• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তাপদাহের মধ্যে পানি সংকট রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়
মাস জুড়ে টানা তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ। সূর্যের তেজে মুষড়ে পড়েছে জনজীবন। বাইরে বের হলেই গলা শুকিয়ে আসছে পিপাসায়। প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে অধিক আর্দ্রতায় শুকাচ্ছে না ঘাম, কাপড় ভিজে লেপ্টে যাচ্ছে শরীরে, আর দ্বিগুণ হচ্ছে অস্বস্তি। এই যখন পরিস্থিতি, এর মধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে ঢাকা ওয়াসার পানি সরবরাহে। বাসা-বাড়িতে পানি না পেয়ে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। গত কয়েক দিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বাড্ডা, নতুন বাজার, রামপুরা, মেরুল, ডিআইটি, মালিবাগ, বাসাবো, মিরপুর, পুরান ঢাকা, মুগদা, মান্ডা, লালবাগ, রায়েরবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা পানি পাচ্ছেন না ঠিকঠাক মতো।  হঠাৎ রাজধানীর এতগুলো এলাকায় পানির এ সংকটের কারণ জানতে গেলে ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হয়, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে কয়েক দিনের অসহনীয় গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানির উৎপাদন কিছু কিছু জায়গায় কম হচ্ছে। মূলত যেখানকার ডিপ টিউবওয়েলে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, সেসব এলাকায় কিছুটা পানির সংকট দেখা দিয়েছে।  এদিকে ওয়াসার লাইন থেকে পানি না পেয়ে টাকার বিনিময়ে ওয়াসার গাড়ির মাধ্যমে পানি সরবরাহের অর্ডার করেন অনেক এলাকার বাসিন্দা। কিন্তু সেই পানিও ঠিকমতো মিলছে না বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।  জানা গেছে, ঢাকা ওয়াসার আওতায় ১০টি মডস জোনে পানির চাহিদা জানানো হলে বিশেষ গাড়ির মাধ্যমে বাসা-বাড়িতে পানি পৌঁছে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে প্রতি ছয় হাজার লিটারের একটি বড় গাড়ির জন্য নেওয়া হয় ৬০০ টাকা। কিন্তু চাহিদা অনেক বেশি থাকায় সিরিয়াল দিয়ে, ফোন করেও এসব পানির গাড়ি পাচ্ছেন না পানি সংকটে থাকা বাসিন্দারা। অভিযোগ এসেছে, ৬০০ টাকার গাড়ির জন্য হাজার-বারোশ’ টাকা দিয়েও সিরিয়াল পাচ্ছেন না তারা। রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ভাড়া বাসায় থাকেন বেসরকারি চাকরিজীবী সাফায়েত ইসলাম। গত ৪-৫ দিন ধরে বাসায় পানি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তার। ক্ষোভ প্রকাশ করেতিনি বলেন, গত ৪-৫ দিন ধরে ওয়াসার লাইনে পানি পাই না আমরা। এত গরমে মানুষের জীবন যায় যায় অবস্থা, এর মধ্যে বাসায় পানি না থাকা যে কতটা কষ্টের তা বলে বোঝানো সম্ভব না। এই ৪-৫ দিন গোসল নেই ঠিকমতো, বাথরুমে যাওয়া যায় না। আমাদের সমস্যা নিরসনে পাশে পাওয়া যাচ্ছে না ওয়াসাকে। যাবির হাওলাদার নামে একই এলাকার আরেক বাসিন্দা বলেন, আমরা ওয়াসার মডস জোনে বারবার যোগাযোগ করছি। বারবার অর্ডার দিয়েও আমরা পানি পাচ্ছি না। পানির গাড়ি পেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। ৬০০ টাকার পানির গাড়ি দ্বিগুণ টাকা দিয়েও অনেক সময় পাওয়া যাচ্ছে না। একই অভিযোগ পাওয়া গেছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়েও।  এ ব্যাপারে মডস জোনের আওতায় বাড্ডার বৌবাজার এলাকার ওয়াসার পাম্পের অপারেটর মনিরুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে পানি সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা মেশিন চালিয়ে ঠিকমতো পানি পাচ্ছি না। পানির স্তর নিচে নেমে গেছে কিছু কিছু এলাকায়। গরমে পানির চাহিদাও অনেকগুণ বেড়ে গেছে। সব মিলিয়ে পানি সরবরাহ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা ওয়াসার এক কর্মকর্তা বলেন, সার্বিকভাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি নেই। তবে গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানির উৎপাদন কিছু কিছু জায়গায় কম হচ্ছে; মূলত সেই সব এলাকাতেই কিছুটা পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ঢাকা ওয়াসা বলছে, প্রতিদিন প্রায় ২৯০ কোটি লিটার পানির উৎপাদনের সক্ষমতা আছে তাদের। গরমকাল এলে রাজধানীতে পানির চাহিদা থাকে ২৬০ কোটি লিটার। সে হিসাবে পানি সরবরাহে ঘাটতি থাকার কথা না। তবে, ভূগর্ভস্থ পানির ওপর অতি নির্ভরশীলতাই পানির বর্তমান সংকটের কারণ।  বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার পানি শোধনাগার রয়েছে পাঁচটি। তবে সংস্থাটি পানি পাচ্ছে চারটি শোধনাগার থেকে। উপরিতলের পানির উৎপাদন ৭০ শতাংশে উন্নীত করার কথা থাকলেও সেই লক্ষ্য এখনো পূরণ করতে পারেনি ঢাকা ওয়াসা। বর্তমানে উপরিতলের পানি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩৫ শতাংশ। আর বাকি ৬৫ শতাংশ ওয়াসার সরবরাহ করা পানি আসছে ভূগর্ভ থেকে। প্রসঙ্গত, শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা মহানগরীর পানি সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসার সব মডস জোনের কার্যক্রম তদারকির জন্য ১০টি মনিটরিং টিম গঠন করেছে ঢাকা ওয়াসা। রাজধানীতে পানির সমস্যা সমাধানে এসব টিম আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত পানি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম মনিটরিং করবে। গঠন করা এই ১০টি মনিটরিং টিম জোনভিত্তিক পাম্পগুলো নিয়মিত ও আকস্মিক পরিদর্শন করবে। পাম্প চালকরা যথানিয়মে দায়িত্ব পালন করছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হবে টিমগুলো। পরিদর্শনকালে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করবে ঢাকা ওয়াসার এ কমিটি।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৫

নামছে স্তর, রাজবাড়ীতে কোথাও মিলছে না পানি
সারাদেশের ন্যায় রাজবাড়ীতেও চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় রাজবাড়ীর জনজীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়। একদিকে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে জেলার মানুষ অন্যদিকে নতুন করে প্রায় সব উপজেলাতে দেখা দিয়েছে তীব্র পানি সংকট। এতে যেমন বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন, তেমনি ব্যহত হচ্ছে কৃষি উৎপাদন। জানা গেছে, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে খরায় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। যার ফলে নলকূপে (টিউবওয়েল) পানি উঠছে না। পানির অভাবে গৃহস্থালী কাজকর্ম যেমন ব্যহত হচ্ছে তেমনি জমিতে সেচ দিতে পারছে না কৃষক। সেচের অভাবে নষ্ট হচ্ছে ফসলাদি। বালিয়াকান্দি উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ভৌগোলিক কারণে বৃহত্তর ফরিদপুরের মধ্যে বালিয়াকান্দি উপজেলাটি ভিন্ন। আশপাশের তুলনায় এই অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ স্তর বেশ নিম্নমুখী। যে কারণে প্রতি বছর পানির স্তর ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি নিচে নেমে যাচ্ছে। বালিয়াকান্দিতে মোট পরিবারের সংখ্যা ৫০ হাজার। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ৫টি পরিবারের জন্য কমপক্ষে একটি নলকূপ থাকা জরুরি। সে অনুযায়ী বালিয়াকান্দিতে প্রয়োজন প্রায় ১০ হাজার নলকূপ। কিন্তু সরকারি ভাবে ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৬০টি সাবমারসিবল পাম্প ও ২০১৯ সাল থেকে ৫২০টি তারা টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় খুবই সামান্য।  ব্যক্তিগত উদ্যোগে যেসব বাসাবাড়িতে টিওবয়েল বসানো হয়েছে সেগুলোতেও এখন আর পানি উঠছে না। পানি না ওঠার কারণ হিসেবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বলছে, বালিয়াকান্দিতে বর্ষা মৌসুমে পানির স্তর ১৫ থেকে ২২ ফুট নিচে চলে যায়। আর শুষ্ক মৌসুমে বিশেষ করে এপ্রিল, মে ও জুন মাসে সেটা নেমে দাঁড়ায় ৩২ ফুট নিচে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে বসানো নলকূপগুলোর পাম্পিং ক্ষমতা ২০ থেকে ২৪ ফুট। যার কারণে শুষ্ক মৌসুমে এ অঞ্চলে পানি থাকে না। শুধুমাত্র সরকারিভাবে বসানো তারা ও সাবমারসিবল পাম্প দেওয়া নলকূপে পানি থাকে। বালিয়াকান্দির সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা অনিক শিকদার, সবুজ শিকদার, নারুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মিঠুন, রিয়াদসহ অনেকেই জানান, গত কয়েক দিন হলো বালিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্নস্থানে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে টিউবওয়েল পানি উঠছে না। বাড়ির গৃহস্থালি কাজ করার জন্য অন্য জায়গা থেকে পানি আনতে হচ্ছে। এতে করে ভোগান্তি বেড়েছে বাড়ির মা-বোনদের। পানির এ সমস্যা শুধু বালিয়াকান্দিতেই নয়। রাজবাড়ী সদর, পাংশা, কালুখালীতেও একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই উপজেলার গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ নলকূপে পানি উঠছে না। গত কয়েকদিন ধরে পানি ওঠা বন্ধ হয়েছে। তীব্র খরায় পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে পানি উঠছে না বলে জানান স্থানীয় অনেকেই। কিছু নলকূপে পানি উঠলেও পারিমাণে অনেক কম। সমস্যা বেশি সৃষ্টি হয়েছে পুকুর ও বিভিন্ন জলাশয় পানি শূন্য হয়ে যাবার কারণে। অনেক পরিবার পানির সমস্যা সমাধানে মোটর বসিয়েছে। সেখান থেকে পানি নিয়ে চাহিদা মেটাচ্ছে অন্য পরিবারগুলো। পানির সংকটে প্রভাব পড়েছে কৃষিতে। স্যালো মেশিনেও পানি উঠছে না। ফলে পাটের জমিতে সেচ দিতে পারছে না কৃষক। অনেক জমির পাট পানির অভাবে মারা যাচ্ছে। অনেক কৃষক স্যালো মেশিনে পানি তুলতে ১২ ফুট গর্ত করেছে। রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের আটদাপনিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এখানে কোনো নলকূপে পানি উঠছে না। অনেকে নলকূপের সাথে মোটর বসিয়েছে। তারপরও পানি উঠছে না। পাংশা উপজেলার সরিষা, বাবুপাড়া, কলিমহর, মৌরাট, পাট্টা ইউনিয়নেও চলছে পানির সংকট। পাশাপাশি এসব এলাকার চাষিরা পানির অভাবে পাটের জমিতে সেচ দিতে পারছে না। রাজবাড়ী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু জাকারিয়া বলেন, গ্রীষ্মকালে খরায় পানির স্তর নিচে নেমে যায়। ফলে টিউবওয়েল থেকে পানি ওঠে না। আমাদের এ অঞ্চলে বেশির ভাগ পানির লেয়ার ২৫ ফুটের নিচে নেমে গেছে। ফলে এখন টিউবওয়েল ও চাপকল দিয়ে পানি উঠছে না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে যারা সাবমারসিবল পাম্প অথবা তারা টিউবওয়েল বসিয়েছে তাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।
২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৬

গরমে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা, ওষুধের তীব্র সংকট
প্রচণ্ড গরমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। তাপদাহের কারণে বেশি অসুস্থ হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। শিশুদের ক্ষেত্রে বেশির ভাগই ঠান্ডা, কাশি ও নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত। প্রতিদিনই এসব রোগে আক্রান্ত শিশুরা চিকিৎসা নিতে ভিড় করছেন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন শিশুদের গরমজনিত ডায়েরিয়া এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে শিশুদের ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।  এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আক্তার হোসেন বলেন, বয়স্ক রোগীদের ওষুধ পর্যাপ্ত থাকলেও শিশুদের ওষুধের সরবরাহ নেই বললেই চলে। বিশেষ করে শিশুদের চিকিৎসায় অপরিহার্য স্বল্পমূল্যের বিভিন্ন সিরাপ যেমন প্যারাসিটামল ও হিস্টাসিন সিরাপের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।  তিনি আরও বলেন, ওষুধ সংকটের কারণে বিভিন্ন জটিল রোগ নিয়ে ভর্তি হওয়া শিশুদের সুচিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। এ সময় গরমে অসুস্থতা প্রতিরোধে শিশুদেরকে খোলামেলা পরিবেশে পাতলা সুতি কাপড় পরিয়ে রাখার পরামর্শ দেন তিনি। 
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৯

অ্যাননটেক্সের ঋণ / সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশে সংকট বাড়বে জনতা ব্যাংকের
অডিটে ঋণ কেলেঙ্কারি ও জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংককে ৩ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকার সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ অনুযায়ী, জালিয়াতির শিকার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটিকে অ্যাননটেক্সের কাছে পাওনা ৬ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ হিসেবে শ্রেণিকরণ করতে হবে। ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রক সংস্থা গত ১ এপ্রিল এক চিঠিতে এসব নির্দেশ দিয়েছে। জনতা ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জনতা ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণ ২৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি দাঁড়াবে এবং তা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটিকে আরও সংকটে ফেলবে। সম্প্রতি শেষ হওয়া ফাংশনাল অডিটের ফলাফল অনুযায়ী, অ্যাননটেক্সকে ৩ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকার সুদ মওকুফ সুবিধা অনুমোদন দিয়েছিল জনতা ব্যাংক এবং ২০২২ সালের জুনে কোম্পানিটির ঋণ নিয়মিত হিসেবে রেকর্ড করেছিল। এক দশকেরও বেশি সময় আগে অনুমোদিত মূল ঋণের সঙ্গে জড়িত জালিয়াতি এবং কেলেঙ্কারির বিষয়টিও অডিটে উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, অনিয়ম ও কেলেঙ্কারির মাধ্যমে দেওয়া ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে না এবং সুদ মওকুফ করা যাবে না। অ্যাননটেক্সের ঋণকে নিয়মিত ঋণ হিসেবে রেকর্ড করে জনতা মূলত তার খেলাপি ঋণ কৃত্রিমভাবে কমিয়েছে, যদিও এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে। গত ১ এপ্রিল জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাঠানো চিঠিতে ঋণের শ্রেণিকরণ ও এর বিপরীতে যথাযথ প্রভিশন রাখতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, তারপর বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে জনতাকে ঋণ আদায়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। জনতা ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, ৬ হাজার ৫২৮ কোটি টাকার বিপরীতে জনতাকে শতভাগ প্রভিশন রাখতে হবে, যদিও ব্যাংকটির বোর্ড এখনো তার অনুমোদন দেয়নি। যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, অডিটে জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ অনুমোদনের প্রমাণ পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক এ নির্দেশনা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাঁচ বছরের জোরাজুরির পর গত বছরের জুলাইয়ে জনতা ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা খতিয়ে দেখতে অডিট প্রতিষ্ঠান আহসান কামাল সাদেক অ্যান্ড সিওকে নিয়োগ দেয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আব্দুল জব্বার।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১৬

হাওরের পাকা ধান নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষক, শ্রমিক সংকট
সুনামগঞ্জের হাওরে হাওরে পাকা ও আধপাকা ধান ঢেউ তুলছে। সুন্দর এই দৃশ্য মনে দোলা দিলেও জলাবদ্ধতা আর পাহাড়ি ঢলের শঙ্কা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে হাওরের কৃষকদের। মঙ্গলবার রাতে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টিতে দিরাই উপজেলার কালিয়াকুটা হাওরের পূর্ব অংশে প্রায় ২০০ হেক্টর বোরো জমির ফসল  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কাইমা, মধুপুর, বেগমপুর, আনোয়ারপুর, গচিয়া ও খেজাউড়া গ্রামের সহস্রাধিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জলাবদ্ধতা আর শিলাবৃষ্টির শঙ্কার মধ্যে আগেভাগেই জেলার বিভিন্ন হাওরে ধান কাটছেন কৃষক। তবে হাওরের বেশির ভাগ জমির ফসল কাঁচা অবস্থায় থাকায় বিপাকে তারা। অন্যদিকে জলাবদ্ধতা, পাহাড়ি ঢল, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির কারণে হাওরে পর্যাপ্ত ধানকাটা শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। বিগত সময়ে বাইরের জেলা থেকে অস্থায়ীভাবে বিপুলসংখ্যক খেতমজুর এলেও এবার তার বিপরীত। কম্বাইন হার্ভেস্টর ও ধানকাটার আধুনিক মেশিন প্রচলনে সনাতন পদ্ধতিতে ধান কাটায় মুনাফা কম পাওয়া শ্রমিকদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। ফলে ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে হাওরের পাকা ধান দ্রুত কাটতে ভর্তুকিমূল্যে জেলার ১২ উপজেলার সাড়ে ৮০০ কম্বাইন হার্ভেস্টর মেশিন কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তবে হার্ভেস্টর মেশিন হাওরের উঁচু এলাকার ধান কাটতে সহায়ক হলেও তুলনামূলক নিচু উর্বর জমির ধান কাটতে না-পারায় বিপাকে কৃষক। তাই সনাতন পদ্ধতিতে ধান কাটতে শ্রমিকদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে কৃষকদের। পর্যাপ্ত শ্রমিক না পাওয়ায় হাওরের ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা। শান্তিগঞ্জ উপজেলায় খাই হাওরের কৃষক সিজাউল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর সিলেটের কানাইঘাট এলাকা থেকে ধানকাটা শ্রমিক আসেন। এবারও ১০ জন শ্রমিক আসার কথা ছিল। গতকাল ফোন দিয়ে তারা আসবে না বলে জানিয়েছেন। এখন হাওরের ধান কাটা নিয়ে চিন্তায় আছি। কীভাবে এত ধান কাটব। সদর উপজেলার কৃষক রহমত মিয়া বলেন, হার্ভেস্টর মেশিন পানিতে বা নরম জমিতে ধান কাটতে পারে না। তাই নিচু এলাকায় জমির ধান কাটার জন্য শ্রমিকের ওপর নির্ভর করতে হয়। এখন আগের মতো শ্রমিক পাওয়া যায় না। আকাশের অবস্থাও ভালো না। কবে কী হয়, বলা যায় না। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০ হাজার শ্রমিক সুনামগঞ্জে ধান কাটতে এসেছেন। জেলায় ২ লাখ শ্রমিক রয়েছে। তাছাড়া অস্থায়ী ভিত্তিতে আরও ৩০ হাজার অনিয়মিত শ্রমিক ধান কাটার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। একই তথ্য জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, এবার হাওরে শ্রমিক সংকট দেখা দেবে না। বুধবার পর্যন্ত জেলায় ৪০ হাজার হেক্টর জমির ফসল কাটা হয়েছে। প্রতিদিন ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল কাটা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৬

সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ : অর্থমন্ত্রী
বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন বৈঠকে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নই। ইতোমধ্যে সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশ। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সংস্কারে সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো কাজে লাগছে। মানুষের মধ্যে ধীরে ধীরে স্বস্তি ফিরলেও যারা নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে তারা খুশি না। আগামী অর্থবছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমবে আইএমএফের এমন পূর্বাভাসে চিন্তার কিছু নেই। এ সময় অর্থনৈতিক উত্তরণের ধারা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৭

রাজধানীর পানি সংকট নিরসনে কাজে নামছে ওয়াসার ১০ মনিটরিং টিম
শুষ্ক মৌসুমে রাজধানীতে পানি সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে সব মডস জোনের কার্যক্রম তদারকির জন্য ১০টি মনিটরিং টিম গঠন করেছে ঢাকা ওয়াসা। মহানগরীতে পানির সমস্যা সমাধানে এসব টিম আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত পানি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম মনিটরিং করবে। শনিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা ওয়াসা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে ঢাকা ওয়াসার সচিব প্রকৌশলী শারমিন হক আমির একটি অফিস আদেশের মাধ্যমে এই ১০টি মনিটরিং টিম গঠন করে দেন। এ ব্যাপারে ঢাকা ওয়াসার সচিব প্রকৌশলী শারমিন হক আমির জানান, গঠন করা ১০টি মনিটরিং টিম জোনভিত্তিক পাম্পগুলো নিয়মিত এবং আকস্মিক পরিদর্শন করবে। পাম্প চালকরা যথাযথ নিয়ম মেনে দায়িত্ব পালন করছেন কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হবে এ টিমগুলো। পরিদর্শনকালে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করবে তারা। তিনি আরও বলেন, পরিদর্শনের সময় এসব মনিটরিং টিম যদি কোনো ত্রুটি পায় কিংবা পাম্প বন্ধ পায় তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ১০টি টিমের আহ্বায়করা সাপ্তাহিক প্রতিবেদন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে দাখিল করবেন। টিমগুলো আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত তিন-চার দিন ধরে রাজধানীর মিরপুর, শেওড়াপাড়া, বাড্ডা, নতুন বাজার, রামপুরা, মেরুল, ডিআইটি, মালিবাগ, বাসাবো, মুগদা, মান্ডা,  লালবাগ, রায়েরবাগ, পুরান ঢাকা, দক্ষিণ খান এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ঠিকমতো পানি পাওয়া যাচ্ছে না এসব এলাকায়। রমজান মাসে এমন পানির সংকটে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৮

জাতিসংঘে ফের রোহিঙ্গা সংকট উত্থাপন বাংলাদেশের
বাংলাদেশে অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের বিষয়টি ফের জাতিসংঘে উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ। নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদ আয়োজিত এক উন্মুক্ত বৈঠকে এ বিষয়টি জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর, বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর এর প্রভাব নিয়ে উন্মুক্ত বৈঠকটি হয়। মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, রাখাইনে সাম্প্রতিককালে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াও ব্যাহত হচ্ছে। এসময় তিনি প্রত্যাবাসন ইস্যুতে প্রকৃত রাজনৈতিক ইচ্ছা প্রদর্শন ও ২০১৭ ও ২০১৮ সালে স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক প্রত্যাবর্তন চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে আঞ্চলিক সংস্থাসমূহ এবং আঞ্চলিক ও প্রতিবেশী দেশগুলোকে রাখাইনে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা এবং ভবিষ্যতে প্রত্যাবর্তনকারীদের সফলভাবে পুনর্বাসনে সহায়তা করার জন্য অর্থপূর্ণ এবং কার্যকর ভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার অনুরোধ জানান।  স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, রাখাইনে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবিলা করা জরুরি যা মূলত মিয়ানমারের বিদ্যমান বৈষম্যমূলক আইনি ও রাজনৈতিক কাঠামোর মধ্যে অন্তর্নিহিত। যা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন ২৬৬৯ উল্লেখ করা হয়েছে। এই অন্তর্নিহিত সমস্যাসমূহের সমাধান করা না গেলে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক প্রচেষ্টাসমূহের সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। রেজ্যুলেশন বাস্তবায়নের বিষয়ে নিয়মিত রিপোর্টিং, রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং রাখাইনে সংকট সমাধানে বিভিন্ন সময়ে গৃহীত চুক্তি ও সুপারিশ বাস্তবায়নের বিষয়ে জোর দেন মুহিত। মিয়ানমারের অন্য সকল জাতিগোষ্ঠীর মত রোহিঙ্গারাও যেন সমাজে সমান মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন সে লক্ষ্যে উপযুক্ত এবং টেকসই পরিবেশ তৈরিতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের যথাযথ ভূমিকার ওপর জোর দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতির কারণে বাংলাদেশ যে নেতিবাচক সামাজিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশগত এবং নিরাপত্তা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। রাখাইন পরিস্থিতির প্রতি নিয়মিত দৃষ্টি রাখা এবং রোহিঙ্গা সংকটের একটি পূর্ণাঙ্গ ও টেকসই সমাধানে দ্রুত ও অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানান। রাখাইন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত করেন জাতিসংঘের রাজনৈতিক এবং শান্তি বিনির্মাণ বিষয়ক সহকারী মহাসচিব খালিদ খিয়ারি এবং মানবিক সহায়তা সমন্বয় অফিসের পরিচালক লিসা ডাউটন। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ ছাড়াও সভায় মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। সভায় বক্তব্য প্রদানকারী অন্যান্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিবৃন্দ মিয়ানমারে সম্প্রতি সংঘাত ও সহিংসতা বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে রাখাইন সংঘাতের মূল কারণগুলো মোকাবিলায় সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এবং সকল বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা এবং অভ্যন্তরীণ ভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের নিরাপদ, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। দেশে দশ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এতে যে মানবিক নেতৃত্বের নিদর্শন রেখে যাচ্ছে বাংলাদেশ, বক্তারা তার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা নিরাপদে নিজ গৃহে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য সকলকে আহ্বান জানান।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৫

অর্থনীতির সংকট কাটতে শুরু করেছে
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং করোনার ভয়াবহ ছোবলে বিশ্ব স্থবির হয়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকটের কালমেঘ ছেয়ে গিয়েছিল, সেই মেঘ ক্রমশ কাটতে শুরু করেছে। পরপর কিছু আশাব্যঞ্জক খবরের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আশান্বিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। পরিস্থিতির কারণে সরকারের মধ্যেও স্বস্তি দেখা দিয়েছে। একাধিক কারণে সরকার মনে করছে, বড় ধরনের অর্থনৈতিক চাপের মুখে আপাতত নেই। রেমিট্যান্স আয় ও রপ্তারি বৃদ্ধির কারণে ডলার সংকট অনেকটা কেটে গেছে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। সংকট কেটে যাওয়া খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৫ থেকে কমে ১১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর এতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব কেটে গেছে। এদিকে, চলতি ব্ছরের মার্চ মাসে প্রবাসীরা ১৯৯ কো‌টি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে যার পরিমাণ ২১ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৬৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। এ ছাড়া রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৬ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, শেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৫২ লাখ ৭ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮১ লাখ ১০ হাজার ডলার।  এ পরিস্থিতিতে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রতিনিধি এসেছিল। তারা বলেছে, আমরা অপেক্ষা করছি প্রপোজালের জন্য। বাংলাদেশ আগে প্রপোজাল দিক, তারা টাকা দেবে। কাজেই এরকম একটা নিশ্চয়তা পাওয়ার পর আর বড় ধরনের সন্দেহ নেই। কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই।  অর্থমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দেশ চলছে। দেশের মানুষের যেসব আইটেম দরকার সেগুলো সবই আসছে। যারা ভেবেছিল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে, তাদের ধারণাও ভুল প্রমাণ হয়েছে।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৬

অর্থনৈতিক সংকট কেটে গেছে : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির কারণে ডলার সংকট অনেকটা কেটেছে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব কেটে গেছে। যারা দেশকে শ্রীলঙ্কা হবে ভেবেছিল, তাদের ধারণাও ভুল প্রমাণ হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে প্রাক বাজেট বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এই কথা বলেন। বৈঠকে ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লা মৃধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বেশ কিছু বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেন। প্রস্তাবগুলো বিবেচনার আশ্বাস দেন তিনি। এ সময় আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রতিনিধি এসেছিল। তারা বলেছে, আমরা অপেক্ষা করছি তোমাদের প্রপোজালের জন্য। তোমরা আগে প্রপোজাল দাও, টাকা আমরা দেবো, টাকার কোনো অভাব নেই। কাজেই এরকম একটা নিশ্চয়তা পাওয়ার পর আর তো কোনো সন্দেহ নেই। কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিপক্ষ (বিএনপি) বলেছিল আর এই তো হয়ে গেল, শ্রীলংকা হলো বলে। শ্রীলঙ্কা হয়েছে? হয় নাই তো। আমরা টিকে আছি এবং আগামী বাজেট প্রণয়নের কাজ চলছে। আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, দেশ তো চলছে। দেশের মানুষের যেসব আইটেম দরকার সেগুলো সবই আসছে। সেগুলো পাওয়া যাচ্ছে। হ্যাঁ, দামটা নিয়ে একটু ইয়ে আছে কোনোটা বাড়ছে, কোনোটা কমছে। সেগুলো তো আছে। মুক্ত বাজার অর্থনীতি যেভাবে চলে সেভাবে চলছে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়