• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
লোভনীয় অফার, অনলাইনে সক্রিয় প্রতারক চক্র
ঘরে বসে বাড়তি আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ডিজিটাল প্রতরণায় সক্রিয় হয়েছে বেশ কিছু চক্র। অনলাইনে আয়ের কথা বলে যারা মূলত গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সম্প্রতি এদের তৎপরতা বেড়েছে। অপরাধী সনাক্তে সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে শক্তিশালী করছে পুলিশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনলাইন প্রতরণার কবল থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে।  আপনি নির্বাচিত হয়েছেন, ঘরে বসে দৈনিক দেড় থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা আয় করুন! কিংবা কোনো বিদেশী ফোন করে লোভনীয় বেতনে কাজের অফার দেন। সম্প্রতি এমন ম্যাসেজ বা ফোন কল পাচ্ছেন অনেকে। অথচ এর পুরোটাই প্রতারক চক্রের কাজ। ভোলার মনপুরায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় বিভাগে কাজ করেন সাইফুল রহমান ইমন। গেল মাসে অনলাইনে আয়ের লোভনীয় অফারের ম্যাসেজ আসে তার ফোনে। প্রথমে সহজ কিছু কাজ করে পাঁচ/ছয়শো টাকা আয়ও করেন। তাদের বিশ্বাস করে প্রথমে দেড় হাজার ও পরে ধার করে আরও পনেরো হাজার টাকা জমা দেন তিনি। এরপর থেকেই তার টাকা ফেরত পাচ্ছেন না ইমন। প্রায় ২৮ হাজার টাকা প্রতারক চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে বলেন জানান তিনি। চক্রটির ফাঁদে পা দিয়ে আর্থিক ও সামাজিক ভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ইমনের মতো অনেকেই। সম্প্রতি সাইবার প্রতরণার এমন অভিযোগ বাড়লেও এখনও কাওকে শনাক্ত করতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। সাধারণ মানুষকে শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার প্রলোভন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ পুলিশের। এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের নতুন ডিসি মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘সাইবার ক্রাইম একটি ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম। ক্রাইমগুলো দেশের বাইরে থেকে সাধারণত হয়ে থাকে। সেই আসামিদের দেশে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে আইনগত অনেক জটিলতা রয়েছে। এ কারণে আসলে ভুক্তভোগীকেই আগে সচেতন হতে হবে। নিজের লোভকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’ প্রতারণা রুখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা ও সাধারণের সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা  ।  সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা বলেন, ‌‘প্রতারণার বিষয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করে আইনের কাছে সোপর্দ করতে গেলে যে ধরনের মানব সম্পদ এবং ডিজিটাল যন্ত্রপাতি পুলিশের দরকার তা সংখ্যায় কম আছে। আর সবচেয়ে বড় কথা প্রযুক্তিগত অপরাধ প্রযুক্তি দিয়েই মোকাবিলা করতে হবে।’
১০ ঘণ্টা আগে

বুয়েটে জঙ্গিরা সক্রিয় কি না খুঁজে বের করতে হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বুয়েটে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনার বিচারও হয়েছে। কিন্তু প্রগতিশীল রাজনীতি বন্ধের আড়ালে সেখানে নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী সক্রিয় হয়েছে কি না সেটি খুঁজে বের করতে হবে। সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বুয়েটে সাধারণ ছাত্ররা যে আন্দোলন করছেন সেটিকে সম্মান জানাই। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে একটি শ্রেণি বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়ায় পরিণত করতে চায়, সেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটি কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। বুয়েটে জঙ্গিবাদ ঢুকেছে কি না সেটিও দেখা দরকার। তিনি বলেন, বিরাজনীতিকরণের নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানাতে পারি না। বুয়েট থেকে দেশের অনেক বরেণ্য রাজনীতিবিদ পাস করেছেন। কিন্তু একটি গোষ্ঠী নির্বাচন বয়কট করেছিল এবং পরে বিদেশিদের মুখের দিকে তাকিয়েছিল যে কিছু হয় কি না। কিন্তু বিশ্বনেতারা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর ফলে তাদের সেই আশা পূরণ হয়নি। তারাই বুয়েটকে বিরাজনীতিকরণের মাধ্যমে পুরো দেশকে বিরাজনীতিকরণ করতে চায়। ‘ক্যাম্পাসের বাইরে রাজনীতি করার অপরাধে বুয়েট ছাত্রকে ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কার করার ঘটনা ঘটেছে- এটি কোন ধরনের সিদ্ধান্ত, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। ভারতের নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, সম্পাদক ফোরামের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, বাচসাস সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ প্রমুখ এতে অংশ নেন।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪২

ঈদ ঘিরে সক্রিয় অপরাধী চক্র, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে সক্রিয় হয়ে উঠছে অপরাধীরা। বিশেষ করে বাণিজ্যিক বা শপিং মল এলাকার অপরাধীরা ওঁৎ পেতে থাকে। সুযোগ পেলেই সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারী চক্র ছাড়াও চাঁদাবাজি, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির তৎপরতা বাড়ছে। আরেক গ্রুপ জড়িত জাল টাকার সাথে। ঈদে এই চক্র জাল টাকা ছাড়ানোর পাঁয়তারা করে। এ ব্যস্ত সময়ে কেনাকাটার ভিড়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠে জাল নোটের কারবারিরা। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ঠেকাতে এরইমধ্যে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। চাঁদাবাজি, অপহরণ, ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে চলছে কঠোর অভিযান। এরপরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অগোচরে ঘটে নানা অপরাধ। ডিএমপি বলছে, রাজধানীরর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির তৎপরতা ঠেকাতে মাঠে রয়েছে পুলিশ সদস্যরা। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিএমপি আরও বলছে, রাজধানীর বড় বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র, শপিং মলে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারিও। এমন কড়া নজরদারির মধ্যেও অপহরণ, ডাকাতি,  চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ে লিপ্ত হচ্ছে কিছু চক্র। তবে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে তারা। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার ও অতিরিক্ত ডিআইজি লিটন কুমার সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বড় বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র, শপিং মলে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসব এলাকা চিহ্নিত করে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের টহল টিমসহ বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। তিনি আরও বলেন, ছিনতাই ঠেকাতে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকায় অনেক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিবেদন দেখছি, যেখানে গ্যাপ রয়েছে সেগুলো ধরেও কাজ করছি। আমাদের বড় একটি অংশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ঈদকে ঘিরে যেন কোনও বিশৃঙ্খলা না হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ‌র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। ঈদে লোকজনের চলাচল বেড়ে যায়। অনেকে আগেভাগে গন্তব্যে পৌঁছাতে চায়। মার্কেটগুলোতে ভিড় হয়। সব কিছু মাথায় রেখে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে র‌্যাব। ‌ তিনি আরও বলেন, ঈদে জালনোটের কারবার যারা করে তাদের ওপর বিশেষ নজরদারি রাখছে র‌্যাব। ‌ র‌্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক অনলাইনে নজরদারি করছে। এছাড়া চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে সড়ক-মহাসড়কে কাজ করছে র‌্যাবের বিভিন্ন ইউনিট।
২৭ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৮

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতিরোধে সক্রিয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
দেশের সব সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি। ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতিরোধে সক্রিয় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কেউ যাতে জালিয়াতির আশ্রয় নিতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় নজরদারি করা হচ্ছে। গোয়েন্দা পুলিশের পাশাপাশি ডিএমপির সাইবার ইউনিটগুলোও এ বিষয়ে কাজ করছে। যেকোনো জালিয়াতি প্রতিরোধে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এদিকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা স্বচ্ছতার সঙ্গে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে  সম্প্রতি পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর।  চিঠিতে বলা হয়, দেশের সরকারি ১৮টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজসহ মোট ১৯টি ভেন্যুতে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিগত দিনে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কিছু কুচক্রীমহল, প্রতারক ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি কোচিং সেন্টারের নামে বা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা ব্যক্তিগতভাবে মেডিকেল কলেজে ভর্তির নিশ্চয়তা দেয়। এই কুচক্রীমহল, প্রতারক ও দুর্নীতিবাজরা অভিভাবকদের সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে স্বচ্ছ পরীক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অহেতুক হয়রানি ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়, এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা জাতীয়ভাবে অনুষ্ঠিত একটি সংবেদনশীল ও স্পর্শকাতর পরীক্ষা। এ জন্য সব কুচক্রী মহলের দিকে কড়া নজরদারি বৃদ্ধিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি বা প্রতারণা ঠেকাতে ইতোমধ্যে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন্স) নাসিয়ান ওয়াজেদ পুলিশের সবগুলো ইউনিটকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কেউ জালিয়াতির চেষ্টা করলে বা অর্থের বিনিময়ে ভর্তি করানোর আশ্বাস দেওয়া ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিপ্তর সূত্র জানায়, চলতি শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে বছর পাঁচ হাজার ৩৮০টি আসনে ভর্তির জন্য পরীক্ষা নেওয়া হবে। গতবারের তুলনায় এবার সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে এক হাজারের বেশি সিট বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে মোট ছয় হাজার ৩৪৮ আসন রয়েছে। চলতি বছর এমবিবিএস কোর্সে মোট ১১ হাজার ৭২৮টি শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য সুযোগ পাবেন। এর বাইরে আর্মড ফোর্স মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবেন ৩৭৫ জন শিক্ষার্থী।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়