অনুযায়ী মামলা দায়ের করতে হবে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:০৪

ভবনের ছাদ ঢালাইয়েও থাকবেন রাজউক কর্মকর্তারা
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আওতাধীন ভবন মালিক, আমমোক্তার ও নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণের সময় ভবনের পাইলিং লেআউট, প্লিন্থ লেভেল ও ছাদ ঢালাইয়ের অনুমোদিত নকশা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য ভবন নির্মাণ শুরু থেকে ছাদ ঢালাই পর্যন্ত কর্মকর্তাদের থাকার নির্দেশনা দিয়ে অফিস আদেশ জারি করেছে রাজউক।  রাজউকের পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মোহাম্মদ সামছুল হক এই অফিস আদেশ জারি করেছেন বলে  সোমবার (১৫ জানুয়ারি) জানা গেছে। এরইমধ্যে এ বিষয়ে রাজউকের সব অথরাইজড অফিসার, সহকারী অথরাইজড অফিসার, প্রধান ইমারত পরিদর্শক, ইমারত পরিদর্শকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।   রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মোহাম্মদ সামছুল হক বলেন, রাজউকের আওতাধীন এলাকায় রাজউক আইন-বিধি অনুযায়ী ভবন নির্মাণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ভবন মালিক, আমমোক্তার, নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণের সময় ভবনের পাইলিং লেআউট, প্লিন্থ লেভেল ও ছাদ ঢালাইয়ের সময় সংশ্লিষ্ট এলাকার ইমারত পরিদর্শক, প্রধান ইমারত পরিদর্শক এবং সহকারী অথরাইজড অফিসারদের আবশ্যিকভাবে উপস্থিত থাকতে হবে। মূলত অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী নির্মাণকাজ নিশ্চিত করতে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। পাশাপাশি তারা যেন পরিদর্শন বইয়ে সবকিছু যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ  করেন সেই নির্দেশনা ফদেওয়া হয়েছে। রাজউকের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ভবন নির্মাণের সময় ইমারত পরিদর্শক, প্রধান ইমারত পরিদর্শক, সহকারী অথরাইজড অফিসার উপস্থিত থাকার ও পরিদর্শনের বিষয়টি লিপিবদ্ধ করা সংশ্লিষ্ট অথরাইজড অফিসারকে নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট অথরাইজড অফিসারকে প্রমাণস্বরূপ স্থির চিত্র ও ভিডিও ক্লিপ সংশ্লিষ্ট পরিচালকের মাধ্যমে পরিচালককে পাঠানোর জন্যও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।  
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৭

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শুরু হতে পারে মার্চের প্রথমার্ধে 
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ধাপে ধাপে আয়োজন করতে যাচ্ছে। মার্চের প্রথমার্ধে শুরু হতে পারে এ নির্বাচন। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়েছে বলে শনিবার (১৩ জানুয়ারি) ইসি সূত্রে জানা গেছে। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জানুয়ারির শেষের দিকে তফসিল হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রথম ধাপের ভোট মার্চের শুরুর দিকেই অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে গতবার কোন উপজেলায় কবে ভোট হয়েছে, কবে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রভৃতি তথ্য দিতে বলেছে সংস্থাটি। তারা আরও জানিয়েছেন, পাঁচ ধাপে ২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা পরিষদ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে সময় ৪৮৮টি উপজেলা পরিষদের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে ৪৫৫টির নির্বাচন যথাযথ সময়ে, পরবর্তীতে অন্যগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছর ১০ মার্চ প্রথম ধাপে ৮২টি, ১৮ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে ১২৩টি, ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপে ১২২টি, ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপে ১০৬টি এবং ১৮ জুন পঞ্চম ধাপে ২২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দেশে বর্তমানে উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি। আইন অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। আর নির্বাচন করতে হয় মেয়াদ পূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে। কর্মকর্তারা বলছেন, যেহেতু পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পাঁচ ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাই শপথও হয়েছে পাঁচ বা তার বেশি ধাপে। কাজেই কয়েক ধাপেই শেষ হবে উপজেলাগুলোর মেয়াদ। আর সে অনুযায়ী ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় গণনা হবে। এদিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ইসির মাঠ কর্মকর্তাদেরও একই তথ্য দিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। এ সংক্রান্ত চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকদেরও। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ এর ১৭(১) (গ) ধারা অনুসারে পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ক্ষেত্রে, ওই মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ থেকে পূর্ববর্তী ১৮০ (একশত আশি) দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পঞ্চম উপজেলা পরিষদের শপথ গ্রহণ ও প্রথম সভার তারিখের তথ্য প্রেরণের জন্য সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জানা গেছে, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে সে সময় বিজয়ীদের শপথ ২০১৯ সালের মার্চেই হয়েছে। অন্য ধাপেরগুলো পরবর্তীতে ধাপে ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছে এপ্রিল, মে মাসে। সে হিসেবে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় গণনা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, চলতি মাসের শেষের দিকে উপজেলার প্রথম ধাপের নির্বাচনের তফসিল হতে পারে। তবে তফসিল ও ভোট কখন হবে, তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:০৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়