• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চোরের ভয়ে পুলিশের মোটরসাইকেলে হাতকড়া
বিভিন্ন মামলার আসামিদের থানায় ধরে আনতে পুলিশ সদস্য ব্যবহার করে থাকেন হাতকড়া। চোরদের হাত থেকে মোটরসাইকেলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তালা হিসেবে সেই হাতকড়া ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে শরীয়তপুরের পালং থানার এএসআই মাসুদ রানার বিরুদ্ধে। নিজের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের হাইড্রোলিক প্লেট হাতকড়া দিয়ে তালা মেরেছেন তিনি। এমনকি নম্বর প্লেটের স্থানে পুলিশ লিখে রেখেছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে এমন একটি ভিডিও।  মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে হাতকড়া দিয়ে তালাবদ্ধ অবস্থায় পুলিশের  মোটরসাইকেলটি দেখতে পাওয়া যায়। ঘটনাটি ঘটেছে শরীয়তপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগর এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শান্তিনগর এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী আল-আমিন মোল্লার বাসায় ভাড়া থাকেন পালং মডেল থানার এএসআই মাসুদ রানা। তিনি বাসার সামনে তার মোটরসাইকেলটি রাখেন। এ সময় তিনি আসামি ধরার জন্য ব্যবহৃত হাতকড়া দিয়ে মোটরসাইকেলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সামনের হাইড্রোলিক প্লেট তালা মেরে রাখেন। তার মোটরসাইকেলের পেছনে নেই নম্বর প্লেট। লেখা রয়েছে পুলিশ। প্রায় সময় তিনি এই কাজ করে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দা আশিকুর রহমান বলেন, আমি এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিনই যাতায়াত করি। মাঝে মধ্যেই দেখি হাতকড়া দিয়ে মোটরসাইকেলের সামনের চাকায় তালা দেওয়া থাকে। মোটরসাইকেলটির পেছনে নম্বর প্লেটও নেই। নম্বর প্লেটের স্থানে লেখা রয়েছে পুলিশ। পুলিশ সদস্যের এমন কর্মকাণ্ড কখনওই আশা করা যায় না।  হাতকড়া দিয়ে মোটরসাইকেলের সামনের চাকায় তালা মারার বিষয় জানতে চাইলে পালং থানার এএসআই মাসুদ রানা মুঠোফোনে হাসি দিয়ে বলেন, ‘হোন্ডা চুরি হয়ে যায়। লক ভেঙে চুরি করে নিয়ে যায় চোররা। এ জন্যই হাতকড়া দিয়ে তালা মেরে রাখি মোটরসাইকেলটি।’  শরীয়তপুর জেলা জজ আদালতের অ্যাডভোকেট সহিদুল ইসলাম সজীব বলেন, বেঙ্গল পুলিশ রেগুলেশন, প্রবিধান-৩৩০ এ হাতকড়ার ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে ৩৩০ (ই) বলা আছে, হাতকড়া সবসময় ব্যবহার উপযোগী রাখতে হবে। কোনো পুলিশ সদস্য পেশাগত কাজের বাইরে ব্যক্তিগত কাজে এটি ব্যবহার করতে পারবেন না।   জানতে চাইলে শরীয়তপুর জেলা সুপার মো. মাহবুবুল আলম বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। যদি এরকম কোনো ঘটনা ঘটে থাকে সেক্ষেত্রে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
০৭ মে ২০২৪, ১৫:০৫

আসামি ধরতে গিয়ে ইমামকে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে স্থানীয় এক মসজিদের ইমামকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মূলত, ওয়ারেন্টভুক্ত ওই আসামি ও ইমামের বাবার নাম এক হয়ে যাওয়ায় এ বিপত্তি ঘটেছে বলে জানা গেছে।  এদিকে উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের আমুয়াবাইদ গ্রামে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘটে যাওয়া এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। শুক্রবার (৩ মে) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করে মানববন্ধন করেছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।  খোঁজ নিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়,  বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে ধরতে আমুয়াবাইদ গ্রামে যায় ঘাটাইল থানার পুলিশ। কিন্তু ভুল করে পুলিশ সদস্যরা প্রবেশ করেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম গোলাম রাব্বানীর (২৭) বাড়িতে। কারণ, তার বাবার নাম আব্দুর রাজ্জাক মৃধা। ইমাম গোলাম রাব্বানীর অভিযোগ, রাতে দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে তাকে মারধর করেছেন থানার উপপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন এবং কনস্টেবল রুবেল রানা, রুহুল আমিন ও মিজানুর রহমান।  গোলাম রাব্বানী জানান, রাত দেড়টার দিকে তার বসত ঘরের দরজায় খটখট শব্দ হয়। এ সময় ভয়ে দরজা না খুললে তা ভেঙে তার বোনের কক্ষে প্রবেশ করেন কয়েকজন লোক। ডাকাত ভেবে পাশের কক্ষে খাটের নিচে লুকান গোলাম রাব্বানী। পরে নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেন লোকগুলো এবং খাটের নিচ থেকে টেনে বের করেন রাব্বানীকে। তাকে হাতে ধরে ঘরের বাইরে নিয়ে আসেন একজন, পেছন থেকে অপরজন মারেন লাথি।  এ সময় গোলাম রাব্বানী তাকে এভাবে ধরে নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে পুলিশ সদস্যদের একজন বলেন, ‘তোর নামে মামলা আছে। তোর কারেন্ট বিল বাকি আছে।’ তখন রাব্বানী বলেন, ‘ভাই আমারে মাইরেন না, আমি মসজিদের ইমাম, আমার কোনো কারেন্ট বিল বাকি নাই।’ এ কথা বলার পর পাশে থাকা আরেক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘তোরে ইমামতি শিখাইছে ক্যারা?’ এরপর রাব্বানী মামলার কাগজপত্র দেখতে চাইলে পুলিশ সদস্যরা বলেন, ‘আগে থানায় চল, তারপর কাগজপত্র দেখামু।’ এভাবেই পার হয়ে যায় প্রায় বিশ মিনিট। হইচই শুনে আশেপাশের লোকজন এসে জড়ো হন ওই বাড়িতে। তারা মামলার কাগজপত্র দেখতে চাইলে পুলিশ তাদের কাগজপত্র দেখায়। তাতে দেখা যায় মামলায় আসামির নাম আব্দুর রাজ্জাক।  গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমার বাবার নাম আব্দুর রাজ্জাক মৃধা ঠিক আছে, কিন্তু আমার দাদার নাম লাল মাহমুদ মৃধা। মামলার কাগজপত্র দেখার পর আমার বাবার ভোটার আইডি কার্ড দেখালে লোকজন ক্ষেপে যায় এবং আমাকে রেখে চলে যায় পুলিশ। আমার নামে কোনো মামলা নেই, আমি একজন ইমাম পরিচয় দেওয়ার পরও আমাকে মারধর করার বিচার চাই।’   এ বিষয়ে জানতে শুক্রবার (৩ মে) কল করা হয় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক ও ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আলমগীর হোসেনের মোবাইল নম্বরে। এ সময় কল রিসিভ করলেও সংবাদকর্মীর পরিচয় পেয়ে ‘মিটিংয়ে আছি’  বলে কল কেটে দেন তিনি। এদিকে বিনা অপরাধে একজন মসজিদের ইমামকে মারধরের ঘটনাটি নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। শুক্রবার বিকেলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচার চেয়ে ঘাটাইল থানার সামনে মানববন্ধন করতে যায় শতাধিক লোক। শুরুতে পুলিশ বাধা দিলেও পরে সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে নিষ্ক্রিয় থাকে তারা।   অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় ঘাটাইল থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়ার কাছে। জবাবে তিনি বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করতে গ্রাম পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে থানা থেকে পুলিশ কর্মকর্তা যান। ইমামকে মারধর করার বিষয়টি সত্য নয়। তবে উভয়ের মধ্যে কথাকাটি হতে পারে। এ বিষয়ে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি এখনও।  এ বিষয়ে পরে যোগাযোগ করা হয় টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোপালপুর সার্কেল) মোহাম্মদ মোনাদির চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, বিষয়টি অবগত হওয়ার পর ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে থানায় বসে আমি কথা বলেছি। মূলত ভুক্তভোগীর বাবার নামের সঙ্গে আসামির নাম মিলে যাওয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তবে ইমামকে মারধরের বিষয়টি সত্য নয়। ওয়ারেন্ট তামলি করার ক্ষেত্রে পুলিশের কর্তব্যে কোনো ব্যত্যয় ঘটে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
০৪ মে ২০২৪, ০৩:৫৩

রাজধানীতে পুলিশের অভিযান, গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার (৩ মে) সকালে ডিএমপির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। ডিএমপি জানায়, নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩ হাজার ৫৭ পিস ইয়াবা, ১৮৬ গ্রাম ৪৮ পুরিয়া হেরোইন এক ১ কেজি ৩৩০ গ্রাম ১১০ পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৮টি মামলা রুজু হয়েছে।
০৩ মে ২০২৪, ১২:৩৭

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েল বিরোধী ছাত্র বিক্ষোভে পুলিশের বর্বরতা
গাজাযুদ্ধ বন্ধের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলমান ছাত্র বিক্ষোভ দমনে পুলিশের বর্বরতা চলেছে। চার শতাধিক বিক্ষোভকারীকে উচ্ছেদের জন্য আলটিমেটাম দিয়ে শত শত দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শক্তি প্রয়োগ করে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসের (ইউসিএলএ) অবরোধ উচ্ছেদ করেছে। রাবার বুলেট ও ফ্ল্যাশব্যাং ব্যবহার করে বুধবার পুলিশ ব্যারিকেড সরিয়েছে। এ সময় ৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে পিঠমোড়া করে বেঁধে নিয়ে গেছে পুলিশ।  বিশ্লেষকরা বলছেন, অতীতে নানা সময় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কর্তৃপক্ষ বাধা না দিলেও এবার ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের ক্ষেত্রে দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করছে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে উচ্ছেদ করে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চরম অসহিষ্ণুতা দেখাচ্ছে।   পুলিশ এর আগে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়েছিল। এরপর কয়েক ঘণ্টার অচলাবস্থা শেষে স্থানীয় সময় বুধবার রাতে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের তাঁবুতে প্রবেশ করে। সহিংস ইসরায়েলপন্থি উগ্র জনতার তাদের ক্যাম্পে আক্রমণ করার ২৪ ঘণ্টারও কম সময় পরে এ ঘটনা ঘটল। এর আগে মঙ্গলবার রাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও নিউইয়র্কের সিটি কলেজের প্রায় ৩০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে ইউসিএলএ ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের ওপর উগ্র ইসরায়েলপন্থিরা আক্রমণ করে।  বুধবারের পুলিশের অভিযানের পর প্রায় সব বিক্ষোভকারীকে ইউসিএলএ ক্যাম্প থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অভিযানের সময় কিছু বিক্ষোভকারীকে ভয়ার্ত দেখালেও অন্যরা যতদিন সম্ভব অবস্থান বজায় রাখার জন্য সত্যিই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন বলে আলজাজিরা জানায়। অনেক বিক্ষোভকারী পুলিশকে লক্ষ্য করে ‘শেম অন ইউ’ বলে চিৎকার করছিলেন। বার্তা সংস্থা এপি জানায়, পুলিশ গত ১৮ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০টি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ফিলিস্তিন সমর্থক ১৬০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার মুখ খুলেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবাদের অধিকার আছে। তবে ক্যাম্পাসে অবশ্যই শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। কাতার ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক হাসান বারারি যুক্তরাষ্ট্রে বহু বছর শিক্ষকতা করেছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রমবর্ধমান মৌখিক আক্রমণ সত্ত্বেও ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন না। তারা তাদের উদ্দেশ্য সফল না করা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।  বুধবার উত্তর ও মধ্য গাজাজুড়ে সমাবেশ করে মার্কিন কলেজ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনিরা। দেইর আল-বালাহতে আল আকসা শহীদ হাসপাতালের সামনে ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসাকর্মীরা সমাবেশে গণহত্যা বন্ধে বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত ব্যানার বহন করেন। এ সময় ডা. সাদ আবু শারবান সিএনএনকে বলেন, অন্যান্য দেশের প্রতিবাদকারীরা বিশ্বকে দেখাচ্ছেন গাজা উপত্যকায় এখন কী ঘটছে।’
০৩ মে ২০২৪, ১১:১১

পুলিশের সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, গুলিবিদ্ধ ১
পাবনার সুজানগর উপজেলা নির্বাচনী প্রচারণায় হট্টগোল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাদশা (২৫) নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার ভায়না কালির মোড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল ওহাব (প্রতীক মোটরসাইকেল), অন্যজন হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন (প্রতীক আনারস)। বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকরা ভায়না কালির মোড়ে নির্বাচনী প্রচারণায় যায়। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল ওহাবের সমর্থক ও ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের ভাতিজা আব্দুল আওয়ালকে কথা-কাটাকাটির জেরে কিলঘুষি মারে। তখন ভায়না ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন শাহীন চেয়ারম্যানের লোকজনকে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তারা আবার লোকজন নিয়ে ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের বাড়ি ঘেরাও করে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এমন খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয় পুলিশ। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে শাহীন চেয়ারম্যানের লোকজনের কথা-কাটাকাটি থেকে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি হয়। পরে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় বাদশা নামের এক যুবক পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। অন্যরা ঘটনাস্থল থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে আহত বাদশাকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত বাদশা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের সমর্থক বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় হট্টগোল নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের লোকজন ভায়না ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘেরাও করলে পুলিশ সেখানে যায়। কিন্তু পুলিশের ওপর চড়াও হওয়াটা দুঃখজনক। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। একজন পায়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাকে পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাব অভিযোগ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের লোকজন সারা উপজেলায় আমার লোকজনের ওপর হামলা চালাচ্ছে। বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। আজকের ঘটনা তারই অংশ। তারা পুলিশকেও মানছে না। এ বিষয়ে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, আমার এক সমর্থককে মারধর করে ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন। এ নিয়ে আমার লোকজন জড়ো হলে আমিন চেয়ারম্যানের লোকজন গুলি করে। পুলিশ গুলি করেনি। এ ঘটনায় তার সমর্থক কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
০২ মে ২০২৪, ২৩:০৬

পুলিশের ভয়ে ৬ রাজ্যে পালিয়ে শেষ রক্ষা হয়নি অভিনেতার
‘অনলাইন গেমিং অ্যাপে’ জুয়া কাণ্ডে একের পর এক বলিউড তারকাদের জড়ানোর অভিযোগ উঠছে। অনেকেই ‘ব্র্যান্ড প্রোমোটার’ হিসেবে কাজ করছে সেসব ‘অনলাইন বেটিং গেমিং অ্যাপে’র। এবার জুয়া কাণ্ডে গ্রেপ্তার বলিউড তারকা সাহিল খান। ভারতের ছত্তিশগড় থেকে অভিনেতাকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। এবার প্রকাশ্যে অভিনেতার গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে চাঞ্চল্যকর এক রিপোর্ট। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম অনুসারে, গ্রেপ্তারি এড়াতে ৪ দিনে ৬ রাজ্যে পালিয়ে বেড়িয়েছেন সাহিল। প্রথমে সাহিল খান গোয়ায় পালিয়ে যান, তারপর সেখান থেকে তিনি কর্ণাটকে যান এবং সেখান থেকে পৌঁছান হুব্বাল্লি শহরে। অবশেষে তিনি ব্যক্তিগত গাড়িতে করে হায়দরাবাদ পৌঁছান। সেখানে থাকাকালীন পুলিশ সাহিল খানের লোকেশন ট্র্যাক করে ফেলে, যার ফলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ছত্তিশগড় পালিয়ে যান। ছত্তিশগড়ের জগদলপুরের হোটেল আরাধ্যা ইন্টারন্যাশনালে থাকার সময় খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। টানা ৭২ ঘণ্টা ধরে অভিনেতার খোঁজ চালাচ্ছিল মুম্বাই পুলিশ। সাহিল খানকে গ্রেপ্তার করার সময় তার থেকে দুটি মোবাইল ও কিছু নগদ অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়। মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলা মূলত অনলাইন জুয়ার একটি মামলা। ওই অ্যাপের মাধ্যমে তাস, কার্ড, ব্যাডমিন্টন, টেনিস, ফুটবল এবং ক্রিকেট ম্যাচ নির্ভর জুয়া খেলা হতো বলে অভিযোগ রয়েছে। দেশের একাধিক বড় বড় রিয়েল এস্টেট সংস্থাও এর সঙ্গে যুক্ত আছে বলেই দাবি তদন্তকারীদের। সবমিলিয়ে প্রায় ১৫০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। বেআইনিভাবে মহাদেব অ্যাপের মাধ্যমে আইপিএল ম্যাচ সম্প্রচারের অভিযোগও রয়েছে। এই অ্যাপের বিজ্ঞাপনে কাজ করার জন্য সম্প্রতি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়াকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশের সাইবার শাখা। দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত চলছে মহাদেব বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারির। অ্যাপের দুই মাথা সৌরভ চন্দ্রকার ও রবি উপ্পল, দুজনেই এই কর্মকাণ্ড দুবাই থেকে চালাতেন বলে জানা গিয়েছিল। নতুন আইডি তৈরি করে এই অনলাইন বেটিং অ্যাপে যারা রেজিস্ট্রার করতেন, তাদের টাকা এক বেনামি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ত। মূল কাজটা সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকেই চলত বলেই দাবি তদন্তকারীদের। ইতোমধ্যেই এই ঘটনায় রণবীর কাপুর, সানি লিওনি, টাইগার শ্রফ, নেহা কাক্কারসহ একাধিক তারকার নাম জড়িয়েছে।
০২ মে ২০২৪, ২১:২৩

ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ / যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের অভিযান, শতাধিক গ্রেপ্তার  
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত সাড়ে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে নির্বিচার হামলা ও হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। দিন যত গড়াচ্ছে ক্রমেই বড় আকার ধারণ করছে ইসরায়েলবিরোধী এ বিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত এক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে মার্কিন পুলিশ প্রশাসন। সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিউইয়র্কের সিটি কলেজ ক্যাম্পাসে রাতের আঁধারে পরিচালিত  হয়েছে পুলিশি অভিযান। এ অভিযানে ক্যাম্পাস দুটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শতাধিক ফিলিস্তিন সমর্থকারীকে।  বুধবার (১ মে) মার্কিন এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সিএনএন।  মার্কিন সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের বেশিরভাগ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিক্ষোভকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন হ্যামিল্টন হলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর রাতে তাদের সরাতে ভবনে প্রবেশ করে পুলিশ। নিউইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, দুই ঘণ্টারও কম সময়ের এ অভিযানে হ্যামিল্টন হল থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসময় কেউ আহত হয়নি বলেও দাবি পুলিশের। এর আগে আগামী ১৭ মে পর্যন্ত নিউইয়র্ক পুলিশকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠায় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই চিঠি পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে রাতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে পুলিশের বড় একটি দল। উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভকারীদের সরাতে প্রথম ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে নিউইয়র্ক পুলিশ। ওই অভিযানে শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের পর বিক্ষোভের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে। গত এক সপ্তাহে পুলিশ ৫৫০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
০১ মে ২০২৪, ১৩:৪৮

ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ: কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযান
যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের দখল করে রাখা অ্যাকাডেমিক ভবন দখলমুক্ত করতে অভিযান চালাচ্ছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় অভিযান শুরু করে পুলিশ। পুলিশ বলছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে হ্যামিলটন হল নামের ওই ভবনে তারা প্রবেশ করছে। সেখানে অবস্থান নেয়া বিক্ষোভকারীদের সবাইকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এর আগে, কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। অভিযানের বিষয়ে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘দখল, ভাঙচুর ও অবরুদ্ধ করার পর আমাদের আর কোনো উপায় ছিল না’। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন বিক্ষোভ হতে হবে শান্তিপূর্ণ এবং ‘জোর করে ভবন দখল করা শান্তিপূর্ণ ব্যাপার না- এটা ভুল’। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফক্স টেলিভিশনকে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে দিনটিকে কলম্বিয়ার জন্য দুঃখের দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। নিউ ইয়র্ক শহরের ডেমোক্র্যাট দলীয় কংগ্রেসম্যান জামাল বাউম্যান কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এ অভিযানের তীব্র সমালোচনা করেছেন। সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতে তিনি ক্ষুব্ধ। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও কোম্পানিকে বয়কটের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই প্রচণ্ড ছাত্র বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। এর আগে কলাম্বিয়ার শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের অনেকে কমলা ও হলুদ রংয়ের ভেস্ট পরে বিক্ষোভকারীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন। শিক্ষার্থীরা তাঁবু খাটিয়ে ওই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছিল। ওই তাঁবু সরানোর জন্য সোমবার দুপুর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কর্তৃপক্ষের দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও কয়েক ডজন শিক্ষার্থী ওই স্থানে সমাবেশ করে। কলাম্বিয়ার স্টুডেন্ট রেডিও স্টেশনের খবর অনুযায়ী আটক শিক্ষার্থীদের নেওয়ার জন্য ক্যাম্পাসের কাছেই নিউইয়র্ক পুলিশের বাস রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের টিভি চ্যানেলগুলোতে যেসব ছবি দেখানো হচ্ছে তাতে কলম্বিয়া লেখা টি শার্ট পরিহিত অনেককে একই ধরনের বাসে ওঠাতে দেখা যাচ্ছে। তবে কত শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। একজন পুলিশ কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন তারা রাতের এ অভিযানে শুধু ফ্ল্যাশব্যাং গ্রেনেড (যা জোরে শব্দ তৈরি করে আলোর ঝলকানি তৈরি করে) ব্যবহার করেছে এবং কোনো টিয়ারশেল ব্যবহার করেনি। একদিকে গ্রেপ্তার চলছে অন্যদিকে বাইরে চরম বিশৃঙ্খলার তথ্য দিয়েছেন বিবিসির নমিয়া ইকবাল। তিনি পুলিশের অনেকগুলো বাস ‘সম্ভবত বিক্ষোভকারীদের’ নিয়ে চলে যেতে দেখেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসির পার্টনার সিবিএস নিউজ বলেছে পঞ্চাশ জনের মতো আটক করা হয়েছে। তবে হাত বাঁধা অবস্থায় আটক শিক্ষার্থীরা যখন যাচ্ছিল তখন যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীরা ব্যাপক স্লোগান দিয়েছে। মিজ ইকবালকে একজন বলেছেন এই গ্রেপ্তার শহরের জন্য লজ্জার। গত ছয় মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের এ যুদ্ধে হোয়াইট হাউসের অকুণ্ঠ সমর্থনের বিরুদ্ধে এবং গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করতে শুরু করে আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর তা ক্রমশ বিস্তৃত হতে থাকে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বলেছে, ষাটের দশকের শেষের দিকে ভিয়েতনামে আমেরিকার আগ্রাসনবিরোধী ছাত্র বিক্ষোভের পর সম্ভবত সবচেয়ে বড় ছাত্র আন্দোলন হচ্ছে এবার।
০১ মে ২০২৪, ১২:৫৫

যে কারণে পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
থানাসহ পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। একই সঙ্গে পুলিশের যেকোনো স্থাপনায় হামলার শিকার হলে কীভাবে প্রতিহত করতে হবে সেই নির্দেশনাও পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়, সারা দেশের সব থানায় কমপক্ষে তিনটি সেইন্ট্রি পোস্ট নির্মাণ করতে হবে। এ ছাড়া থানা বা পুলিশের যেকোনো স্থাপনায় হামলার শিকার হলে কীভাবে প্রতিহত করতে হবে তার নির্দেশনা পুলিশ সদরদপ্তর থেকে সব ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, সম্প্রতি কুকি-চিন সন্ত্রাসীরা বান্দরবানে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র লুট করেছে। এ ধরনের ঘটনা যেন এড়ানো যায় সেই লক্ষ্যে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে এ বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের অপারেশন বিভাগের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত আইজিপি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বান্দরবানে অস্ত্র লুটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সব ইউনিটে অ্যালার্ম প্যারেডের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে, এটি নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। এদিকে পুলিশ সদর দপ্তরের দেওয়া নির্দেশনার মতো ঢাকা মহানগর পুলিশও থানা ও পুলিশের স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়ে সার্কুলার জারি করেছে। গত ২৩ এপ্রিল সার্কুলারটি জারি করে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ডিএমপির সার্কুলারে বলা হয়েছে, প্রত্যেক থানায় কমপক্ষে তিনটি স্থায়ী সেন্ট্রি পোস্ট নির্মাণ করতে হবে। তবে, বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এ সংখ্যা কম বেশি হতে পারে। রাতে ডাবল সেন্ট্রি ডিউটি মোতায়েন করতে হবে। অতিরিক্ত সংখ্যক পুলিশের ছুটি বা অন্যত্র দায়িত্বে না রাখার বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। বাইরের কারও দেওয়া খাবার খাওয়া যাবে না। অস্ত্রাগার সুরক্ষিত রাখতে হবে। রাতে নির্দিষ্ট সময় পর থানায় বাইরের কেউ প্রবেশ করলে নিরাপত্তার স্বার্থে চেকিং ও সতর্কতার সঙ্গে প্রবেশ করাতে হবে। এ বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ উপকমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকির জন্য নয়, সবাইকে সতর্ক রাখার জন্য এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়