• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এমপি একরামুলের শাস্তি দাবি জেলা আ.লীগের
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর অন্যায় আচরণ ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংসদ সদস্য পদ স্থগিত চেয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালী প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।    সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলেকে অন্য উপজেলা থেকে এনে সুবর্ণচর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। একই সঙ্গে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত ও দল থেকে বহিষ্কার দাবি করেন। এ সময় ভোট না দিলে উন্নয়ন না করার যে বক্তব্য দিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান।    এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন প্রমুখ।  অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগে আমার কোনো পদ নেই, কী থেকে বহিষ্কার করবে। সংসদের ভেতরে কোনো অনিয়ম করলে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। এর বাইরে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা বা বহিষ্কার করার কোনো নিয়ম নেই।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫০

চাল বিক্রিতে নতুন নির্দেশনা, না মানলে শাস্তি
চাল বিক্রিতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। নির্দেশনা অনুযায়ী, চালের বস্তায় ধানের জাত ও মিলগেটের মূল্য লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখসহ থাকবে ওজনের তথ্যও; যা রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ থেকে কার্যকর হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে রয়েছে প্রয়োজনীয় শাস্তির ব্যবস্থা।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমতো জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।   এর মধ্যে রয়েছে, চালের উৎপাদনকারী মিলমালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান বা চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে, যা আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে কার্যকর হবে।   খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সকল প্রকার চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন উল্লেখ থাকতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে মিলগেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে।    এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১০

বন কর্মকর্তা হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি নাগরিক সমাজের
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বন বিটের কর্মকর্তা সাজাদুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের অতিসত্বর আইনের আওয়ায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে নাগরিক সমাজ। রোববার (৩১ মার্চ) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রধান বন সংরক্ষক বরাবর পাঠিয়েছে সংগঠনটির নেতারা। চিঠিতে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উল্লেখ করেন, দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বন বিটের কর্মকর্তা সাজাদুজ্জামানের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের আওতাভুক্ত রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় বনের জমি রক্ষা করতে গিয়ে ভূমি দস্যুদের নির্মমতার শিকার হন সাজাদুজ্জামান। উখিয়া রেঞ্জের হরিণমারা অংশ থেকে পাহাড় কেটে বালু সরবরাহ করার সময় একটি মিনি ট্রাক (ডাম্পার) তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। এ ঘটনায় আহত হন আরও এক বন কর্মকর্তা। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এর আগে ২০২০ সালের ৭ আগস্ট মহেশখালীতে মো. ইউসুফ উদ্দীন নামে আরও এক বন রেঞ্জ কর্মকর্তা পাহাড় ও বনখেকোর হাতে অপহত্যার শিকার হয়েছিলেন। সে ঘটনারও সঠিক ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার হয়নি। পাহাড় ও বন খেকোদের দমন করতে না পারার ব্যর্থতা এসব অপরাধীকে আরও বেপরোয়া করে তুলেছে। এর ধারাবাহিকতায়ই সাজাদুজ্জামানকেও অপহত্যার শিকার হতে হলো। নির্মম এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের নেতারা। একইসঙ্গে প্রয়াত মো. ইউসুফ ও সাজাদুজ্জামানের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং আহত বন কর্মকর্তার চিকিৎসা দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা। চিঠিতে বনভূমি রক্ষার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা ও নিরাপদ কর্মক্ষেত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানানোসহ এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও অনুরোধ জানিয়েছেন নেতারা। প্রধান বন সংরক্ষক বরাবর পাঠানো ওই চিঠিতে সই করেছেন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল, নিজেরা করি এর সমন্বয়কারী খুশী কবির, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এর নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞানবিভাগ ও ডিন, বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪০

মস্কো হামলায় জড়িত সবাই শাস্তি পাবে : পুতিন
মস্কোর ক্রোকাস সিটি কমপ্লেক্সে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শনিবার (২২ মার্চ) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। পুতিন বলেন, সব হামলাকারীকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই হামলার পেছনে যারাই রয়েছে তাদের সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, হামলাকারীরা ইউক্রেনের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এর ফলশ্রুতিতে সেদিকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে হামলাকারীদের সীমান্ত পার করে দিতে ইউক্রেনে একটি দল কাজ করছিল। ভয়াবহ ওই হামলাকে ‘বর্বর ও সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করে পুতিন বলেন, শত্রুরা আমাদের বিভক্ত করতে পারবে না। এর আগে, শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। তখন সেখানে একটি কনসার্ট চলছিল। বন্দুকধারীরা কনসার্ট হলে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। ভয়াবহ এই হামলায় এখন পর্যন্ত ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক। নিহতদের স্মরণে রোববার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে হামলার পরপরই ইসলামিক স্টেট- খোরাসান এর দায় স্বীকার করেছে। সূত্র : বিবিসি
২৩ মার্চ ২০২৪, ২০:৫৫

যৌন নিপীড়নের দায়ে জবির দুই শিক্ষকের শাস্তি
যৌন নিপীড়নের দায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষক সাহেদ ইমনকে সাময়িক বহিষ্কার ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে সহযোগিতা না করায় একই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলের দেওয়া রিপোর্টে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ সিন্ডিকেট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দায়ের করা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি এখানে উপাচার্য হয়ে আসার পর আরেকটি তদন্ত বোর্ড গঠন করে দিয়েছি। আশা করি খুব শিগগিরই সেই রিপোর্ট আমরা হাতে পাবো।  তিনি আরও বলেন, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের সাময়িক বহিষ্কার আদেশ নিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনার যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সে বিষয়েও সম্মানিত সিন্ডিকেট সদস্যদের অবহিত করা হয়েছে। এর আগে শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার পর সোমবার (১৮ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তোলেন ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম। এর মধ্যে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন একই বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমনের ওপর। আর তাকে বাঁচানোর চেষ্টার অভিযোগ তোলেন বিভাগটির চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিমের ওপর।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৫

আইসিসি থেকে শাস্তি পেলেন তাওহীদ হৃদয়
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি টাইগারদের তরুণ ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়। বিপরীতে মেজাজ হারিয়ে লঙ্কান ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিতর্কে জড়ান তিনি। যার ফলে আইসিসি থেকে শাস্তি পেয়েছেন এই ডান হাতি ব্যাটার। সোমবার (১১ মার্চ) এক বিবৃতি দিয়ে হৃদয়ের শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)। আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল-১ ভঙ্গ করায় ম্যাচ ফি’র ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে তাকে। আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের ২.২০ ধারায় বলা আছে- খেলোয়াড় বা খেলোয়াড়দের সমর্থন করেন এমন কারো সঙ্গে স্পিরিট অব দ্য গেমের পরিপন্থী কিছু করা যাবে না। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে নুয়ান থুসারার বলে আউট হওয়ার পর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের সঙ্গে তর্কে জড়ানোর পাশাপাশি তেড়ে যেতে দেখা যায় হৃদয়কে। এমন অপরাধের জন্য হৃদয়ের নামের পাশে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে। ২৪ মাসের মধ্যে আবারও কোনো অপরাধ করলে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারেন হৃদয়। বাংলাদেশি এই ক্রিকেটার নিজের অপরাধ ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের কাছে স্বীকার করায় ও শাস্তি মেনে নেওয়ায় আর কোনো শুনানির প্রয়োজন হয়নি।   অন ফিল্ড আম্পায়ার সরফদ্দৌল্লা সৈকত, তানভীর আহমেদ, তৃতীয় আম্পায়ার গাজী সোহেল ও চতুর্থ আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল শাস্তি কার্যকর করেন। লেভেল-১ ভঙ্গ করার সর্বনিম্ন শাস্তি তিরস্কার ও সর্বোচ্চ শাস্তি ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ অবধি জরিমানা ও দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট
১১ মার্চ ২০২৪, ১৩:০০

ঢাবির ৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ৬০ জনকে শাস্তি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার ও ৬০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন, অসদাচরণ ও শৃঙ্খলাপরিপন্থী অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া ও পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ওই সকল শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও শাস্তি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শৃঙ্খলা পরিষদের সভার সুপারিশ অনুযায়ী গত ৩ মার্চ সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক সভায় বহিষ্কারের এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। এতে আরও বলা হয়, মৃৎশিল্প বিভাগের সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী জাহিদ শেখ ও মো. শাহরিন ইসলাম শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের একজন শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলে আটক রেখে ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন এবং মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ফলিত গণিত বিভাগের মো. আযহা ইসলাম, সংগীত বিভাগের মর্তুজা হাসান খান, ইতিহাস বিভাগের মো. আজিম মাহমুদ তওসিফ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মো. রিয়াদ মাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানস্থ শিখা চিরন্তনে ঘুরতে আসা দুজন দর্শনার্থীর গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি মারধর করে ৫ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেন। এসব ঘটনা প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের এই সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন, অসদাচরণ ও শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজের অভিযোগে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মো. আব্দুল ওহেদকে সাময়িক বহিষ্কৃকার করা হয়েছে। সাময়িক বহিষ্কারের চিঠি সংশ্লিষ্ট থানা, শিক্ষার্থীর স্থানীয় অভিভাবক এবং স্থায়ী ঠিকানায় প্রেরণ করা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বহিষ্কৃত এই ৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কারাদেশ চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় হলে অবস্থান করতে পারবেন না। তাদের কৃত অপরাধের জন্য ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না’ মর্মে কারণ দর্শানো এবং ৭ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কৃত ৬০ শিক্ষার্থীর মধ্যে দুজনকে পরীক্ষাসহ তিন সেমিস্টার, ৪০ জনকে পরীক্ষাসহ দুই সেমিস্টার এবং ১৮ জনকে পরীক্ষাসহ ১ সেমিস্টার বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে চাঁদা গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রক্টর অফিসের মো. শামীম হোসেনকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৪

আইয়ার ও ঈষানকে কঠিন শাস্তি দিতে যাচ্ছে বিসিসিআই
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। ক্রিকেটাদের মধ্যে সব থেকে বেশি বেতন পেয়ে থাকে রোহিত-কোহলিরা। তাই কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটাররা ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট  খেলতে অনিহা প্রকাশ করছে গত কয়েক বছর ধরে। তাই ভারতের ক্রিকেটারদের ঘরোয়াতে খেলা বাধ্যতামূলক করেছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। আর গত বছর রঞ্জিতে না খেলার শাস্তি পেতে যাচ্ছেন এবার শ্রেয়াস আইয়ার ও ঈশান কিষাণ। চলতি বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন এই দুই ক্রিকেটার। সর্বশেষ চুক্তি অনুসারে শ্রেয়াস আইয়ার ‘গ্রেড বি’র খেলোয়াড় হিসেবে বছরে ৩ কোটি এবং ঈষান কিষান ‘গ্রেড সি’র খেলোয়াড় হিসেবে ১ কোটি রুপি করে বেতন পেতেন। দেশটির গণমাধ্যমের দাবি, ভারত ক্রিকেট দলের নির্বাচকেরা নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তির খেলোয়াড় তালিকা প্রায় ঠিক করে ফেলেছেন। কয়েকদিনের মধ্যেই বিসিসিআই চূড়ান্ত খেলোয়াড় তালিকা প্রকাশ করবে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সূত্র দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, নতুন চুক্তিতে আইয়ার ও কিষানকে রাখা হচ্ছে না, ‘বিসিসিআইয়ের জোর তাগাদার পরও ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেলায় চুক্তির তালিকায় কিষান ও আইয়ার থাকছেন না।’ জানা গেছে, এর আগে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের চিঠি দিয়ে সাবধান করেছিলেন বিসিসিআই সচিব। ক্রিকেটারদের পাঠানো চিঠিতে তিনি লিখেন, সম্প্রতি খেলোয়াড়দের মধ্যে একটি প্রবণতা দেখা গেছে, যা আমাদের জন্য উদ্বেগের কারণ। কিছু খেলোয়াড় (লাল বলের) ঘরোয়া ক্রিকেটের চেয়ে আইপিএলকে অগ্রাধিকার দেয়া শুরু করেছে। খেলোয়াড়দের এ ধরনের পরিকল্পনা আমাদের কাছে প্রত্যাশিত ছিল না। ঘরোয়া ক্রিকেটই সব সময় মূল ভিত্তি। এর ওপর ভারতীয় ক্রিকেট দাঁড়িয়ে আছে। খেলার প্রতি আমাদের যে দৃষ্টিভঙ্গি, সেই জায়গা থেকে এটিকে কখনোই অবমূল্যায়ন করা হয়নি। ঘরোয়া ক্রিকেটই ভারতীয় ক্রিকেটের মেরুদণ্ড গঠন করে এবং জাতীয় দলের ফিডার লাইন (পাইপ লাইন) হিসেবে কাজ করে। চিঠিতে আরও বলা হয়,ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি শুরু থেকেই পরিষ্কার। ভারতের হয়ে খেলতে আগ্রহী প্রত্যেক ক্রিকেটারকে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। সেখানকার পারফরম্যান্স জাতীয় দলে নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং সেখানে অংশগ্রহণ না করাটা গুরুতর প্রভাব ফেলবে।  
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১০

ধর্ষণের অভিযোগে দানি আলভেজকে কঠিন শাস্তি দিল আদালত
প্রায় দুই বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ে বিচার কার্যক্রম চলার পর ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানি আলভেজের রায় ঘোষণা হয়েছে। বার্সেলোনার সাবেক এই তারকাকে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে । একইসঙ্গে ভুক্তভোগী তরুণীকে দেড় লাখ ইউরো ক্ষতিপূরণ দিতেও বলা হয়েছে আলভেজকে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এই শাস্তির ঘোষণা দেয় স্পেনের একটি আদালত। এক বিবৃতিতে আদালত জানিয়েছেন, শারীরিক সম্পর্কের ঘটনায় ভুক্তভোগীর কোনো সম্মতি ছিল না বলে প্রমাণিত হওয়ায় এই রায় দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রমাণিত হয়েছে যে তিনি ধর্ষিত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল একটি নাইটক্লাবের ভিআইপি সেকশনের টয়লেটে যেতে ওই তরুণীকে প্রলুব্ধ করেন আলভেজ। তিনি ভুক্তভোগীকে বলেছিলেন, তুমি চাইলে চলে যেতে পারো। ওই নারী রাজি না হওয়ায় তাকে চড় মারে এবং ধর্ষণ করেন আলভেজ। ওই ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পেয়েছে আদালত।  ব্রাজিলিয়ান এই ফুটবলারের ক্যারিয়ার ছিল অনেকগুলো ট্রফিতে মোড়ানো, বিশেষ করে ক্লাব ফুটবলে। দেশের হয়ে দীর্ঘ দিন খেলেছেন তিনি। এ ছাড়াও স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনাতে সেরা ফুটবলারদের একজন ছিলেন তিনি। ক্যারিয়ারের একেবারে শেষদিকে এসে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে স্পেনের এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। যদিও শুরু থেকে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন আলভেজ। অবশেষে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাকে কঠিন শাস্তিই পেতে হলো। তবে তার আইনজীবী জানিয়েছেন রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৯

নাভালনি শতভাগ সুস্থ ছিলেন জানিয়ে পুতিনের শাস্তি দাবি স্ত্রীর
রাশিয়ার প্রধান বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি অসুস্থ হয়ে আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করেননি বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া ও সমর্থকরা। একইসঙ্গে নাভালনির মৃত্যু সংবাদ সত্যি হয়ে থাকলে পরিকল্পিত খুনের দায়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউলিয়া। নাভালনির স্ত্রী বলছেন, ‘আমি জানি না নাভালনির মৃত্যু সংবাদ সত্য কি না। আমরা পুতিন এবং তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনকে বিশ্বাস করতে পারি না। তারা সবসময় মিথ্যা বলে। তবে যদি এটি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে পুতিন, তার সব অনুগামী-অনুসারী, পুতিনের মিত্র এবং তার নেতৃত্বাধীন সরকারের সবাইকে এর দায় বহন করতে হবে।  আমাদের দেশ, আমার পরিবার এবং আমার স্বামীর সঙ্গে তারা যা কিছু করেছে তার জন্য শাস্তি ভোগ করতে হবে তাদের।’ শুক্রবার জার্মানির মিউনিখ শহরে ইউরোপভিত্তিক জোট দাভোসের প্রতিরক্ষা বিষয়ক সম্মেলন শুরু হয়েছে। ‘দাভোস অব ডিফেন্স’ নামের তিন দিনের এই সম্মেলনে যোগ দিতে ইউরোপ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে মিউনিখে উপস্থিত হয়েছেন শত শত রাজনীতিবিদ, সামরিক কর্মকর্তা এবং কূটনীতিক। যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হলে ইসরায়েল ও ইউক্রেন যুদ্ধের সম্ভাব্য পরিণতি কী হতে পারে— এ নিয়ে ইতোমধ্যে দুশ্চিন্তায় পড়েছে ইউরোপ। দাভোস অব ডিফেন্স সম্মেলন আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য এটিই। কিন্তু নাভালনির মৃত্যু সংবাদ সবকিছু ওলট-পালট করে দেয়। সম্মেলন শুরুর দিন শুক্রবার নির্ধারিত আলোচানা স্থগিত রেখে ইউলিয়া নাভালনায়াকে মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার আহ্বান জানান দাভোস অব ডিফেন্সের আয়োজকরা।  তিনি যখন বক্তব্য দেওয়ার জন্য মঞ্চে ওঠেন, সে সময় সম্মেলনে উপস্থিত সবাই দাঁড়িয়ে সম্মান জানান তাকে। নাভালনায়া বলেন, ‘এখানে আসার আগে দীর্ঘ সময় ধরে আমি ভেবেছি যে আমার কি এখানে আসা উচিত, না কি শিগগিরই মস্কোতে আমার ছেলে মেয়েদের কাছে যাওয়া উচিত। কিন্তু তখন আমার মনে হলো, এই অবস্থায় অ্যালেএক্সি থাকলে কী করতেন। আমি নিশ্চিত, তিনি এই মঞ্চে উপস্থিত থাকতেন।’ যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। কমলা বলেন, অ্যালেক্সি নাভালনির মৃত্যু সংবাদ যদি সত্য হয়, তাহলে এটি হবে পুতিনের নিষ্ঠুরতার আরও একটি উদাহারণ। যদি সত্যিই এটি ঘটে থাকে, তাহলে অবশ্যই রাশিয়া এর জন্য দায়ী— এটা আমরা স্পষ্টভাবে বলছি। প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষের দিকে রাশিয়ার আর্কটিক অঞ্চলের ইয়ামালো নেনত্স কারাগারে পাঠানো হয় নাভালনিকে। এই কারাগারটিকে রাশিয়ার সবচেয়ে কঠিন কারাগার বলে মনে করা হয়। শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইয়ামালো নেনত্স কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ওইদিন সকালে কারাগারের ভেতর হাঁটার সময় হঠাৎ তিনি অসুস্থ বোধ করেন নাভালনি এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে কারা চিকিৎকদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়; তবে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাভালনিকে মৃত ঘোষণা করেন। ঠিক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, বিবৃতিতে তা স্পষ্ট করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অসুস্থতাজনিত কারণে নাভালনির মৃত্যু হয়েছে—সেকথা বিশ্বাস করতে পারছেন না তার মা ও স্ত্রীসহ অনেকেই। কারণ, মাত্র দুই দিন আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়ার উদ্দেশে একটি আবেগপূর্ণ ভিডিওবার্তা দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাকে বেশ হাসিখুশি ও প্রাণবন্ত মনে হয়েছে। এছাড়া রুশ সংবাদপত্র নোভায়া গ্যাজেটের প্রতিবেদন অনুসারে, নাভালনির মা ল্যুডমিলা নাভালনায়া বলেছেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি যখন তিনি নাভালনিকে শেষবার দেখেছিলেন তখনও তিনি শতভাগ সুস্থ এবং হাসিখুশি ছিলেন।  নাভালনির সমর্থকদের একাংশের অভিযোগ, কারাগারে খুন করা হয়েছে নাভালনিকে এবং প্রশাসন সেটি আড়াল করতে অসুস্থতাজনিত আকস্মিক মৃত্যুর সংবাদ প্রচার করছে। নাভালনির প্রধান সহকারী লিওনিদ ভলকোভ বলেছেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রের প্রচারণা বিশ্বাস করার কোনও কারণ নেই। তার মৃ্ত্যুর খবর যদি সত্য হয়, তাহলে নাভালনি মরেননি। পুতিনই তাকে খুন করেছেন।’ উল্লেখ্য, রাশিয়ায় নাভালনিকেই একমাত্র বিরোধী নেতা বলে মনে করা হতো, যিনি সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিতে রাশিয়াজুড়ে বিপুল সংখ্যক মানুষকে একত্রিত করতে সক্ষম ছিলেন।  ২০২০ সালেও তাকে সাইবেরিয়ায় বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল। তবে সে যাত্রায় অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। সে সময় পশ্চিমা দেশগুলো জানায় যে, তার ওপর স্নায়ুবিক এজেন্ট প্রয়োগ করা হয়েছিল।  
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়