• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ইসরায়েলে ইরানের হামলা : প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর বিশ্বজুড়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সেদিকে সংশ্লিষ্টদের নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে যুদ্ধের সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়।  সভা শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, হামলার ঘটনার পর এর প্রতিক্রিয়া মোকাবিলায় যার যার খাত, সবাইকেই প্রস্তুত থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে বাণিজ্য কিংবা অর্থনীতির কথা সুনির্দিষ্ট করে বলেননি তিনি। সবাইকেই প্রস্তুতি নিতে বলেছেন এবং এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। এক্ষেত্রে যাতে কোনোকিছু ‘রিঅ্যাকটিভ’ না হয়, বরং ‘প্রোঅ্যাকটিভ’ হতে বলেছেন। উদাহরণ দিতে গিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, যেমন—তেলের দাম বাড়লে প্রভাব মোকাবিলায় আমরা কী করব, সেই বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৫

কিশোর গ্যাং মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনা
কিশোর গ্যাং মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্র ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।  বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।  তিনি বলেন, দেশে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে অভিভাবক, শিক্ষকদেরকে সম্পৃক্ত করে তাদেরকে সংশোধনের পরিবেশ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদেরকে দাগি আসামির সঙ্গে না রেখে, তাদের সংশোধনাগারে আলাদা রেখেই কাউন্সিলিং করতে হবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশে সংশোধনাগারের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশনাও দিয়েছেন।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০৯

দুর্যোগ মোকাবিলায় আধুনিক প্রযুক্তি সন্নিবেশ করা হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে আধুনিক কারিগরি ও প্রযুক্তি সন্নিবেশ করা হয়েছে। তিনি বিশ্ব আবহাওয়া দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দিবসটির এবছরের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাট দ্য ফ্রন্টলাইন অব ক্লাইমেট অ্যাকশন’ যথোপযুক্ত, সময়োপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে সরকার জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দিয়ে ১০০ বছর মেয়াদি বদ্বীপ পরিকল্পনা, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। পর্যায়ক্রমে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন ও ২০৪১ সালে একটি উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে আধুনিক কারিগরি ও প্রযুক্তি সন্নিবেশ করেছে। ফলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ অন্যান্য চরম আবহাওয়ার বিভিন্ন মেয়াদি পূর্বাভাস ও সতর্কবার্তা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আগাম পূর্বাভাস প্রদানে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ ও প্রভাব থেকে উত্তরণের জন্য পরিবেশের বিপর্যয় রোধ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহায়ক কৌশল নির্ধারণ, প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার, জলবায়ুর পরিবর্তনের অভিঘাত সহিষ্ণু বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণে বাংলাদেশ তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকার আবহাওয়ার বিদ্যমান পর্যবেক্ষণাগারগুলোর সঙ্গে কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস সেবার মান উন্নয়নে আরও সাতটি নতুন কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার স্থাপনসহ কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করেছে। এছাড়াও ৫টি আবহাওয়া ভূপৃষ্ঠ পর্যবেক্ষণাগার, ১৩টি ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ৩টি স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড রিসিভিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কালবৈশাখী ও বজ্রঝড়ের সতর্কবার্তা প্রদানসহ নিরাপদ বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণে জয়দেবপুরে একটি আধুনিক ডপলার রাডার স্থাপন করা হয়েছে এবং রংপুরে অপর একটি ডপলার রাডার স্থাপনের কাজ চলমান আছে। বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের সার্বিক সফলতা কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন, সকলে মিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আজীবন স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তুলি।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৭

যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে : সেনাপ্রধান
আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্মি মেডিকেল কোর ও ডেন্টাল কোর আর্মড ফোর্সেস নার্সিং সার্ভিসের সদস্যদের সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। শনিবার (৯ মার্চ) সকালে টাঙ্গাইলের শহিদ সালাহউদ্দিন সেনানিবাসে আর্মি মেডিকেল কোরের ৫ম কোর পুনর্মিলনী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এ সময় আর্মি মেডিকেল কোর ও ডেন্টাল কোরের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য, দেশমাতৃকার সেবায় এসব কোরের অবদানের কথা স্মরণ করেন সেনা প্রধান। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  পরে সেনাপ্রধান আর্মি মেডিকেল কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে ‘বিজয় চেতনা’য় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং আর্মি মেডিকেল কোরের বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে যোগ দেন। 
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৫

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পর্যাপ্ত অর্থ দেবে জাতিসংঘ 
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় চলমান অর্থবছরে দেশের ২৪টি মন্ত্রণালয়ের ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু এই অর্থ পর্যাপ্ত নয়, আরও অর্থায়ন প্রয়োজন। আর এ সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে পর্যাপ্ত অর্থ দিয়ে সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছে জাতিসংঘ। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পরীবাগে নিজ বাসভবনে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। এ সময় জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে জলবায়ু সংক্রান্ত ক্ষতির টাকা কীভাবে আনা যায় তা নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক কোঅর্ডিনেটর গোয়েন লুইসও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ কীভাবে আন্তর্জাতিক অর্থ সহায়তা পাবে তা নিয়ে পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তার। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলার উপায়, অভিযোজন ও প্রশমনে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করবে জাতিসংঘ। বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, এডভোকেসি, বন্যা মোকাবিলা, কমিউনিটি এডাপটেশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতিসংঘ বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক। বৈঠকে জীববৈচিত্র্য হ্রাস এবং প্লাস্টিক দূষণের মতো গুরুতর পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা হয়।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:০১

মাতৃভাষা দিবস / যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‍্যাব প্রস্তুত
মাতৃভাষা দিবস ঘিরে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই, তারপরও যেকোনো উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‍্যাবের স্পেশাল ফোর্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম. খুরশীদ হোসেন। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। খুরশীদ হোসেন বলেন, সব ধরনের বিশৃঙ্খলা ও যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি রোধে আজ (মঙ্গলবার) থেকে সারাদেশে র‍্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে র‍্যাবের সাদা পোশাকধারীরা গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।  তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি র‍্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রয়োজনীয় সুইপিং করবে। ‘এ ছাড়া র‍্যাবের হেলিকপ্টার সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হবে।’ র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, ভার্চুয়াল জগতে উসকানিমূলক ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো রোধে র‍্যাবের সাইবার ইউনিট অনলাইনে নজরদারি অব্যাহত রাখবে। র‍্যাব সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে সারাদেশের ব্যাটালিয়নগুলোতে মনিটরিং করা হবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সাতটি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে, যা ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে কাজ করবে বলেও জানান এম খুরশীদ হোসেন।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০২

‘অপতথ্য মোকাবিলায় আইনের খসড়া শেয়ার করবে ইইউ’
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, অপতথ্যের কারণে পশ্চিমা দেশগুলোর মতো বাংলাদেশও ক্ষতির মধ্যে পড়ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) পশ্চিমা দেশগুলো বিভিন্ন ধরনের আইন করছে। তারা সেসব আইনের খসড়া, আইন প্রণয়নের বিষয়গুলো আমাদের শেয়ার করবে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, আপনারা দেখেছেন, অপতথ্য মানবসমাজকে বিরাট ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে এগুলো করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে দাভোসে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ফোরামেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে মানুষকে যে বিষয়গুলো সবচেয়ে ঝুঁকিতে ফেলবে, তার মধ্যে সবার আগে এই প্রোপাগান্ডা ও মিস-ইনফরমেশন।  তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে এই উদ্বেগটা আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেমন আছে, তেমনই আমাদেরও আছে। সে ক্ষেত্রে আমরা কীভাবে পরস্পরকে সহায়তা করতে পারি, সেটা নিয়ে আলাপ হয়েছে। এছাড়া আমাদের অংশীদার হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তো আছেই। এগুলো ছাড়াও আরও বিভিন্ন স্তরে সহযোগিতা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ মূলত আমরা ডিজইনফরমেশন ও মিসইনফরমেশন নিয়ে আলোচনা করেছি, কীভাবে ইনক্লুসিভ (অন্তর্ভুক্তিমূলক) একটি ব্যবস্থার মাধ্যমে এটার বিরুদ্ধে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে পারি। কী ধরনের সহযোগিতা পরস্পরকে করা হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আইডিয়া বিনিময় করা, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা থাকবে। সমস্যা হচ্ছে, তারা এটার সমাধান করে ফেলেছে, তাও কিন্তু না। সমাধান কেউ করেনি। নতুন একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেটা নিয়ে তারাও চিন্তা করছেন, আমরাও করছি। এখানে আমরা অংশীদার হচ্ছি। পরস্পরকে সহযোগিতা করে বৈশ্বিকভাবে আমরা এর একটা সুরাহা করতে পারি কি না; সেই আলাপ হয়েছে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক প্রশ্নে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ-বিগ্রহে সাংবাদিকদের ঝুঁকির মধ্যে পড়া, সেটা তো আছেই। বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে সেগুলো নিয়ে একটা আলাপ হয়েছে। ইউরোপেও বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে বলে রাষ্ট্রদূত বলেছেন। আমাদের দেশেও কোথায় কোথায় আমরা ইমপ্রুভ করতে পারি, সেটা নিয়ে আলাপ হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে ওপেন করে দেওয়া হয়েছে, গণমাধ্যমের বিস্তৃতি ঘটেছে। এই উদারতার কারণে এমনও হয়েছে, গণমাধ্যমের মধ্যেও একটা ইনডিসিপ্লিন হয়ে গেছে। এটা আমরা বলছি না, গণমাধ্যমকর্মীই বলছেন। পেশাদার সাংবাদিকরাই বলছেন এটাকে রেগুলেশন, ডিসিপ্লিনে আনা দরকার। আপনারাই বলছেন একটু রেগুলেট করতে হবে। এগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ চাই। গণতন্ত্র হচ্ছে আইনের শাসন। স্বাধীনতার নামে আমরা তো জঙ্গল বানিয়ে ফেলতে পারি না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, অপতথ্য প্রতিরোধ করতে চাই। তবে মতপ্রকাশের অবাধ স্বাধীনতাকে সংকুচিত করে নয়। কাজেই দুটি একইসঙ্গে আমাদের করতে হবে। এ নিয়ে নৈতিকভাবে আমরা একমত আছি।’
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০২

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তহবিল জোগানের বিকল্প নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব, সমষ্টিগত পদক্ষেপ ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পর্যাপ্ত তহবিল জোগানের বিকল্প নেই। জার্মানির মিউনিখে স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বার্ষিক আন্তুর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠক হিসেবে আয়োজিত ‘কারণ ও প্রভাব : জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দ্বিমুখী লড়াই’ শীর্ষক ফোরামে মন্ত্রী এই কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য তহবিলের জোগান ক্রমেই কমে আসছে। কিন্তু বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন ও সহনশীলতা অর্জনে এ দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত তহবিল নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। কার্বন নিঃসরণে নগণ্যতম (বৈশ্বিক নিঃসরণের ০.৪৮%) দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সর্বোচ্চ হুমকির মুখে থাকা দেশগুলোর অন্যতম উল্লেখ করে পরিবেশবিদ মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবেও চিহ্নিত। ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান’ এ ক্ষেত্রে একটি শীর্ষ পরিকল্পনা। ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক উদ্যোগের কথা জানান এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাবৃদ্ধি, দেশের উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা বৃদ্ধি, উত্তরাঞ্চলে খরা, দক্ষিণাঞ্চলে ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সারাদেশে বন্যার প্রকোপ মোকাবিলায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড, বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাসহ বাংলাদেশের নীতি এবং কর্মসূচি তুলে ধরেন। ফোরামে নরওয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী অ্যান বিথ টিভিনেরিম, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশমন্ত্রী মরিয়ম বিনতে মোহাম্মদ সাইদ আলমেইরি অংশ প্রমুখ প্যানেলিস্টরা বিশ্বব্যাপী সমন্বিত প্রচেষ্টার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।  
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৭

‘যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় জীবন দিতে প্রস্তুত’
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমায় কোনো জঙ্গি বা নাশকতা হামলার গোয়েন্দা তথ্য নেই। তবে আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে যেন কোনো নাশকতা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে। আমরা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত।   বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন শেষে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে স্থাপিত গাজীপুর মহানগর পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনের মাঠে আয়েজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।  আইজিপি বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় বাংলাদেশ পুলিশের ১৫ হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। নৌপুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, এপিবিএন, ট্রাফিক পুলিশ, ডিবি, সিআইডিসহ পুলিশের সকল ইউনিটের পাশাপাশি র‍্যাব আইনশৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেন কেউ গুজব তৈরি করতে না পারে সেজন্য সাইবার টহল জোরদার করা হয়েছে।   বিশ্ব ইজতেমায় দু’গ্রুপের বিরোধ সম্পর্কে পুলিশ প্রধান বলেন, আমরা দুপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা শান্তিপূর্ণভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করবেন বলে কথা দিয়েছেন। তারপরও যদি তারা কোনো কিছু করেন তবে আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ইনশাল্লাহ দু’গ্রুপের মধ্যে কোনো সমস্যা হবে না।  অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলাম (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস), অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম (স্পেশসল ব্রাঞ্চ), ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি নুরুল ইসলাম, ডিআইজি আনোয়ার হোসেন ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলমসহ বাংলাদেশ পুলিশের সব ইউনিটের প্রধান, ঢাকা বিভাগের ডিআইজি, ঢাকা ও গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।  উল্লেখ্য, টঙ্গীর তুরাগ তীরে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হবে ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি।  দ্বিতীয় পর্ব ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি। ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৬

আমরা দেশি-বিদেশি সব চাপ মোকাবিলায় সক্ষম : কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নতুন মন্ত্রিসভায় বিদেশ থেকে চাপ আছে। আর দেশে তো আছেই। তবে আমরা সব চাপ মোকাবিলা করতে সক্ষম। কারণ জনগণ সঙ্গে থাকলে কোনো চাপই মোকাবিলা করা অসম্ভব নয়। রোববার (১৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রীর কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের জীবনে রাজনীতি বলুন, অর্থনীতি বলুন সবক্ষেত্রেই চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে কোনো চ্যালেঞ্জই মোকাবিলা করা অসম্ভব নয়। অনেকেই ভেবেছে নির্বাচন করতে পারব না। কিন্তু তাদের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমরা যখন পদ্মাসেতুর কাজ শুরু করেছিলাম তখন কেউ ভাবেনি এটা শেষ করা সম্ভব হবে। বিশ্বব্যাংকও পাশে ছিল না। কিন্তু আমরা পদ্মাসেতু করতে পেরেছি। মেট্রোরেল দিয়ে যে এই শহর সমৃদ্ধ হবে এ কথাও কেউ ভাবেনি। কিন্তু সেটাও শেখ হাসিনার সরকার উপহার দিয়েছে। সামনে আমাদের আরও অনেক কাজ আছে। এসময় ওবায়দুল কাদের বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর নতুন করে নির্বাচনের দাবিকে মামা বাড়ির আবদার বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়