• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সরকার পতনে সবাই আন্দোলনের জন্য একাত্ম হচ্ছে: মঈন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ক্ষমতাসীন সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ষড়যন্ত্র করছে না, বরং আন্দোলনে একাত্ম হচ্ছে। শনিবার (৪ মে) শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদেন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। ওলামা দলের নবগঠিত কমিটির উদ্যোগে জিয়ার কবরে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়। গত বৃহস্পতিবার (২ মে) গণভবনে থাইল্যান্ড সফরের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অতিবাম আর অতিডান মিলে সরকার উৎখাতের চেষ্টা করছে। দেশে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া যারা তারা, আর কিছু বুদ্ধিজীবী অনবরত গিবত গাইছে। তাদের মূল লক্ষ্য সরকার উৎখাত। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে মঈন খান বলেন, ক্ষমতাসীন সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ষড়যন্ত্র করছে না। বরং আন্দোলনে একাত্ম। ডান-বাম সবাই প্রকাশ্যে বলছে, এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা প্রহসনের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন হয়েছে। সে জন্যই সরকার জনগণকে ভয় পায়। কারণ, জনগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য শত শত বছর ধরে আন্দোলন করেছে। আবারও তারা যেকোনো স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াবে। আব্দুল মঈন খান বলেন, বিএনপির এই আন্দোলন ক্ষমতায় যেতে নয়, ক্ষমতা কাঠামোর পরিবর্তনের জন্য। তাই বিএনপি সেই লক্ষ্যে রাজপথে আছে এবং রাজপথে থাকবে। তিনি আরও বলেন, আজকে দেশের মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার, ভোটাধিকার নেই। এখানে নারী শ্রমিকদের অধিকার নেই। সরকার সব হরণ করেছে। এগুলো ফিরিয়ে আনতে হলে দেশে নতুন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাতা করতে হবে। সরকার দেশে মানুষের লাখো কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে বলে দাবি করেন মঈন খান। তিনি বলেন, সরকার দেশের মানুষের সম্পদকে দলীয় মুষ্টিমেয় কিছু লোকের হাতে তুলে দিয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবেদিন ফারুক, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, ওলামা দলের সাবেক আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, ওলামা দলের নতুন আহ্বায়ক মাওলানা কাজী মো. সেলিম রেজা, সদস্য সচিব মাওলানা আবুল হোসেন প্রমুখ।
০৪ মে ২০২৪, ১৪:৫৬

‘আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে’
জনপ্রিয় পরিচালক রায়হান রাফির নতুন ওয়েব সিনেমা ‘অমীমাংসিত’। সম্প্রতি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার সিনেমাটি প্রদর্শনযোগ্য নয়। পেছনে দেখিয়েছে ছাড়পত্র না দেওয়ার চারটি উল্লেখযোগ্য কারণও।  সেগুলো হলো— (১) চলচ্চিত্রটিতে নৃশংস খুনের দৃশ্য রয়েছে (২) কাল্পনিক কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তবতার সঙ্গে মিল রয়েছে  (৩) এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন (৪) চলচ্চিত্রটির কাহিনি-বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সঙ্গে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে পারে এবং তদন্তে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।  এমন সিদ্ধান্তের পর ফুঁসে উঠেছেন নির্মাতাদের অনেকেই। বিশেষ করে সিনেমাটির পরিচালক রায়হান রাফি নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন এক প্রতিক্রিয়া। রায়হান রাফি লিখেছেন, ‘বাস্তবের সঙ্গে মিলে গেছে, তাই এটা মুক্তি দেওয়া যাবে না। সিনেমা হতে হবে অবাস্তব। ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সেন্সর বোর্ডে আটকে দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিষয়টা তাহলে এমন, কোনো সিনেমায় কোনো সাংবাদিক দম্পতি খুন হতে পারবে না? কাল্পনিক কাহিনি উল্লেখ করার পরেও যদি কোনো ঘটনার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে ব্যাপারটা এমন, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাইনা টাইপ।’ বেশ কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও লিখেছেন, ‘তাহলে কি সিনেমায় কোনো মেয়ে গুম হয়ে খুন হলে, তা কুমিল্লার তনুর সঙ্গে মিলানো হবে? সিনেমায় কোনো কিশোরের লাশ নদীতে পাওয়া গেলে, তার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের ত্বকী হত্যাকাণ্ড মিলানো হবে?’ সিনেমা আটকে দেওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক, মন্তব্য করে রাফি আরও লিখেছেন, ‘অমীমাংসিত’ সিনেমায় কোনকিছুই প্রমাণ করা হয়নি। জাস্ট বিভিন্ন জনের ধারণা দেখানো হয়েছিল। তারপরও এই সিনেমা আটকে দেয়াটা সত্যি দুঃখজনক। এই নির্মাতা আরও লিখেছেন, ‘সিনেমায় কোন খুন দেখানো যাবে না, কোন ধর্ষণ দেখানো যাবে না। কোনো অপহরণ দেখানো যাবে না, কোন গুম দেখানো যাবে না। আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে। এখানে কোন খুন হয় না, কোন গুম হয় না, কোন ধর্ষণ হয় না। এভাবেই হাত-পা বেঁধে সাতার কাটতে হবে আমাদের দেশের সিনেমাকে।’ ‘অমীমাংসিত’ সিনেমার মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ ও তানজিকা আমিন। এ ছাড়া রয়েছেন আরও কয়েকজন অভিনয়শিল্পী। তবে পোস্টার ও টিজারে তাদের মুখ কালো কাপড়ে ঢেকে রেখে নির্মাতা চেয়েছেন গল্পের রহস্য আরও ঘনীভূত করতে।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪১

‘আইপিএল থেকে মোস্তাফিজের শেখার কিছু নেই, তার থেকেই সবাই শিখবে’
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলমান আসরে বল হাতে দারুণ ছন্দে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তবে পুরো আইপিএলে খেলা হচ্ছে না ফিজের। জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সামনে রেখে আগেভাগেই দেশে ফিরতে হবে তাকে। কারণ, বিসিবি মনে করছে আইপিএল থেকে ফিজের শেখার কিছু নেই। বুধবার (১৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে এমন মন্তব্য করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। আইপিএল থেকে ফিজকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জালাল ইউনুস বলেন, আইপিএল থেকে মোস্তাফিজের শেখার কিছু নেই। তার শেখার সময় শেষ। বরং মোম্তাফিজের কাছ থেকেই আইপিএলের অনেক ক্রিকেটার শিখতে পারে। আমাদের দেশের জন্য যেটা ভালো হবে সেটাই করেছি। তিনি বলেন, আপনাদের কাছে মনে হবে এটি চার ওভারের খেলা। কিন্তু এটা অনেক কঠিন। ম্যাচ শেষে রাত ১-২টা পর্যন্ত বিমানবন্দরে ট্রাভেল করতে হয়। তারা চাইবে মোস্তাফিজের থেকে শতভাগ নিতে। তবে তার ফিটনেস নিয়ে এতো চিন্তা করবে না। কিন্তু আমাদের সেই চিন্তা আছে। মোস্তাফিজকে আইপিএলে থেকে ব্যাক করানোর কারণ হিসেবে এই বোর্ড পরিচালক বলেন, আমরা মোস্তাফিজকে ব্যাক করাচ্ছি শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য না। আমরা তাকে বিশ্রাম দিয়েই খেলাবো। তাই আইপিএলে খেললে তারা সুবিধা পাবে, আমরা না। আর তার ওখানে (আইপিএলে) শেখার কিছু নেই। তবে বিশ্লেষকদের মতে জিম্বাবুয়ে মতো দুর্বল দলের সঙ্গে মোস্তাফিজকে খেলানোর থেকে আইপিএলে খেললেই ফিজের জন্য হবে ভালো হবে। কিন্তু এই ‍যুক্তির সঙ্গে একমত হতে পারেননি জালাল ইউনুস। তিনি বলেন, দেখুন জাতীয় দল আমরা ডিল করি। আমরা জানি বিষয়গুলো। আপনারাও জানেন যে আগে জাতীয় দল। ‘২০২১ সালেও আইপিএলে খেলেই কিন্তু বিশ্বকাপে গিয়েছিল দুইজন ক্রিকেটার। সেই সময় তারা সম্পূর্ণ ফিট ছিল না। তারা নিজেরাই বলেছে। তাই আমরা এমন পরিস্থিতে পড়তে চাই না। সে সম্পূর্ণ ফিট না থাকলে সেরাটা দিতে পারবে না। তাই আমরা তাকে ব্যাক করাচ্ছি যাতে সে দলের সঙ্গে থাকতে পারে। সবার সঙ্গে এক হতে পারে। কারণ, এরপরেই তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলবে।’ এবারের আইপিএলে মেস্তাফিজের অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছিল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। পরবর্তীতে তাকে আরও একদিন বেশি থাকার সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।  আগামী ১ মে নিজেদের দশম ম্যাচ খেলতে নামবে চেন্নাই। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে অনুষ্ঠিতব্য ওই ম্যাচটিতে খেলতে পারবেন মোস্তাফিজ। সব ঠিক থাকলে সে ম্যাচটি খেলে ২ মে বাংলাদেশে ফিরবেন তিনি।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৩

মস্কো হামলায় জড়িত সবাই শাস্তি পাবে : পুতিন
মস্কোর ক্রোকাস সিটি কমপ্লেক্সে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শনিবার (২২ মার্চ) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। পুতিন বলেন, সব হামলাকারীকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই হামলার পেছনে যারাই রয়েছে তাদের সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, হামলাকারীরা ইউক্রেনের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এর ফলশ্রুতিতে সেদিকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে হামলাকারীদের সীমান্ত পার করে দিতে ইউক্রেনে একটি দল কাজ করছিল। ভয়াবহ ওই হামলাকে ‘বর্বর ও সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করে পুতিন বলেন, শত্রুরা আমাদের বিভক্ত করতে পারবে না। এর আগে, শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। তখন সেখানে একটি কনসার্ট চলছিল। বন্দুকধারীরা কনসার্ট হলে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। ভয়াবহ এই হামলায় এখন পর্যন্ত ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক। নিহতদের স্মরণে রোববার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে হামলার পরপরই ইসলামিক স্টেট- খোরাসান এর দায় স্বীকার করেছে। সূত্র : বিবিসি
২৩ মার্চ ২০২৪, ২০:৫৫

বিচ্ছেদের পর সবাই আমার সঙ্গে প্রেম করতে চায় : স্বাগতা
ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী জিনাত শানু স্বাগতা। চলতি বছর শুরুর দিকে বিয়ে করেছেন তিনি। বিয়ের পর প্রাক্তন ও বর্তমান স্বামীকে নিয়ে অনেক কথাই শুনতে হয়েছে তাকে। কিন্তু এসব কথা কানে না নিয়ে আপন গতিতে এগিয়ে গেছেন এই অভিনেত্রী। ব্যস্ত ছিলেন পরিবার ও কাজ নিয়ে। দুই মাস পর এবার মুখ খুললেন স্বাগতা। তিনি বলেন, এর আগেও ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। কারণ, ভালো না বেসে বিয়ে করে কারও সঙ্গে সংসার করা কঠিন। এটা আমার কাছে অসম্ভব। আমি ভালোবেসেই দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। আর আমার বিচ্ছেদ হয়েছে আইন মোতাবেক। মেয়েরা ডিভোর্স দিতে পারে। এটা আমার জীবন, আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি। জীবন কি সবসময় একরকম চলে? সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী আরও বলেন, এই সমাজে মেয়ে হয়ে একা থাকা কঠিন। যখন আমি একা থাকলাম, তখন দেখলাম, যার বয়স ১৬ সেও আমার প্রেমিক, আবার যার বয়স ৭০, সেও আমার প্রেমিক। এমন অনেকেই প্রেম করতে চায়। তখন দেখা গেল, আমার কাজের বাইরে প্রেমিক ঠেকানো একটা বাড়তি কাজ হয়ে দাঁড়াল। এটা তো আমি চাই না। কেন আমাকে নিয়ে এসব ভাবার সুযোগ দেব? তখন মনে হলো, আমার অভিভাবক লাগবে। এই জন্য আমি আবার প্রেমে পড়ি। পরে দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। প্রথম বিয়ের ৭ বছরের মাথায় বিচ্ছেদের পথ বেছে নিতে হয় স্বাগতাকে। সেই সংসারে মানসিক ও শারীরিকভাবে তাকে চাপের মধ্যেও থাকতে হয়েছে। যে কারণে একটা সময় বাধ্য হয়ে বিচ্ছেদের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাকে। আর অভিনয়শিল্পী হওয়ার কারণে প্রায়ই তাকে শুনতে হয় বিচ্ছেদ নিয়ে নানা কথা। কথাগুলো এমন- ‘তারকারা সংসার করতে পারে না’, ‘কেন সংসার ভাঙে’, ‘কেন তারকারা একের অধিক বিয়ে করে’ ইত্যাদি। বিভিন্ন সময় এমন প্রশ্ন মুখ বুজে সহ্য করলেও এবার চটেছেন এই অভিনেত্রী। স্বাগতা বলেন, আমি আমার স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে একমাত্র সেলিব্রিটি। আমার স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে সবার পরে আমার ডিভোর্স হয়েছে। আমার ক্লাসের ৮০ ভাগ মেয়ের ডিভোর্স হয়ে গেছে। তারা তো সেলিব্রিটি না। শুধু আমাদের সঙ্গে ঘটলেই আপনারা উল্টাপাল্টা মন্তব্য করেন। আপনাদের মন্তব্যের কারণে আমি সেলিব্রিটি হয়েও সাত বছর মার খেয়েছি, মা-বাবাকে নিয়ে যা ইচ্ছা তাই শুনেছি। তারপরও আমি সম্পর্ক থেকে বের হতে চাইনি। কারণ, আপনারা গালিগালাজ করবেন। কষ্ট করেও আমি সংসার করতে চেয়েছি। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমি কখনোই কথা বলিনি, বলতে চাইনি। আর ডিভোর্স নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলা বন্ধ করুন। যৌক্তিক কথা বলুন। না জেনে কারও ওপর দোষ চাপাবেন না।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৮

আমাকে এখন সবাই ট্রাক বলে ডাকে : মাহি
দ্বিতীয় স্বামী রকিব সকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বর্তমানে ছেলে ফারিশকে নিয়ে একাই থাকছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। পাশাপাশি কাজও করছেন তিনি। বর্তমানে বেশ কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই নায়িকা। নির্বাচনে হেরে যাওয়া, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ— বলা যায়, এসব নিয়ে বেশ ভেঙেই পড়েছিলেন মাহি। তবে সবকিছু সামাল দিয়ে কাজে মনোযোগী হয়েছেন তিনি।  সম্প্রতি ভালুকাতে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন মাহি। সেখানে স্টেজ পারফর্ম করেন তিনি। অনুষ্ঠানে মাহি বলেন, ট্রাকের নির্বাচন করতে করতে নিজের নামই ভুলে গেছি। আমাকে এখন সবাই ট্রাক বলে ডাকে। মঞ্চে পারফর্ম করার আগে উপস্থিত সবাইকে মাহি প্রশ্ন করেন— আপনারা সবাই কি আমাকে চেনেন? কী নাম আমার? জবাবে কেউ কেউ মাহিয়া মাহি বলে চিৎকার করেন। আবার অনেকেই তাকে ট্রাক ট্রাক বলে চিৎকার করতে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে মাহি বলেন, ট্রাকের নির্বাচন করতে করতে নিজের নামই ভুলে গেছি। এখন আমার নামও ট্রাক হয়ে গেছে। আজকে এখানে এসেছি শুধু ট্রাক মার্কার জন্য।  প্রসঙ্গত, চলতি বছরের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক মার্কায় নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন মাহি। তবে জয়ের মুখ দেখেননি এই নায়িয়া। বিপক্ষ দলের কাছে বিপুল ভোটে হেরে যান মাহি।   
১২ মার্চ ২০২৪, ১২:০৪

একসঙ্গে ৪ শিশুর জন্ম, সবাই সুস্থ
সিলেটে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ফৌজিয়া বেগম নামে এক নারী। মা ও চার শিশু সবাই সুস্থ রয়েছেন। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। শিশু চারটির বাবার নাম রুহুল আমিন। তাদের বাড়ি কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জে। একসঙ্গে চার সন্তান সুস্থভাবে জন্ম নেওয়ায় বাবা-মা দুজনেই অনেক খুশি। সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা মিনহাজ ফয়সাল জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫১ মিনিটে ফৌজিয়া বেগমকে প্রফেসর ডা. রাশিদা আকতারের তত্ত্বাবধানে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই অপারেশন করা হলে চারটি সন্তানের জন্ম হয়। পরে শিশু চারটিকে নবজাতক নিবিড় যত্ন ইউনিটে (এনআইসিইউ) রাখা হয়। বর্তমানে শিশু চারটি ও তাদের মা ফৌজিয়া বেগম সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে উইমেন্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০৫

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকার আগুনে নিহত সবাই বাংলাদেশি, ধারণা আইওএমের
লিবিয়া থেকে সাগরপথে ইউরোপ যাত্রাকালে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ৯ অভিবাসীর সবাই বাংলাদেশি বলে ধারণা করছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। এছাড়া ওই ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া ৪৩ জনের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানা গেছে।  নিহত ৯ জনের পরিচয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি উদ্ধার করা ২৬ বাংলাদেশিকে সহযোগিতার উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি টিম তিউনিসিয়ার উপকূল এলাকা জারজিসের উদ্দেশে রওনা করেছে। ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানান, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি লিবিয়া উপকূল থেকে ৫২ জনের একদল অভিবাসী সাগরপথে ইউরোপ যাওয়ার সময় তিউনিসিয়া উপকূলে তাদের বহনকারী নৌকাতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী নৌকাটি থেকে ৯ অভিবাসীর মরদেহ এবং ৪৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। যে ৯ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে তারা বাংলাদেশি বলে ধারণা করছে আইওএম। দূতাবাসের এ কর্মকর্তা জানান, জীবিত অবস্থায় উদ্ধার অভিবাসীদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমাদের দূতাবাসের একটি টিম ইতোমধ্যে জারজিসের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। তারা আইওএম ও রেড ক্রিসেন্টের সহায়তায় নিহত বাংলাদেশিদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি জীবিত বাংলাদেশিদের সহযোগিতা করবেন। নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া মাত্র দূতাবাস সবাইকে জানিয়ে দেবে। নিহত বাংলাদেশিদের দেশে ফেরানো ও উদ্ধারদের বিষয়ে দূতাবাসের করণীয় জানতে চাইলে এ কূটনীতিক বলেন, আগে পরিচয় নিশ্চিত হতে হবে। তারপর দূতাবাস সিদ্ধান্ত নেবে কী করা যাবে। আইওএমের তথ্যমতে, বিভিন্ন দেশের উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে গত বছর তিন হাজারের বেশি অভিবাসী মৃত্যুবরণ করেছেন ও নিখোঁজ হয়েছেন। ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ অবৈধ অভিবাসনের বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। লিবিয়া ও তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী তাদের ওপর নজরদারি জোরদার করেছে। ফলে বর্তমানে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাত্রা অত্যন্ত বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ।  
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩৪

‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সবাই মনোযোগ দিয়েছে, ফলও পেয়েছি’
‘এক ইঞ্চি জায়গাও ফাঁকা রাখবেন না’ প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনায় সবাই মনোযোগ দিয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমরা এর ফলও পেয়েছি। দেশে এখন খাদ্য ঘাটতি নেই। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে নগর কৃষিমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সবাই পতিত জমিতে শাক-সবজি চাষ করছে। এজন্য ইউক্রেন-রাশিয়া ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিনির যুদ্ধে কঠিন সময়েও দেশে খাদ্য ঘাটতি নেই। যদি খাদ্য ঘাটতি থাকতো, তাহলে আমরা কী অবস্থায় পড়তাম তা আপনারা নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারছেন। তিনি বলেন, আমার গিন্নিও ছাদ বাগান করে। সে মাঝে মধ্যে সুন্দর আম আমাকে উপহার দেয়। কিন্তু কিছুদিন আগে দেখি গাছগুলো মরে গেছে। আমি তাকে নতুন করে গাছ লাগাতে বললাম। কোনো জায়গা যেন অনাবাদী না থাকে, অন্তত সবজির চাষ যেন হয়। আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমাদের জমি কমতে থাকলেও, উৎসাহ কিন্তু কমেনি। কীভাবে স্বাবলম্বী হবো, কীভাবে আরও এগিয়ে যাব সেটাই আমাদের চিন্তা। সেজন্যই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫১

আলীরাজের জাদুতে মুগ্ধ সবাই
ম্যাজিক বা জাদু দেখে মুগ্ধ হননি এমন মানুষ পৃথিবীতে বিরল। এই উপমহাদেশে সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমল থেকে পিসি সরকার এবং জুয়েল আইচ পর্যন্ত অনেক জাদুকরেরা মুগ্ধ করেছেন কোটি মানুষকে। বহু বিবর্তনের পথ বেয়ে সমৃদ্ধ সেই ইতিহাসে বাংলার গতানুগতিক জাদুকে ভিন্ন আঙ্গিকে আধুনিক রূপে পরিবেশন করেছেন দেশের ম্যাজিক আইকন আলীরাজ।  শুক্রবার (২৬ জানুয়ারী) চট্টগ্রাম ক্লাব সুইমিংপুলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ক্লাব চট্টগ্রাম ৯৭-৯৯ আয়োজিত এক জাঁকজমক পূর্ণ অনুষ্ঠান। ‘ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলি নাইট ২০২৪’ নামের অনুষ্ঠানটিতে বিশেষ আকর্ষণ ছিল আলীরাজের চমকপ্রদ জাদু প্রদর্শনী।  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আলীরাজ ভিন্ন আঙ্গিকে শূন্য থেকে পতাকা, শূন্যে ভাসমান তরুণী, দ্বিখণ্ডিত তরুণী এবং তরুণীর অন্তর্ধানসহ বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় জাদু উপহার দেন। তার জাদু প্রদর্শনী উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। আলীরাজ বলেন, জাদু নিয়ে বিদেশের অনেক বড় বড় প্রোগ্রামে অংশ নিই। তবে দেশের মাটিতে পারফর্ম করা সবসময়ই আনন্দের। আর দর্শক যখন প্রতিটি মুহূর্তে তালি দিয়ে রেসপন্স করেন সেটা আমার কাছে অন্যতম এক প্রাপ্তি হয়ে আসে। আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। চমৎকার সাজসজ্জার অনুষ্ঠানে জাদু প্রদর্শনী শেষে সোলস ব্যান্ডের পার্থ, নাসিম আলী, কর্নিয়া এবং বেলি সংগীত পরিবেশন করেন।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:২২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়