• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘সংসদ সদস্য কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন না’
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, সংসদ সদস্য তার নির্বাচনী এলাকায় অবশ্যই যেতে পারবেন। তবে কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন না। ভোটের দিন কেন্দ্রে গিয়ে তার ভোট দিতে পারবেন। কিন্তু কোনো প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন না। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে প্রথম ধাপে টাঙ্গাইল জেলার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ইসি বলেন, যে কেন্দ্রে নির্বাচন হবে, সেখানে যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে অথবা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ না থাকে তাহলে সেখানে যে প্রিসাইডিং অফিসার আছেন তিনিই নির্বাচন বন্ধ করতে পারবেন। তিনি যদি কোনো কারণে বন্ধ করতে না পারেন সেক্ষেত্রে আমাদের যারা রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার থাকবেন তারাই বন্ধ করতে পারবেন। আর এমন যদি হয় উপজেলা নির্বাচনের কোনো আসনেই নির্বাচন সুষ্ঠু করা যাচ্ছে না, তাহলে পুরোটাই বন্ধ করে দিতে পারবেন নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, এ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবাই থাকবে, শুধু সেনাবাহিনী থাকবে না। সেনাবাহিনী শুধু জাতীয় নির্বাচনে রাখা হয়। জাতীয় নির্বাচন সারাদেশে এক সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়। সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কম থাকে, সেজন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। উপজেলা নির্বাচনে কয়েকটি ধাপে হবে। তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এই নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আমরা অনুমোদন দিয়েছি। নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, যদি কোনো প্রার্থী বা তার সমর্থক অন্য কোনো প্রার্থী বা সমর্থককে আক্রমণ করে, আগুন জ্বালিয়ে দেয় বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয় যেগুলোকে ফৌজদারি অপরাধ বলে সে বিষয়ে শাস্তি আরও কঠিন হবে। এক্ষেত্রে নির্বাচনী আচরণবিধি যথেষ্ট না, আরও নির্বাচনী আইন আছে। সেই আইনের অধীনে ফৌজদারি যে অপরাধগুলো রয়েছে সেক্ষেত্রে আমাদের অফিসার এবং পুলিশও মামলা করতে পারবে। আমাদের অনুমতির প্রয়োজন হবে না। মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মতিউর রহমানসহ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুর উপজেলার চেয়ারম্যান, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪৩

‘ওমর’র প্রচারণায় রেকর্ড গড়লেন ৯১ তারকা
ঈদ মানেই দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। রীতিমতো প্রিয় তারকার সিনেমা দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন দর্শকেরা। এবারও আসন্ন ঈদে মুক্তির জন্য প্রায় এক ডজন চলচ্চিত্র প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে একটি সিনেমার প্রচারণায় ছোট-বড় পর্দার অনেক তারাকাকেই দেখা যাচ্ছে।  শুধু দেশীয় শিল্পী নয়, পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় তারকাও আছেন এই তালিকায়। বলা যায়— সিনেমাটির প্রচারণায় রেকর্ড গড়লেন ৯১ জন তারকা। সিনেমাটির নাম ‘ওমর’। এটি নির্মাণ করেছেন মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। সিনেমাটির মূল ভূমিকায় রয়েছেন শরিফুল রাজ। এছাড়া অভিনয়ে আরও আছেন— নাসির উদ্দিন খান, ফজলুর রহমান বাবু, দর্শনা বণিকসহ অনেকেই। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ওমর’র প্রচারণায় ভিডিও বার্তায় সিনেমাটির দেখার জন্য দর্শককে আহ্বান জানিয়েছেন ৯১ তারকা। এমন ঘটনা আগে দেখা যায়নি। এর আগে হাতে গোনা কয়েকজন তারকা অন্যের ছবি দেখার জন্য এভাবে প্রচারণা চালিয়েছেন।  নুসরাত ইমরোজ তিশা, জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, মেহজাবীন চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, তাসনিয়া ফারিণ, তৌসিফ মাহবুব, ইয়াশ রোহান, সাবিলা নূর, সাফা কবির, নিলয় আলমগীর, জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি, আইশা খান, সাজু খাদেম, আনিকা কবির শখ, চাষী আলম, সামিরা খান মাহি, শামীম হাসান সরকার, সাদিয়া আয়মান, জেফার রহমানসহ আরও অনেকেই রয়েছেন এই তালিকায়।  সিনেমাটির প্রচারণায় দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও। শুধু অভিনয়শিল্পী নয়, রেদওয়ান রনি, রায়হান রাফীসহ বেশ কয়েকজন নির্মাতা সবাইকে হলে গিয়ে ‘ওমর’ দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।   ঋতুপর্ণা বলেন, এই ঈদে আপনাদের নিকটস্থ থিয়েটারে মুক্তি পাবে ‘ওমর’। আমি তো অবশ্যই দেখব। আপনি ও আপনার পরিবার সিনেমাটি দেখুন এবং ঈদের আনন্দ উপভোগ করুন। সবাইকে অগ্রিম ঈদ মোবারক। ভিডিও বার্তায় নুসরাত ইমরোজ তিশা বলেন, এই ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘ওমর’। আমি তো প্ল্যান করেছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে হলে গিয়ে দেখব। আপনারাও মিস করবেন না। পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সিনেমাটি হলে গিয়ে দেখুন। অপূর্ব বলেন, এই ঈদে আমার খুব কাছের একজন ভাই মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘ওমর’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে আপনার নিকটস্থ প্রেক্ষাগৃহে। আমি তো দেখতে যাব। আপনি এবং আপনার পরিবারের সবাই ছবিটি উপভোগ করবেন। সবাইকে ধন্যবাদ, ঈদ মোবারক।  এ প্রসঙ্গে নির্মাতা রাজ বলেন, আমি শুধু সবাইকে বলেছি, ‘ওমর’র জন্য একটা শুভেচ্ছা বাইট দিতে। একে একে সবাই দিয়েছেন। এটা আমার জন্য ভীষণ আনন্দের। সবাই আমাকে ভালোবেসেই বাইট দিয়েছেন। আমি সত্যিই তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।   জানা গেছে, রাজের ফেসবুক পেজ ও ‘ওমর’ সিনেমার পেজে ৯১ জন তারকার শুভেচ্ছাবার্তা প্রকাশ করা হবে। বর্তমানে এই সিনেমার কাজেই ভারতে অবস্থান করছেন নির্মাতা রাজ।  সেখান থেকে মুঠোফোনে তিনি বলেন, এরই মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব তারকার ভিডিও বার্তা প্রকাশ্যে এসেছে। তবে ৯১ জনের সবার ভিডিও বার্তা আমাদের হাতে আছে। সব শিডিউল করে পোস্ট করা আছে। সময়মতো পোস্ট হয়ে যাবে। সামনে আসবে— রুনা খান, দিলশাদ নাহার কনা, সালাহউদ্দিন লাভলু, আরফিন রুমী, অনিমেষ আইচ, শবনম ফারিয়া, আশনা হাবিব ভাবনা, খায়রুল বাসার, গোলাম সোহরাব দোদুল, সাজু মুনতাসির, মুকিত জাকারিয়া, তামিম মৃধা, আদনান আল রাজীবসহ আরও অনেকের শুভেচ্ছাবার্তা। 
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১৭

নির্বাচনের প্রচারণায় ভিন্ন এক কঙ্গনা
চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনের হাত ধরেই রাজনীতির ময়দানে পা রাখলেন কঙ্গনা রানাউত। বিজেপির তরফে তাকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। পদ্ম শিবিরের হয়ে তিনি এবার হিমাচল প্রদেশের মান্ডি কেন্দ্র থেকে লড়বেন। এবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরই প্রচার শুরু করে দিলেন হিমাচলের মান্ডির ঘরের মেয়ে কঙ্গনা। এদিন চুড়িদার সালোয়ার স্যুট পরে প্রচারে নামতে দেখা যায় কঙ্গনাকে। তিনি সেখানকার স্থানীয় ভাষাতেই স্থানীয়দের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। বক্তব্যের শুরুতেই বলে ওঠেন, আমি আপনাদের সেবায় কোন খামতি রাখব না। আপনারা এটা একদম ভাববেন না যে কঙ্গনা কোন হিরোইন বা কোন স্টার। বরং আপনারা এটা ভাববেন যে কঙ্গনা আপনাদের ঘরের মেয়ে, আপনাদের বোন। এরপর তাকে আবারও বলতে শোনা যায়, এখানকার সবাই আমার আত্মীয়। আমি আমার ভাই বোনদের জন্য সব করব। দুর্গা মায়ের কৃপায় আজ আমি আপনাদের সামনে আসতে পেরেছি এই ভাবে। আমি দূরের কেউ নই। এখানে কেউ আমার কাকু হন, কেউ দাদা হন, কেউ বোন হন।’ ফলে বোঝাই যাচ্ছে কোন তারকা হিসেবে নন, বরং ঘরের মেয়ে হিসেবে তিনি সকলের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করার চেষ্টা করছেন। কিছুদিন আগেই বিজেপির প্রার্থী তালিকায় তার নাম ঘোষিত হওয়ার পর প্রশ্ন ওঠে, তবে কি পরপর বক্স অফিসে তার ছবি ফ্লপ করছে বলে কি রাজনীতিতে এলেন কঙ্গনা? এই বিষয়ে তিনি টাইমস নাওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, না, এরম কোনও ব্যাপার নেই। দুনিয়ায় এমন কোনও অভিনেতা নেই যার সব ছবি হিট করেছে। শাহরুখ খানেরও কয়েক বছর কোন ছবি চলেনি বক্স অফিসে তারপর আবার ‘পাঠান’ হিট করল। আমারও ৭-৮ বছর মতো কোন ছবি চলেনি। তারপর ‘কুইন’ হিট করল। তারপর বেশ কিছু ছবি হিট করল। ৩-৪ বছর আগে ‘মনিকর্নিকা’ চলল। এবার ‘এমারজেন্সি’ আসছে। হতে পারে ওই ছবিটা হিট করে গেল। তিনি আরও বলেন, ওটিটি আসায় অভিনেতারা এখন বেশি করে তাদের ট্যালেন্ট দেখাতে পারছেন। আমরা শেষ জেনারেশন যেখানে তারকা আছে। ওটিটির যুগে নতুন করে কোন তারকা তৈরি হচ্ছে না। আমরা পরিচিত মুখ, আর ঈশ্বরের কৃপায় আমাদের চাহিদাও আছে। তাই এমন কোন ব্যাপার নেই। আমি শিল্পের জগতের পাশাপাশি এখন বাস্তব জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই।
৩০ মার্চ ২০২৪, ২১:০০

প্রতীক পেয়ে প্রচারণায় নেমেছেন কুমিল্লা সিটির মেয়র প্রার্থীরা
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। এ নির্বাচনে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেয়র প্রার্থী ডা. তাহসিন বাহার সূচনা বাস প্রতীক, একই দলের উপদেষ্টা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম পেয়েছেন হাতি প্রতীক। অন্যদিকে বিএনপির বহিষ্কৃত দুনেতা সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন টেবিল ঘড়ি এবং নিজাম উদ্দিন কায়সার পেয়েছেন ঘোড়া প্রতীক। তারা দুজন গত নির্বাচনে একই প্রতীকে লড়াই করেছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। ৪ মেয়র প্রার্থী নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও উঠান বেঠক করছেন। প্রার্থীরা জানালেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। সবার সমান অধিকার নিশ্চিত হলে ভোটাররা ভোট দানে উদ্বুদ্ধ হবেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫১

মসিক নির্বাচন : প্রতীক নিয়ে প্রচারণায় প্রার্থীরা 
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ সময় পছন্দ অনুযায়ী প্রতীক পেয়ে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচারণায় নামেন মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নগরীর টাউন হল তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রতীক বরাদ্দ  নিতে আসেন প্রার্থীরা। এর প্রথমদিকে পাঁচজন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। তাদের মধ‍্যে জাতীয় পার্টি মনোনীত জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম স্বপন মণ্ডল পেয়েছেন লাঙ্গল প্রতীক। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ‍্যে মসিকের সদ্য সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু পেয়েছেন দেওয়াল ঘড়ি প্রতীক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম পেয়েছেন ঘোড়া প্রতীক, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাড. সাদেক খান মিল্কী টজু পেয়েছেন হাতি প্রতীক, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃষিবিদ ড. রেজাউল হক পেয়েছেন হরিণ প্রতীক।  এ সময় মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, ঘড়ি উন্নয়নের প্রতীক। উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজ করতে নগরবাসী আবারও ঘড়ি প্রতীকে আস্থা রাখবে। বিগত পাঁচ বছরে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে শতভাগ উন্নয়ন করা সম্ভব হয়নি। সাধারণ মানুষ আমার প্রতি তাদের সমর্থন দিলে চলমান উন্নয়ন কাজ ভালো ভাবে সম্পন্ন করতে পারব। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নেতাকর্মীরা আমার সঙ্গে রয়েছে। আশ রাখছি জয় সহজেই আসবে।  হাতি প্রতীক পাওয়া সাদেক খান মিল্কী টজু বলেন, নগরের মানুষ আকাশ দেখতে চায়, পরিচ্ছন্ন নগরীতে বসবাস করতে চায়, যানজট সমস্যার নিরসন চান তাই তাদের দাবির প্রেক্ষিতে আমি প্রার্থী হয়েছি। পছন্দের প্রতীক হাতি পেয়েছি। মানুষ পরিবর্তনের লক্ষ্যে হাতি প্রতীকেই আস্থা রাখবে।  ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার মাঠে নেমেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম। এ সময় তিনি বলেন, প্রতীক হাতে পেয়েই মানুষের ধারে ধারে যাচ্ছি। আমার পক্ষে সাধারণ মানুষের বেশ সাড়া রয়েছে। কারণ বিগত সময়ে প্রত্যাশা অনুযায়ী সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেনি। মানুষকে সুন্দর স্মার্ট শহর উপহার দিতেই আমার প্রার্থী হওয়া।  সেই সঙ্গে প্রতীক পেয়ে মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি প্রচারণায় নেমেছেন সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা।  প্রসঙ্গত, নগরের ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। আগামী ৯ মার্চ ইভিএম এর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ। এতে মোট ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭২ জন, নারী ১ লাখ ৭২ হাজার ৬১৫ জন এবং হিজড়া ৯ জন।  
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৩

মনোনয়ন পেতে নতুন কৌশল, নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ
কেউ ছোট পর্দায় কাজ করছেন দীর্ঘদিন, আবার কেউ চলচ্চিত্রে লম্বা সময় অভিনয় করে পেয়েছেন কোটি ভক্তের ভালোবাসা। শোবিজের অনেক তারকাই বর্তমানে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ভক্তদের ভালোবাসাকে আর্শীবাদ হিসেবে নিয়ে রাজনীতির মাঠে নেতৃত্ব দিতে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন অনেক অভিনেত্রী। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ। প্রথম দিনই অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, সোহানা সাবা, মেহের আফরোজ শাওন, তানভিন সুইটি, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, শাহনূর, শামিমা তুষ্টি ফরম সংগ্রহ করেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন মনোনয়ন পত্র কিনেছেন অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী ও নায়িকা মাহিয়া মাহি। তবে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে তারা আশাবাদী বলেও জানিয়েছেন। মনোনয়ন ফরম  কিনে অপু বিশ্বাস বলেন, যেহেতু একজন অভিনেত্রী, আমি সবসময় জনগণের সঙ্গে ছিলাম। বরাবরই নারীদের উন্নয়ন করতে চাই। সেই জায়গা থেকেই যদি সুযোগ করে দেওয়া হয় তাহলে মানুষের জন্য কাজ করব। সবাই দোয়া করবেন, আশীর্বাদ করবেন যেন লক্ষ্য পূরণ করতে পারি। পাওয়া না পাওয়ার বিষয়টি আপেক্ষিক। তবে প্রত্যাশা করি, আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। এদিকে প্রথম দিন মনোনয়ন পত্র কিনে অভিনেত্রী  শাহনূর সাংবাদিকদের বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। আমি নিজেও সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাছাড়া নির্বাচনী প্রচারণা থেকে শুরু করে নানা সময় বিএনপির অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনীত করলে তার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে চাই। এ ছাড়া নারীদের জন্য কাজ করতে চান বলেও জানান তিনি। অভিনেত্রী  শাহনূরের এমন মন্তব্যের পর অনেকেই তার সমআলোচনা করেছেন। পাশাপাশি জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য অভিনেত্রীদের এমন দৌড়ঝাঁপ অনেকেই ভিন্ন চোখে দেখছেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলে বলছেন তৃণমূল নেত্রীদের বাদ দিয়ে কি সরাকার তাদের মনোনয়ন দিবেন? আবার অনেকেই মনে করছেন কেবলই মনোনয়ন পেতেই  নির্বাচনী প্রচারণা সহ বেশ্ন কিছু দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন অনেক তারকা।  এদিকে সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য অভিনেত্রীদের মনোনয়ন পত্র কেনার হিড়িক দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আওয়ামী মহিলা লীগের সক্রিয় নেত্রীরা। শুধু ক্ষোভ নয়, স্বপ্নের সংসদ সদস্য পদ গ্ল্যামারের কাছে ধরাশয়ী হওয়ার শঙ্কায় রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। অশ্রুসিক্ত হয়ে যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি আসমান আক্তার রুনা গণমাধ্যমকে বলেন, অপু বিশ্বাস, নিপুণ, সোহানা সাবারা কোথা থেকে এলো? দুর্দিনে তো তাদের কাউকে কখনও মাঠে দেখলাম না। রাজনীতিতে এসে জীবন-যৌবন নষ্ট করছি। জেল খেটেছি, নিজের পাঁচটা বাড়ি বিক্রি করেছি। নিজের স্বামীও আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। কী লাভ হলো এতসব ত্যাগ করে। এখন যদি এই নায়িকারা এসে মনোনয়ন নিয়ে যায়, তাহলে আমাদের মরণ হওয়া উচিত। রুনা বলেন, দুর্দিনে রাজপথে ছিলাম। সেই অধিকার নিয়ে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন ফরম কিনতে এসেছি। এসেই হতাশ হয়ে পড়লাম। নায়িকাদের ফরম কেনার অবস্থা দেখে হতাশ না হয়ে পারছি না। এই নায়িকারা কোথায় ছিল এতদিন? রাজপথে তো তাদের কাউকেই কখনও দেখিনি। তারা যদি আমাদের মতো কর্মীদের কিসমত মেরে খেতে আসে, তাহলে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াব। নায়িকাদের এমন মনোনয়ন পত্র কেনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ও সিনিয়র অভিনেত্রী  অরুণা বিশ্বাস আরটিভিকে বলেন, আসলে মনোনয়ন কেনা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আমার বিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্যতা বুঝেই  মনোনয়ন দিবেন।  রাজনীতির মাঠে সক্রিয় না থেকেও সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন গ্রহণ করে অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা ও মমতাজ বেগম এর আগে সংসদ সদস্য হয়েছেন। তবে এবারের নির্বাচনে দল থেকে নির্বাচন করেও শেষ পর্যন্ত জয়ী হতে পারেনি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ।  প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৪৮টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ১৫৪৯টি। গত তিন দিনে আওয়ামী লীগ এসব মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে। এতে দলটির আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এবার সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের প্রতিটি মনোনয়ন ফরমের মূল্য ধরা হয় ৫০ হাজার টাকা, একাদশ জাতীয় সংসদের ক্ষেত্রে এটা ছিল ৩০ হাজার টাকা।  
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৬

নৌকার প্রচারণায় খিচুড়ি রান্না করে বিএনপি নেতার জরিমানা
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নৌকার প্রচারণায় অংশ নেওয়া কর্মী-সমর্থকদের জন্য বড় ১০ ডেকচিতে খিচুড়ি রান্না করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা গুনেছেন বানাইল ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিকী। জানা যায়, আব্দুল্লাহ আল মামুন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টাঙ্গাইল জেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে বানাইল ইউনিয়নের বানাইল গ্রামে নৌকা প্রার্থীর পক্ষে ৫ গ্রামের কর্মী-সমর্থকদের জন্য খিচুড়ি ভোজের আয়োজন করেছিলেন তিনি।  খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন।  এ সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন বিচারক। এ বিষয়ে মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান জানান, নৌকার প্রার্থীর টাকায় বানাইল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন খিচুড়ি রান্না করছিলেন বলে তাকে জানিয়েছেন। এটি নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। এজন্য তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:১১

মায়ের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত ৩ মেয়ে
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-২ আসনে নৌকার বিপরীতে হেভিওয়েট প্রার্থী কেউ না থাকা সত্ত্বেও মায়ের প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত ৩ মেয়ে। বরগুনা-২ (পাথরঘাটা-বামনা-বেতাগী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সুলতানা নাদিরা। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট সাতজন প্রার্থী। তাদের মধ্যে হেভিওয়েট কোনো প্রার্থী না থাকায় শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ প্রার্থী সুলতানা নাদিরার পক্ষে প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ, পথসভা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে মিটিং করছেন তার ৩ মেয়ে ফারজানা সবুর রুমকি, সাবরিনা নাদিরা সবুর তিন্নি, হাছছানা সবুর তিয়াশাসহ নেতাকর্মীরা। এই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সুলতানা নাদিরা একাই প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি প্রয়াত সংসদ সদস্য গোলাম সবুর টুলুর সহধর্মিনী। এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছাড়াও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বিএনএম (নোঙর প্রতীকে) প্রার্থী প্রফেসর ড. আবদুর রহমান খোকন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির (হাতুড়ি প্রতীক) প্রার্থী জাকির হোসেন রাজু, তৃণমূল বিএনপি (সোনালী আঁশ প্রতীক) কামরুজ্জামান লিটন, বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব প্রতীক) মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (একতারা প্রতীকে) মো. আবুবক্কর সিদ্দিক ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (ফুলের মালা প্রতীক) প্রার্থী শাহ মো. আবুল কালাম। এই আসনে ভোটার সংখ্যা মোট  ৩  লাখ ১৭ হাজার ২৪৭ জন। এই ভোট গ্রহণের জন্য ভোটারকেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে ১১৪টি।  পাথরঘাটায় ১ লাখ ৪১ হাজার ২৪৯ জন, বামনায় ৬৫ হাজার ৪৬৭ জন , বেতাগীতে ১ লাখ ১০ হাজার ৫৩১ জন ভোটার।  জানা যায়,  ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনটিতে প্রথমবারের মতো জয় ছিনিয়ে নেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাম সবুর টুলু। ২০১৩ সালে তার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। এরপর উপনির্বাচনে তার পরিবারের কোন সদস্য নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয় পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হাচানুর রহমান রিমনকে। এরপর থেকে তিনি পরপর দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়ন পেলেন নৌকার প্রতীকের সুলতানা নাদিরা। এই আসনে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাকি ৬ প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে নতুন হওয়ায় তাদের অনেক প্রার্থীকে ভোটাররা চেনেন না বলে জানিয়েছেন এ আসনের সাধারণ জনগণ। ফলে একচেটিয়া মাঠ দখলে রয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সুলতানা নাদিরার। এখন নৌকার প্রার্থীর বড় চ্যালেঞ্জ ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো তাই প্রার্থীসহ তার ৩ মেয়ে ও নেতাকর্মীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে প্রচার-প্রচারণায়। 
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৫

লাখ টাকার অফার ফিরিয়ে নৌকার প্রচারণায় জায়েদ খান
আর মাত্র কিছুদিন পরেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকার পক্ষে অনেক শোবিজ তারকাই প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। সেই কাতারে আছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়ক জায়েদ খান। সম্প্রতি তাকে দেখা গেল নৌকায় ভোট চাইতে। নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার পথে-ঘাটে লিফলেট বিতরণ করে তিনি নৌকার প্রার্থী অসীম কুমার উকিলের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন।   জায়েদ খান বলেন, নির্বাচনের শুরু থেকে অনেক প্রার্থী তার পক্ষে মাঠে নামার আহ্বান জানান। লাখ লাখ টাকার অফার করা হয়। এসব প্রস্তাব আমি গ্রহণ করিনি।  কেন্দুয়ায় প্রচারণা প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, অসীম কুমার উকিল দাদাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করি। তাই নিজের গাড়ির তেল পুড়িয়ে প্রচারণায় এসেছি। কেউ বলতে পারবে না আমি প্রচারের জন্য টাকা নিয়েছি। এখানে আমাকে দেখতে লাখ লাখ মানুষ দাঁড়িয়ে যান। নৌকার পক্ষে ভোট চেয়েছি, মানুষ আমাকে কথা দিয়েছে, এখানে এসে ভালোবাসা পেয়েছি। এটাই আমার প্রাপ্তি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জায়েদ খান দুবাই গিয়েছিলেন। সেখানে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। দেশে ফিরেই চট্টগ্রাম চলে যান। ফিরেই মালয়েশিয়ায় যান। এরপর দেশে ফিরেই তাকে নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে দেখা গেল। 
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৯

শামীমের নৌকার প্রচারণায় সাকিব
ফরিদপুর সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৩ সংসদীয় আসন। এই আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক।  বুধবার (৩ জানুয়ারি) শামীম হকের পক্ষে নৌকার প্রচারণায় মাঠে নেমেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের  অধিনায়ক ও মাগুরা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী সাকিব আল হাসান। জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, শামীম হকের আমন্ত্রণে সাকিব ফরিদপুরে এসেছেন নৌকার প্রচারণায়। মঙ্গলবারও প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে সাকিব ফরিদপুরে এসেছিলেন। বেলা ১১টায় সাকিব প্রথমে শহরের হাসিবুল হাসান লাভলু সড়কের রাসেল স্কয়ারের আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হন। সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে ছাদখোলা গাড়িতে চড়েন সাকিব ও শামীম। রাসেল স্কয়ার থেকে সেই ছাদ খোলা গাড়ি শহরের হাসিবুল হাসান লাভলু সড়ক, মুজিব সড়ক, থানা রোড, লিয়াকত হোসেন সড়ক, অনাথের মোড়, কমলাপুর, বেড়িবাঁধসহ শহরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে পুনরায় রাসেল স্কয়ারে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় সাকিব গাড়ি থেকেই নেতাকর্মী ও ভোটারদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শামীম হকের জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট চান। এ সময় সাকিব আল হাসান গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, পুরো বাংলাদেশেই এখন নির্বাচনী উৎসবমুখর পরিবেশ এবং আশা করি প্রতিটি জায়গায়ই শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গতকালও আমি এসেছিলাম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে, আজ এসেছি শামীম ভাইয়ের জন্য। প্রধানমন্ত্রী ফরিদপুরের মানুষের জন্য যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, আমি বিশ্বাস করি ফরিদপুরের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে সেই ভালোবাসার প্রতিদান দেবে। বাংলাদেশে যে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা চলছে সেই ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকার কোনো বিকল্প নেই।  ফরিদপুর-৩-এর নৌকার প্রার্থী শামীম হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে ভাষণ দিয়েছেন ও যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন এরপর থেকে নৌকার গণজোয়ার চলছে। ফরিদপুরের মানুষ নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য ৭ তারিখেনর অপেক্ষায় আছে। 
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়