• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রাজনীতির নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা কোথাও দেখিনি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আগুন-সন্ত্রাস যারা চালায় তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। রাজনীতির নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা গত দুই তিন দশকে দুনিয়ার কোথাও আমি দেখিনি। বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে যে আগুন-সন্ত্রাস বিভিন্ন সময় হয়েছে এবং এখনো ওঁৎ পেতে বসে আছে। তাদের নেতারা হচ্ছে এই দুর্বৃত্তদের নেতা। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীমের মৃত্যুতে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।     পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন গত নির্বাচনের আগে কীভাবে ট্রেনের মধ্যে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। যাত্রী বেশে ঢুকে সেখানে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে বের হয়ে গেছে। তারা জানে সেখানে নারী-শিশু আছে, আগুনে পুড়ে তারা অঙ্গার হয়ে গেছে। এই যে আগুন-সন্ত্রাস, এটা কল্পনারও বাইরে। সুতরাং আজকে যেমন কোনো জায়গায় আগুন না লাগে সেদিকে সচেতন হতে হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আসলে বাংলাদেশে অগ্নিনির্বাপণের জন্য ঘরবাড়িতে এবং বিশেষ করে রেস্টুরেন্টগুলোতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রাখা হয় না। আপনারা জানেন ঢাকা শহরে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকার কারণে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যাতে এই ধরনের অগ্নিকাণ্ড আর না ঘটে, এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসকে কিন্তু ঢেলে সাজিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা যখন সরকার গঠন করি ২০০৯ সালে, তখন দেশের মাত্র ৪০টা উপজেলায় ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ছিল। এখন প্রত্যেকটা উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন আছে। এটা একটা বিরাট অগ্রগতি। ফায়ার সার্ভিসে আগে বিশ তালায় উঠতে গিয়ে ফায়ার ফাইটিং করার ব্যবস্থা ছিল না। বিশ তলা বা আরও উঁচু ভবনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ফয়ার ফাইটিং করতে পারে তাদেরকে সেইভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এমনকি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যাতে আকাশ থেকেও অগ্নিনির্বাপণ করতে পারে সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সবশেষে যেটি প্রয়োজন সেটি হলো মানুষের সচেতনতা। মানুষের সচেতনতার যদি অভাব থাকে তাহলে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেও অগ্নিনির্বাপণ করা সম্ভব নয়। আমাদের দেশ একটি গরমের দেশ। আমাদের দেশের প্রত্যেকটি ঘরবাড়িতেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।  বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির আয়োজনে সাপ্তাহিক গণবাংলার প্রধান উপদেষ্টা এম এ করিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এ ছাড়াও স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রয়াত আতাউর রহমানের একমাত্র কন্যা ফারদিন রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য মশিউর আহমেদ, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. সুমন সরদার, মহাসচিব এম এ বাশার প্রমুখ।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৮

নির্বাচনী খেলা শেষ, এবার রাজনীতির খেলা : কাদের
নির্বাচনী খেলা শেষ, এবার চলবে রাজনীতির খেলা। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) গণভবনে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।  তিনি বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী খেলা শেষ হয়েছে। এখন চলবে রাজনীতির খেলা। এখনও অনেক বাধা বিপত্তি আছে। গণতন্ত্রের শত্রুরা এখানো হুমকি দিচ্ছে।  ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তারেক রহমান আর রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়েছে। সে দূর থেকে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কানাডার আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এদের চেতনায় স্বাধীনতা নেই। এরপর দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র হচ্ছে, হবে। তবে আমাদের নেতাকর্মীদের মাথা গরম করলে হবে না। ঠাণ্ডা মাথায় মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে।  আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর নির্বাচনের উদাহরণ টেনে কাদের বলেন, এতো বড় নির্বাচন হলো, কিন্তু তেমন কোনো সহিংসতা হয়নি। পৃথিবীর বহু দেশে নির্বাচন হয়। কঙ্গোতে দেখলাম ইন্টারনেট বন্ধ, বিদ্যুৎ নেই, পরে ফল প্রকাশ। এমন নির্বাচন আমরা করিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রশংসায় ভাসিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত ৪০ বছরের সবচেয়ে সাহসী নেতা শেখ হাসিনা। আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য। তিনি আমাদের আশার বাতিঘর। বীর বাঙ্গালীর বীর কন্যা। সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মানুষকে ভালোবেসে মানুষের মধ্যে ঠাই করে নিয়েছেন। আপনাকে অভিনন্দন। আপনি সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।  টানা চতুর্থ মেয়াদে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রাজ্জাক, ফারুখ খান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, এবিএম মোজাম্মেল হক, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন প্রমুখ।  
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়