• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘রাজধানীর ১০ থানায় কিশোর গ্যাং বেশি’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, রাজধানীর ৫০ থানার মধ্যে ১০টি থানায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপরাধ দেখা গেছে। এর মধ্যে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলন নিয়ে ছায়া সংসদ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।  ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজকের কিশোর আগামী দিনের যুবক। তারাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী কেউ অপরাধ করলে আমরা তাকে কিশোর অপরাধী বলছি। এই বয়সী কিশোররা দলবদ্ধভাবে অপরাধ করলে তাকে আমরা বলছি কিশোর গ্যাং। হাবিবুর রহমান বলেন, কিশোর গ্যাং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম করে থাকে পুলিশ। মসজিদে মসজিদে জুমার দিনে ওসিরা কিশোর গ্যাং বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে গিয়েও কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে আসল কাজ হবে পরিবার থেকে। মা, বাবা বড় ভাই-বোন এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষকও ভূমিকা রাখবেন।  তিনি বলেন, ঢাকা শহরে খেলার মাঠের সংখ্যা কম। মাঠ নিয়ে আন্দোলনও হয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো খেলাধুলার মাঠের বিষয়ে কাজ করতে পারে।  কিশোর গ্যাংয়ের গড ফাদারদের তালিকা করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা যারা রয়েছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের অদ্ভুত-অদ্ভুত নাম রয়েছে, তাদের তালিকা করা হয়েছে। যারা মদদদাতা, গড ফাদার তারা ওইভাবে গড ফাদার নয়। তারা যে কিশোর অপরাধের জন্য গ্যাং তৈরি করেছে বিষয়টি এমন নয়। রাজনৈতিকভাবে কিছু লোক কিশোরদের নিয়ে যাচ্ছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। কিশোর অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতি আছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো গাফিলতি নেই। অভিযোগ এলেই সঙ্গে সঙ্গে মামলা গ্রহণ করা হয় এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাজ নয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জনসাধারণের কাজ। জনগণ সোচ্চার হলে কিশোর গ্যাং কালচার কমে যাবে। টিকটকে অশালীন কন্টেন্টের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি অবশ্যই নেতিবাচক। ইতোমধ্যে এমন টিকটকারদের আমাদের সাইবার টিম আইনের আওতায় এনেছে। পুলিশের সাইবার টিম থেকে নিয়মিত বিটিআরসি'র কাছে বিভিন্ন কনটেন্টের তালিকা দেওয়া হয়।   হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলদের কিছু অনুসারী রয়েছেন যাদের ১৮ বছরের উপরে বয়স। এলাকায় রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে কেউ কেউ কিশোরদের ব্যবহার করছে। সরাসরি কোনো কাউন্সিল কিশোরদের নিয়ে অপরাধ করার জন্য গ্যাং তৈরি করেছে এমন তথ্য পাইনি। কাউন্সিলদের সহযোগী রয়েছেন এমন কেউ কেউ আছেন তারা কিশোরদের নিয়ে চলাচল করেন। এসব কিশোরদের বেশিরভাগই ছিন্নমূল। বেশিরভাগ কিশোরদের বাবা নেই। মা থাকলেও দেখা যায় অন্যের বাসায় কাজ করেন। এসব বিষয়েও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে আইনের আওতায় পড়লে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক পাতিনেতাদের বিভিন্ন সময় থানায় ডেকে শাসানো হচ্ছে।  তিনি আরও বলেন, সমাজের ভদ্রলোকরা মনে করেন থানায় অভিযোগ দিতে গেলে বিপদে পড়বেন এজন্য সেই ভয়ে থানায় যান না। এটি সমাজের সবচেয়ে দুর্বলতা এবং নেতিবাচক দিক। যারা সমাজের ভালো মানুষ, শান্তি প্রিয় মানুষ, তারা যদি ঐক্যবদ্ধ হন তবে অনেক কঠিন কাজই সহজ হয়ে যায়। আমি সেটির আহ্বান জানাই। সমাজে ভালো মানুষ যারা তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। 
১১ ঘণ্টা আগে

সাত খুনের ১০ বছর : বিচার শেষ না হওয়ায় হতাশ স্বজনরা
নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের দশ বছর পেরিয়ে গেলেও বিচারকার্য শেষ না হওয়ায় হতাশায় ভুগছে ভুক্তভোগীর পরিবার। স্বজনহারার কষ্ট বুকে চেপে কান পেতে আছে বিচারের শেষ রায় শোনার প্রতীক্ষায়। আর সচেতন মহল বলছে, নৃশংস এ ঘটনার দ্রুত রায় হলে মানুষ বুঝবে অপরাধ করে পার পাওয়া যায় না।   নিম্ন আদালতে ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হলেও আপিল করে উচ্চ আদালতে হয় এ মামলার নিষ্পত্তি। এর মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে অন্য আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডাদেশ দেন উচ্চ আদালত। তবে আপিল বিভাগে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির শুনানি বন্ধ থাকায় এখনও কার্যকর হয়নি চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের রায়। এতে নিহতের স্বজনরা হতাশা ব্যক্ত করেছেন। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় আপিল বিভাগে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির শুনানি হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী। আলোচিত এই সাত খুনের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামকে খুন করা হয়। তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি এ মামলার বাদী। মামলার রায়ের চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। মামলার রায়ের চূড়ান্ত নিষ্পত্তির শুনানি নিয়ে সাত খুনের এ মামলার বাদী ও নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বলেন, ‘আসলে এখন আমাদের আর কিছু চাওয়ার নেই। আমরা শুধু বিচারটুকুই চাই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ তিনি যাতে সন্তান হারানো মানুষগুলোর দিকে তাকিয়ে বিচারটা করেন।’ নজরুল ইসলামের স্ত্রী আরও বলেন, ‘নানা দুঃখ-দুর্দশা ও ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে আমার মতোই দীর্ঘ দশ বছর পার করেছেন নিহত অন্য ৬ জনের পরিবারের সদস্যরাও। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বিচার এখনও কার্যকর না হওয়ায় আমরা সবাই হতাশ।’ এ প্রসঙ্গে নিহতদের স্বজনরা জানান, সরকার যদি বিচার করত, সেটা দেখে মরতে পারলেও কিছুটা শান্তি পেতেন তারা। তারা একটি অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তারা।  আসলে কি এ মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছেন নিহতদের স্বজনরা। এ নিয়ে নিহত গাড়িচালক জাহাঙ্গীরের মেয়ে রোজা বলে, ‘আমার জন্মের পর বাবাকে দেখিনি। বাবার আদর-ভালোবাসা পাইনি। আমার জন্মের আগেই বাবাকে হারিয়েছি।’ নিহত গাড়িচালক জাহাঙ্গীরের স্ত্রী নূপুর বলেন, ‘আমার বাচ্চা প্রতিরাতে কান্না করে। ওর চাচারা তাদের ছেলে মেয়েকে কত আদর করে। অথচ আমার মেয়েকে কেউ একটু আদর করে না। আমার মেয়ে বাবার আদর কেমন সেটা জানে না।’ তথ্যসূত্র বলছে, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল আদালতে হাজিরা শেষে প্রাইভেটকারযোগে বাড়ি ফিরছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম। পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের সামনে থেকে সাদা পোশাক পরিহিত র‌্যাব সদস্যরা তাদের অপহরণ করেন। আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার গাড়িচালক ইব্রাহিম পেছন থেকে এ চিত্র মুঠোফোনে ভিডিও করলে ওই র‌্যাব সদস্যরা তাদেরও ধরে নিয়ে যায়। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা থেকে তাদের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে আলাদা দুটি হত্যা মামলা করেন। পরে দুই মামলায় ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। সাত খুনের এই হত্যা মামলায় ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‍্যাব-১১ এর চাকরিচ্যুত সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, চাকরিচ্যুত মেজর আরিফ হোসেন, চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এমএম রানাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন আদালত।  পরে ২০১৮ সালের ২২ আগস্ট উচ্চ আদালত ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে অন্য আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা বহাল রাখেন।  ২০১৮ সালের নভেম্বরে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর ২০১৯ সালে র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, আরিফ হোসেন, এম মাসুদ রানা, সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা নূর হোসেনসহ দণ্ডিত আসামিরা আলাদাভাবে আপিল করেন।   তবে আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় আপিল বিভাগে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির শুনানি এখনও হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবীর সাখাওয়াৎ হোসেন খান। তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের যাতে বিচার না হয় সে চেষ্টা কিন্তু হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা চাই, যে রায় হয়েছে সেটি দ্রুত কার্যকর করা হোক। উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ২৩ জন কারাগারে এবং ১২ জন আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগে

গরমে ট্রেনের হাইড্রোলিক ব্রেকে আগুন, আহত ১০
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রাজশাহীগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের চাকার ঘর্ষণে হাইড্রোলিক ব্রেকে আগুন লাগে। এসময় আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মহেড়া রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকেলে ঢাকাগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ক্রসিংয়ের জন্য সিল্কসিটি এক্সপ্রেসকে মহেড়া স্টেশনে থামানো হয়। এসময় ট্রেনের ‘ট’ বগির কয়েকজন যাত্রী নিচে নেমে হাইড্রোলিক ব্রেকে আগুন দেখতে পান। আগুনের খবর ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্কিত যাত্রীরা ভয়ে ট্রেন থেকে লাফিয়ে নামার চেষ্টা করলে অন্তত ১০জন আহত হন। পরে ট্রেনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। মহেড়া রেলস্টেশন মাস্টার সোহেল খান জানান, ক্রসিংয়ের জন্য সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে থামানো হয়েছিল। সিল্কসিটি এক্সপ্রেস থামানোর সময় গরমে চাকার ঘর্ষণে হাইড্রোলিক ব্রেক থেকে আগুন লাগে। যাত্রীরা তাৎক্ষণিক জানতে পারায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। ট্রেন থেকে লাফিয়ে নিচে নামার কারণে আহত কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ট্রেনটি ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট পর সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ বিষয়ে মির্জাপুর স্টেশন মাস্টার কামরুল হাসান জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কারণে মির্জাপুর রেলস্টেশনে সিরাজগঞ্জগামী সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন কিছুক্ষণ থেমে ছিল। পরে মির্জাপুর থেকে দেরিতে ট্রেনটি গন্তব্যে ছেড়ে যায়।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪০

অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা উধাও, গ্রেপ্তার ৩
১০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে পাবনায় অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ব্যবস্থাপকসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দিনভর নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাদেরকে সাঁথিয়া থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার মৃত জান বক্সের ছেলে ও অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আবু জাফর, সুজানগর দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হারুন বিন সালাম এবং বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের মৃত শুশীল চক্রবতীর্র ছেলে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবতী। ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন। সাঁথিয়া থানা ও অগ্রণী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অগ্রণী ব্যাংক রাজশাহী বিভাগীয় ও পাবনা আঞ্চলিক শাখা থেকে পাঁচজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আকস্মিক অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসেন। অডিট শেষে সেখানে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকার আর্থিক অনিয়ম দেখতে পান। পরে ওই অডিট কর্মকর্তারা সাঁথিয়া থানায় অবহিত করলে পুলিশ অভিযুক্ত ওই তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় অগ্রণী ব্যাংক পাবনা আঞ্চলিক শাখার উপমহাব্যবস্থাপক রেজাউল শরীফ বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হবে। পরবর্তিতে বিষয়টি দুদুক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৫

টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার অন্যতম আসামি দেলোয়ার হোসেন প্রকাশ দেলুকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী পাহাড়ি এলাকার মুরার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী এলাকার বাসিন্দা মৃত আলী হোসেন প্রকাশ পেটুর ছেলে। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দেলোয়ার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ১০ জন কৃষককে অপহরণ মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।  তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন অপহরণের সঙ্গে সরাসরি নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। আসামি বিভিন্ন অপহরণের সঙ্গে তার জড়িত থেকে লোমহর্ষক বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা দেয়। আসামির বিরুদ্ধে ডাকাতি, অপহরণসহ আরও ৪টি মামলা রয়েছে। আসামিকে আইনি কার্যক্রম শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৫

বীমা দাবির ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করল ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যরেন্স
নোয়াখালীর সেনবাগে নিজাম উদ্দিন মজুমদারের বীমা দাবির ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইযা আই কে দাখিল মাদরাসা মিলনায়তনে এ উপলক্ষে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের নোয়াখালী চৌমুহনীর জোনাল ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহজাহান সিরাজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  এ সময় বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের নোয়াখালী এরিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট (উন্নয়ন) আবদুল মান্নান, নোয়াখালী এরিয়া জোনাল ম্যানেজার (উন্নয়ন) মনিরুল ইসলাম, ছাতারপাইযা আই কে দাখিল মাদরাসা সুপার মাওলানা নুরুল ইসলাম, ছাতারপাইয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আজিজুর রহমান, সমাজসেবী মো. শাহ পরান। পরে মরহুম নিজাম উদ্দিন মজুমদারের স্ত্রী ও সন্তানের কাছে ১০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন অতিথিরা। পরে ছাতারপাইয়া আই কে দাখিল মাদরাসা সুপার মাওলানা নুরুল ইসলাম দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩১

নিহত চুয়েটের ২ শিক্ষার্থীর পরিবার পাবে ১০ লাখ টাকা 
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সঙ্গে চুয়েট কর্তৃপক্ষ, ছাত্র প্রতিনিধি, বাস মালিক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এক বৈঠকে এ কথা জানানো হয় হয়।  এর আগে সোমবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত হন।  তারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা। তিনি নরসিংদীর কাজল সাহার ছেলে। অপরজন তৌফিক হোসেন একই বিভাগের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি নোয়াখালী সুধারামের নিউ কলেজ রোডের মোহাম্মদ দেলোয়ারের ছেলে।  চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি খুব শিগগিরই এ সড়ক সম্প্রসারণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। এ ছাড়া সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন। আহত শিক্ষার্থী তিন লাখ টাকা পাবেন। কালকের মধ্যেই আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্রসহ ফরমপূরণ করে পাঠিয়ে দেব। দু-একদিনের মধ্যে আমরা সে টাকা পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে পারব বলে আশা করছি।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫১

কাতার-বাংলাদেশ ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই 
দ্বৈতকর পরিহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও কাতার। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। চুক্তিগুলো হলো—উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষাসংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকিসংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতাসংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দুদেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠনসংক্রান্ত চুক্তি। আর সমঝোতা স্মারকগুলো হলো—কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক। চুক্তিগুলোর মধ্যে প্রথমটিতে কাতারের পক্ষে দেশটির বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন হামাদ আল থানি ও বাংলাদেশের পক্ষে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, দ্বিতীয়টিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, তৃতীয়টিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, চতুর্থটিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং পঞ্চমটিতে কাতার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান শেখ খলিফা বিন জসিম আল থানি ও বাংলাদেশের ফেডারেশন অব চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম সই করেন। আর সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে সব কটিতে কাতারের পক্ষে সই করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি। বাংলাদেশের পক্ষে সেগুলোতে সই করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠক হয় তাদের। দুপুরে চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আমির। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ থেকে এটিই প্রথম উচ্চপর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সফর। আর গত দুই দশকের মধ্যে এটি কাতারের কোনো আমিরের প্রথম বাংলাদেশ সফর। এর আগে ২০০৫ সালে কাতারের তৎকালীন আমির হামাদ বিন খলিফা আল থানি বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩১

মালয়েশিয়ায় দুই হেলিকপ্টারের সংঘর্ষে নিহত ১০
মালয়েশিয়ান নৌবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টারের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে দেশটির লুমুত শহরে এই ঘটনা ঘটে। যেখানে নৌবাহিনীর একটি ঘাঁটি রয়েছে। বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, নৌবাহিনীর কুচকাওয়াজে সামরিক মহড়া চলাকালীন আকাশে দুটি হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর একটি মাটিতে পড়লেও আরেকটি গিয়ে পড়ে সুইমিং পুলে।  এরমধ্যে একটি হেলিকপ্টারে সাতজন ক্রু ছিলেন। আরেকটিতে তিনজন। সবাই নিহত হয়েছেন। উল্লেখ্য, গত মার্চে মালয়েশিয়ার আংসা দ্বীপের কাছে মালয়েশিয়ার কোস্টগার্ডের একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। পরে জেলারা বিমানে থাকা পাইলট, কো-পাইলট ও দুই যাত্রীকে উদ্ধার করেন।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫২

যে কারণে ১০ মিনিট বন্ধ ছিল মেট্রোরেল
বারবার ভুল জায়গায় থামার কারণে প্রায় ১০ মিনিট বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, উত্তরা থেকে মতিঝিলগামী একটি ট্রেন কাজীপাড়া স্টেশনের কাছে পৌঁছে হঠাৎ বড় ধাক্কা দেয়। এরপর স্বাভাবিক গতিতে গিয়ে কাজীপাড়া স্টেশনের ভেতরে ঢুকে আরেকটি ধাক্কা দেওয়ার পর নির্ধারিত স্থানের বাইরে গিয়ে থামে ট্রেনটি। এর কিছুক্ষণ পরে ওই ট্রেনটি কয়েক দফায় স্টেশনের দরজা বরাবর থামার চেষ্টা করে কিন্তু ব্যর্থ হয়। বারবার ভুল জায়গায় গিয়ে থামে। একপর্যায়ে ট্রেনটি ১০ মিনিট ধরে বন্ধ থাকে। ট্রেন বন্ধ থাকায় ভেতরে থাকা যাত্রীদের মধ্যে কৌতূহল এবং আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে কেউ কেউ ইমারজেন্সি বাটন প্রেস করে ট্রেনচালকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু তখন কোনো সিগন্যাল এবং সেন্সরই কাজ করছিল না।  এদিকে বাইরের যাত্রীরা অপেক্ষা করছিলেন ভেতরে ঢুকতে আর ভেতরের যাত্রীরা অপেক্ষা করছিলেন বের হওয়ার জন্য। এভাবে অনেকটা সময় পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও সিগন্যালের ত্রুটি দেখা দেয়। এরপর কয়েকবার গেট খুলে এবং বন্ধ করার পর ধীর গতিতে চলা শুরু করে ট্রেনটি। এমনভাবে কাজীপাড়া থেকে শেওড়াপাড়া স্টেশন পর্যন্ত আসে ট্রেনটি। এরপর শেওড়াপাড়া স্টেশন থেকে মেট্রোরেল আবার স্বাভাবিক গতিতে চলা শুরু করলেও ভয়েস ও ডিসপ্লের নির্দেশনা ঠিক হয়নি তখনও। এমআরটি লাইন-৬ এর দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, কাজীপাড়া সেকশনে ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেমে (ওসিএস) বৈদ্যুতিক তারের ভোল্টেজ কমে যাওয়ায় মেট্রোরেল চলাচলে এমন সমস্যা হতে পারে। বিষয়টি না জেনে এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) মোহাম্মদ ইফতিখার হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আসলে কী কারণে এ সমস্যা হয়েছে তা এখনও বলতে পারছি না। তবে সম্ভবত ভোল্টেজজনিত সমস্যার কারণে এমনটা হতে পারে। অথবা, কারিগরি ত্রুটির কারণেও এটি হতে পারে। মেট্রোরেল এ দেশে নতুন, এজন্য আমাদের সামনে এসব চ্যালেঞ্জ আসছে। আমরা দ্রুত তা সমাধান করার চেষ্টা করছি।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়