• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নুরুন্নবী হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে নুরুন্নবী হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রোববার (৫ মে) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ ১-এর আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌশলী অ্যাডভেকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের মৃত ইনারী সর্দারের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, রাজ্জাকের ছেলে শাহাদুল ও শাহদুলের স্ত্রী মরিয়ম বেগম রেখা, মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে মোজাহার আলী ও সামছুদ্দিনের ছেলে রেজাউল। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলা বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের আলতাফের ছেলে নুরুন্নবীর সঙ্গে মরিয়ম বেগমের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নুরুন্নবী বাড়ি থেকে বের হয়ে ওই রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাননি। পরকীয়ার জেরে আসামীরা তাকে হত্যা করে।  পরে ২০ নভেম্বর উপজেলা দক্ষিণ হাটশহর এলাকার একটি পুরাতন কবরে নুরুরন্নবীর মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা পরের দিন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে সাক্ষপ্রমাণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।
১৪ ঘণ্টা আগে

গাজীপুরে স্কুলছাত্রকে হত্যার দায়ে ৭ জনের যাবজ্জীবন
অপহরণের পর এক লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে এক স্কুলছাত্রকে হত্যার দায়ে সাতজনকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৯ এপ্রিল) গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. বাহাউদ্দিন কাজী এ রায় দেন। রায়ে প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সেলিম (২২), আব্দুল্লাহ আলম মামুন (১৯), শাহ আলম (২৯), মো. রিপন মিয়া (৩০), মো. মিলন খন্দকার (২৪), মো. তানজিল (২৪) ও শফিকুল ইসলাম (২২)। রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন, সেলিম, রিপন খন্দকার ও মো. তানজিল। শাহ আলম ও মিলন খন্দকার জামিন নিয়ে পলাতক এবং শফিকুল ইসলাম মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র মো. সোহেল পার্শ্ববর্তী চায়ের দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তিনি আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। পরদিন সোহেলের বাবার মোবাইলে ফোন দিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তি সোহেলের সন্ধান লাভের জন্য ১ লাখ টাকা দাবি করেন। ১০ ডিসেম্বর সকালে জয়দেবপুর থানার লুটিয়ারচালা গ্রামের মিনারদাগ নামক স্থানে গজারী বনের ভেতরে ছেলের মরদেহ পড়ে থাকার খবর পান। পরে খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফজলুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, অজ্ঞাতনামা খুনিরা অজ্ঞাত কারণে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার ছেলে মো. সোহেলকে বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী দোকানে যাওয়ার পথে কৌশলে ডেকে নিয়ে মারপিট করে গলায় প্লাস্টিকের সুতো প্যাঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। হত্যার রহস্য গোপন করার জন্য মরদেহ ঘটনাস্থল লুটিয়ারচালা এলাকার মিনারদাগ গজারী বনের ভেতরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মোহাম্মদ হাসান তদন্তের পর ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি ওই সাতজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেন। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত সাত আসামিকে সাজা প্রদান করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি মাহবুব আলম মামুন। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট লাবিব সিদ্দিকী।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৫

২২ বছর পর হত্যা মামলার রায়, ১৯ আসামিকে যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় প্রায় ২২ বছর পর ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সকলের বাড়ি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামে। এদের মধ্যে দু’জন পলাতক রয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার হরেনদা গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে আলম, আব্দুস সাত্তারের ছেলে দোলা, ওসমান, কোরমান, আব্দুল গফুরের ছেলে আজাদুল, খলিল আকন্দের ছেলে লাবু, বাবু, আমিনুর, বিরাজ উদ্দিনের ছেলে ফারাজ মণ্ডল, সুন্নত আলীর ছেলে শুকটু, মৃত নায়েব আলীর ছেলে উকিল, ভরসা আকন্দের ছেলে দুলাল, আলতাফ আলীর ছেলে আলিম, নজরুল, আব্দুল গফুরের ছেলে সাইদুল, ভরসা আকন্দের ছেলে সানোয়ার, আব্দুস সাত্তার প্রধানের ছেলে সাইফুল, কফিল উদ্দিনের ছেলে কালাম এবং সোলেমান আকন্দের ছেলে জহুরুল। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ২২ নভেম্বর রাতে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের সামসুদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমানকে ধানের জমি থেকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামি আলমের বাড়িতে ধরে নিয়ে যায় অন্যান্য আসামিরা। এরপর সেখানে আটকে রেখে তাকে নির্মমভাবে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে পা দিয়ে বুকে ও পেটে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল বারিক মুন্সী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জয়পুরহাট জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের রায় দীর্ঘ ২২ বছর পর বিজ্ঞ আদালত দিয়েছেন। এই রায়ে সরকার পক্ষে আমরা খুশি। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল ও উদয় সিংহ। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, শাহজালাল সিদ্দিকী ও সোহেলী পারভীন সাথী।  
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৯

নড়াইলে মাদক মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন
নড়াইলে মাদক মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) মুহাম্মাদ আকরাম হোসেন এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার পূর্ব সোনাপুর গ্রামের ফজল আহম্মেদের ছেলে সোহেল রানা (৩৯), যশোর সদর উপজেলার পূর্বচানপাড়া গ্রামের মোকলেস মণ্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম (৫০), দাইতলা মোড় এলাকার বাবর আলী মোল্যার ছেলে সবুজ হোসেন (৩০) ও একই এলাকার জুলফিকার আলীর ছেলে তারেক আজিজ (৩৫)। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত রবিউল ইসলাম ও সবুজ হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর দুই দণ্ডপ্রাপ্ত সোহেল রানা ও তারেক আজিজ অনুপস্থিত ছিলেন। নড়াইল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সরদার মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৮ এপ্রিল ভোর সোয়া ৫টার দিকে নড়াইল-যশোর সড়কের সদর উপজেলার সীতারামপুর ব্রিজের পূর্ব পাশে একটি পিকআপ তল্লাশি করে সোহেল, রবিউল ও সবুজকে জিজ্ঞাসাবাদের পর স্বীকারোক্তি মোতাবেক গাড়ির ইঞ্জিনকভারের মধ্য থেকে ২২৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের হয়। পরবর্তীতে ওই তিনজন ও তারেক আজিজসহ মোট চারজনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ মামলায় ১৪ জনের সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ আদেশ দেন।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২২

শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা, সৎ মায়ের যাবজ্জীবন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সৎ মেয়েকে হত্যায় শারমিন আক্তার (৩৬) নামের এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এ আদেশ দেন। শারমিন আক্তার উপজেলার মেহারী গ্রামের শামীম মিয়ার স্ত্রী। মামলার এজাহার সূত্র জানায়, মেহারী গ্রামের শামীম মিয়ার প্রথম স্ত্রী দুই ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে বিদেশ চলে যান। তিন সন্তানকে লালনপালন করতে শামীম মিয়া বিয়ে করেন শারমিন আক্তারকে। দুই ছেলে বড় হয়ে যাওয়ায় তারা সুমাইয়াকে (১২) রেখে ঢাকায় বসবাস করে ডিস লাইনের কাজ করছিলেন। ২০২৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে সুমাইয়ার মরদেহ ঘরে পাওয়া যায়। এ খবর পেয়ে শামীম মিয়ার দুই ছেলে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। তারা সুমাইয়ার মরদেহের গলায় কালো চিহ্ন দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। এ ঘটনায় শারমিন আক্তারসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন শামীম মিয়ার ছেলে আরমিন ভূঁইয়া। এ মামলায় শারমিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে জিজ্ঞাসাবাদে শারমিন হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে এ মামলায় শারমিনকে অভিযুক্ত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা কসবা থানার উপপরিদর্শক লিয়াকত আলী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে যুক্তিতর্ক ও সাক্ষী জেরা শেষে বুধবার জেলা জজ শারমিন নিগার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শারমিন আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুল আলম খোকন জানান, রায় প্রদানকালে কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সে গ্রেপ্তারের পর হাজতবাসকালীন সময় কারাদণ্ডের মেয়াদ থেকে বাদ দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞ আদালত আদেশ দিয়েছেন।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৪

ফরিদপুরে হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে কামাল ফকির (২৯) নামের এক গ্যারেজ মিস্ত্রিকে হত্যার দায়ে দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার বাবুরচর এলাকার ওহাব মাতুব্বরের ছেলে জুয়েল মাতুব্বর (৪০) ও ঝালকাঠির রামচন্দ্রপুর এলাকার আলম হাওলাদারের ছেলে মো. সাঈম হাওলাদার (২৫)। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. ছানোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, ২০২০ সালের অক্টোবরে কামাল ফকির (২৯) নামে এক গ্যারেজ মিস্ত্রিকে হত্যার দায়ে জুয়েল মাতুব্বর ও মো. সাঈম হাওলাদার নামে দুই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৯

শিশু হত্যা মামলায় বৃদ্ধের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড 
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর চাঞ্চল্যকর পাঁচ বছরের শিশু মিরাজ হত্যা মামলায় মমতাজ উদ্দিন নামে এক বৃদ্ধের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর তিনজনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে দিনাজপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক শ্যামসুন্দর রায় এ রায় প্রদান করেন।  দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মমতাজ উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেছেন বিচারক। আসামি মমতাজ উদ্দিন ফুলবাড়ী উপজেলার পশ্চিম খাজাপুর গ্রামের মৃত মীর উদ্দিনের ছেলে। নিহত শিশু মিরাজ কাজী একই গ্রামের মাহাবুব কাজীর ছেলে।  খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, মমতাজ উদ্দিনের বোন মর্জিনা বেগম, ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও ছেলের বউ জেসমিন আরা। দিনাজপুরের কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক এ কে এম লিয়াকত আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৮ জুলাই শিশু মিরাজ কাজী প্রতিবেশী মমতাজ উদ্দিনের বাড়িতে খেলতে যায়। এরপর শিশুটি নিখোঁজ ছিল। পরদিন ৯ জুলাই ওই এলাকার একটি ডোবা থেকে শিশু মিরাজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৯ জুলাই নিহত শিশুর বাবা মাহবুব বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে ফুলবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৫

চাঁদপুরে ব্যবসায়ী নারায়ণ হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
চাঁদপুর শহরের ঘোষ পাড়ার দই-মিষ্টি ব্যাবসায়ী নারায়ণ চন্দ্র ঘোষকে (৬০) গলাকেটে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় একমাত্র আসামি রাজীব ওরফে রাজু চন্দ্র শীলকে (৩০) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক এ রায় দেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রাজু কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার ফতেহাবাদ গ্রামের সুভাষ চন্দ্র শীলের ছেলে। ঘটনার সময় তিনি চাঁদপুর শহরের বিপনীবাগ বাজারের টিপটপ হেয়ার কার্টি সেলুনে কাজ করতেন। হত্যার শিকার নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ শহরের ঘোষ পাড়ার বাসিন্দা। তিনি শহরের বিপনীবাগসহ বিভিন্ন দোকানে দই ও মিষ্টি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ আসামি রাজুর সেলুনে যান। কারণ নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ সুদে টাকা ঋণ দিতেন। রাজু তার কাছ থেকে দৈনিক ২০ টাকা সুদের বিনিময়ে ২ হাজার টাকা ঋণ নেন। নিয়মিত ওই সুদ পরিশোধ করলেও ঘটনার দিন করতে পারেননি। রাজু নারায়ণ চন্দ্র ঘোষকে আপাতত চলে যেতে বলেন এবং পরে আসতে বলেন। পরে রাত ১২টার দিকে আবার আসলে তার চুল কাটতে এবং সেভ করতে বলেন। ঠিক ওই সময় রাজু ক্ষিপ্ত হয়ে সেভ করার এক পর্যায়ে ধারালো খুর দিয়ে তার গলা কেটে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে তার মরদেহ বিপনীবাগ বাজারের শরীফ স্টিলের পাশে একটি বস্তায় করে রেখে আসেন। পরদিন ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টায় স্বজনরা স্থানীয়দের মাধ্যমে নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের মরদেহের খোঁজ পান। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করেন।  এই ঘটনায় নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের ছেলে রাজীব ঘোষ ১৭ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর সদর মডেল থানায় রাজীব ওরফে রাজু চন্দ্র শীলকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ ২১ সেপ্টেম্বর আসামি রাজুকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। মামলাটি তদন্ত করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাশেদুল ইসলাম। তিনি তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৪ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।  রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী বলেন, মামলাটি দু-বছরের বেশি সময় আদালতে চলাকালে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আসামি নিজের অপরাধ স্বীকার, সাক্ষ্য ও প্রমাণ এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  আসামি কারাগারে থাকা অবস্থায় ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলিম হন। তার বর্তমান নাম আবদুর রহমান বলে সে নিজেই আইনজীবীকে জানায়। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন লিগ্যাল এইডের আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৫

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
যশোরের ঝিকরগাছার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও মাদকব্যবসায়ী আব্দুল করিমকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাতে শার্শার দৌলতপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মাদক মামলায় সাজা হওয়ার পর থেকে আব্দুল করিম বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর গ্রামের বাসিন্দা। র‌্যাব জানায়, করিম চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। ২০১০ সালের ২২ জুন ঝালকাঠি জেলা থেকে তিনি বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলসহ আটক হন। এ ঘটনায় মামলার পর তার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। সবশেষ আব্দুল করিমকে আদালত যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এ সময় তিনি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। র‌্যাব আরও জানায়, তাদের কাছে খবর আসে বেনাপোলের দৌলতপুরে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। সেই সূত্র ধরেই অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪১

মিথ্যা পরিচয়ে বিয়ে, স্বামীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানায় মিথ্যা পরিচয়ে বিয়ে করে এক সপ্তাহ স্বামী-স্ত্রীর মতো থেকে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্বামীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরা এ রায় দেন। ভুক্তভোগী ১৯ বছরের এক তরুণীকে পরিচয় গোপন রেখে বিয়ে করায় স্বামী নুরুল কবির (৩৩) ও তার সহযোগী মো. শহীদ (৩২), মো.শরীফ (৩২) ও মো. বাপ্পীকে (৩৪) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি আসামি নুরুল কবির নিজের পরিচয় গোপন করে তরুণীর বাড়িতে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় কাজীকে ভুয়া নাম ও ঠিকানা সম্বলিত জন্ম নিবন্ধন কপি কাজীকে এনে দেন তার সহযেগীরা। এর এক সপ্তাহ পর কবির তরুণীকে তার সঙ্গে শহরে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন, কিন্তু তরুণী রাজি না হওয়ায় তাকে একা রেখে পালিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয়রা নুরুলকে আটক করে। এ ঘটনায় ওই তরুণী স্বামী নজরুল কবিরাসহ তার ৩ বন্ধুকে আসামি করে জোরারগঞ্জ থানায় প্রতারণা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে ২০১৫ সালের ১৫ মার্চ অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার বিচার শুরু হয়। বুধবার এ মামলার রায় হলো। আদালতের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন জানান, বিয়ে করে স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণার মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামীসহ ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতে উপস্থিত শরীফ ও শহীদকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতে অনুপস্থিত নুরুল কবির ও মো. বাপ্পীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।  
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়