• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বহির্বিশ্বে দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরুন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বহির্বিশ্বে দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরতে সাংবাদিকসহ সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই আহবান জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকে দেশের ইতিবাচক দিকগুলো বহির্বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে হবে। গণতান্ত্রিক দেশে সরকারের সমালোচনা অবশ্যই হবে। তবে তা যদি দেশ বিধ্বংসী সমালোচনা হয়, সেটি কখনোই কাম্য নয়। হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল, সর্বনিম্ন মাথাপিছু জমি আর ঝড়-বন্যা-জলোচ্ছ্বাসের দেশে আমরা ধান উৎপাদনে তৃতীয় বা চতুর্থ, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, আলু উৎপাদনে ৬ষ্ঠ। উন্নয়নের সব সূচকে আমরা পাকিস্তান ও অনেক সূচকে ভারতকেও আরও আগে অতিক্রম করেছি। এই অগ্রগতিটা বহির্বিশ্বে তুলে ধরতে হবে। দেশকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরার মধ্যে কোনো কৃতিত্ব নেই। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে কোনো নেতিবাচক খবর বাইরের দেশের গণমাধ্যম যত বড় করে প্রকাশ করে তার চেয়ে কয়েক গুণ বড় করে প্রকাশ করে দেশের গণমাধ্যম। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। আন্তর্জাতিক কোনো ভুঁইফোড় সংগঠন বাংলাদেশ নিয়ে নেতিবাচক খবর করলে দেশীয় গণমাধ্যমে সেটি ফলাও করে প্রচার করা হয়, এটি দুঃখজনক। বিএন‌পি দীর্ঘ সময় ধরে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে অভিযোগ করে মন্ত্রী বলেন, তাদের দলের নেতা বিদেশে থেকে পেইড এজেন্টের মাধ্যমে দেশ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালায়। আর দেশের মানুষ সেটি দেখে বিভ্রান্ত হয়।  ড. হাছান বলেন, বিএনপি নেতারা পদ্মা সেতু নিয়ে গুজব ছড়িয়েছিল, করোনার টিকা নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছিল। এখন আবার শুরু করেছে ভারতীয় পণ্য বর্জন। এগুলোর বিরুদ্ধে মূলধারার গণমাধ্যমকে সোচ্চার হতে হবে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৩

বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করায় ২ আইনজীবীকে তলব
আদালতের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করায় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মহসিন রশীদ ও শাহ আহমেদ বাদলকে তলব করেছেন আপিল বিভাগ। বুধবার (৩ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। আগামী ১১ জানুয়ারি তাদের সশরীরে আপিল বিভাগে হাজির হয়ে আদালত অবমাননার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আশরাফুল ইসলাম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম। এক জানুয়ারি থেকে সাত জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করছে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী আইনজীবীরা। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এক জানুয়ারি প্রধান বিচারপতিকে একটি চিঠি প্রেরণ করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির কনভেনর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মহসীন রশিদ ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল। চিঠিতে তারা বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে লেখেন, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নাগরিকদের ওপর নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। পাশাপাশি জামিনযোগ্য মামলায় জামিন না দেওয়া এবং তাড়াহুড়ো করে বিচার করায় ন্যায় বিচারকে কবর দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। চিঠির এই বক্তব্য প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের নজরে আসে। এরপরই দুপুর ১২টায় এজলাসে আসেন প্রধান বিচারপতিসহ পাঁচ বিচারপতি। এসেই স্বপ্রণোদিত হয়ে তাদের তলবের আদেশ দেন।  আপিল বিভাগ আদেশে বলেন, এই চিঠিতে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে তা বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে।
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়