• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ইতিহাস গড়লেন বাঁধন
নতুন এক ইতিহাস গড়লেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। এখন থেকে দেশে তিনিই একমাত্র মা, যিনি পেয়েছেন সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব। এর আগে কোনো নারী এককভাবে সন্তানের অভিভাবকত্ব পাননি। সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের এক আদেশে সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পান আজমেরী হক বাঁধন। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।  এদিন নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতেও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।  অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর ১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারও পক্ষে সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই। আইনের এই ধারাটি সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা এক রুলে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।  আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তার সন্তানের অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব পাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, এটা  অনেক বড় একটা অর্জন। এই একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। উচ্চ আদালতের এই রুল জারির খবরে দারুণ খুশি বাঁধন। তিনি বলেন, এই অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক তা চাই না। চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক তার সন্তানের ওপর। ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে।  সে সময় বাঁধন এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি।  সময়ের সঙ্গে বদলেছে তার অনুধাবন শক্তি। বুঝতে পেরেছেন এ রায়ের গুরুত্ব।  বাঁধন বলেন, আদালত যখন রায়টি দিয়েছিলেন, সে সময় এর গুরুত্ব ততটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চার সব দেখভাল আমিই করতাম, তাহলে আমি কেন তার অভিভাবক হতে পারব না। সন্তানের দায়িত্ব তার বাবা কখনো পালন করেনি। এমনকি আদালতে সেটা প্রমাণও করতে পারেনি। আর তাই আদালত অভিভাবকত্বের ভার আমার ওপরেই দিয়েছিলেন। অভিভাবকত্ব আইন নিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, সন্তানের অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে বাবা বেঁচে থাকতে কখনো মাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয় না। যদি বাবা না পান সে ক্ষেত্রে দাদা-চাচা, এমনকি নানা-মামারা অভিভাবকত্ব পান। অনেক পরে আসে মায়ের নাম। যে কারণে আমারটা ব্যতিক্রমী একটা রায় ছিল। বাঁধন বলেন, আমাদের প্রচলিত আইনে একটা লুপ হোল কিন্তু আছে, মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে, তবে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে সেটা খুবই কঠিন। কাস্টডি আর অভিভাবকত্ব এক নয়। অভিভাবকত্ব সম্পূর্ণ আলাদা একটা বিষয়। আমাদের আইনে বাবা ন্যাচারাল গার্ডিয়ান, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মায়ের অস্তিত্ব নেই আসলে। এসব জায়গায় অনেক সংশোধনী আনা প্রয়োজন বলে আমার মনে হয়। পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া সায়রা এখন বুঝতে শিখেছে। সারাক্ষণ থাকে মায়ের আশেপাশেই। সময় পেলে মা-মেয়ে একসঙ্গে ঘুরে বেড়ায় দেশ-বিদেশও। মায়ের এই অর্জন নিয়ে মেয়ের কোনো ধারণা আছে? বাঁধন বলেন, সায়রার অত ধারণা নেই। সে শুধু জানে তার মা তাকে কাছে রাখার জন্য লড়াই করেছে এবং জিতেছে। সঙ্গে এটাও জানে, তার মা একজন ফাইটার। 
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১০

ফের মামুনুল হকের তিন মামলায় জামিন 
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ধর্ষণ মামলায় জামিন পাওয়ার পর হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক ফের তিন মামলায় জামিন পেয়েছেন। এসব মামলা রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল থানায় বিভিন্ন সময় হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছন মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন। ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। পরে ওই রিসোর্ট ভাঙচুর করে মামুনুলকে ছিনিয়ে নেন তার অনুসারীরা। একই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। এ ঘটনার ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী। একই বছরের ৩ নভেম্বর মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পুলিশ। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় জামিন না পাওয়ায় এখনই তিনি কারামুক্ত হতে পারছেন না। তবে এসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন। 
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৫

মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন অভিনেতা রুমি
বরগুনায় মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা অলিউল হক রুমি। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।     সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে রুমির মরদেহ বরগুনা পৌরসভার পিটিআই সড়কে ভাইরের বাসায় পৌঁছায়। প্রিয় অভিনয় শিল্পীকে এক নজর দেখতে ভিড় করেন তার স্বজনরা। পরে পৌনে ছয়টায় বরগুনার শহীদ আবুল হোসেন ঈদগাহ মাঠে তার দ্বিতীয় জানাজা শেষে বরগুনা পৌর গণকবরে তার মায়ের কবরের পাশে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এসময় তার সহকর্মী রাশেদ সিমান্ত, শফিক খান নীলুসহ তার সহকর্মী শিল্পীবৃন্দ, আত্মীয় স্বজনসহ স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ভোর ৩টা ৫৮ মিনিটে ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এরপর সকাল ৯টায় রাজধানী শহীদবাগ জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা সম্পন্ন করে মরদেহ বরগুনা পৌর শহরের পিটিআই সড়কে ছোট ভাই জিয়াউল হক জুয়েলের বাড়িতে আনা হয়।  বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায় জন্ম রুমির। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক ও মা হামিদা হক। পরিবারে তিন বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে রুমি মেজো। ভাইদের মধ্যে তিনি বড়। রুমির দুই সন্তান। মেয়ে আফরা আঞ্জুম রুজবা স্বামী সন্তান নিয়ে থাকেন কানাডায়। আর ছেলে ফারদিন হক রিতম একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি লেখাপড়া শেষ করেছেন। অভিনয়ে তিন দশকের বেশি সময় পার করেছেন রুমি। দীর্ঘ এ পথচলায় অভিনয় করেছেন অসংখ্য নাটক ও সিনেমায়। ১৯৮৮ সালে রুমির অভিনয়ের শুরু থিয়েটার বেইলি রোডের ‘এখনো ক্রীতদাস’ নাটকের মধ্য দিয়ে। একই বছর ‘কোন কাননের ফুল’ নাটকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তার। টেলিভিশনের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। ২০০৯ সালে ‘দরিয়া পাড়ের দৌলতী’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হয় অলিউল হক রুমির। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটক হলো, ‘ঢাকা টু বরিশাল’, ‘আমেরিকান সাহেব’, ‘জার্নি বাই বাস’, ‘বাকির নাম ফাঁকি’, ‘যমজ সিরিজ’, ‘কমেডি ৪২০’, ‘চৈতা পাগল’, ‘জীবনের অলিগলি’, ‘মেঘে ঢাকা শহর’ ইত্যাদি। রুমির মৃত্যুতে শোবিজ পাড়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫১

অভিনেতা রুমির মৃত্যুতে ফেসবুক যেন শোক বই
ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ অলিউল হক রুমি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুর খবরে ফেসবুক যেন হয়ে উঠেছে এক শোক বই। টাইমলাইনজুড়ে হাহাকার, রুমি ভাই আর নেই! জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী লিখেছেন, ‘ভেবেছিলাম একটু সুস্থ্য হয়ে ওঠেন, আপনাকে দেখতে যাবো। আর দেখা হলো না। এ কেমন বিদায় রুমি ভাই! নিয়তির কাছে সকলেই হার মানে, মানতে হয়। তবে আপনি একটু তাড়াতাড়িই চলে গেলেন। অন্যলোকে শান্তিতে থাকুন রুমি ভাই। শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।’ অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে রুমির একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় মুখ অলিউল হক রুমি ভাই কিছুক্ষণ আগে মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’ অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি লিখেছেন, ‘চলে গেলেন রুমি ভাই! মৃত্যুটা কত সহজ, জীবনটাই অনেক বেশি কঠিন। এই প্রথমবার, এমন খবর শুনে, সবাইকে জানাবার জন্য লিখতে যেয়ে, লিখলাম আর মুছলাম অসংখ্যবার! আপনার ছবির সাথে কোন ভাবেই ‘শেষ বিদায়’ এর কিছু লিখতে পারছিলাম না রুমি ভাই! সব সম্ভব! মাত্র দেড়/ দুই মাস, সব চেষ্টা শেষ হল! কোন ভাবেই ঠেকানো গেল না কিছু! আপনার পরিবারকে আল্লাহ এ শোক কাটিয়ে উঠার শক্তি দিক, এ প্রার্থনা করি। পরপারে চির শান্তিতে থাকবেন।’ অভিনেত্রী রোজী সিদ্দিকী লিখেছেন, ‘আহা রুমি ভাই। বিদায় বন্ধু সহযাত্রী। আল্লাহ পাক আপনাকে বেহেস্ত নসীব করুন।’ অভিনেতা সাজু খাদেম একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘রুমি ভাই...চলেই গেলেন?’ একটি সেলফি পোস্ট করে অভিনেত্রী ফারজানা চুমকি লিখেছেন, ‘রুমি ভাই শেষ পর্যন্ত চলেই গেলেন। ভালো থেকেন ওপারে। আমার জন্মদিনের প্রথম যে ফোনটি আসতো সেটা আপনার ফোন। সেই কল টি আর আসবে না। সাব্বির এর সাথে কতো অভিমান কে করবে রুমি ভাই। ক্ষমা করেন ভাই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’  দুঃখের ইমোজি দিয়ে অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ লিখেছেন, ‘রুমি ভাই...’ প্রয়াত অলিউল হক রুমির একটি ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘রুমি ভাই....ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’ কালো রঙের ব্যাকগ্রাউন্ড দিয়ে অভিনেত্রী শারমিন জোহা শশী লিখেছেন, ‘রুমি ভাই…যাত্রা শুভ হোক।’ একটি সেলফি পোস্ট করে অভিনেতা আমিন আজাদ লিখেছেন, ‘না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রিয় বন্ধু, আমার দীর্ঘদিনের একসাথে পথ চলার সাথী জনপ্রিয় অভিনেতা অলিউল হক রুমি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।  ওপারে ভালো থেকো বন্ধু।’
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৬

অভিনেতা অলিউল হক রুমি আর নেই
ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ অলিউল হক রুমি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে রুমির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় মুখ অলিউল হক রুমি ভাই কিছুক্ষণ আগে মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’ জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কোলন ক্যানসারে ভুগছিলেন অলিউল হক রুমি। চিকিৎসা নিতে ভারতের চেন্নাইয়েও যান। সেখান থেকে ফিরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।  ১৯৮৮ সালে ‘এখন ক্রীতদাস’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয়ে যাত্রা শুরু হয় রুমির। পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটক হলো—‌‘ঢাকা টু বরিশাল’, ‘আমেরিকান সাহেব’, ‘জার্নি বাই বাস’, ‘বাকির নাম ফাঁকি’, ‘যমজ সিরিজ’, ‘কমেডি ৪২০’, ‘চৈতা পাগল’, ‘জীবনের অলিগলি’, ‘মেঘে ঢাকা শহর’ ইত্যাদি।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩১

পাঁচ বছর আওয়ামী লীগকে ঘুমাতে দেব না : চুন্নু
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হয়, সেই কাজটা সংসদের মাধ্যমে আমি করছি। আপনারা আমার ওপর আস্থা রাখেন, পাঁচটা বছর আওয়ামী লীগকে ঘুমাতে দেব না। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে পাটজাত পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারক কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সদস্য শফিউল আলম জনির দেওয়া উপজেলাবাসীর জন্য ফ্রি  অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, হতে পারি আমরা সংখ্যায় কম। সংসদে বিরোধীদলের সদস্য সংখ্যা ৫০ বা ৬০ জন হলে কি হবে, যদি তারা কথা বলতে না পারে। বঙ্গবন্ধুর সময় বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মতো একজনই সংসদ কাঁপিয়ে রাখত। তাই বিরোধীদলের সংসদ সদস্যের সংখ্যাটা বড় বিষয় নয়, কথা বলাটা বড়। কথা বলতে পারলে দুই-চার-পাঁচজনই যথেষ্ট। তিনি বলেন, বিদ্যুতের নামে ৯০ হাজার কোটি টাকা জরিমানা দিয়েছে, কেন দিল, কেন বিদ্যুৎ নাই- এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে জবাব দিতে বাধ্য করেছি। তিনি আমার প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য হয়েছেন। করিমগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন বাবলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন করিমগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হাজী মুসলেহ উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন, সমাজসেবক রফিকুর রহমান রফিক, আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য আমিরুল ইসলাম খান বাবলু, করিমগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র হাজী আব্দুল কাইয়ূম, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রিয়াদ শাহেদ রনি প্রমুখ।  
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩৬

ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন হেফাজত নেতা মামুনুল হক
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।  জামিন শুনানির সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন মামুনুল হক। আদালতে তার পক্ষে জামিন আবেদন করে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রকিবউদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। পরে ওই রিসোর্ট ভাঙচুর করে মামুনুলকে ছিনিয়ে নেন তার অনুসারীরা। একই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।  এ ঘটনার ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী। একই বছরের ৩ নভেম্বর মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পুলিশ।   
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১০

১৮ বছর পর এক ফ্রেমে বাঁধন-মম
‘লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ২০০৬ সালে শোবিজে পা রাখেন আজমেরি হক বাঁধন ও জাকিয়া বারি মম। প্রায় ১৮ বছর পর আবারও এক ফ্রেমে বন্দি হলেন এই দুই অভিনেত্রী। জানা গেছে, ‘মাস্টার’ নামে একটি সিনেমায় দেখা যাবে বাঁধন-মমকে। এটি নির্মাণ করেছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত। যিনি ইতোমধ্যে ‘নোনা জলের কাব্য’ সিনেমাটি বানিয়ে দেশে-বিদেশে সমাদৃত হওয়ার পাশাপাশি পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কারও। সিনেমাটি নিয়ে দেশের এক গণমাধ্যমে বাঁধন জানান, তিনি ও মম কেউই সিনেমাটির প্রধান চরিত্র নন। প্রধান চরিত্র অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান। তবে তাদের চরিত্রটিও গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই কাজটার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছে দুজনের। অভিনেত্রী বলেন, আমি এখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের একটা চরিত্র করেছি। একটা ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। পরিচালক থেকে পুরো টিম দারুণ। এত গোছানো টিমের সঙ্গে কাজ করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। আপাতত মমর চরিত্র নিয়ে তেমন কিছু জানা যায়নি। তবে শুটিং শেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টিমের দুটি ছবি শেয়ার করে সিনেমার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন নির্মাতা সুমিত। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন— আমার নতুন পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘মাস্টার’র চিত্রগ্রহণ শেষ হলো গতকাল! মধুপুর এবং ধনবাড়ীর মানুষের নিরলস শ্রম, অকুণ্ঠ সমর্থন ও ভালোবাসা ছাড়া কোনোভাবেই সিনেমাটি নির্মাণ সম্ভব হতো না। টানা দেড় মাসের শুটিংকালে নতুন করে ব্যক্তিগতভাবে মধুপুর এবং ধনবাড়ীকে চিনেছি আমি। এখানকার অপরিসীম সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য নতুনভাবে উপলব্ধি করেছি এবং প্রতিনিয়ত চেষ্টা করেছি এই জনপদের নানা দিক ক্যামেরায় ধারণ করতে। সামনে চেষ্টা থাকবে বিশ্ববাসীর কাছে এই গল্প, চরিত্র, ইমেজগুলোকে পৌঁছে দেওয়ার।  পুরো টিমকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও লেখেন, সিনেমাটি নির্মাণে যারা কাজ করেছে ক্যামেরার সামনে কিংবা পেছনে থেকে, তাদের ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই।  সবাই মিলে যেন একসঙ্গে বড় পর্দায় সিনেমাটি উপভোগ করতে পারি সেই কামনা করছি। প্রসঙ্গত, নাসির উদ্দিন, বাঁধন, মম ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন— শরীফ সিরাজ, তাসনুভা তামান্না, আমিনুর রহমান মুকুল, মাহমুদ আলম, ফজলুর রহমান বাবুসহ অনেকেই।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১৯

নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন মুমিনুল হক
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ টাইগারদের টপ অর্ডার। তবে ব্যাট হাতে একাই লড়াই করেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুমিনুল হক। সিলেট টেস্টের পর চট্টগ্রামেও রান পেয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। সেই সঙ্গে টেস্টে চার হাজার রানের এলিট ক্লাবে প্রবেশ করেছেন মুমিনুল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের আগে ৬০ ম্যাচের ১১২ ইনিংসে ৩৯৭৫ রান ছিলো মুমিনুলের। ৪ হাজার রান থেকে  ২৫ রান দূরে ছিলেন তিনি। টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩৩ রান করেন মুমিনুল। এই ইনিংস খেলার পথে টেস্ট ক্যারিয়ারে ৪ হাজার ক্লাবে নাম লেখান তিনি। মুমিনুলের আগে বাংলাদেশের হয়ে ৪ হাজার রান ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন মুশফিকুর রহিম (৫৬৭৬), তামিম ইকবাল (৫১৩৪) ও সাকিব আল হাসান (৪৪৬৯)। এ ছাড়াও বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে টেস্টে লঙ্কানদের বিপক্ষে ১ হাজার রান পূর্ণ করেন মুমিনুল। এর আগে মুশফিকুর রহিম (১৭ টেস্টে ১৩৪৬ রান) এবং মোহাম্মদ আশরাফুল (১৩ টেস্টে ১০৯০ রান) এই তালিকায় নাম তোলেন। ২০১৩ সালের মার্চে গল টেস্ট দিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক হয় মুমিনুলের। এখন পর্যন্ত ৬১ টেস্টের ১১৩ ইনিংসে ১২টি সেঞ্চুরি ও ১৭টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৩৮ দশমিক ৫৩ গড়ে ৪০০৮ রান করেছেন তিনি। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড মুমিনুলেরই।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫৫

ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে অভিনেতা রুমি
অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি। দূরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। বর্তমানে রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক অভিনেতা রওনক হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত রুমি। ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সিসিইউতে আছেন। দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এই অভিনেতা। ১৯৮৯ সালে থিয়েটার বেইলী রোডে ‘এখন কৃতদাস’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার যাত্রা শুরু। একই বছর ‘কোন কাননের ফুল’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে টেলিভিশনে অভিষেক হয় তার। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। নির্মল পারিবারিক গল্প বা হাস্যরসে প্রাণ ভরিয়ে দেওয়ার মতো অভিনয়ে অনবদ্য তিনি। অভিনয় ক্যারিয়ারে ৫ শতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন রুমী। রুমি অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো— ‘জমজ ৫-১০’, ‘সাজেশন সেলিম’, ‘বোকাসোকা তিনজন’, ‘জার্নি বাই বাস’, ‘বাকির নাম ফাঁকি’, ‘কমেডি ৪২০’, ‘প্রেসিডেন্ট সিরাজউদ্দৌলা’, ‘আকাশ চুরি’ প্রভৃতি।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়