• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এক যুগ পর যেভাবে মাকে ফিরে পেলেন সন্তানেরা 
জগুনা বিবি। বয়স এখন সত্তরের কোঠায়। তার বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার জাজিরা ইউনিয়নের ডেঙ্গর বেপারী কান্দি এলাকায়। ২০১১ সালে নিখোঁজ হন তিনি। এরপর আর সন্ধান মিলছিল না তার। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় মাঝেমধ্যে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে চলে যেতেন তিনি। পরিবারের সদস্যরা তাকে পুনরায় খুঁজে বাড়ি ফিরিয়ে আনতেন। তবে শেষবারের ঘটনাটি একটু ভিন্ন। এর আগে তাকে নিজ জেলার মধ্যে খুঁজে পাওয়া গেলেও, শেষবার কোথাও সন্ধান মিলছিল না লাল মিয়া বেপারীর স্ত্রী জগুনা বেগমকে। পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলেন হয়তো আর পাওয়া যাবে না। এভাবেই কেটে যায় দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময়। অবশেষে ফেসবুকের কল্যাণে খুঁজে পাওয়া যায় জগুনা বিবিকে। এরইমধ্যে বাড়িও ফিরেছেন তিনি।  গত রমজান মাসে জাজিরা উপজেলার মাসুদ রানা নামের এক যুবকের ফেসবুক আইডিতে কমেন্ট করেন আজিজুল শেখ নামের এক ব্যক্তি। যার বাড়ি ভারতের কলকাতায়। তিনি কমেন্টের মাধ্যমে জানান তার কাছে আট বছর ধরে বাংলাদেশের জাজিরার জগুনা নামের একজন বৃদ্ধা রয়েছেন। এরপর মাসুদ রানা জাজিরার কয়েকটি ফেসবুক গ্রুপে জগুনা বিবির ছবি দিয়ে তার পরিবারের সন্ধান চেয়ে পোস্ট করেন। আর সেখান থেকেই খোঁজ মেলে জগুনা বিবির পরিবারের। এরপর পরিবারের সদস্যরা কলকাতার আজিজুল শেখের সাথে যোগাযোগ করে গত ৩০ এপ্রিল কলকাতা থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন জগুনা বিবিকে। দীর্ঘদিন পর তাকে কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত পরিবারের সদস্যরা। জগুনা বিবির ছেলে জয়নাল বেপারী বলেন, আমার মা হারিয়ে যাওয়ার পর অনেক জায়গায় খোঁজ করেছি, কিন্তু পাইনি। ভেবেছিলাম মাকে আর খুঁজে পাবো না। পরে মাসুদ ভাইয়ের মাধ্যমে আমার মায়ের খোঁজ পাই। আমরা সাথে সাথে কলকাতার সেই ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে মায়ের পরিচয়পত্রসহ সকল প্রকার ডকুমেন্টস পাঠাই। উনি আমার মাকে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। আমি আমার মাকে পেয়ে অনেক খুশি।  জগুনা বিবিকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া যুবক মাসুদ রানা বলেন, ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট দেয়ার পর সেখানে আজিজুল শেখ নামের একজন কমেন্ট করেন। পরে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার নিয়ে কথা বলেন। তিনি জানান জাজিরা এলাকার জগুনা বিবি নামের একজন বৃদ্ধা তার কাছে আছেন। আমি তার সঙ্গে কথা বলে তথ্য নিয়ে প্রাণের জাজিরা নামের ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট দিলে জগুনা বিবির পরিবার আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে কলকাতার আজিজুল শেখের সঙ্গে তাদের কথা বলিয়ে দিই। জগুনা বিবি পাসপোর্টবিহীন ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, যদি কারো পাসপোর্ট হারিয়ে যায় বা কোনো কারণে কেউ পাসপোর্টবিহীন অন্য দেশে প্রবেশ করেন কিন্তু কোনো অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত না হয় এমন ব্যক্তিদের দুই দেশের সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে আউটপাস বা ট্রাভেলপাসের মাধ্যমে নিজ দেশে ফিরিয়ে আনা বা নেওয়া যায়। জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা গণমাধ্যমকে জানান, দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর জগুনা বিবিকে তার পরিবার ফিরে পেয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে। যদি জগুনা বিবি অসুস্থ থাকেন প্রয়োজনে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
০৩ মে ২০২৪, ১৪:২৫

কৌতুকাভিনেতা দিলদারের স্ত্রী ও সন্তানেরা কেমন আছেন?
আশি ও নব্বই দশকের জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা দিলদার। চলচ্চিত্রে যার উপস্থিতি মানে হাসি। তার অভিনয় দেখে দুঃখ ভুলেছেন কোটি কোটি দর্শক। পর্দায় তাকে দেখে হাসবেন না এমন দর্শক পাওয়া কঠিন। যতক্ষণ তিনি অভিনয় করবেন, ততক্ষণই মুগ্ধ হয়ে সবাই শুধু তাকেই দেখবেন। ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘হাসির রাজা’খ্যাত এই অভিনেতার শনিবার (১৩ জানুয়ারি) জন্মদিন।  দিলদারের জন্ম ১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুরে। এসএসসি পাস করার পর পড়াশোনা বাদ দিয়ে দেন এই অভিনেতা। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে ‘কেন এমন হয়’ ছবিতে অভিনয় দিয়ে অভিনেতা দিলদার চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন দিলদার।দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘শুধু তুমি’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘অজান্তে’, ‘প্রিয়জন’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘নাচনেওয়ালী’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় সব চলচ্চিত্র দিলদারের কৌতুক অভিনয়ে সমৃদ্ধ হয়েছে। দিলদারের স্ত্রী রোকেয়া বেগম থাকেন ডেমরা। দুই মেয়ের বাসায় প্রায়ই আসেন। মাসুমা আক্তার বলেন, আমরা আম্মাকে সব রকম স্বাধীনতা দিয়েছি। তিনি যেটা ভালো মনে করেন সেটাই। তিনি যদি মনে করেন আমাদের সঙ্গে থাকবেন, সেখানে কোনো বাধা নেই। তিনি মাঝেমধ্যে ঢাকায় আসেন, আবার ডেমরায় থাকেন—এটা বেশ পছন্দ করেন। তাঁর বয়স ৬৮ বছরের মতো হবে। এখনো তিনি নিজের মতো থাকেন। মা নিজের খরচও আমাদের কাছ থেকে নিতে চান না। অনেকেই মনে করেন দিলদারের স্ত্রী ডেমরা বাসায় একা থাকেন। তাঁর দেখার কেউ নেই—এসব সত্য নয় বলে জানালেন পরিবারের সদস্যরা।  পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে তিনি কাজ করেছেন দিলদার। অথচ এখন তার পরিবারের খোঁজ খবর নেয়না চলচ্চিত্রের কোন মানুষ। জন্মদিন ও মৃত্যু দিবস কোন প্রকার স্মরণ ছাড়াই চলে যায়। দিলদারকন্যা জিনিয়া জানান, আব্বা মারা যাওয়ার কয়েক বছর পরেও অনেকেই খোঁজ খবর রাখতেন। কিন্তু এখন মিডিয়ার কারও সঙ্গে যোগাযোগ নেই আমাদের। বিশেষ করে কৌতুক অভিনেতা আনিস আঙ্কেল বাবার অনেক কাছের বন্ধু ছিলেন। আমাদের সাথে তার পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। তিনি খোঁজ রাখতেন। তিনিও তো আর নেই। 
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়