• ঢাকা শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়ছে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণে কাজ আরও বাড়ানোর জন্য তথ্য চেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মনিষ চাকমার সই করা চিঠিতে বিভাগীয় পরিচালক ও জেলা শিক্ষা অফিসারদের কাছ থেকে তথ্য চাওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে মৌলিক শিক্ষা অবৈতনিককরণ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে বৃদ্ধি করে আট বছর অর্থাৎ ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে সারাদেশে ৬৯৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি চালু আছে। এতে আরও বলা হয়েছে, চালু করা ৬৯৬টি বিদ্যালয় ছাড়া জাতীয় শিক্ষা নীতি-২০১০ অনুসারে নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে মৌলিক শিক্ষা অবৈতনিককরণ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে বৃদ্ধি করে আট বছর অর্থাৎ ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে চালু করা বিদ্যালয় ছাড়া বিভাগগুলোর আওতাধীন জেলাগুলোয় আরও কী পরিমাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা যাবে, তার তথ্য নির্ধারিত ছকে আগামী ২ মে’র মধ্যে (ই-মেইল: [email protected]) পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
০১ মে ২০২৪, ১৭:৪০

‘লিপস্টিক’-এর হল সংখ্যা বৃদ্ধি, যা জানালেন আদর আজাদ
কামরুজ্জামান রোমান পরিচালিত ঈদের সিনেমা ‘লিপস্টিক’। এতে অভিনয় করেছেন আদর আজাদ ও পূজা চেরি। মুক্তির পর থেকেই সিনেমাটি নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। নতুন খবর হলো, ঈদের তৃতীয় সপ্তাহে এসে সিনেমাটির হলসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২-এ। আর এ নিয়ে দেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন সিনেমার চিত্রনায়ক আদর আজাদ। তিনি বলেন, তৃতীয় সপ্তাহে এসে ‘লিপস্টিক’-এর সিনেমা হলের সংখ্যা বেড়েছে। খুবই ভালো লাগছে। প্রথম যখন সিনেমার গল্পটা পড়ি, তখনই মনে হয়েছে দারুণ কিছু হবে। এই সিনেমা দেখতে দর্শক হলে যাবে। আদর আজাদ আরও বলেন, একটি সিনেমার প্রধান আকর্ষণ গল্প। দর্শক পছন্দ করবে, এমন রসদ আছে আমাদের ‘লিপস্টিক’-এ।  আর সে কারণেই হলমুখী হচ্ছে দর্শক। আমাদের টিমের এই আত্মবিশ্বাসটা ছিল, হল বাড়বে। এখন সেটাই হচ্ছে। বর্তমানে দেশের ৩২টি সিনেমা হলে চলছে ‘লিপস্টিক’। আশা করি, এই সংখ্যা আরও বাড়বে।  এ সময় এই চিত্রনায়ক সংবাদমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আমাদের এই পথচলায় সংবাদমাধ্যমের বেশ সহযোগিতা পেয়েছি। সে কারণে আমরা কৃতজ্ঞ। সিনেমাটি নিয়ে কোনো প্রতিবন্ধকতা বা পলিটিকসের শিকার হতে হয়েছে কি না, জানতে চাইলে আদর আজাদ বলেন, পলিটিকস সব জায়গাতেই আছে। সেটা হোক নিজের পরিবার কিংবা বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে। কিন্তু কী লাভ হলো, পলিটিকস করে তো কেউ হলের সংখ্যা কমাতে পারেনি। তাই এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর মতো সময় আমার নেই। 
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৪

তীব্র গরমে হিলিতে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা
তীব্র গরমের কারণে দিনাজপুরের হিলিতে হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। এছাড়াও অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইলতুকমিশ আকন্দ।  হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা আরিক সরকার বলেন, আমার মায়ের দুদিন ধরে জ্বর, গলা ব্যথা ও পেটের সমস্যা। যার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আসছি। পরে ডাক্তার মাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের বেডে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলেন। এখন আমার মায়ের শরীর অনেকটা ভালো।  হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইলতুকমিশ আকন্দ বলেন, সারাদেশে আবহাওয়া অতিরিক্ত গরম। যার ফলে অনেকেরই ডায়রিয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা নিয়মিত স্যালাইনসহ নানা মেডিসিন দিয়ে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।  দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, শুক্রবার দিনাজপুর জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক শূন্য  ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ। বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮  কিলোমিটার। তবে এখনই বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। 
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১১

লক্ষ্মীপুরে তাপদাহ, হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা
লক্ষ্মীপুরে প্রচণ্ড গরমে ডায়রিয়া ও সর্দি কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালসহ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষ বেশি অসুস্থ হচ্ছেন। পেটের পীড়া, ঠান্ডাজ্বর, কাশি, সর্দি, ডায়রিয়া নিউমোনিয়া, পানি শূন্যতা, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এদিকে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। সিট না পেয়ে বারান্দায় শুয়ে আছেন ডায়রিয়া ওয়ার্ডের অধিকাংশ রোগী, শিশু ওয়ার্ডেও একই চিত্র। মৌসুমি এসব রোগে আক্রান্তদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অরুপ পাল জানান, গত তিন দিনে সদর হাসপাতালে প্রায় ৩০০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ডায়রিয়া, জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাস কষ্টের রোগীই বেশি। হাসপাতালে বেডের তুলনায় রোগী বেশি ভর্তি থাকলেও সাধ্যমতো চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, প্রচণ্ড রোদ ও গরমে শিশুদের যথাসম্ভব বাসায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কোনোভাবেই যেন তাদের বাইরে বের করা না হয়। কারণ, গরমে বাচ্চারাই সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হয়।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৩

কালিয়াকৈরে তাপদাহে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যা হাসপাতাল ১০০ শয্যা হলেও জনবল কম থাকায় অতিরিক্ত তাপদাহে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এতে বেড কম থাকায় অনেকে রোগী মেঝেতেই পড়ে আছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়াজনিত রোগে ভর্তি হয়েছেন ২০ জন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ জন। চিকিৎসাধীন আরও ১০ জন।  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডাক্তার লুৎফর রহমান জানান, তাপদাহ না কমলে হয়তো এর সংখ্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।  অন্যদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন। দিনরাত প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে গ্রামগঞ্জে লোডশেডিংয়ের প্রভাব বেশি পড়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, অতিরিক্ত তাপদাহের কারণেই এই লোডশেডিং হচ্ছে। এদিকে অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে কালিয়াকৈর টু ফুলবাড়িয়া আঞ্চলিক সড়কের পিচঢালাই গলে যাচ্ছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন চালক ও পথচারীরা। কালিয়াকৈরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগের দিন মঙ্গলবার উপজেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিকে তীব্র তাপদাহের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জনজীবন। সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটেখাওয়া মানুষ। রোদের তাপে গলে যেতে শুরু করেছে সড়কের পিচ।  গত কয়েক দিন ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল জনজীবন। শহরে বা গ্রামগঞ্জের লোকজনের উপস্থিতি কম হলেও শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। স্বস্তি পেতে রাস্তার পাশে জিরিয়ে নিচ্ছেন কেউ কেউ। আবার কেউ কিছু সময় পর পর হাতে মুখে পানি দিয়ে নিজেকে শীতল রাখার চেষ্টা করছেন।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৬

গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে নিহতের সংখ্যা। সবশেষ একদিনে ৪২ জন সাধারণ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন দখলদার রাষ্ট্রটির সেনাদের হামলায়।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।  প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় গত একদিনে ৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ হাজার ১২ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টার হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৬৩ জন ফিলিস্তিনি। এতে প্রায় সাড়ে ছয় মাসে মোট ৭৬ হাজার ৮৩৩ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। হামাস নির্মূলের নামে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এমনকি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও ব্যর্থ নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান এ নির্বিচার হামলা ও অভিযানে লাগাম টানতে। মার্কিন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ইতোমধ্যে ধ্বংসস্তুপে পরিণত উপত্যকাটিতে এখনও প্রতিদিন হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার রাষ্ট্রটির সেনারা। এদিকে অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে বাসিন্দারা এখন চরম তৃষ্ণার্ত অবস্থায় বাস করছেন বলে জানিয়েছে গাজার সরকারি কার্যালয়। সূত্রমতে, গত দুই সপ্তাহ আগে থেকেই গাজায় পানির সব কল বন্ধ হয়ে গেছে। দক্ষিণ গাজা উপত্যকার রাফাহ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় প্রবেশকারী সহায়তার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু তারপরও তা গাজাবাসীর জন্য পর্যাপ্ত নয়।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৮

চিকিৎসকদের রোগী দেখার সংখ্যা বেঁধে দেবে সরকার
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, রোগী ও চিকিৎসকদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়ন এবং আস্থা ফেরাতে কাজ চলছে। রোগীদের বেশি সময় দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টিতে চিকিৎসকদের রোগী দেখার সংখ্যা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নতুন স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইনে একজন চিকিৎসক কত সংখ্যক রোগী দেখতে পারবেন তা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। একজন রাত দুইটা আড়াইটা পর্যন্ত রোগী না দেখে সঠিক সময় সঠিক রোগী যাতে দেখতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, নতুন আইনটা এমনভাবে করা হচ্ছে যেখানে চিকিৎসক সময় নিয়ে নির্ধারিত সংখ্যক রোগী দেখতে পারেন। রোগীদেরকে সময় দিয়ে দেখতে হবে। তখন ডাক্তারদের প্রতি রোগীদের আস্থা আসবে। এ সময় দায়িত্বে অবহেলা কিংবা ভুল চিকিৎসায় রোগীর ক্ষতি হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।   ডা. সামন্ত লাল সেন হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকারি হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক তার কাজের সময়ের মধ্যে যদি হাসপাতালে না-থেকে অন্য কোথাও গিয়ে অস্ত্রোপচার বা এমন কিছু করেন, তবে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।   তিনি বলেন, চিকিৎসক ও রোগীর সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের চিকিৎসকরা কোনো অংশেই ভারত, সিঙ্গাপুর, ব্যাংককের থেকে কম না। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, আমাদের চিকিৎসকদের কাউন্সেলিংয়ের সময়টা দেওয়ার অভাব।   স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকদের প্রতি আস্থা নেই বলে অনেকে বিদেশে চলে যাচ্ছে। ওখানে গিয়ে যে খুব একটা ভালো কিছু হবে সেটা না। আমি তো ভুটান থেকে রোগী নিয়ে এসেছি। ভুটানের রোগী আমাদের এখানে চিকিৎসা নিয়েছে।   ভুটানের রাজা বাংলাদেশে এসে অনেক খুশি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা ভুটানে একটা বার্ন ইউনিট বানিয়ে দিচ্ছি। আমাদের সক্ষমতা প্রকাশ করার জন্য বাইরে আমরা হাসপাতাল বানানোর অনুমতি দিয়েছি।  
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৬

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ কুদ্দুস খান (৪৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৭ জনে।     শনিবার (৩০ মার্চ) ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মৃত্যু হয় কুদ্দুস খানের। নিহত কুদ্দুসের গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ থানার মো. সুরুজ আলী খানের সন্তান। বর্তমানে কালিয়াকৈর এলাকায় থাকতেন। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম জানান, রাত সাড়ে চারটার দিকে আইসিইউ’র ১৩ নম্বর বেডে কুদ্দুসের মৃত্যু হয়। তার শরীর ৮০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ ইফতারের আগ মুহূর্তে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকার একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ অন্তত ৪০ জন দগ্ধ হয়। দগ্ধদের মধ্যে ৩২ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, বাড়িটি স্থানীয় কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। সেদিন সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে নতুন গ্যাস সিলিন্ডারের সংযোগ দেওয়ার সময় হঠাৎ আগুন ধরে যায়। এ সময় সিলিন্ডারটি রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। এতে রাস্তায় থাকা লোকজনও দগ্ধ হয়। 
৩০ মার্চ ২০২৪, ১১:১৮

মস্কোতে বন্দুক হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে কনসার্ট হলে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ জন হয়েছে। একইসঙ্গে এ সময় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।  রুশ তদন্ত কমিটির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। এর আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বন্দুকধারীরা কনসার্ট হলে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের তথ্যমতে, হামলাকারীরা কনসার্ট হলে ঢুকে একটি গ্রেনেডেরও বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনাকে ‘রক্তাক্ত সন্ত্রাসী হামলা’ বলে উল্লেখ করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঘটনার পর শতাধিক মানুষকে কনসার্ট হল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনাকে ‘ভয়াবহ ট্র্যাজেডি’ বলে অভিহিত করে মস্কোর মেয়র সের্গেই সোইয়াবিনিন বলেছেন, ‘ক্রোকাস সিটি সেন্টারে ভয়ানক ট্র্যাজেডি ঘটেছে। নিহতদের স্বজনদের প্রতি আমার সমবেদনা। এ ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের সকলকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৩

‘দেশে শ্রমজীবী শিশুর সংখ্যা ৩৫ লাখ, ঝুঁকিপূর্ণ ৩৮ হাজার’ 
দেশে বর্তমানে ৩৫ লাখ ৪০ হাজার শ্রমজীবী শিশু রয়েছে এবং ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুরা বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ খাতে কাজ করছে। ৫টি খাতে ৩৮ হাজার ৮ শিশু কাজ করছে, যার ৯৭ দশমিক ৫ শতাংশই ছেলে শিশু। সবচেয়ে বেশি কাজ করে অটোমোবাইল ওয়ার্কশপে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরোর অডিটোরিয়ামে ‘জাতীয় শিশুশ্রম ২০২২’ এর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।  বিবিএস জানায়, শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কনভেনশন চুক্তি এবং কাঠামোগত উন্নয়নসংক্রান্ত বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বর্তমান সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রম নির্মূল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিশুশ্রম নির্মূলে কৌশল নির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্দেশ্যগুলোকে সামনে রেখে জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ এবং সেক্টরভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শিশুশ্রম জরিপ ২০২৩ পরিকল্পনা করা হয়েছে। জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ এবং সেক্টরভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শিশুশ্রম জরিপ ২০২৩ এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী জনসংখ্যার শ্রমশক্তি, কর্মসংস্থান এবং বেকারত্বের ওপর তথ্য সংগ্রহ করা। জরিপের ফোকাল পয়েন্ট মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন খাঁন জানান, দেশে পরিচালিত জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ শিশুশ্রম সংশ্লিষ্ট চতুর্থ জরিপ যা শ্রমজীবী শিশু, শিশুশ্রম এবং বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম সংশ্লিষ্ট তথ্য উপাত্ত সরবরাহ করবে। জেনেভায় ২০১৮ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত আইসিএলএস ( ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অফ লেবার স্টাটিসটিসিয়ানস) সম্মেলনে গৃহীত শিশুশ্রম সম্পর্কিত পদ্ধতি অনুসরণ করে এ জরিপটি পরিচালনা করা হয়। জরিপে ১ হাজার ২৮৪টি প্রাথমিক স্যাম্পলিং ইউনিট (পিএসইউ) থেকে ৩০ হাজার ৮১৬টি খানা (১২টি নন-রেসপন্স খানাসহ) নির্বাচন করা হয় এবং ৬৪টি জেলা থেকে স্যাম্পল বেসিস তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছিল। এই জরিপের তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মে পর্যন্ত পরিচালিত হয়। তিনি আরও জানান, প্রতিবেদনে জাতীয় গণনার সঙ্গে শ্রমজীবী শিশু, শিশুশ্রম এবং ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ অনুসারে, ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৩ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন (৩৫ লাখ ৪০ হাজার) শ্রমজীবী শিশু রয়েছে। যার মধ্যে ১.৭৬ মিলিয়ন শিশু শ্রমের বাইরে এবং ১ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন শিশুশ্রমে রয়েছে। এর মধ্যে ১.০৭ মিলিয়ন ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম রয়েছে। পল্লী এলাকায় ২.৭৩ মিলিয়ন শ্রমজীবী শিশু রয়েছে এবং শহরাঞ্চলে রয়েছে ০.৮১ মিলিয়ন, শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা পল্লী এলাকায় ১.৩৩ মিলিয়ন এবং শহরাঞ্চলে ০.৪৪ মিলিয়ন। ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা পল্লী এলাকায় ০.৮২ মিলিয়ন এবং শহরাঞ্চলে ০.২৪ মিলিয়ন রয়েছে। এ থেকে স্পষ্ট যে, ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ খাতের উল্লেখ করা হয়েছে যেখানে শ্রমজীবী শিশুদের সবচেয়ে বড় অংশ নিয়োজিত রয়েছে অটোমোবাইল খাতে। পল্লী ও শহর বিবেচনায় এই খাতে কর্মরত শিশুর ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ পল্লী এবং ৬৪ দশমিক ৩ শতাংশ শহর এলাকায় বসবাস করে। এ জরিপের মাধ্যমে একটি শ্রমজীবী শিশু ঝুঁকিপূর্ণ সেক্টর সমূহে কাজ করার সময় কি কি ধরনের বিপজ্জনক কাজ করতে পারে তা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। আনুমানিক ১৯ দশমিক ১ শতাংশ ছেলে এবং ৭ দশমিক ৭ শতাংশ মেয়ে শিশু ভারী বোঝা বহন, মালামাল টানার কাজে, অধিক ওপর বা ফ্লোর হতে অতি উচ্চতায় উঠে কাজ করে প্রায় ৮ দশমিক ১ শতাংশ  ছেলে এবং ০ দশমিক ৩ শতাংশ মেয়ে শিশু।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পুটিআইনেন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জরিপের ফোকাল পয়েন্ট মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন খাঁন।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়