• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘দাদাগিরি’, ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর শুটিং সেটে ভয়াবহ আগুন
ওপার বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘দাদাগিরি’, ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ ও ‘সারেগামাপা’র শুটিং সেটে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজারহাটের ডিআরআর স্টুডিওতে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডে অল্প সময়ের মধ্যেই ভস্মীভূত হয়েছে মেকআপ ভ্যানগুলো। এর আগে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মেকআপ ভ্যানে আগুন লাগে। সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। পাশের একটি টিন শেডেও পৌঁছে যায় তা। মেকআপ ভ্যানের এসি থেকেই এই আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।  এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও জানা যায়নি। আগুন লাগার বিষয়টি বুঝতে পারা মাত্রই স্টুডিওর কর্মীরা পাশের জলাশয় থেকে পানি এনে নেভানোর চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌঁছে যান। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইঞ্জিন পৌঁছাতে পৌঁছাতে স্টুডিওর মেকআপ ভ্যান দুটি ভস্মীভূত হয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ঘটনাস্থলে দেরিতে পৌঁছানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। ফলে উত্তেজনা ছড়ায়। আপাতত ঘটনাস্থলে রাজারহাট থানার পুলিশ রয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে এদিনই স্টুডিওটিতে শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল ‘সারেগামাপা’র। এ ব্যাপারে অনুষ্ঠানটির পরিচালক অভিজিৎ সেন বলেন, আমি মাত্রই দিল্লি থেকে ফিরেছি। এ জন্য এখনই কিছু বলতে পারছি না।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৮

তিন বছর পর আবারও চালু হচ্ছে মোবাইল ফোন নিবন্ধন
প্রথমবার চালুর ঠিক তিন বছর পর আবারও চালু হচ্ছে মোবাইল ফোন সেট নিবন্ধন (এনইআইআর) ব্যবস্থা। সরকার ২০২১ সালের ১ জুলাই প্রথমবারের মতো এই ব্যবস্থা চালু করে। সে সময় অনেক মোবাইল ফোন সেট নিবন্ধনও করা হয়। কিন্তু কিছুদিন চালু থাকার পর এই ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন আবারও মোবাইল ফোন সেটের নিবন্ধন চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এনইআইআর পদ্ধতি চালুর পর দেশে অবৈধ মোবাইল ফোন প্রবেশের সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে গিয়েছিল। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছিল দেশের মোবাইল ফোনের উৎপাদকদের মাঝে। ফোন সেট নিবন্ধনের আগে গ্রে মার্কেটের (অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করা মোবাইল) পরিধি মোট মোবাইল বাজারের অর্ধেক ছাড়িয়ে গিয়েছিল (৫৩ শতাংশ)। কিন্তু এই পদ্ধতি চালু হলে দেশে তৈরি এবং বৈধ চ্যানেলে আসা মোবাইল ফোন কিনতে বাধ্য হন ক্রেতারা। হঠাৎ প্রায় শূন্য হয়ে যায় গ্রে মার্কেট। এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র স্পেক্ট্রাম ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কমিশনার শেখ রিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আগামী ১ জুলাই থেকে মোবাইল ফোন সেট নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু হবে।’ প্রসঙ্গত, গত ২৩ জানুয়ারি বিটিআরসিতে এক মতবিনিময় সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘স্থানীয় উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও রফতানি বৃদ্ধি, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিবন্ধিত ও বৈধ মোবাইল ফোন ছাড়া কেউ যেন অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার না করতে পারেন। এজন্য ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকর করতে হবে।’ টেলিকম খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কিছুকাল আগেও দেশে মোবাইল ফোন সেট বিক্রির সংখ্যা ছিল বছরে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি। বর্তমানে ২ কোটির কিছু বেশি মোবাইল ফোন বিক্রি হয়। দেশে মোবাইল ফোনের উৎপাদন আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। ক্ষেত্র বিশেষে তা অর্ধেকে নেমেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গ্রে মার্কেট সেই জায়গাটা দখল করেছে বলে অভিযোগ তাদের। তারা মনে করছেন, এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে দেশের মোবাইল শিল্পটা একটা টেকসই রূপ পাবে।  জানা যায়, এনইআইআর চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথমবার চালুর সময় যেসব নিয়ম-কানুন মেনে চলা হয়েছে, যেমন- মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের নিবন্ধনের আগে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, ব্যবসায়ীদের সময় দেওয়া হয়েছে, বিদেশ থেকে ফোন আনার ক্ষেত্রে ব্যাগেজ রুলস অনুসরণ করা হয়েছে এবং বিদেশ থেকে উপহার পাওয়া ফোনের ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম ছিল, সেসব এবারও থাকবে কি না—থাকলে কতটা থাকবে, নতুন আরও কী বিষয় যুক্ত হবে, এখন তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে মোবাইল ফোন সেট বৈধ নাকি অবৈধ, তা যাচাইয়ের জন্য বিটিআরসি গ্রাহকের জন্য একটি পদ্ধতি চালু করবে বল জানা গেছে। প্রথমবার এনইআইআর সিস্টেম চালুর জন্য বিটিআরসি সিনেসিস আইটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল।   
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৩

শিগগিরই বন্ধ হচ্ছে অনিবন্ধিত মোবাইল সেট
সরকারের রাজস্ব আহরণ নিশ্চিত করা এবং ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের চুরি ও অবৈধ ব্যবহার রোধে অনিবন্ধিত মোবাইল সেট বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এটি বাস্তবায়ন করা হবে। রোববার (২১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের পরিচালক ড. মো. সোহেল রানার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিটিআরসির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র ও নিবন্ধিত সিম কার্ডের সঙ্গে ট্যাগিং করে প্রতিটি মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। সরকারি সেবা গ্রহণ, প্রদান নিশ্চিত করা, অবৈধভাবে উৎপাদিত, আমদানি করা মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ করার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আহরণ নিশ্চিত করা এবং ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের চুরি ও অবৈধ ব্যবহার রোধ করার উদ্দেশ্যে বিটিআরসি এনইআইআর এর কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, অতি শিগগিরই অবৈধ মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে। সেজন্য, সবাইকে মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে বৈধতা যাচাই করে কেনার জন্যও বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কার্যালয়ে নিবন্ধনহীন সব মোবাইল ফোনসেট বন্ধের (নিষ্ক্রিয়) পদক্ষেপ নিতে বিটিআরসিকে নির্দেশনা দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ‌্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সেই সাথে দেশে উৎপাদিত, সংযোজিত এবং আমদানি করা মোবাইল সেটের ডাটাবেজ ও স্বয়ংক্রিয় নিবন্ধনের ব্যবস্থা বিটিআরসিতে রয়েছে বলেও জানান তিনি।   উল্লেখ্য, মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে মেসেজ অপশন থেকে KYD<space> ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বর লিখে (উদাহরণ- KYD 123456789012345) ১৬০০২ নম্বরে পাঠানোর মাধ্যমে হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাই করা যাবে।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়