• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি শিক্ষকের নিয়োগ স্থগিত
নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য মনোনীত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজু সাহার নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে উপাচার্য লাউঞ্জে বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিয়োগের বিষয়টি বোর্ড অব গভর্ন্যান্সে উঠছিল। কিন্তু সেটি চূড়ান্ত করা হয়নি। সার্বিক বিষয় ও অভিযোগ রিভিউ করার জন্য সিলেকশন বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ইনিস্টিউটটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম বোর্ড অব গভর্ন্যান্স নিয়োগ বোর্ড সাজু সাহাসহ চারজনকে নিয়োগের জন্য মনোনীত করে। এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট সেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী একই বিভাগের সাবেক ওই নারী শিক্ষার্থী। এতে তিনি জানান, কাউন্সেলিং করানোর নামে উনি আমার গায়ে হাত দিয়েছেন, হুক-আপ (যৌন আনন্দ উপভোগ) করার প্রস্তাব দিয়েছেন। মানসিক ট্রমায় এক সেমিস্টার নিয়মিত ক্লাস করতে পারিনি। তিনি জানান, ফাইরুজ অবন্তিকার ঘটনার পর এগুলো সামনে আনার সাহস পেয়েছি।  
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৭

যৌন হয়রানির অভিযোগে এক শিক্ষক স্থায়ী, আরেকজন সাময়িক বরখাস্ত
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির ঘটনায় দুই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে যৌন হয়রানির ঘটনায় জড়িত মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহাকে স্থায়ী বরখাস্ত এবং প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪তম সিন্ডিকেট সভা শেষে রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সম্প্রতি মানবসম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগে যৌন হয়রানির ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গতকাল ১৩ মার্চ এই দুই শিক্ষককে অনির্দিষ্টকালের বাধ্যতামূলক ছুটি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনের এই আদেশে নাখোশ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের গতি বাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসসিক ভবনসহ সকল বিভাগে এবং ব্যাংকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে আন্দোলনকারিরা এই দুই শিক্ষককে স্থায়ী বহিস্কার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে যান চলাচল আটকে দেয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি (উপাচার্য) প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে অবরোধ থেকে সরে যায় শিক্ষার্থীরা।         এই অবস্থায় মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্ভুত পরিস্থিতি নিরসনে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ১৪ মার্চ সকালে ৮৪তম বিশেষ সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে যৌন হয়রানির ঘটনায় এই সিদ্ধাস্ত নেওয়া হয়। এ সময় আন্দোলনকারিরা ঘোষিত সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আন্দোলন থেকে সরে গিয়ে ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দেয়। এ সময় ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া, ভিসি প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ন কবীরসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক ছাত্রীকে অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষায় জরিমানা আদায়, নম্বর কম দেওয়া ও থিসিস পেপার আটকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠে মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন শাহ’র বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার দাবিতে গত ৪ মার্চ আন্দোলন শুরু করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করে ওই বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।   এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ট্রেজারার ড. আতাউর রহমানকে প্রধান করে ৫ মার্চ ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু এই তদন্ত কমিটি গঠনের একদিন পর ৬ মার্চ আন্দোলনকারিরা মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় তারা ওই বিভাগের শিক্ষকদের নেমপ্লেটসহ ভাঙচুর করে বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির ঘটনায় প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাকেও তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে দাবি মেনে তদন্ত কমিটি পুর্নগঠন করে বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকেও তদন্তের আওতায় নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না করায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে শিক্ষার্থীরা।    
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:১২

ড. ইউনূসকে হয়রানির জন্য আইনের অপব্যবহার হতে পারে বলে আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখানোর জন্য বাংলাদেশের আইনের বড় রকমের অপব্যবহার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (১১ মার্চ) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। ওই ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে নিয়ে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়েও সচেতন তারা। ব্রিফিংয়ে মিলারের সামনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন রাখেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে যায় এমন মন্তব্যের জন্য বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে অভিযুক্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন। আপনি যেমনটা জানেন, প্রফেসর ইউনূসকে রাজনৈতিক উপায়ে হয়রানি করছে ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী। তাদের এই কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা তীব্র হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে আপনার ভাবনা যদি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেন।  জবাবে মিলার বলেন, আমরা এই প্রশ্নের মন্তব্যের বিষয়ে সচেতন। এর আগেও মুহাম্মদ ইউনূসের মামলাকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উদ্বেগের বিষয়ে আমাকে কথা বলতে শুনেছেন।    
১২ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৪

জুনাইদের বিরুদ্ধে এবার বিইউপি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ফের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এবার অভিযোগ এনেছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) সাবেক এক নারী শিক্ষার্থী। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বরাবর একটি অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থী। অভিযোগপত্রে ওই শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, ‘আমি যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছি, সেখানে অধ্যাপক নাদির জুনাইদ একটি কোর্স পড়াতে গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে আমাদের বিভাগে এসেছিলেন। আমি ক্লাসের সিআর হওয়ার সুবাদে আমাকে তার সঙ্গে এক ধরনের যোগাযোগ রাখতে হতো। প্রথমত উনি নিয়মিত আমাকে ফোন দিতেন। বাসায় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফোন দিতেন। কিন্তু সমস্যা হলো, উনি ব্যক্তিগত অনেক তথ্য জিজ্ঞেস করতেন। আমাকে এমনও জিজ্ঞেস করেছেন, আমার বয়ফ্রেন্ড আছে কি না- এ রকম। ব্যাপারটা এমন দাঁড়াল, ওনার পড়াশোনার কাজের থেকে বেশি আগ্রহ ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। এসব নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতে চাইতেন। সাধারণত উনি রাত ১০টা বা ১২টার দিকে ফোন দিতেন। উনি আমাকে যখন এইভাবে ফোন বা ভিডিও কল দিতেন, আমি খুবই বিব্রত হতাম। আমি প্রায় ওনার ফোন না ধরার চেষ্টা করতাম, কিন্তু সেটার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পরবর্তী ক্লাসে দেখা যেত। ফোন না ধরায় আমাকে ক্লাসে নানাভাবে হেনস্তা করতে চাইতেন। ক্লাসে এভাবে হেনস্তার শিকার হওয়ার পরও উনি আবারও আমার সাথে যোগাযোগ করতেন।’ তিনি বলেন, ‘ক্লাসে এবং ক্লাসের বাইরে ওনার মুখ ও মুখোশ ছিল আলাদা। উনি ক্লাসে হেনস্তা করার পরে আবার দুঃখপ্রকাশ করে আমাকে মেসেজ দিতেন, ফোন দিতেন। পরে অনেকটা বাধ্য হয়ে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে ওনার ফোন এবং ভিডিও কল রিসিভ করতাম। তখন ভিডিও কলে বলতেন, একটু তোমার চেহারাটা দেখি, তোমার চুলটা একটু দেখি, তোমার জুম পিক দেখি। আমার কয়েকবার মনে হইছে তখন উনি হস্তমৈথুন করেন। উনি সবসময় চাইতেন, তাকে সব আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখি। ‘উনি অনেক হ্যান্ডসাম’- এটা উনি বারবার শুনতে চাইতেন। উনি এত সুদর্শন, এত তরুণ, ওনাকে দেখে আমরা কেন আকর্ষিত বোধ কেন করছি না- এরকম বিষয় নিয়ে প্রায়ই খোঁচা দিতেন। প্রায়ই মেসেঞ্জারে/হোয়াটসঅ্যাপে ওনার ভিডিও বা ছবি পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করতেন, ‘আমি দেখতে কেমন’। পরে বুঝেছি, এর সবই ছিল ওনার ফাঁদপাতার কৌশল।’ ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘উনি আমাকে শারীরিক স্পর্শ বা সেরকম কিছু করেননি। কিন্তু বিয়ের কথা বলে আমার সঙ্গে দীর্ঘদিন কথোপকথন চালিয়ে গেছেন। উনি প্রায় অশ্লীল কথাবার্তা বলতেন। নানা রকম যৌন উত্তেজনামূলক কথা আমার সঙ্গে বলতে চাইতেন। সবসময় অন্তরঙ্গ কথা বলার প্রতি ওনার বিশেষ আগ্রহ থাকত। আমার শরীরের স্পর্শকাতর জায়গা নিয়ে তিনি আমাকে প্রশ্ন করতেন। আমার পোশাক নিয়েও অযাচিত মন্তব্য করতেন। বলতেন, আমি কেন ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরি না। কেন বাংলাদেশের মেয়েদের পোশাক এত বাজে? নানারকম অশ্লীল কথাবার্তা তিনি গল্প আকারে বলতেন। যেমন কোন সিনেমায় নায়ক নায়িকা কীভাবে অন্তরঙ্গ হলো, নায়ক নায়িকার সঙ্গে কী কী করল, এসব উনি খুব আগ্রহ নিয়ে আমাকে শোনাতেন এবং নানাভাবে বোঝাতেন যে উনি এইসব করতে চান। আমাকে বলতেন, মনে করো আমরাও এমন করছি।’ অভিযোগকারী বলেন, ‘আমার ক্লাসের আরেকটা মেয়ের সঙ্গেও এমন করেছেন উনি। ওই মেয়েকেও উনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়েছেন। ছয় মাসের জন্য পড়াতে গিয়ে একই ক্লাসের দুজন মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছেন, এটাকে স্বাভাবিক মনে করার কোনো কারণ নেই। আমাকে ‘গোয়েন্দা’র মতো ব্যবহার করে অন্য মেয়েদের খোঁজ নিতেন উনি। উনি প্রায়ই ফোন করে জিজ্ঞেস করতেন, ক্লাসের কোন মেয়ের কার সঙ্গে প্রেম চলতেছে। ক্লাসের নারী শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে ওনার অস্বাভাবিক রকমের আগ্রহ ছিল।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের একজনের কাছ থেকে অধ্যাপক ড. নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ এসেছে। ওই শিক্ষার্থী মূলত বিইউপির। সে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় পিএইচডি করছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগগুলো মূলত উপাচার্য বরাবর দেওয়া হয়। প্রক্টরের কাছেও অনুলিপি পাঠানো হয়। আমি সেই অনুলিপিটা পেয়েছি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আরেক নারী শিক্ষার্থীও নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে। যদিও তিনি (নাদির জুনাইদ) এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪০

ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন এক নারী শিক্ষার্থী। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই শিক্ষার্থী। এতে ওই শিক্ষার্থী অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিভিন্ন হয়রানির বিষয়টি তুলে ধরেন। লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষক নাদির জুনাইদ তাকে প্রায়ই অরুচিকর কথাবার্তা বলতেন। রাতে কল করে নানা যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথাও বলতেন। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রস্তাবও দিতেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, শিক্ষক নাদির জুনাইদ তাকে প্রায়ই বাসায় ডাকতেন। তিনি বিষয়টি নানান চতুরতায় এড়িয়ে যান। তার হয়রানিতে ওই শিক্ষার্থী একপর্যায়ে মানসিক ট্রমায় ভুগতে থাকেন। রাতে ঘুমাতে পারতেন না তিনি। এ জন্য ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রায়ই ঘুমের ওষুধ সেবন করতেন। গত বছরের শুরুতে তিনি মানসিক কাউন্সিলিংও করেন। অধ্যাপক নাদির জুনাইদের হয়রানি থেকে বাঁচতে তৃতীয় বর্ষে থাকাকালে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, মাস্টার্স না করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়বেন বলেও অভিযোগপত্রে ‍উল্লেখ করেন ওই শিক্ষার্থী।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৪

যৌন হয়রানির মামলায় রাবি চিকিৎসককে হাজতে পাঠানোর নির্দেশ
যৌন হয়রানির মামলায় অভিযুক্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) চিকিৎসা কেন্দ্রের উপপ্রধান চিকিৎসক ডা. রাজু আহমেদের আগাম জামিন বাতিল করে তাকে হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  রোববার (১৪ জানুয়ারি) বাদী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল-১-এর বিচারক এমদাদুল হক রিপন এই নির্দেশ দেন।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবী এবং বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান অ্যাডভোকেট দিল সেতারা বেগম চুনি। অ্যাডভোকেট দিল সেতারা বেগম চুনি বলেন, মামলা হওয়ার পরে ডা. রাজু আহমেদ হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার শর্তে জামিন নিয়েছিলেন। আমরা নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল-১ এ তার জামিন বাতিলের আবেদন করেছিলাম। আজ বিজ্ঞ আদালত তার জামিন বাতিল করেছে এবং হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে। রাজু আহমেদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন রাজশাহী বারের সভাপতি জাহিদ হোসেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ অক্টোবর নগরীর বোয়ালিয়া থানায় ডা. রাজু আহমেদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা করেছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোছা. সাবিনা ইয়াসমিন। মামলার এজাহারে মোছা. সাবিনা ইয়াসমিন অভিযোগ করেন, ডা. রাজুর ব্যক্তিগত চেম্বারে দাঁতের চিকিৎসা করানোর জন্য তার কিশোরী মেয়েকে নিয়ে যান তিনি। একপর্যায়ে, তিনি চেম্বার থেকে বের হলে, ডা. রাজু তার মেয়েকে যৌন হয়রানি করেন। ঘটনাটি প্রকাশিত হওয়ার পর অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে কয়েক দফায় মানববন্ধন করেন ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর প্রেক্ষিতে গতবছরের ৫ নভেম্বর ডা. রাজুকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, অভিযোগ তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন এবং অভিযোগ তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ বিষয়ক কমিটিকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কমিটির কাছে ২২ জন ডা. রাজুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত যৌন হয়রানির সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত সিন্ডিকেট মিটিংয়ে ডা. রাজুকে চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়।  
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৮

অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রমাণ মিলেছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’ তাদের রিপোর্ট পেশ করে। সেখানে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়।  সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।  সভা শেষে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন। গত ১ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করতে ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’ গঠন করে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে এই বিষয়টিকে হাইকোর্ট নির্দেশিত যৌন নিপীড়ন সেলে পাঠানো হয়েছে এবং তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। এই তিন মাস অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলামকে সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আরেক সিন্ডিকেট সদস্য জানান, ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’ তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। গত ১১ নভেম্বর এক নারী শিক্ষার্থীকে রুমে ডেকে নিয়ে তাকে যৌন নিপীড়রের অভিযোগ উঠে অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বিষয়টি উল্লেখ করে ২৮ নভেম্বর উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই শিক্ষার্থী।  পরবর্তীতে গত ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ড. সীমা জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাকি সদস্যরা ছিলেন গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আবুল মনসুর আহাম্মদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহ।
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়