• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আফতাবনগরে পশুর হাট বসানো যাবে না: হাইকোর্ট
আসন্ন কোরবানি ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর আফতাবনগরে পশুরহাট বসানোর ইজারার বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার (৮ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। ইজারার বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করার ফলে আসন্ন কোরবানির ঈদে আফতাবনগরে পশুরহাট বসানো যাবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মো. ইউনুস আলী আকন্দ। এর আগে, গত ৪ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আফতাবনগরে গরুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ওই এলাকার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন ঢালী। এ ছাড়া আফতাবনগরে পশুর হাট না বসানোর বিষয়ে ডিএসসিসি-সহ সংশ্লিষ্টদের ডাক ও রেজিস্ট্রার যোগে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ। নোটিশে গত ৪ এপ্রিল প্রকাশ করা ইজারার কার্যক্রম বেআইনি বলে তা স্থগিত করার আর্জি জানানো হয়েছে। নোটিশে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও সিটি করপোরেশনের সচিব (প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বিবাদী করা হয়েছে। এদিকে, এবার ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ২২টি স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এরমধ্যে ডিএসসিসি সারুলিয়ায় স্থায়ী মার্কেটের পাশাপাশি ১১টি অস্থায়ী হাট এবং ডিএনসিসি গাবতলীতে স্থায়ী হাট ব্যবহারের পাশাপাশি ৯টি অস্থায়ী হাট স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ১১টি হাটের ইজারা দেওয়া এবং অফিসিয়াল মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে সমন্বয় করার ক্ষমতা রাখে। ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম জানান, প্রাথমিকভাবে ৯টি হাট স্থাপনের জন্য ইজারা নোটিশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও হাট বাতিল বা সংযোজনের অধিকার কর্তৃপক্ষের রয়েছে।  
৬ ঘণ্টা আগে

কৃষক অপমানিত হলে কঠোর ব্যবস্থা, অভিযোগ জানানো যাবে ফোনে
চলতি বোরো মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তর থেকে ভার্চুয়ালি বিভিন্ন জেলার সঙ্গে যুক্ত হয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এ সময় তিনি হুঁশিয়ার করে বলেছেন, ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম চলাকালে কোনো কৃষক অপমানিত কিংবা হয়রানির শিকার হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।  সাধন চন্দ্র মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘গোডাউনে ধান দিতে এসে কোনো শ্রমিক যেন কৃষকদের হয়রানি না করেন সেজন্য ডিসি ও আমাদের কর্মকর্তাদের নজর রাখতে বলেছি। কোনো কৃষক যেন অপমানিত ও হয়রানির শিকার না হন, সেই বিষয়ে আমরা সব সময় সচেষ্ট থাকব। যদি কেউ কোনো কৃষককে অপমান বা হয়রানি করে তবে আমরা তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।’  অভিযোগ জানাতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দুটি নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এবারের বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রমকে সামনে রেখে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দুটি নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে, যেন ওই নম্বরগুলোতে কৃষকরা ফোন করে হয়রানির কথা জানাতে পারেন। আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি ধান ও চালের গুণগত মান যাতে ভালো হয়, কোয়ালিটির সঙ্গে যাতে কোনো আপস না হয় সেটাই আমাদের নির্দেশনা। লক্ষ্যমাত্রা প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী জানান, এবারের বোরো মৌসুমে ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। এর মধ্যে ৫ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, এক লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ধান ৩২ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকায় এবং আতপ চাল ৪৪ টাকায় সংগ্রহ করা হবে এবার। একইসঙ্গে ৩৪ টাকা দরে ৫০ হাজার টন গম কেনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এদিকে ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চললেও জুনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ অর্জনের নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা প্রশাসকরা উপস্থিত ছিলেন। আরসি ফুড (আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক), ডিসি ফুড (জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক), কৃষি উপপরিচালক, কৃষক, চালকল মালিকরা ছিলেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের নির্দেশনা দিয়েছি।  সাধন চন্দ্র মজুমদার আরও বলেন, সঠিক সময়ে ধান, চাল ও গম সংগ্রহ করতে হবে। আমরা জুন মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ সংগ্রহ করার জন্য বলেছি। হাওরের ধানকে প্রাধান্য দিয়ে হাওয়ের বরাদ্দ বেশি দিয়েছি। কৃষক যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য প্রতি ইউনিয়নে তিনজন কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তার কাছে একটি করে ময়েশ্চার মিটার (ধানের আর্দ্রতা মাপার যন্ত্র) দেওয়া হয়েছে। যে কৃষকরা ধান দেবেন বলে আবেদন করেছেন, তালিকা পাঠিয়েছেন, তাদের বাড়ি গিয়ে মিটার দিয়ে ধান পরীক্ষা করে আসবেন কর্মকর্তারা। আর্দ্রতা ১৪ শতাংশের বেশি থাকলে তাদের বলবেন আরও শুকিয়ে ১৪ শতাংশে নিয়ে আসার জন্য। যাতে কৃষক হয়রানির শিকার না হন সেজন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছি এডিবি ফান্ডের কৃষির অংশ থেকে আরও ময়েশ্চার মিটার কিনে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিতরণের জন্য। 
২৩ ঘণ্টা আগে

এসএসসির ফল প্রকাশ ১২ মে, জানা যাবে যেভাবে
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১২ মে (রোববার) প্রকাশ করা হবে। এদিন দেশব্যাপী বেলা ১১টায় সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অনলাইনে একযোগে ফলাফল প্রকাশিত হবে। সোমবার (৬ মে) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাসার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আদেশে জানানো হয়, ফল প্রকাশের পর শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা। ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে জানা যাবে ফল। অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন (EIIN) অ্যান্ট্রি করতে হবে। এর মাধ্যমে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে। এছাড়া মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে। উদাহরণ: SSC Dha 123456 2024, লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে জানিয়ে দেওয়া হবে পরীক্ষার ফল। এর আগে গত ৩ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১২ মে (রোববার) সকাল ১০টায় গণভবনে চলতি বছরের মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফল ও পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হবে। মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে  সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। ২০২৪ সালের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৪৮ হাজার। এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হয় ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয় ২০ মার্চ। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিলের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৪ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২১ মার্চ শেষ হয়। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও ভোকেশনালের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১২ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২১ মার্চ শেষ হয়।
০৭ মে ২০২৪, ০১:২৮

আত্মহত্যাকারীর জানাজা পড়া যাবে কি?
আত্মহত্যা করা ইসলামে হারাম। এটি একটি কবিরা গুনাহ বা বড় পাপ। পৃথিবীর যত কষ্ট-যাতনার মধ্য দিয়েই যান, আত্মহত্যা করার অধিকার আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কাউকেই দেননি। বর্ণিত রয়েছে, ইবরাহিম নাখঈকে (রহ.) প্রশ্ন করা হয়েছিল, আত্মহত্যাকারীর জানাজা পড়া যাবে কি না। তিনি উত্তরে বলেছিলেন, হ্যাঁ, তার জানাজা পড়াটাই সুন্নাহ অর্থাৎ নবিজি (সা.) ও তার সাহাবীদের সময় থেকে চলে আসা রীতি। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা: ১১৯৯০) কোনো মুসলিম ব্যক্তি যদি আত্মহত্যা করেন, তা হলে তার জানাজা পড়া হবে। তবে তার জানাজায় সমাজের অনুসৃত ও মান্যবার ব্যক্তিরা শরিক হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যাতে করে ‘আত্মহত্যা কবিরা গুনাহ’ হওয়ার অপরাধবোধ মানুষের অনুভূতিতে জাগ্রত থাকে। জাবের ইবনে সামুরা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, এক ব্যক্তি ধারালো বস্তু দিয়ে আত্মহত্যা করলে তার ব্যাপারে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছিলেন, আমি তার জানাজা পড়ব না। (আস-সুনানুল কুবরা লিন-নাসাঈ: ২১০২)
০৬ মে ২০২৪, ০৩:০৯

প্রিসাইডিং অফিসারের আঙুলের ছাপে দেওয়া যাবে ভোট
৮ মে প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী শুরু হবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ২২ উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসি।  এক্ষেত্রে শুরুতেই পাঁচটি উপায়ে ভোটারের পরিচিত নিশ্চিত করতে হবে। আর কোনো কারণে যদি পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙুলের ছাপ ম্যাচিং না হয় তাহলে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে ওই ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দায়ভার সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে বহন করতে হবে। সম্প্রতি নির্বাচন পরিচালনা-২ (অধিশাখা)-এর উপসচিব আতিয়ার রহমানের সই করা বিশেষ পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সবশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুসারে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে বৈধ ভোটারকে উপস্থিত হতে হবে। তবে ভোট দেওয়ার আগেই সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৫টি উপায়ে ভোটার শনাক্ত করবেন। সেগুলো হচ্ছে- স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে, স্মার্ট কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে, ১৭ ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করে, ১২ ডিজিটের ভোটার নম্বর ব্যবহার করে এবং আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে। আর এসবের যেকোনো একটি উপায়ে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইভিএম মেশিনে আঙুলের ছাপ ম্যাচিং না হলে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নেবেন। তিনি (সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার) প্রথমে ভোটারের আঙুলের ছাপ নিয়ে পরবর্তীতে নিজের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে ভোটারকে শনাক্ত করবেন। এক্ষেত্রে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার উক্ত ভোটারকে শনাক্তকরণের সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করবেন বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই উপায়ে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার মোট ভোটারের সর্বোচ্চ ১ শতাংশ ভোটারকে শনাক্ত করে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করতে পারবেন। আর যেসব ভোটারের আঙুলের ছাপ ম্যাচিং হবে না এবং সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার নিজের আঙুলের ছাপ দিয়ে ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করবেন, সেসব ভোটারের জন্য আলাদা লগ পোলিং কার্ডে সংরক্ষণ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি অবৈধভাবে ভোট প্রদানের অপচেষ্টা করেন এবং উক্ত ব্যক্তির সংরক্ষিত আঙুলের ছাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অবৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণিত হয়, তাহলে তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। এ ছাড়া যে সকল ভোটারকে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার নিজের আঙুলের ছাপ দিয়ে শনাক্ত করবেন সে সকল ভোটারের তালিকা নির্ধারিত রেজিস্ট্রারে ভোটারের নাম ও ভোটার নম্বর লিখে স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন এবং নিজেও সই করবেন। প্রসঙ্গত, ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। এতে সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, কাজীপুর, পাবনা জেলার সাঁথিয়া, সুজানগর, বেড়া, যশোর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর, হরিরামপুর, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ, জামালপুর জেলার জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ী, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৬ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
০৫ মে ২০২৪, ১৩:৩১

মাত্র ৩২ হাজার টাকা খরচ করলেই থাকা যাবে শ্রীদেবীর বাড়িতে!
বলিউডের প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেত্রী শ্রীদেবী তার মেয়ে জাহ্নবী কাপুরের জন্য চেন্নাইয়ে একটা বাড়ি কিনেছিলেন। সেই বাড়িতেই শৈশবের স্মৃতিকে আটকে রেখেছেন শ্রীদেবীকন্যা। যখনই সুযোগ পান কিংবা মায়ের কথা মনে পড়ে, একছুটে চেন্নাইয়ের সেই বাড়িতেই পৌঁছে যান জাহ্নবী। এবার সেই বাড়িতেই থাকার সুযোগ রয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। ভেবে অবাক হচ্ছেন কীভাবে! খবর অনুযায়ী, আমেরিকান হোসস্টে প্রতিষ্ঠান এআরবিএনবির সাহায্য়ে জাহ্নবী এই বাড়িকেই গেস্ট হাউস বানাচ্ছেন। পিউপিলের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এয়ারবিএনবি অভিনেত্রীর প্রয়াত মা এবং কিংবদন্তি অভিনেতা শ্রীদেবীর কেনা প্রাসাদটিকে তাঁদের ১১টি আইকন সম্পত্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। ফলে সাধারণ মানুষ ভাড়া নিয়ে থাকতে পারবেন এই বাড়িতে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাহ্নবী তার চেন্নাই ম্যানশনের দরজা খুলবেন এয়ারএনবিএন ‘নির্বাচন’ করা ব্যবহারকারীদের জন্য। এক রাতের থাকার মধ্যেই প্যাকেজে রয়েছে জাহ্নবীর সঙ্গে তাঁর ‘প্রিয় বিউটি হ্যাকস’ এবং ‘তাজা, খাঁটি দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের স্বাদ নেওয়া’ সম্পর্কে কথোপকথনও অন্তর্ভুক্ত। জানা যায়, মাত্র ২৫ হাজার রুপি বা ৩২ হাজার টাকা খরচ করলেই আপনি থাকতে পারবেন শ্রীদেবীর এই চেন্নাইয়ের বাড়িতে।  
০৪ মে ২০২৪, ১৯:২৯

‘বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না’
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছন, বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না, যেকোনো মূল্যে খাড়িয়া সম্প্রদায়ের মাতৃ (পার্সী)-ভাষাকে রক্ষা করতে হবে। এর জন্য তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের গেস্ট হাউসে খাড়িয়া জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সাক্ষাতের সময় এ কথা জানান তিনি।  এ সময় খারিয়া জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। সাক্ষাতে শ্রীমঙ্গল বর্মা ছড়ার খাড়িয়া সম্প্রদায়ের দুই বোন ভেরোনিকা কেরকেটা ও খ্রিস্টিনা কেরকেটা তাদের ভাষায় কথা বলেন এবং তাদের সম্প্রদায়ের জহরলাল ইন্দোয়া নামের একজন তা বাংলায় বর্ণনা করেন। সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আল-মাহমুদ ফায়জুল কবির, জেলা পুলিশ সুপার মো. মঞ্জুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো আবু তালেব ও শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিনয় ভূষণ রায়। প্রধান বিচারপতি জানান, ভাষা বৈচিত্রের দেশ আমাদের বাংলাদেশ। তিনি গণমাধ্যমের সূত্রে জেনেছেন, খাড়িয়া সম্প্রদায়ের দুজন লোকই বেঁচে আছেন। যারা তাদের মাতৃভাষায় কথা বলতে পারেন। তারা মারা গেলে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে এই ভাষা। এই বিষয়টি তাকে ভাবান্বিত করেছে। তাই নিজ উদ্যোগেই এই দুজন মহিলার সঙ্গে তিনি দেখা করতে এসেছেন। তিনি আস্বস্ত হয়েছেন শুধু দুজন নয়, এই ভাষায় কথা বলতে পারেন আরও কয়েকজন আছেন এবং খাড়িয়া জনগোষ্ঠীর প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ বাংলাদেশে বসবাস করছেন। তবে এই ভাষাটি রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণের ওপর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে উদ্যোগ নিতে বলেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের আবিষ্কৃত চায়ের জাত ও তৈরি চায়ের গুণগত মান যাচাই করেন। এ সময় তিনি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চায়ের গুণগত মান ধরে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান করেন।
০৩ মে ২০২৪, ১৯:৫৮

‘স্বাধীনতার চাবি বন্ধক রেখে ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে না’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রতিবেশীর কাছে দেশের স্বাধীনতার চাবি বন্ধক রেখে আর ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে না।  শুক্রবার (৩ মে) ঢাকা মহানগর উত্তরের তুরাগ থানা বিএনপির পক্ষ থেকে খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। রিজভী বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের চাবি প্রতিবেশীর কাছে বন্ধক রেখে আর ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে না। আজ যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন, ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য লড়াই করছেন, তাদের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তিনি বলেছেন, পঁচাত্তরের পর দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সবচেয়ে সুষ্ঠু হয়েছে। আপনি কি স্বীকার করে নিলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচন ঠিক ছিল না? তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলো ডামি নির্বাচন। আমরা আর মামুরা নির্বাচন। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর মানুষ এ নির্বাচনকে ধিক্কার জানাচ্ছে। ওবায়দুল কাদের সাহেবরা মিথ্যা কথা বলে কোনো না কোনোভাবে কলঙ্কের ভাবমূর্তি লুকাতে চাচ্ছেন। কিন্তু প্রযুক্তির এ যুগে কোনো কিছুই লুকানো যায় না। তিনি আরও বলেন, ডামি সরকার দেশকে এমন অবস্থায় নিয়ে গেছে, এখন বসে থাকার কোনো উপায় নেই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে শুরু করে সারাদেশে বিপুল তরঙ্গ সৃষ্টি হয়েছে। গণতন্ত্র ফেরাতে, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে নেতাকর্মীরা অদম্য সাহস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। নিপীড়ন-নির্যাতন করে, খুন করে, গুম করে এ আন্দোলন দমানো যাবে না।
০৩ মে ২০২৪, ১৭:৩৯

প্রবৃদ্ধি অর্জনে চীন ও মালয়েশিয়াকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ
চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জনে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে চীন, জাপান, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) প্রকাশিত ‘রিজিওনাল ইকোনমিক আউটলুক, এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চল’ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়েছে, প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জন্য আগের পূর্বাভাস থেকে দশমিক ৩ শতাংশ কমিয়েছে আই এমএফ। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৬ শতাংশ। আলোচ্য প্রতিবেদনে ওই প্রবৃদ্ধির হার কমিয়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে প্রবৃদ্ধির দৌড়ে ভারতের পরেই থাকবে বাংলাদেশের অবস্থান। ভারতের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। আইএমএফ বলেছে, ডলার সংকটে আমদানি ব্যাহত হওয়ায় ও মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ করায় অনেক দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি প্রত্যাশার চেয়ে কম হয়েছে। যে কারণে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা আগের তুলনায় কমানো হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ শতাংশ। এবারও ৬ শতাংশের প্রক্ষেপণ করা হয়েছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি প্রত্যাশার তুলনায় কম হওয়ায় প্রবৃদ্ধির হারও কমবে। আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের চেয়ে বেশি হবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেশি হবে। এ। তবে ভারত ও ভিয়েতনামের চেয়ে কম হবে। চলতি বছরে চীনের প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ, ভারতের ৬ দশমিক ৮ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ৫ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ৪ দশমিক ৪ শতাংশ, মিয়ানমারের প্রবৃদ্ধি হবে দেড় শতাংশ, নেপালের ৩ দশমিক ১ শতাংশ, ফিলিপাইনের ৬ দশমিক ২ শতাংশ, থাইল্যান্ডের ২ দশমিক ৭ শতাংশ, ভিয়েতনামের ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।  
০১ মে ২০২৪, ০২:৪৬

৯৯৯-এ জানানো যাবে উপজেলা নির্বাচনের অভিযোগ
উপজেলা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। একই সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়নে নিয়োগ দেওয়া হবে ম্যাজিস্ট্রেট। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে  নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে ১৭ থেকে ১৮ জনের দল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও ৯৯৯-এ অভিযোগ জানানো যাবে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সভা শেষে সাংবাদিকদের সিদ্ধান্তগুলো জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি জানান, সাধারণ ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আগের চেয়ে যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানো হয়েছে। এখন প্রতিটি সেন্টারে অস্ত্রসহ তিনজন করে পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন তাকবেন। প্রতিটি বুথ ম্যানেজমেন্টের জন্য আনসার সদস্য থাকবেন অন্তত ১০ জন। তিনি আরও জানান, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য থাকবেন চারজন, অস্ত্রসহ আনসার সদস্য থাকবেন তিনজন। সব মিলিয়ে মোট ১৭ থেকে ১৮ জন ফোর্স মোতায়েন থাকবে। সিনিয়র এই সচিব জানান, ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে।‌ মোবাইল ফোর্স, স্টাইকিং ফোর্স ভোর রাতেই ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকবেন। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন বলেও জানান সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। আচরণবিধি মানা হচ্ছে কিনা, তা দেখভালের জন্য ভোটের দু’দিন আগে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন এবং ভোটের পরে আরও দু’দিন তারা থাকবেন। সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, স্ট্রাইকিং ফোর্স বা মোবাইল ফোর্স থাকবে গড়ে প্রতি পাঁচটি সেন্টারের জন্য একটি। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে এটি গঠিত হবে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির পরিবর্তে কোস্টগার্ড দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম কেন্দ্রে প্রতিবছরের মতো এ বছরও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং ভোটের উপকরণ পৌঁছে দেওয়া হবে। এ পর্যন্ত গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী তেমন কোনো সহিংসতার খবর নেই বলে জানান তিনি। সব বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সমন্বয় সেল হবে জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, নির্বাচনসংক্রান্ত যে কোনো অভিযোগ ৯৯৯-এর মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে। সফটওয়্যারের মাধ্যমে এটি ম্যানেজ করা হবে। প্রতিটি অভিযোগ আসার পর থেকে এটি কীভাবে নিষ্পত্তি হলো, তা তদারক করবে একটি টিম।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়