• ঢাকা রোববার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
প্রতিবাদের জন্য নজরুল আমাদের উদ্বুদ্ধ করছেন: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আজও আমরা গণতন্ত্র ও অধিকারহারা এক ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে আছি। এই পরিস্থিতির প্রতিটি ক্ষণ প্রতিবাদের জন্য নজরুল আমাদের উদ্বুদ্ধ করছেন। শনিবার (২৫ মে) সকাল সাতটার দিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রিজভী। রুহুল কবির রিজভী বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মানবতা, স্বাধীনতা ও বিপ্লবের গান আমাদের প্রাণিত করেছে। আজও তা আমাদের উদ্বুদ্ধ করে। যে প্রতিবাদের ভাষা তিনি অত্যন্ত শৈল্পিক নৈপুণ্যে দিয়ে গেছেন, সেটি রপ্ত করে আমরা আজও গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ফেরানো ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লড়াই অব্যাহত রেখেছি। জাতীয়তাবাদী দলের এই সিনিয়র নেতা বলেন, আমরা যখন কারাগারে যাই, যখন আমাদের বিচার হয়। তখন আমরা নজরুলকে স্মরণ করি। কারণ আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি বলেই আমাদের সাজা দিচ্ছে, কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যেমন নজরুল এই উপমহাদেশে প্রথম স্বাধীনতার মন্ত্র তার কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত হয়েছিলো বলেই তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাই প্রতিটি মুহূর্তে, প্রতিটি ক্ষণে তার কবিতা, গান এবং তার সমস্ত সাহিত্য সৃষ্টি আমাদের উদ্বুদ্ধ করছে, শত নিপীড়ন নির্যাতন ভোগ করে আজকের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রতিবাদ করতে, এগিয়ে যেতে। যতদিন নজরুল নির্বাক হননি, ততদিন তিনি নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করে নিপীড়িত মানুষের পক্ষে লিখে গেছেন। তিনি বলেন, নজরুল সব সময়ই প্রাসঙ্গিক। তার পথ দিয়েই আবারও ইনশা আল্লাহ এ দেশে গণতন্ত্র, রাষ্ট্রের বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট্য, কথা বলার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারব।  
১৫ ঘণ্টা আগে

প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেশ ও জনগণ অপাঙক্তেয়: রিজভী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শুধু ক্ষমতাই আরাধ্য, দেশ ও জনগণ অপাঙক্তেয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।  বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৩৮১ কোটি ৬ লাখ টাকায় স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেইকেল কেনার প্রসঙ্গ টেনে রিজভী এ সময় বলেন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ২৬১টি স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেইকেল, অর্থাৎ এক ধরনের স্টেশন ওয়াগন ক্রয়ের জন্য মত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিটির মূল্য এক কোটি ৪৬ লাখ টাকা।  তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের আগেই ওয়াগনগুলো কেনার কথা ছিল, যা উৎকোচ হিসেবেই মানুষ বিবেচনা করেছে। যাই হোক, সেই সময় এই ক্রয়ের বিষয়টি স্থগিত রেখে ডামি নির্বাচনে কর্মকর্তাদের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতাস্বরূপ এখন তাদের তা দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেশ ও জনগণ অপাঙক্তেয়, শুধু ক্ষমতাই আরাধ্য। সরকারের এই নীতি কর্তৃত্ববাদী শাসনের এক চরম দৃষ্টান্ত। বিএনপির এ নেতা এরপর বলেন, ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ খ্যাত বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞায় সরকারের লোকেরা স্তম্ভিত হয়ে গেছে। জেনারেল আজিজ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণরত নেতাকর্মীদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, ‘বিজিবির সবই প্রাণঘাতী অস্ত্র। কেউ আক্রমণ করলে জীবন বাঁচাতে গুলি করতে পারে।’ পক্ষান্তরে তিনি আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের ওপর গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। রিজভী আরও বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ ও সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীররা আওয়ামী ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় গেস্টাপো বাহিনীর ন্যায় ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণেও ভূমিকা রেখেছে তারা।
২৩ মে ২০২৪, ১৪:৪৩

অচিরেই আমাদের আন্দোলন থেকে প্লাবন তৈরি হবে: রিজভী 
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ছোট ছোট বালুকনা দিয়ে যেমন মহাদেশ তৈরি হয়, তেমনি অচিরেই আমাদের আন্দোলন থেকে প্লাবন তৈরি হবে। এ সরকারকে বিদায় করে নেতাকর্মীদের মুক্ত করতে পারব ইনশাল্লাহ। মঙ্গলবার (২১ মে) নয়াপল্টনে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে তিনি এসব কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত। মিছিলের আওয়াজ শুনলেই নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করায়। আজকে আতঙ্ক থেকেই নীরব, টুকু, আবু আসফাকসহ নেতাকর্মীদের কারাগারে বন্দি করে রেখেছে।  তিনি বলেন, গোটা বাংলাদেশ এখন কাঁটাতারের বেড়ায় আটকে আছে। উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত হয়েছে। যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে, দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে চায়, বাকস্বাধীনতা ফেরাতে চায় তাদের জায়গা হচ্ছে কারাগারে। তিনি আরও বলেন, যারা চুরি করে, সন্ত্রাসী করে এবং যারা মানুষ খুন করে তারা সবাই সরকারের লোক, মন্ত্রী এমপি বা দলের নেতাদের আত্মীয় স্বজন। দেশে সামাজিক অনাচার যারা করছে তারা ক্ষমতাসীন দলেরই লোক। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যারা কোটি কোটি ডলার চুরি করছে তাদের পুলিশ ধরতে পারছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরির তদন্তের ঘটনা ৭৮বার পিছিয়েছে। সাগর রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন ১০৯ বার পিছিয়েছে। অথচ ইশরাকের মতো তরুণ, যে বিদেশ থেকে লেখাপড়া করে তার বাবার মতো মানুষের সেবা করতে রাজনীতি করছে তাকে বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিছিলে আরও অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মহানগরের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, মহানগরের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল নেতা মেহেবুব মাসুম শান্ত, ওমর ফারুক কায়সার, আউয়াল।
২১ মে ২০২৪, ১৫:১৫

দুর্নীতি ঢাকতে সরকার জুলুমের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে: রিজভী 
অনিয়ম, দুর্নীতি ও মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনজীবনে যে হতাশা নেমে এসেছে সেটিকে ঢেকে রাখতে সরকার জুলুমের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এমনই ‘ওয়াশিং মেশিন’, এর ভেতর দিয়ে ঢুকলে লুটেরা, হরিলুটকারী, টাকা পাচারকারী মহাদুর্নীতিবাজরা সাফ হয়ে যায়। সোমবার (২০ মে) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, শীর্ষ ব্যবসায়ী কোনো অনুমতি না নিয়ে বিদেশে অর্থ সরিয়ে বিনিয়োগ করতে পারে। নিয়ম—নীতি না মেনে ক্ষমতাঘনিষ্ঠের কাছে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। ফলে ব্যাংকিং খাতে চরম অব্যবস্থাপনা। ঋণখেলাপীর পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে, দেশের আর্থিক খাত এখন শূন্যের মধ্যে ঝুলছে। যেকোনো সময় এর ভয়ংকর ক্র্যাশল্যান্ডিং হতে পারে। আর তাই মিথ্যা আর বিভ্রান্তি আওয়ামী নেতাদের সারাক্ষণের নিত্যসঙ্গী।  সরকার মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, মানুষের মনোযোগকে ধূসর ও বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সরকার অবিরাম বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে। অথচ বিরোধী নেতাদের প্রতি রীতি ও শালীনতা উপেক্ষা করে ক্রমাগত বিষোদগার করা হয়। বিরোধী দলের কথাবলা, স্বাধীন মত প্রকাশ করা আওয়ামী নীতিবিরুদ্ধ। সারাদেশকে অনতিক্রম্য কাঁটাতারের বেড়ায় ঘিরে রাখার পরও জুলুমের পরিধি বিস্তৃত করা হচ্ছে প্রতিদিন। ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ছিলেন। অপেক্ষাকৃত এই তরুণ নেতার জনপ্রিয়তায় ডামি সরকার মনে করছে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতায় থাকার নিদারুণ ব্যাঘাত ঘটাবে। ইশরাকের সাহসী নেতৃত্বে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী অস্বস্তিবোধ করছে। তাই প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে গতকাল পল্টন থানার একটি মিথ্যা মামলায় জামিন না দিয়ে সরকারের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  রিজভী বলেন, আদালতের স্বাধীনতা থাকলে দুর্বল গদবাঁধা সাজানো মামলায় প্রকৌশলী ইশরাকসহ বিপুল সংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মীকে অকারণে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশী সাজা প্রদান ও আটক রাখতে পারতো না। দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষরা এখন কারাগারে, আর টেন্ডারবাজ, তদবিবাজ, ধোঁকাবাজ, সিন্ডিকেটবাজ, চাঁদাবাজ ও ঋণখেলাপীদের দৌরাত্ম্য এখন চরমে। আমি অবিলম্বে জনতার মেয়র ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ফরমায়েশি সাজা বাতিল এবং অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি।
২০ মে ২০২৪, ১৯:৪৮

ব্যাংকে কী তাহলে মাস্তান-মাফিয়া ঢুকবে, প্রশ্ন রিজভীর
ব্যাংকে সাংবাদিকরা ঢুকবে কেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে? রোববার (১৯ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মধুখালীতে গণপিটুনিতে নিহত দুই শ্রমিকের পরিবারকে সহায়তা প্রদান পূর্বে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।  রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভারতীয় একটি পত্রিকা লিখলো বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার হ্যাক হয়ে গেছে। ব্যাংক তো একটা স্টেটমেন্ট দিল, কারণ তারা সরকারের চাকরি করেন। সরকার যা বলবে তাদেরকে তাই শুনতে হবে। কিন্তু মূল ঘটনা কি আড়াল করা যাবে সাংবাদিকদের ঢুকতে না দিয়ে? রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে অভিযোগে করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে। রিজার্ভ তো তলানিতেই। এ সময় তিনি বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন। বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আমরা একটা শূন্য গহ্বরের ভেতর বাস করছি। আমাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। কীসের ওপর দাঁড়িয়ে আছি তা নিজেরাই বলতে পারব না। শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী কারা? এরা সবাই ক্ষমতাসীনদের আত্মীয়-স্বজন কাছের লোক।   আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে। রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
১৯ মে ২০২৪, ১৬:০২

এই দুঃশাসন জনগণ বেশিদিন মানবে না: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে চলছে তামাশা। চারদিকে চলছে লুটপাটের সংস্কৃতি। এই দুঃশাসন জনগণ বেশিদিন মানবে না। শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‌এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সকল রাজবন্দির দ্রুত মুক্তি দিতে হবে।   তিনি বলেন, এই স্বৈর সরকার দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে না। তারা জুয়ারিদের দেশের টাকা পাচার করার সুযোগ করে দিচ্ছে। বিভিন্ন অনলাইন কেসিনো বেটিংয়ের মাধ্যমে জুয়ারিরা দেশের টাকা বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। আজকে সরকার আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনে ভারতকে স্বচ্ছল করছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারসহ সকল বন্দিদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মহানগরের প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। 
১০ মে ২০২৪, ১৯:১৪

জনগণের সম্পদ লুটপাটে বারবার ডামি নির্বাচন: রিজভী 
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অবৈধভাবে জনগণের সম্পদ লুটপাট করতেই বারবার ডামি ও প্রহসনের নির্বাচন করতে চাচ্ছে সরকার। আজকেও গণমাধ্যমে দেখলাম ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ার কথা। এক একজন উপজেলা চেয়ারম্যান শত বিঘা সম্পদের মালিক। তাদের আয় বেড়েছে ১২শ থেকে ১৮শ গুণ। উপজেলা নির্বাচন বর্জনের দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে রাজধানীর বনানী এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ দাবি করেন। বনানী কবরস্থান থেকে এয়ারপোর্ট রোড পর্যন্ত এ সময় লিফলেট বিতরণ করা হয়। তিনি বলেন, এসব ডামি প্রতারণার নির্বাচনের সঙ্গে জনগণ নেই। আওয়ামী নেতাদের কথায় জনগণ সাড়া দিচ্ছে না। আগামীকাল যে ১৪১টি উপজেলায় জালিয়াতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, জনগণ সেই নির্বাচনে যাবে না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা সুলতানা আহমেদ, বিএনপির সহ অর্থনৈতিকবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সদস্য রেহানা সুলতানা আরজু, পান্না ইয়াসমিন, জান্নাত চৌধুরী, পাপিয়া সরদার, সুমি আক্তার প্রমুখ।
০৭ মে ২০২৪, ১৪:২৪

বিএনপির জন্য মায়াকান্না করছে ওবায়দুল কাদের: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ সম্পাদক আছেন, প্রায় সময়ই তিনি বকবক করেন, খুব কথা বলেন। বিএনপির জন্য ওনার খুব মায়াকান্না। বিএনপির ভাবনায় উনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে এটা মনে হয়। মুরগির ছানার নিরাপত্তার জন্য যেমন চিল মায়াকান্না করে, কুমির যেমন কান্নাকাটি করে তেমন কুম্ভিরাশ্রু ওবায়দুল কাদেরের চোখ দিয়ে ক্রমাগত পড়ছে। সোমবার (৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে হাবীব উন নবী খান সোহেল মুক্তি পরিষদের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে রিজভী এসব কথা বলেন।  তিনি বলেন, বিএনপি নাকি দুর্বল হয়ে গেছে—এমন আওয়াজ ওবায়দুল কাদের মাঝে মাঝে দেন। আরও অনেক কথা বলেন, বিএনপি ক্লান্ত, বিএনপি হতাশ, বিএনপির নেতারা বিদেশ চলে যাচ্ছে। তারা (আওয়ামী লীগ) যে ভেতর থেকে ধ্বসে গেছে, ভেঙে গেছে এটা চাপা দেওয়ার জন্যই তিনি এ কথাগুলো বলেন। রিজভী বলেন, প্রতিদিনই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। মানুষ তিন বেলা খেতে পায় না। আজ মায়ের গর্ভ থেকে যে শিশুটা জন্মগ্রহণ করছে তার ঋণ হচ্ছে এক লাখ টাকারও বেশি। তারপরও তিনি (শেখ হাসিনা) ঋণ নিতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে বারবার বিশ্বাসঘাতকতা করা। জনগণের মালিকানা ছিনিয়ে নেওয়া। এই কারণে তাদের জনসমর্থন নেই। কয়েকজন সুবিধাবাদী লোক, কয়েকজন ঋণ খেলাপি, কয়েকজন বাজার সিন্ডিকেটের লোক আওয়ামী লীগকে ঘিরে আছে। এরা তো গণশত্রু, যারা বাজার সিন্ডিকেট করে দ্রব্যের দাম বাড়ায়, যারা ব্যাংক লুটপাট করে, টাকা বিদেশে পাচার করে। তাদের সঙ্গে তো দেশের জনগণ থাকে না। তারাই যদি এই সরকার এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকে তাহলে তো শেখ হাসিনা জনগণের সমর্থন পাবে না। জনগণের সমর্থন পাবে না বলে তারা এখন ফাঁকা বুলি মারে। উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা আবার একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজন যাতে না দাঁড়ায় সে জন্য কেন্দ্র থেকে নিষেধ করেছে। তারপরও মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনরা দাঁড়িয়েছে এবং তারা বলছে প্রধানমন্ত্রীর তো ২০/২৫ জন আত্মীয়-স্বজন আছে। তারা যদি দাঁড়াতে পারে তাহলে আমরা বাদ যাবো কেন। এই নির্বাচনে জনগণ তো যাবেই না এবং অন্য কেউ চান্স পাবে না। কারণ, অধিকাংশই আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী, আত্মীয়-স্বজন এবং ব্যবসায়ীরা নমিনেশন কিনছে। দলের সংকট হলে তারা তো থাকবে না কিন্তু তারাই এখন দখল করে আছে। ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভাঙা কলসি বাজে বেশি। আপনাদের আওয়ামী লীগ ভাঙা কলসি। তাই আপনারা বাজছেন বেশি করে। জনগণকে যা দেখিয়েছেন, যা বলেছেন সব মিথ্যা। ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল,পদ্মা সেতু দেখান এইবার বাজেটে লাখো কোটি টাকার ঋণ চাচ্ছেন কেন? জনগণের গলায় পা দিয়ে বিদ্যুতের বিল, গ্যাসের বিল, পানির বিল বাড়াচ্ছেন কেন? মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের জেলে রাখা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, একেবারে সাজানো মামলা দিয়ে গণতন্ত্রের মা আমাদের অসুস্থ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। যে মামলার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকি তার উন্নত চিকিৎসার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না।  ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম নোমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ অর্থসম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি জাহিদুল কবির, সাদরুজ্জামান, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ।
০৬ মে ২০২৪, ১৫:২৪

‘স্বাধীনতার চাবি বন্ধক রেখে ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে না’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রতিবেশীর কাছে দেশের স্বাধীনতার চাবি বন্ধক রেখে আর ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে না।  শুক্রবার (৩ মে) ঢাকা মহানগর উত্তরের তুরাগ থানা বিএনপির পক্ষ থেকে খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। রিজভী বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের চাবি প্রতিবেশীর কাছে বন্ধক রেখে আর ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে না। আজ যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন, ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য লড়াই করছেন, তাদের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তিনি বলেছেন, পঁচাত্তরের পর দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সবচেয়ে সুষ্ঠু হয়েছে। আপনি কি স্বীকার করে নিলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচন ঠিক ছিল না? তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলো ডামি নির্বাচন। আমরা আর মামুরা নির্বাচন। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর মানুষ এ নির্বাচনকে ধিক্কার জানাচ্ছে। ওবায়দুল কাদের সাহেবরা মিথ্যা কথা বলে কোনো না কোনোভাবে কলঙ্কের ভাবমূর্তি লুকাতে চাচ্ছেন। কিন্তু প্রযুক্তির এ যুগে কোনো কিছুই লুকানো যায় না। তিনি আরও বলেন, ডামি সরকার দেশকে এমন অবস্থায় নিয়ে গেছে, এখন বসে থাকার কোনো উপায় নেই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে শুরু করে সারাদেশে বিপুল তরঙ্গ সৃষ্টি হয়েছে। গণতন্ত্র ফেরাতে, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে নেতাকর্মীরা অদম্য সাহস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। নিপীড়ন-নির্যাতন করে, খুন করে, গুম করে এ আন্দোলন দমানো যাবে না।
০৩ মে ২০২৪, ১৭:৩৯

শ্রাবণের বৃষ্টিধারার মতো অনর্গল মিথ্যা বলছেন আ.লীগ নেতারা: রিজভী
ওবায়দুল কাদের ও অন্য আওয়ামী লীগ নেতারা শ্রাবণের বৃষ্টির ধারার মতো অনর্গল মিথ্যা কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।  বৃহস্পতিবার (২ মে) পথচারীদের মাঝে ঢাকা মহানগর উত্তরের বাড্ডা বিএনপির পক্ষ থেকে খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।   বিএনপি নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে রিজভী বলেন, গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কর্মীরা ক্লান্ত, নেতারা হতাশ, কেউ কেউ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। বিএনপির মুখে আন্দোলনের কথা শুনলে ঘোড়ারও হাসি পায়। আসলে বিএনপি নেতারা হতাশ বা ক্লান্ত নয়, বিএনপি নেতারা কেউ দেশ ছেড়ে যাচ্ছে না। দেশ ছেড়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতারা ও তাদের স্বজনরা। তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবরা হতাশা থেকে শ্রাবণের বৃষ্টির ধারার মতো অনর্গল মিথ্যা কথা বলছেন। শত নিপীড়নেও বিএনপি নেতারা রাজপথে আছে এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে। বিএনপির সিনিয়র এ নেতা আরও বলেন, বেসিক ব্যাংকসহ ব্যাংক লুট করে, হলমার্ক কেলঙ্কোরি করে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার নির্মাণের নামে টাকা লুটপাট করে সে টাকা তারা বিদেশে পাচার করেছে। তারা মালয়েশিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি করে তাদের স্ত্রী-সন্তানদের, আত্মীয় স্বজনদের সেখানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমরা তো আছি জেলে আসা যাওয়ার মধ্যে। শত নিপীড়নেও রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি। আমরা কোনো জুলুম নির্যাতনের কাছে মাথানত করবো না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শ্রমিকদের কল্যাণে কিছুই করেনি। বরং শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য দাবিতে, বেতনের দাবিতে, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করতে গেলে চারজন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শ্রমিক নেতা আমিনুল হককে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। রানা প্লাজায় হাজারো শ্রমিক হতাহত হলো, তাজরিন গার্মেন্টসে ১০০ শ্রমিক প্রাণ হারালো সেগুলো মানুষ ভুলে যায়নি। দেশে যে তাপদাহ চলছে তার জন্যও আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেন রিজভী। তিনি বলেন, আজ এক একমাসের মতো দেশে খরা চলছে, অগ্নিপ্রবাহ চলছে, নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষকে বাঁচানোর জন্য সরকার কিছুই করেনি। এগুলো হলো চেইন রিঅ্যাকশন। জিয়াউর রহমান খাল খনন, নদী খনন, বৃক্ষরোপন, সেচ ব্যবস্থাসহ যেসব কল্যাণমূলক কাজ করেছিল সেগুলো সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁওয়ে মানুষ সেচের জন্য পানি পাচ্ছে না। সবকিছুর জন্য ডামি সরকারই দায়ী।  
০২ মে ২০২৪, ১৪:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়