• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঢাকার যেসব জায়গায় বসবে কোরবানির পশুর হাট
এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ২০টি স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসবে। ইতোমধ্যে উভয় সিটি করপোরেশন এসব হাটের স্থান সুনির্দিষ্ট করেছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১১টি স্থানে ও উত্তর সিটি করপোরেশনে ৯টি স্থানে পশুর হাট বসবে।  এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের গাবতলী ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সারুলিয়া— এই দুটি স্থায়ী হাটেও কেনা-বেচা হবে কোরবানির পশু। দক্ষিণ সিটি এলাকায় যেসব হাট বসবে : আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১১টি অস্থায়ী হাট বসাতে ইজারা বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এ ছাড়া সারা বছরজুড়েই সারুলিয়ায় হাট বসে দক্ষিণ সিটি এলাকায়। এটি তাদের স্থায়ী হাট। এবারের ১১টি অস্থায়ী হাটের মধ্যে আছে- উত্তর শাহজানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার মৈত্রী সংঘ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, পোস্তাগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গাসহ কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, আফতাব নগর (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক ই, এফ, জি, এইচ, সেকশন ১ ও ২ এর খালি জায়গা, আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা, রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা এবং শ্যামপুর কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন খালি জায়গা। উত্তর সিটিতে বসবে ৯টি হাট : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন গাবতলী স্থায়ী হাট ছাড়াও এবার আরও ৯টি অস্থায়ী হাট বসাবে সংস্থাটি। সে লক্ষ্যে তারা হাটগুলোর ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এবারের অস্থায়ী হাটগুলো মধ্যে রয়েছে ভাটারা সুতিভোলা খাল সংলগ্ন খালি জায়গা (ভাটারা সুতিভোলা), কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তরা দিয়াবাড়ী ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টর বউ বাজার এলাকার খালি জায়গা, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং আফতাবনগর ব্লক ই, এফ, জি, এইচ, এল, এম, এন এবং আশপাশের জায়গা, মিরপুর সেকশন ৬ ওয়ার্ড নম্বর ৬ (ইস্টার্ন হাউজিং) এর খালি জায়গা, মোহাম্মাদপুর বছিলার ৪০ ফুট রাস্তা সংলগ্ন খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউউট সংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচকুড়া বেপারীপাড়া রাহমান নগর আবাসিক প্রকল্পের জায়গা এবং খিলক্ষেত থানার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের মস্তুল চেকপোস্ট সংলগ্ন পাড়ার খালি জায়গা। হাট বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা এই ৯টি হাট বসানোর জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি। তবে কর্তৃপক্ষ যেকোনো হাট বাতিল বা সংযোজন করতে পারে। উল্লেখ্য, সীমানাকেন্দ্রিক জটিলতায় আফতাবনগর হাট নিয়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন পৃথকভাবে ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আফতাবনগরের কয়েকটি ব্লকে কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য দুটি সংস্থায়ই টেন্ডার দিয়েছে। ফলে আফতাব নগর এক হাট নিয়ে দুই সিটি করপোরেশনের মধ্যে টানাটানি শুরু হয়েছে।  অন্যদিকে কোরবানির সময় পশুর হাট বসালে এলাকায় নানান নাগরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়— এমন কারণ উল্লেখ করে আফতাব নগরে হাট না বসাতে বা হাটের অনুমতি না দিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাছেই চিঠি দিয়ে আবেদন জানিয়েছে জহুরুল ইসলাম সিটি সোসাইটি (আফতাবনগর সোসাইটি)।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৩

কুড়িগ্রামে ১০ টাকায় শাড়ি-লুঙ্গীর হাট
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এ সময়ে কুড়িগ্রামের নদী-ভাঙ্গন ও চরাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষসহ ছিন্নমূল মানুষের আত্মসম্মান বজায় রেখে মাত্র ১০টাকায় শাড়ী ও লুঙ্গি এবং মাত্র ২ টাকায় ব্লাউজ পিছ কেনার সুযোগ করে দিলো ফাইট আনটিল লাইট (ফুল) নামের একটি সেচ্ছসেবী প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটায় ও সদরের কলেজ মোড়ে প্রতিষ্ঠানটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। নাম দেয়া হয়েছে ১০ টাকায় শাড়ী-লুঙ্গির হাট। এই কার্যাক্রমের সুবিধার আওতায় এসেছে ৩ হাজার নিম্নবৃত্ত মানুষ। বুধবার সকালে নাগেশ্বরী উপজেলা কচাকাটা কলেজে বসে এই ১০ টাকার শাড়ী লুঙ্গী বিক্রির হাট। এখানে কেদার,বল্লভেরখাষ ও কচাকাটা ইউনিয়নের কয়েকশত নিম্ন আয়ের মানুষ আসেন কাপড় কিনতে। এখানে উপস্থিত ছিলেন নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ, কেদার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান আ খ ম ওয়াজিদুল কবীর রাশেদ, কচাকাটা ইফনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেন, কচাকাটা কলেজের ভারপ্রাপ্ত  অধ্যক্ষ গোলজার হোসেন প্রমূখ।  শাড়ী-লুঙ্গি কিনতে আসা কচাকাটা ইউনিয়নের আছিরণ বেওযা জানান, ঈদে নুতুন কাপড় কেনা ছিলো স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হলো আজ। এখানে এসে আমি ১০ টাকায় একটা শাড়ী কিনেছি। যে শাড়ী বাজারে কমপক্ষে পাচশ টাকা দাম। আমি অনেক খুশি। একই ইউনিয়নের রহিম মিয়া জানান, ঈদে বউকে একটা নুতুন শাড়ী দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও টাকার অভাবে তা দেয়া হয়নি। আজ ১০টাকায় একটা শাড়ী কিনলাম। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক আব্দুল কাদের জানান, নিম্ন আয়ের মানুষ যেন সম্মানের সাথে ঈদ-আনন্দ উপভোগ করতে পারে সেই তাগিত থেকেই এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ফুল দীর্ঘদিন থেকে কুড়িগ্রামের দরিদ্র মানুষের জন্য নানাবিধ কাজ করে আসছে। নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহম্মেদ বলেন, ফাইট আনটি লাইট সংস্থাটি ঈদ উপলক্ষে নিম্মবৃত্তদের ১০ টাকায় শাড়ী ও লুঙ্গি এবং মাত্র ২ টাকায় ব্লাউজ পিছ বিতরণ কার্যক্রমটি প্রশংসনীয়। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি।  
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়