• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নারী কয়েদির সঙ্গে কারারক্ষীর অনৈতিক সম্পর্ক, অতঃপর...
গাইবান্ধা জেলা কারাগারের ভিতরে নারী কয়েদির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় আরেক নারী কয়েদিকে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে প্রধান কারারক্ষী আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে ওই কয়েদির প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন আশরাফুলসহ তার সহযোগীরা। ভুক্তভোগী ওই নারী কয়েদি একটি মাদক মামলায় কারাগারে আছেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) অভিযুক্ত কারারক্ষীর শাস্তি চেয়ে নির্যাতিত কয়েদির মা করিমন নেছা গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন।  লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগীর মা উল্লেখ করেন, আমার মেয়ে প্রায় ৫ বছর ধরে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে বন্দি রয়েছেন। কিছুদিন আগে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে কর্মরত আশরাফুল ইসলাম নামে এক প্রধান কারারক্ষী (কারাগারে একাধিক ‘প্রধান কারারক্ষী’ পদ আছে) এবং এক নারী কয়েদির (রাইটার) অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে ফেলেন আমার মেয়ে। এতে আশরাফুল ও ওই নারী কয়েদি তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং এ ঘটনা কাউকে বললে হত্যা করে ‘হৃদ্‌রোগে মৃত্যু হয়েছে’ বলে চালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। আমার মেয়ে বিষয়টি কাউকে না জানানোর কথা বললেও তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এমনকি তাকেও অনৈতিক কাজ করতে চাপ দেওয়া হয় এবং টেনে-হিঁচড়ে শরীরের কাপড় খুলে ফেলে শ্লীলতাহানি করা হয়। এখনও কারাগারের ভেতরে প্রতিদিন তার ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। করিমন নেছা উল্লেখ করা হয়, আমি একাধিকবার মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গাইবান্ধা কারাগারে গেলেও মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি। অবশেষে আমার মেয়ে গাইবান্ধা আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আমি সাক্ষাৎ পায়। এরপর আমার কাছে কারাগারে নির্যাতনের বিবরণ দেন মেয়ে। এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা কারাগারের অভিযুক্ত কারারক্ষী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আরেক কারারক্ষীর সময়ের। কিন্তু আমার নাম কেন বলা হচ্ছে সেটি আমার জানা নেই। গাইবান্ধা কারাগারের জেল সুপার জাভেদ মেহেদী বলেন, সোমবার এডিসি মহোদয় তদন্তে এসেছিলেন। ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে। কারাগারের ভেতরে পক্ষ-বিপক্ষ তৈরি হয়েছে। যা ফোনে বলা সম্ভব নয়। তবে ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিসি) মো. মশিউর রহমান ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি জানান, অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি তদন্ত করেছি। খুব দ্রুত জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব। এরপর জেলা প্রশাসন জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৯

শ্যালিকার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের বলি ব্যবসায়ী নিজাম
ফরিদপুরের মধুখালীতে শ্বশুরবাড়ির স্বজনদের হামলায় নিহত হয়েছেন এক ব্যক্তি।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের হাটঘাটা গ্রামে নিজাম উদ্দিন শেখের বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নিজাম উদ্দিন শেখ (৩৫) রায়পুর ইউনিয়নের হাটঘাটা গ্রামের মৃত মানিক শেখের ছেলে। তিনি একটি খাবার হোটেলের ব্যবসায়ী। এলাকাবাসী ও মধুখালী থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার শ্যালিকাকে (১৯) নিয়ে অসুস্থ শ্বশুরকে দেখার জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান নিজাম। ওইদিন ফেরার পথে তিনি শ্যালিকাকে তার বাবার বাড়ি মধুখালীর রায়পুর ইউনিয়নের দিঘুলিয়াতে পৌঁছে না দিয়ে হাটঘাটা গ্রামে নিজ বাড়িতে এনে রাখেন। নিজামের সঙ্গে তার শ্যালিকার অনৈতিক সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ করেছেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এর আগে ওই মেয়ের বিয়ের উদ্যোগ নেওয়া হলে নিজামের হস্তক্ষেপে সেই বিয়ে হয়নি। এজন্য নিজামের শ্বশুরবাড়ির লোকজন নিজামের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েটিকে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য চাপ দিলে তা উপেক্ষা করে তাকে নিজের বাড়িতে রাখেন নিজাম। এজন্য গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নিজামের শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার বাড়িতে এসে তাকে বেধড়ক মারপিট করেন। তারা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে নিজামের ডান হাত, দুই পা এবং মাথায় গুরুতর জখম করেন। এক পর্যায়ে তারা নিজামের দুই চোখে চুন ঢেলে দেন। পরবর্তীতে নিজামের বড় ভাই আজিমুদ্দিন শেখ গুরুতর আহত নিজামকে উদ্ধার করে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশাভ্যানে করে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিজামকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে স্থানান্তর করেন। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ফরিদপুর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করার পথে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে নিজাম মারা যান। মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৯

বিয়ে দেওয়ার কথা বলে বোনকে দিয়ে অনৈতিক কাজ, অতঃপর...
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সৎ ভাই-ভাবির বিরুদ্ধে ১২ বছরের বোনকে দিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই শিশুর পিতা মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাদী হয়ে কসবা থানায় ছেলে ও ছেলের বউসহ পাঁচজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। পরে ছেলে সোলেমান মিয়া (৪০) ও ছেলের বউ সেলিনা আক্তারকে (৩০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কসবা থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিশুর পিতা মোশারফ হোসেন দুই বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীর সন্তান সোলেমান মিয়া এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান ওই শিশুটি। সোলেমান মিয়া কসবা সুপার মার্কেটের সামনে ফুটপাতে চায়ের দোকান চালান। শহরের শীতল পাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকেন। গত দুইমাস আগে ছেলে সোলেমান মিয়া হঠাৎ করে গ্রামের বাড়ি গিয়ে তার সৎ ছোট বোনকে শহরের বাসায় নিয়ে আসেন। সোলেমান মিয়া তাকে জানায়- ছোট বোনকে লেখাপড়া করানোসহ বিয়ে-সাদি দেওয়ার সব ব্যবস্থা করবে। বাবা সরল বিশ্বাসে বড় ছেলের সাথে মেয়েকে তার বাসায় পাঠিয়ে দেয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার সময় শিশু মেয়েটি গ্রামের বাড়ি হরিপুরে বাবার কাছে চলে যায়। এত রাতে মেয়ে একা চলে আসায় বিস্মিত হয়ে কারণ জানতে চাইলে তাকে সে কিছুই বলেনি। পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি ছেলে সোলায়মান মিয়া আবার তার সৎ বোনকে আনতে গ্রামের বাড়ি গেলে তার সাথে আসতে অস্বীকৃতি জানায়। কেন বড় ভাইয়ের সাথে যাবে না জিজ্ঞাসা করলে তখন সে জানায় গত দু’মাস ধরে ওই বাসায় রাতের বেলায় বিভিন্ন পুরুষের সাথে তাকে খারাপ কাজে বাধ্য করা হয়। সে এসব কাজ করতে অস্বীকার করলে তাকে মারধোর করা হতো। তাই সে রাতের আধারে পালিয়ে বাড়িতে চলে যায়। এ ঘটনা শোনার পর শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার শরীরে মারধরের চিহ্ন পাওয়া যায়।  পরে মঙ্গলবার বিকেলে থানায় এসে ছেলে ও বউসহ ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন শিশুর বাবা। অন্য আসামিরা হলো, আয়নাল হক (২৬), পিতা অজ্ঞাত, শান্ত মিয়া (২৩) পিতা-অজ্ঞাত ও চাইনিজ (২৪) পিতা-অজ্ঞাত। শিশুর পিতা মোশারফ হোসেন জানান, ভাই ও ভাবি হয়ে ছোট বোনের এমন সর্বনাশ করবে আমি ভাবতেও পারিনি। পরিবারে অভাব-অনটনের কারণে সরল বিশ্বাসে ছেলের বাসায় পাঠিয়েছিলাম। প্রাণ বাঁচাতে আমার শিশু মেয়েটি রাতের আধারে বাড়ি চলে আসে। আমি তাদের কঠিন শাস্তি দাবি করছি। কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ রাজু আহাম্মেদ জানান, শিশুর পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষা প্রক্রিয়াধীন। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়