• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কর্মবিরতিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা 
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে গেছেন সারাদেশে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। রোববার সকাল ৯টা থেকে দেশের ৮০টি পবিসের সদর কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।  এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈত নীতির কারনে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ  সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবী, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় গণ স্বাক্ষর সংগ্রহ, বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ নিয়মতান্ত্রিকভাবেই তাদের দাবি দাওয়া বাস্তবায়নে চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু সমিতির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) তাদের দাবি না মেনে বরং উল্টো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ভোলা পবিসের দুইজন এজিএমকে সাময়িক বরখাস্ত, দুইজন এজিএমকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে অন্য পিবিএসে বদলী এবং সিরাজগঞ্জ পবিস-২ এর দুইজন এজিএমকে বোর্ডে সংযুক্ত করে। এতে ৮০টি পবিসের প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়। তবে আজ থেকে আন্দোলনে গেলেও জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি উপকেন্দ্রে একজন করে জনবল কাজ করছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা। এই সময় সকল ধরণের গ্রাহক সেবা ও অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে তারা। তাদের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দেশের প্রায় চার কোটি গ্রাহককে ( ৮০ শতাংশ) বিদ্যুৎ সরবরাহ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। বিআরইবি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এসব সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রতিনিয়ত নানান বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ, পদবী, পদোন্নতি, বেতন গ্রেড,  সাপ্তাহিক ছুটি, একই প্রতিষ্ঠানে একই পদে নিয়মিত এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, লোকবলের স্বল্পতাসহ সব ক্ষেত্রেই বৈষম্যের শিকার সমিতির কর্মকর্তা হবং কর্মচারীগন। এসব বৈষম্যের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। বরং এসব ন্যায় সংগত অধিকারের কথা বললেই নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। বিদ্যমান বৈষম্যগুলো দূর করে বাপবিবো এবং পবিস একই সার্ভিস কোড পরিচালনা করা, ৫% প্রণোদনা জুলাই-২৩ হতে কার্যকর, ২০১৫ সালের পে- জুলাই-১৫ হতে সমধাপে কার্যকর, ৪০০ইউনিট বিদ্যুৎ বিল ভাতা, দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটি, নির্ধারিত কর্ম ঘণ্টা, অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইম/ডিষ্টারবেন্স এলাউন্স, চিকিৎসা ভাতা, অডিটের নামে হয়রানি না করাসহ সরকার প্রদত্ত সকল সুযোগ-সুবিধা বিআরইবির ন্যায় সমিতির জন্যও বাস্তবায়ন চান তারা।
৭ ঘণ্টা আগে

বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সিলেট
আশুগঞ্জে জাতীয় গ্রিডে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দেওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পুরো সিলেট বিভাগ। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে বিপর্যয় দেখা দেয়। এতে বিভাগের চার জেলা একসঙ্গে ব্ল্যাক আউট (পুরো গ্রিড অকার্যকর) হয়ে যায়। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে অন্তত ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল কাদির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আশুগঞ্জে জাতীয় গ্রিডে এ বিপর্যয়ের কারণে পিডিবির গ্রাহকরা ছাড়াও পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরাও অন্ধকারে রয়েছেন। তবে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হাসপাতাল ও স্থাপনার বিশেষ ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে নয়টায় পাওয়া সর্বশেষ খবরে সিলেট ছাড়াও সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের গ্রাহকরা অন্ধকারে রয়েছেন। কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই বলে জানা গেছে। আকষ্মিক এ বিপর্যয়ের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল কাদির বলেন, আশুগঞ্জে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা সিলেট বিভাগ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের একেবারে ব্ল্যাক আউট হয়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও ৬-৭ ঘণ্টা লাগতে পারে। আবার কম সময়ের মধ্যেও সচল করা সম্ভব হতে পারে। তিনি বলেন, এর আগে যখন সিলেটে এরকম বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল, তখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে যত সময় লেগেছিল এবারও তত সময় লাগতে পারে। পাওয়ার স্টেশন চালু হতে একটু সময় লাগে। অন্তত ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। তিনি আরও বলেন, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলে হাসপাতালসহ কিছু হাসপাতাল ও স্থাপনা যেগুলো খুবই জরুরি। বিদ্যুৎ স্বাভাবিক রাখতে আশুগঞ্জ থেকে জরুরি ভিত্তিতে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা হয়েছে। এটি দিয়ে আপাতত এ হাসপাতাল ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। এদিকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে বলা হয়-১৩২ কেভি গ্রিড লাইন ট্রিপ (বিপর্যয়) করায় দপ্তরের সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। এতে গ্রাহকদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলা হয়। বিউবো সূত্রে জানা গেছে, আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এতে সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎসরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। এর ফলে বিভাগের সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ জেলায় বিউবো ও পল্লী বিদ‌্যুতের গ্রাহকেরা ভোগা‌ন্তিতে পড়েন। শনিবার রাত পৌনে আটটার দিকে বিভাগের সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। 
১৮ ঘণ্টা আগে

দুদিন সিলেটের যেসব এলাকায় ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না
সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। শুক্রবার ও শনিবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১১ কেভি লাইনের আওতাধীন ওই সব এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে।  বৃহস্পতিবার (২ মে) বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সিলেট–২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামছ–ই–আরেফিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।  এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাস্তা প্রশস্তকরণ, ড্রেন নির্মাণ ও বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনের জরুরি মেরামত কাজের জন্য ১১ কেভি সোবহানীঘাট ফিডারের জেল রোড, চালিবন্দর, কাস্টঘর, বন্দরবাজার, সোবহানীঘাট, বিশ্বরোড, সবজিবাজার, মেন্দিবাগ, পৌরবিপনী মার্কেট ও এর আশপাশের এলাকা।  ৩৩ কেভি উপশহর ফিডারের ১১ কেভি সেনপাড়া, সোবহানীঘাট, কুমারপাড়া, বোরহান উদ্দিন ফিডারের সেনপাড়া, শিবগঞ্জ, লাকড়িপাড়া, পুষ্পায়ন, মৌচাক, সাদিপুর, খরাদিপাড়া, জেল রোড, চালিবন্দর, কাস্টঘর, বন্দরবাজার, সোবহানীঘাট, বিশ্বরোড, সবজিবাজার, মেন্দিবাগ, পৌরবিপনী মার্কেট, কুমারপাড়া, ঝেরঝেরিপাড়া, যতরপুর, মীরাবাজার, মৌবন আ/এ, বোরহান উদ্দিন মাজার, শাহপরান থানা এলাকা, শাপলা বাগ, মীরাপাড়া, কল্যাণপুর, কুশিঘাট, সোনাপুর, মুক্তিরচক, নোয়াগাঁও, সাদিপুর, সাদাটিকর ও এর আশপাশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।  গ্রাহকদের সাময়িক সমস্যার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ শেষ হলে তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
০২ মে ২০২৪, ১৯:৩১

আবারও বাড়ল বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম
দুই মাসের ব্যবধানের আবার বাড়লো বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ও কলকারখানায় ব্যবহৃত ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জ্বালানি বিভাগ। যা বুধবার (১ মে) থেকে কার্যকর হবে। জ্বালানি বিভাগের উপসচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে,  বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ১৪ দশমিক ৭৫ টাকা থেকে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে কলকারখানায় ব্যবহৃত ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা করেছে। এতে আরও বলা হয়েছে, সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য নতুন এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে শিল্পের ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঘনমিটার প্রতি দাম হবে ৩১ টাকা পয়সা। এর আগে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম এবং কলকারখানায় ব্যবহৃত ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল।  
০১ মে ২০২৪, ০১:১৩

দেশের ইতিহাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড
দেশের ইতিহাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড গড়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিদ্যুৎ বিভাগের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপিততে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে আজ (মঙ্গলবার) রাত ৯টায়। এ সময় ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। এর ফলে দেশের ইতিহাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। এর আগে, গত ২২ এপ্রিল রাত ৯টায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট। এদিকে, অতিরিক্ত গরমে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ সরবারহ স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে গ্রাহকদের সহযোগিতা চেয়ে ৮ দফা করণীয় তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো হলো- ১. রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখুন। ২. নিম্নহারে বিদ্যুৎ বিল সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে দোকান, শপিংমল, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অতিরিক্ত বাতি ব্যবহারে বিরত থাকুন। ৩. সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী হলিডে স্ট্যাগারিং প্রতিপালন করুন। ৪. এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর উপরে রাখুন। ৫. দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে হুকিং বা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিরত থাকুন। ৬. বেআইনিভাবে ইজিবাইক ও মোটরচালিত রিকশার ব্যাটারি চার্জিং থেকে বিরত থাকুন। ৭. বিদ্যুৎ অপচয় রোধে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করুন। ৮. বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হোন।  
০১ মে ২০২৪, ০২:৩২

‘রাত ৮টার পর দোকান খোলা রাখলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন’
শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ দোকানপাট রাত ৮টার পর খোলা রাখলে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে ফেলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে তিনি আরও বলেন, চলমান দাবদাহের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারহ নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ বিভাগের এই আহ্বান সবাইকে মানতে হবে।  তাপস বলেন, রাত ৮টার পর দোকান বন্ধ রাখার নিয়ম নতুন নয়। এখন থেকে প্রত্যেক অঞ্চলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে। নির্ধারিত সময়ের পর কেউ শপিংমল, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ দোকানপাট খোলা রাখলে ডিপিডিসিকে সঙ্গে নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করব। এদিকে, অতিরিক্ত গরমে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ সরবারহ স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে গ্রাহকদের সহযোগিতা চেয়ে ৮ দফা করণীয় তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো হলো-  ১. রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখুন। ২. নিম্নহারে বিদ্যুৎ বিল সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে দোকান, শপিংমল, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অতিরিক্ত বাতি ব্যবহারে বিরত থাকুন। ৩. সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী হলিডে স্ট্যাগারিং প্রতিপালন করুন। ৪. এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর উপরে রাখুন। ৫. দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে হুকিং বা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিরত থাকুন। ৬. বেআইনিভাবে ইজিবাইক ও মোটরচালিত রিকশার ব্যাটারি চার্জিং থেকে বিরত থাকুন। ৭. বিদ্যুৎ অপচয় রোধে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করুন। ৮. বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হোন।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২৭

রূপপুরে নতুন বিদ্যুৎ লাইন চালু, ৩ জেলায় সতর্কতা
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বগুড়া (পশ্চিম) ৪০০/২৩০ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র পর্যন্ত ৮৯ দশমিক ৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘৪০০ কেভি সিঙ্গেল সার্কিট সঞ্চালন লাইন’ দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় এ লাইন পরীক্ষামূলক চালু হয়। এ কারণে পাবনা, নাটোর ও বগুড়া জেলার কিছু এলাকায় সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) আইডিআরএনপিপির প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাসুদুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে নবনির্মিত লাইনটি সার্বক্ষণিকভাবে চালু থাকবে। এ অবস্থায় নবনির্মিত ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের টাওয়ারে আরোহণ, গবাদিপশু বাঁধা, টাওয়ারে রশি বেঁধে কাপড় শুকানো, লাইনের নিচে ও পাশে বাঁশঝাড় ও বড় গাছ রোপণসহ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সবাইকে ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন থেকে নিরাপদ (উভয় পাশে ২৩ মিটার) দূরত্বে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে।  উচ্চ ভোল্টেজের এই সঞ্চালন লাইন বা টাওয়ারের সংস্পর্শে এসে কেউ বিদ্যুতায়িত হলে পিজিসিবি কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫৯

তিন জেলায় আজ চালু হচ্ছে নতুন বিদ্যুৎ লাইন, সতর্কতা জারি
পাবনা, নাটোর ও বগুড়ায় নবনির্মিত বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি)। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় এ লাইন পরীক্ষামূলক চালু হবে। এর আগে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বগুড়া (পশ্চিম) ৪০০/২৩০ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্ৰ পর্যন্ত ৮৯ দশমিক ৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘৪০০ কেভি সিঙ্গেল সার্কিট সঞ্চালন লাইন’ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে পিজিসিবির আইডিআরএনপিপির প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. মাসুদুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে নবনির্মিত লাইনটি সার্বক্ষণিকভাবে চালু থাকবে। এ অবস্থায় নবনির্মিত ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের টাওয়ারে আরোহন, গবাদিপশু বাঁধা, টাওয়ারে রশি বেঁধে কাপড় শুকানো, লাইনের নিচে ও পাশে বাঁশঝাড় ও বড় গাছ রোপণসহ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সবাইকে ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন থেকে নিরাপদ (উভয় পাশে ২৩ মিটার) দূরত্বে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। উচ্চ ভোল্টেজের এই সঞ্চালন লাইন বা টাওয়ারের সংস্পর্শে এসে কেউ বিদ্যুতায়িত হলে পিজিসিবি কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। নতুন সঞ্চালন লাইন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী, সলিমপুর ও মুলাডুলি ইউনিয়ন; নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গোপালপুর, নগর, মাঝগাঁও, বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন ও গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন এবং সিংড়া উপজেলার চামারী, কলম, চৌগ্রাম ও রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন অতিক্রম করেছে। এ ছাড়া বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার নন্দীগ্রাম ও ভাটগ্রাম ইউনিয়ন এবং কাহালু উপজেলার জামগ্রাম ইউনিয়নবাসীকে সতর্ক থাকতে বলেছে পিজিসিবি কর্তৃপক্ষ।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৫

গরমে বিদ্যুৎ বিল কমানোর সহজ উপায়
সারাদেশে চলছে অতি তাপপ্রবাহ। গরমে ফ্যান চললেও নেই স্বস্তি। এই গরমে ২৪ ঘণ্টাই চলছে ফ্যান। তাই বাড়ছে বিদ্যুৎ খরচ। মাস শেষে বিদ্যুৎ বিলের জন্য বাড়তি খরচে চোখে-মুখে চিন্তার ভাজ। বিল কার্ড দ্রুত ফুরিয়ে যাওয়ায় পড়তে হচ্ছে দুশ্চিন্তায়। কিছু ট্রিকস জানা থাকলে খুব সহজেই কমাতে পারবেন বিদ্যুৎ বিল। বাড়তি বিদ্যুৎ খরচ কমাতে চাইলে প্রথমেই বাড়ির পুরোনো সকল বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি সরিয়ে ফেলতে হবে। কেননা এ ধরনের যন্ত্রপাতিগুলো বৈদ্যুতিক বিল প্রচুর পরিমাণে খরচ করে। এর ফলে বিদ্যুৎ বিল অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। এখন বাজারে শক্তি সাশ্রয়ী ৫ স্টার রেটযুক্ত যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়। আধুনিক সেই যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ অনেকটা সাশ্রয় করা যায়। শুধু যেই ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতিগুলো ব্যবহার করছেন সেগুলোর সুইচ অন রাখুন। অপ্রয়োজনে ইলেকট্রিক যন্ত্রের সুইচ সব সময় অফ রাখতে ভুলবেন না। এমনকি ফোনের চার্জার বা ল্যাপটপের মতো ছোট ছোট ডিভাইসগুলোর ক্ষেত্রেও একই বিষয় মনে রাখতে হবে। আধুনিক বাল্ব ব্যবহার করুন। বাড়িতে এলইডি বাল্বের পরিবর্তে অন্য কোনো বাল্ব ব্যবহৃত হয়ে থাকে তাহলে আজই তা পরিবর্তন করুন। আধুনিক এলইডি লাইট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। অন্য বাল্ব তা করে না।  বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন বিদ্যুৎ অনর্থক কাজে ব্যয় না হয়। কম্পিউটার ও মোবাইল চার্জারের কাজ হয়ে গেলে তা সব সময় অফ রাখতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে ঘরে থাকা টিভিকে স্ট্যান্ডবাই মোডে কখনই রাখা যাবে না। এতে বিদ্যুৎ খরচ হয়। এয়ার কন্ডিশনার মেশিন (এসি) সঠিক তাপমাত্রায় চালাতে হবে। গ্রীষ্মে বেশি এয়ার কন্ডিশনার মেশিন (এসি) ব্যবহার করতে হয়। এসি ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে ব্যাপারটা তেমন নয়। শুধু এর সঠিক ব্যবহার করতে জানতে হবে। এসি থেকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ অপচয়রোধ করার নিয়ম জানতে হবে। মনে রাখতে হবে এয়ার কন্ডিশনার মেশিন (এসি)যদি ২৪ ডিগ্রি অটোমেটিক সেটিংয়ে চালানো হয় তাহলে বিদ্যুৎ বিল অনেকটা কম আসে। তবে সচেতনতাও এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫০

বিদ্যুৎ ও গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না
এখন থেকে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ নিতে হলে লাগবে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র। সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এই নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ (ডিএফআইএম)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় দুটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলো হলো- ইকোনমিক জোন বা সরকার নির্ধারিত শিল্প এলাকা ছাড়া অন্য কোনো স্থানে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হলে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ প্রদান না করা। এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার আগে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে।    এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ, লিজ বা বিনিয়োগ সুবিধা প্রদানের আগে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র গ্রহণের জন্য দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করা হলো।   ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩-এর ৪১(২)(ঘ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বাংলাদেশে কার্যরত সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।    এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংককেও একই নির্দেশনা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।  
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়