• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
লোহাগড়ায় গরমে ১২ শিক্ষার্থী অসুস্থ, স্কুল ছুটি ঘোষণা
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় স্কুল খোলার দ্বিতীয় দিনে তীব্র গরমে ১২ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এরমধ‍্যে ৬ জন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই স্কুল একদিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে উপজেলার ইতনা স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কলেজটির অধ্যক্ষ অনিন্দ্য সরকার।  প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলো ৭ম শ্রেণির সাহারা, একই শ্রেণির রেজোয়ান, ৮ম শ্রেণির সিহাব, সোহাগ ও বায়োজিদসহ ১২ জন। ওই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র গরমের কারণে সকাল ১০টা থেকেই ইতনা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করছিল। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭ জন শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বিদ্যালয়ে চিকিৎসক এনে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি যায়। স্থানীয় বাসিন্দা অশোক ঘোষ জানান, এক সপ্তাহ বন্ধের পর স্কুল খুলেছে। স্কুল খোলার দ্বিতীয় দিনে অতিরিক্ত গরমে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ছাত্রছাত্রীরা গরমের কারণে লেখাপড়া করতে পারছে না। তিনি স্কুল-কলেজে মর্নিং শিফট চালুর দাবি জানান। ইতনা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অনিন্দ্য সরকার বলেন, প্রচণ্ড গরমে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক এনে তাদের সুস্থ করে তাদেরকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবং জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে কথা বলে সোমবার একদিনের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এবং মঙ্গলবার যথারীতি স্কুল খোলা থাকবে।  লোহাগড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জহুরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অসুস্থতার বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত রয়েছি। ইতনা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। 
১ ঘণ্টা আগে

হিলিতে ক্লাস চলাকালীন শিক্ষার্থী অসুস্থ
আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা চতুর্থ দফা হিট অ্যালার্টের মধ্যেই সরকারের নির্দেশনা মেনেই দিনাজপুরের হিলিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে চলছে পাঠদান। অতিরিক্ত গরমের কারণে ঠিকমতো ক্লাস করতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। হঠাৎ করেই অসুস্থ হচ্ছেন অনেকেই। হাকিমপুর (হিলি) উপজেলার হাতিশোঁও আদিবাসী উচ্চবিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবম শ্রেণির লিজা আক্তার সাথী নামে এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তার মাথায় পানি এবং মুখে খাবার সেলাইন নিলে আধা ঘণ্টা পর সে কিছুটা সুস্থ হয়।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফতাবুজ্জামান তাজ।  তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা সকাল থেকে পাঠদান করছিলাম। কিন্তু এরই মধ্যে ৯ম শ্রেণিতে এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা প্রথমে খুব ভয় পেয়েছিলাম। কারণ দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘হিটস্ট্রোক’ করে অনেকেই মারা যাচ্ছেন। হিলিতে গত কয়েক দিন থেকে প্রচুর তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে আমরা ক্লাস চলাকালীন সময়ে পানির ব্যবস্থা করছি, তবুও এমন পরিস্থিতি আমরা ভয়ের মধ্যে আছি। যদি সরকার তাপমাত্রা কম না হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখতো তাহলে শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক সুবিধা হতো। দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, রোববার (২৮ এপ্রিল) দিনাজপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ছয়টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩০ শতাংশ। বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬ কিলোমিটার। 
৪ ঘণ্টা আগে

কালুরঘাট ফেরিঘাটে টেম্পু চাপায় কলেজ শিক্ষার্থী নিহত
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর কালুরঘাট ফেরিঘাটের বেইলি ব্রিজে টেম্পুর নিচে চাপা পড়ে ফাতেমা-তুজ-জোহরা (১৮) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় পূর্ব কালুরঘাট ফেরিঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ফাতেমা বোয়ালখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম কধুরখীল হানিফার বাড়ির মো. হাসানের মেয়ে। তিনি নগরীর হাজেরা তুজ ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নদীর পশ্চিম প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসা ফেরি থেকে পাড়ে ওঠার সময় বেইলি ব্রিজে একটি সিএনজিচালিত টেম্পু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রুত পেছনের দিকে নেমে আসে। এ সময় ফেরিতে ওঠার জন্য কলেজ শিক্ষার্থী বেইলি ব্রিজ পার হচ্ছিল। বেইলি ব্রিজের রেলিংয়ের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীকে টেম্পুটি চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই ফাতেমা তুজ জোহরা মারা যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সঞ্জয় সেন বলেন, শিক্ষার্থী ফাতেমা তুজ জোহরাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, ঘটনায় জড়িত টেম্পুটি জব্দ করা হয়েছে। টেম্পু চালককে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে

নোয়াখালীতে গরমে শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ ১৮ শিক্ষার্থী  
নোয়াখালীর হাতিয়া ও বেগমগঞ্জ উপজেলার দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রচণ্ড গরমে ১৮ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।   রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল সোয়া দশটা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে বেগমগঞ্জের আমান উল্যাপুরের জয়নারায়ণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা ও হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাইস্কুলে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষকরা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।  হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাই স্কুলের সহকারী জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা ফাতেমা ইসরাত জানান, আজ সকাল দশটার দিকে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর পাঠদান কার্যক্রম শুরুর পর বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসুস্থতা লক্ষ্য করা যায়। এক পর্যায়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ১১ জন অষ্টম শ্রেণির দুইজন নবম শ্রেণির দুজন ও দশম শ্রেণির দুইজন শিক্ষার্থী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে।  শিক্ষিকা ফাতেমা ইসরাত আরও জানান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে কারও পেট ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখ ব্যথা লক্ষ্য করা যায়। এ সময় একজন শিক্ষার্থী বমি করে। শিক্ষার্থীদের এমন অবস্থা দেখে তাৎক্ষণিক শ্রেণিশিক্ষক তাকে বিষয়টি জানান। তিনি স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসককে ডেকে এনে অসুস্থ সকল শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাতিয়া জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাইস্কুলের ঘরটি টিনের হওয়ার কারণে বিদ্যালয়ে আসার পর শিক্ষার্থীরা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকে। তারা গরমের কারণে সমস্যার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। অপরদিকে, বেগমগঞ্জের আমান উল্যাপুরের জয়নারায়ণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় সকাল ১০টা ২০ মিনিট থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। সবাই শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের জন্য অপেক্ষা করছিল। ১০টার দিকে আফিফা হঠাৎ গরম সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তার মাথায় পানি ঢালার পর তার জ্ঞান ফেরে। এরপর তার শিক্ষক বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে যান। আফিফা ওই মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ও শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, আফিফা অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। আমরা তার মাথায় পানি ঢালার পর সে সুস্থ বোধ করলে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আফিফা ছাড়াও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করছিল। আমরা তাদেরও ছুটি দিয়ে দিয়েছি।  জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, হাতিয়ার জনকল্যাণ ট্রাস্ট হাইস্কুলে গরমের কারণে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। এ ছাড়া তিনি আর কোথাও কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার খবর পাননি।
৯ ঘণ্টা আগে

ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ / যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বহিষ্কার
গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। চলছে গণগ্রেপ্তার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শৃঙ্খলা ভঙের কারণে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। এরই মধ্যে দেশটির কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশিসহ ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মায়মুনা ইসলাম নুহার রুমমেটসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম জেলার সদ্বীপ উপজেলা বাসিন্দা মনির হোসেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করছে। এই বিক্ষোভের জেরে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৮ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে। এর মধ্যে তার মেয়ে মায়মুনা ইসলাম নুহাও রয়েছেন। তিনি আরও জানান, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মুখ সারির প্রতিবাদী হিসেবে কাজ করছেন তার মেয়ে নুহা। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নুহার রুমমেট ও মিনেসোটার কংগ্রেসওমেন ইলহান আবদুল্লাহি ওমরের মেয়ে ইসরা হিরসিসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  নুহা ফুল স্কলারশিপ নিয়ে নিউরো সায়েন্সের তৃতীয় সেমিস্টারে পড়াশোনার পাশাপাশি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিও করছেন। গ্রেপ্তার এড়াতে নুহা লুকিয়ে ছিলেন বলে উল্লেখ করেন তার বাবা। তিনি আরও জানান, মেয়ে নুহা এবং তার সহপাঠীরা আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় ইসরায়েলের ফান্ড প্রত্যাখানের দাবি জানাচ্ছেন। তারা অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধেরও দাবি জানাচ্ছেন। ইহুদি সম্প্রদায়ের অনেকেও তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।  মনির হোসেন বলেন, নুহা ও তার সঙ্গীরা ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড, এমআইটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানবতার পক্ষের আন্দোলনে ক্রমশ যুক্ত হতে শুরু করছে। 
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৭

চুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাসচালক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ঘাতক শাহ আমানত বাসের চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।   বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷  তার নাম তাজুল ইসলাম (৪৮)। চালক গ্রেপ্তারের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অবহিত করা হলে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।  তবে বাকি দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, ঘাতক বাস চালককে গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। চুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তাকে এবং বাসের হেল্পারকে বিবাদী করে সড়ক দুর্ঘটনা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এই মামলায় চালককে আইনি প্রক্রিয়া শেষে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে। এ দিকে এই ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল ৯ দফা দাবির কথা বলা হলেও তার সঙ্গে আরও এক দফা দাবি যোগ করেছেন তারা। আন্দোলন নিয়ে কটূক্তি করা হয়েছে এমন দাবিতে সুমন দে নামে চুয়েটের এক শিক্ষকেরও অপসারণ দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দেওয়া এই দশ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৭

নিহত চুয়েটের ২ শিক্ষার্থীর পরিবার পাবে ১০ লাখ টাকা 
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সঙ্গে চুয়েট কর্তৃপক্ষ, ছাত্র প্রতিনিধি, বাস মালিক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এক বৈঠকে এ কথা জানানো হয় হয়।  এর আগে সোমবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত হন।  তারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা। তিনি নরসিংদীর কাজল সাহার ছেলে। অপরজন তৌফিক হোসেন একই বিভাগের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি নোয়াখালী সুধারামের নিউ কলেজ রোডের মোহাম্মদ দেলোয়ারের ছেলে।  চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি খুব শিগগিরই এ সড়ক সম্প্রসারণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। এ ছাড়া সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন। আহত শিক্ষার্থী তিন লাখ টাকা পাবেন। কালকের মধ্যেই আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্রসহ ফরমপূরণ করে পাঠিয়ে দেব। দু-একদিনের মধ্যে আমরা সে টাকা পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে পারব বলে আশা করছি।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫১

নোবিপ্রবি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে ৭ হাজার ৭৬৩ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী  
গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) কেন্দ্রে পরীক্ষা দিবেন ৭ হাজার ৭৬৩ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।  মঙ্গলবার(২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র আরটিভিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জানা যায়, নোবিপ্রবি কেন্দ্রে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’ ইউনিটে ৪৫০৮ জন, ‘বি’ ইউনিটে ১ হাজার ৭৮১ জন এবং সি ইউনিটে ১ হাজার ৪৭৪ জন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। বিজ্ঞান শাখাভুক্ত ‘এ' ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ২৭ এপ্রিল, মানবিক শাখাভুক্ত ‘বি' ইউনিটের পরীক্ষা ৩ মে এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখাভুক্ত ‘সি' ইউনিটের পরীক্ষা ১০ মে অনুষ্ঠিত হবে। এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডি’ ইউনিটের স্বতন্ত্র পরীক্ষা ১১ মে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, এ বছর গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৫

বাসের ধাক্কায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত
মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় আরও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।  সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সড়কের সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসেন। শান্ত সাহা নরসিংদী সদরের চার নম্বর ওয়ার্ডের কাজল সাহার ছেলে। আর তৌফিক নোয়াখালীর সুধারামের নিউ কলেজ রোড দুই নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। এ দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীর নাম জাকারিয়া হিমু। তিনি ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। হতাহতরা সবাই মোটরসাইকেলে ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চুয়েটের তিন শিক্ষার্থীকে বহনকারী মোটরসাইকেলটিকে শাহ আমানত নামের দ্রুতগামী একটি বাস পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলের আরোহী শিক্ষার্থীরা ছিটকে পড়েন। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাসটিকে আটক করেছে। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলাউদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত একজনকে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালে ও আরেকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১৮

জাবিতে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ছয় হাজার টাকা ‘শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি’ আদায়ের প্রতিবাদে ও ফি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আহসান লাবিবের সঞ্চালনায় বক্তারা শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি আদায়কে ‘অন্যায্য’ উল্লেখ করে অবিলম্বে এ ফি বাতিলের দাবি জানান। মানববন্ধনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সংগঠক সোহাগী সামিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দিনের পর দিন লাইটিং করে অর্থ অপচয় করতে দ্বিধাবোধ করে না। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য তাদের পকেট থেকে টাকা নিতে চায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলো গরিব-দুঃখী মেহনতি মানুষদের আশ্রয়স্থল। খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এখন এ প্রতিষ্ঠানগুলো যদি দিনের পর দিন খরচ বাড়াতে চায় তাহলে তারা কোথায় যাবে। ‘টাকা যার শিক্ষা তার’- এ নীতি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে না আসলে শিক্ষার্থীরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর অন্যায়ভাবে ছয় হাজার টাকার দায় চাপানো হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ ‘অ্যামাউন্ট’ হয়তো খুব বেশি না। কিন্তু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর খুব কম অ্যাফোর্ডেবল ফি দিয়ে ভর্তি হয়ে আসছিলো। পরবর্তীতে বিভাগ উন্নয়ন ফি চালু করা হলেও ছাত্রদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বাদ দেওয়া হয়। এখন আবার নতুন করে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি হিসেবে তা চাপানো হয়েছে। আমরা একে অন্যায্য বলে দাবি করছি। অনতিবিলম্বে এ ফি না কমালে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে ফি আদায়ের প্রবণতা বাদ দিতে হবে। বিভিন্ন বিভাগে উইকেন্ড কোর্স চালু আছে। বিভাগগুলো বলছে, এ টাকা যথেষ্ট নয়। তাদের অর্থসংকটের অতিরিক্ত টাকা কি শিক্ষার্থীরা বহন করবে? পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য হচ্ছে সর্বস্তরের সবার জন্য উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা। পাবলিক ফান্ড ট্যাক্স বা ইউজিসি থেকে অন্য কোনোভাবে এ টাকা সমন্বয় করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ টাকা নেওয়া যাবেনা। ছাত্রদের কাছ থেকে টাকা নিলে এ বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয় স্বার্থকতা হারাবে। কালকে থেকে ভর্তি শুরু হবে, অসংখ্য ছাত্রদের ওপর অন্যায্য অর্থনৈতিক চাপ আসবে। এটা কোনোভাবেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে কাম্য নয়। আমরা সকল শিক্ষার্থীকে এ যৌক্তিক দাবিতে সংযুক্ত হওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়