• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হলফনামায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর তথ্য গোপন
নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপন, ভুয়া আইনজীবী দিয়ে হলফনামা সনাক্তকরণ ও গ্রেপ্তারী পরোয়ানা নিয়ে নির্বাচনে প্রচারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তের নাম শেখ মো. বায়জীদ হোসেন। সে পিরোজপুর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে পিরোজপুর সদর উপজেলার সাধারণ ভোটাররা আতঙ্কের মধ্যে আছেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা দ্রুত এ সময় বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন ও রিটার্নিং অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. শফিউল হক অভিযোগ করে জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক সমর্থক রনি সাহাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার প্রধান আসামি শেখ মো. বায়জীদ হোসেন। গত বছর ১৮ ডিসেম্বর তাকে প্রধান আসামি করে পিরোজপুর সদর থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলায় দায়ের করা হয়। পরে উচ্চ আদালত থেকে বায়জীদ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জামিন পান। তবে জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও বায়জীদ পিরোজপুরের দায়রা জজ আদালতে হাজির না হওয়ায় ২৯ ফেব্রুয়ারি আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এর পরও পুলিশের উপস্থিতিতেই বায়জীদ নির্বাচন অফিসের কার্যালয়ে এসে মনোনয়নপত্র জমা দেন এবং প্রতীক নেন।  তিনি আরও জানান, বায়জীদের প্রচারণায় পিরোজপুর সদর উপজেলার চিহ্নিত মাদক কারবারি, বিভিন্ন মামলার আসামি ও চাঁদাবাজকে দেখা যাচ্ছে। যারা সাধারণ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। বায়জীদ যে নির্বাচনী হলফনামা জমা দিয়েছেন সেখানে মিথ্যা তথ্য এবং তথ্য গোপন করেছেন। এছাড়া ভুয়া আইনজীবী কর্তৃক হলফনামায় পরিচয় শনাক্ত করেছেন।  নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মো. শফিউল হক বায়েজীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ করেছেন।  শফিউল হক আরো অভিযোগ করেন- শেখ মোঃ বায়জীদ হোসেনের হলফনামার পরিচয় শনাক্তকারী এডভোকেট অরুণ কান্তি মণ্ডলের বার কাউন্সিল আইনজীবীর সনদ নেই। হলফনামার পরিচয় শনাক্তকারী এডভোকেট অরুণ কান্তি মণ্ডলের বার কাউন্সিলের সনদ ভুয়া বলে তা বাতিল করে দেয় বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। এ বিষয়ে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও বিশেষ কোন কারণে তার কোন সুরহা হয়নি।  এ বিষয়ে উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ মো. বায়জীদ হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।  নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. মিজানুর রহমান জানান, প্রার্থীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত জানাবে। এ ছাড়া আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪৪

পরোয়ানা জারির ৬ বছর পর উপজেলা চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার
পরোয়ানা জারির ৬ বছর পর আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মর্তুজা হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার পশ্চিমভাগ গ্রামের মৃত ইউনুছ মিয়ার ছেলে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদ। পুলিশ জানায়, আজ ভোর রাতে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশ ও আজমিরীগঞ্জ পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে শহরের ইনাতাবাদ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তাকে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  এ বিষয়ে মামলার বাদী অলিউর রহমান জানান, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পশ্চিমভাগ বাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়। তখন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসানের নির্দেশে লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এ সময় তার ফুফাতো ভাই এগিয়ে এলে তাকে মারধর করে আহত করে। এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়। এর প্রেক্ষিতে আদালত ২০১৮ সালে করা মামলায় ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। তবে এতদিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টভুক্ত হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। তবে সেই পরোয়ানায় উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসানকে ছয় বছর পর গ্রেপ্তার করা হলো। এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা মর্তুজা হাসানকে দুপুরে আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৪

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে 
ফিলিস্তিনের গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ তার নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য ও সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। খুব শিগগিরই সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নেরও পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি।  বিশেষ এক সূত্রের বরাতে খবরটি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার শঙ্কায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নিজ কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইসিসির এই পদক্ষেপ ঠেকাতে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে নিজ কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন নেতানিয়াহু। তার যুদ্ধকালীন বিশেষ মন্ত্রিসভার বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন, স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ও সরকারপন্থী বেশ কয়েকজন আইনজীবী ও আইন বিশেষজ্ঞ ওই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) জেরুজালেম সফরে গিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালিনা বেয়ারবক। তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময়ও আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে কথা বলেছেন নেতানিয়াহু। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এই পদক্ষেপ ঠেকাতে ব্রিটিশ ও জার্মান সরকারের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে হামাস ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মধ্যে ব্যাপক সংঘাত হয়েছিল। সেই যুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো নিয়ে ২০১৯ সালে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেয় আইসিসি। পরে করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর তদন্তের কাজ স্থগিত থাকে। তবে ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ফের তদন্ত শুরু করে আইসিসি। সেই তদন্তের অংশ হিসেবে গত বছরের ডিসেম্বরে ইসরায়েল সফর করেছিলেন আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান। কিন্তু ইসরায়েলি প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর আপত্তির কারণে গাজা সফরে যেতে ব্যর্থ হন তিনি। সেই সফর শেষে ফিরে যাওয়ার আগে করিম খান বলেছিলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা ও তার জবাবে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়। তিনি আরও বলেন, গাজায় যেসব সহিংসতা আগে হয়েছে, তা এখনো হচ্ছে। এসব সহিংসতা হামাস ও আইডিএফের পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে করেন করিম খান। এমনকি এ সংক্রান্ত কিছু সাক্ষ্যপ্রমাণও তার হাতে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। এদিকে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ গাজায় চলা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নির্বিচার হামলা ও অভিযানে অন্তত ৩৪ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হরিয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৭৬ হাজার ৮৩৩ জন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ৪২ জন প্রাণ হারিয়েছেন ইসরায়েলি হামলায়। সেইসঙ্গে আহত হয়েছেন ৬৩ জন।  
২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৪

চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই মামলায় চিত্রনায়িকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।   বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে এই আবেদন করেন বাদীক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল। শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য রেখেছেন। এই তথ্যটি নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী।   জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঢাকা বোট ক্লাবের পরিচালক নাসিরের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরীমণি। কিন্তু চিত্রনায়িকার করা সেই মামলায় কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ।  তবে গত ১৮ মার্চ পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমির বিরুদ্ধে নাসিরের পাল্টা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে তদন্তের চার্জশিট দাখিল করেছে পিবিআই। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ মামলার প্রতিবেদন গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। গত ১৮ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার পিবিআই পরিদর্শক মো. মনির হোসেন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে পরীমণিসহ জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। গত ১৭ এপ্রিল ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।  এ প্রসঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তা মনির বলেন, পরীমণি ও জিমির বিরুদ্ধে তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছি। এখন সাক্ষীরা আদালতে এই মামলার অভিযোগ প্রমাণ করবে। তদন্ত প্রতিবেদনে পিবিআই জানায়, ২০২১ সালের ৮ জুন রাতে আসামি পরীমণি অসৎ উদ্দেশ্যে বাদী নাছিরকে ফাঁদে ফেলে ঢাকা বোট ক্লাবের নিয়ম উপেক্ষা করে ফ্রিতে তিন লিটারের ব্লু লেবেল মদ পার্সেল নিতে না পেরে বাদীর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি প্রদান করেন। পরীমণি ইচ্ছাকৃতভাবে বাদী নাছিরের দিকে এসট্রে ছুড়ে মেরে তার ডান কানের ওপরে ও মাথায় আঘাত করে জখম করেন। এ ছাড়া ক্লাবের বারের ভিতরে যত্রতত্র গ্লাস, কাচের বোতল, এসট্রে ছুড়ে ফেলে তাণ্ডব করে। যে কারণে আসামি পরীমণির বিরুদ্ধে বাদীর আনা ৩২৩/৫০৬ ধারার অপরাধ করেছে মর্মে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, বারের ভেতরে তাণ্ডব করতে থাকলে সাক্ষী তুহিন সিদ্দিকিকে বাদী নাছির আসামিদের নিয়ে বার থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। তখন আসামি জিমি তেড়ে এসে বাদী নাছিরকে গালমন্দ করার পাশাপাশি হুমকি প্রদর্শনসহ কিল-ঘুষি মারেন। এতে আসামি জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে বাদীর আনা অভিযোগ মতে ৩২৩/৫০৬ ধারার অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ঘটনার সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তার বিরুদ্ধে বাদীর আনা কোনো অভিযোগের সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে গণমাধ্যমে মামলার বাদী নাছির বলেন, পরীমণি মিথ্যা নাটক সাজিয়েছিল। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে সেই রহস্য উন্মোচন হয়েছে। আমি সব সময় ন্যায় বিচার চেয়েছি এখনও সেটাই চাই আমি। এর আগে ২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন ঢাকা বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে একই বছরের ১৮ জুলাই এ মামলাটি গ্রহণ করে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন দামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন। নাসির ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশমূলকভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনা মূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য নাসিরকে চাপ দেন পরীমণি। তিনি দিতে রাজি না হওয়ায় বাদীকে গালমন্দ করেন তিনি। তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির তার মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। মামলায় আরও বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা নাসিরকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন। পরবর্তীতে এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন পরীমণি।  
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৮

ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চেক প্রতারণার পৃথক তিন মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার (৪ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালত এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সাবিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে এসব মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। আসামিরা হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১৯ ডিসেম্বর রাসেল জামিনে মুক্তি পান। পরে তার স্ত্রীও জামিনে মুক্তি পান।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৫২

বাসাইলের সেই সাবেক ইউএনওর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
টাঙ্গাইলের বাসাইলের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট অদালতের বিচারক মো. মাহমুদুল মোহসীন এ আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২১ জুন ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে দঃবিঃ ৪৯৩, ৪৯৪ ও ৪৯৬ ধারায় ওই সাবেক ইউএনওর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদলত এ মামলায় পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্তের নির্দেশ দেয়। পরে পুলিশ ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর মো. মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে ৩৯৩ ধারা প্রমানিত হয়েছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর পূর্বে গত মাসের ১৭ তারিখ তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এ সময়ও তিনি অনুপস্থিত থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপূর্বে, ওই কলেজছাত্রী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি লিখিত অভিযোগে বলেন, ২০২১ সালে বাসাইলের ইউএনও মো. মনজুর হোসেনের সঙ্গে তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। বিয়ের কথা বলে ইউএনও তার সরকারি বাসভবনে ডেকে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন। পারিবারিকভাবে তার (ছাত্রীর) বিয়ে অন্য জায়গায় ঠিক হলে, তিনি (ছাত্রী) বিয়ের জন্য ইউএনওকে বলতে থাকেন। ইউএনও বিয়ের কথা বলে তাকে বাড়ি থেকে চলে আসতে বলেন এবং টাঙ্গাইল শহরের পাওয়ার হাউসের কাছে একটি বাসা ভাড়া নেন। সেই বাসায় তারা দুই মাস থাকেন। এ ছাড়াও, গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে বেনাপোল হয়ে তাকে (ছাত্রীকে) নিয়ে ইউএনও ভারতের কলকাতায় যান। সেখান থেকে উড়োজাহাজে করে হায়দরাবাদে যান। সেখানে তারা দুজন চিকিৎসা নেন। পাসপোর্ট দেখে তিনি জানতে পারেন মনজুর হোসেন বিবাহিত। সেখানে থাকার সময় তার মুঠোফোন থেকে দুজনের ভিডিও ও কথোপকথন মুছে ফেলেন ইউএনও। ভারতে ১২ দিন অবস্থানের পর ৫ অক্টোবর তারা দেশে ফিরে আসেন। তারপর থেকে ইউএনও তাকে এড়িয়ে চলতে থাকেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মন্ত্রনালয় বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে তদন্তের নিদের্শ দেন। পরে জেলা প্রশাসন গত বছরের ৭ এপ্রিল ওই কলেজছাত্রী, সাবেক ইউএনও মো. মনজুর হোসেন, তার গাড়িচালক বুলবুল মোল্লাসহ ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে প্রতিবেদনটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, আদালতে আজ এ মামলার বাদীর সাক্ষী গ্রহণ করেছেন। ওই সময় বিবাদী মনজুর হোসেন আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। উল্লেখ্য, ভুক্তোভুগী কলেজ ছাত্রী ২০২২ সালের ২১ জুন তারিখ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট টাঙ্গাইল সদর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। এর পূর্বে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ইউএনও মো. মনজুর হোসেন বাসাইল থেকে ঢাকায় বদলি করা হয়। সর্বশেষ তিনি নদী রক্ষা কমিশনের উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কলেজছাত্রীর অভিযোগের বিষয়টি গণমাধ্যমে আসলে ও মন্ত্রিপরিষদের তদন্তের তার দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৪

এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা 
আচরণবিধি লঙ্ঘনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।    বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাউদ্দিনের আদালত এই আদেশ দেন।  আদালতের বেঞ্চ সহকারী তরিকুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দায়ের করা মামলায় আসামি মহিউদ্দীন বাচ্চুর বিরুদ্ধে সমন দিয়েছিলেন আদালত। বৃহস্পতিবার ধার্য তারিখে তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তাই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এর আগে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মসজিদ, মন্দিরে অনুদানের চেক বিতরণের অভিযোগে গত ১৬ জানুয়ারি চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম-১০ আসনের সকল মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের এক হাজার টাকা করে এবং মাদানী মসজিদে এক লাখ টাকা অনুদানের চেক দেন মহিউদ্দিন বাচ্চু। যা জুমার নামাজের খুতবার আগে মুসল্লিদের অবহিত করেন। একইভাবে ২৪ ডিসেম্বর লালখান বাজারে তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় থেকে মসজিদগুলোর ইমাম, মুয়াজ্জিনদের ৬০ হাজার টাকা করে অনুদানের চেক দেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি ২১টি মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডায় অনুদানের চেক বিতরণের সত্যতা পায়। এ নিয়ে ৪ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন মামলা করার নির্দেশ দেয়। নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার ৩ ধারা অনুসারে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষ থেকে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গোপনে চাঁদা বা অনুদান দিতে বা দেওয়ার অঙ্গীকার করতে পারবেন না।  উল্লেখ্য, ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলম নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে অভিযোগ করেছিলেন।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০২

১৭ বার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এড়িয়েও রক্ষা হলো না
ফাবিন মিনারেলস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক সৈয়দ আবিদ রেজা বিজভী। তিনি গত এক যুগে ১৭ বার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এড়িয়ে গেছেন। অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন তিনি। গত শনিবার আটক করে রোববার আবিদকে আদালতে হাজির করা হয়। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে নিউমার্কেট থানা পুলিশ। উপপরিদর্শক সজিব মিয়া জানান, আমাদের থানায় ১৭টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এগুলোর মধ্যে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও বিভিন্ন অর্থদণ্ড দিয়ে সাজা দেওয়া হয়েছে ১৫টি মামলায়। অপর দুইটি সাধারণ মামলা। সজিব আরও বলেন, আবিদ রেজাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি তার বিরুদ্ধে অন্তত ৫৪টি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে ১৭ মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিউমার্কেট থানায় ছিল। অধিকাংশ মামলাই চেক ডিজঅনারের কারণে হয়েছে। আবিদের প্রতিষ্ঠানের অফিস হাতিরপুলে ছিল। ওই প্রতিষ্ঠানের আড়ালে বিভিন্ন পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে তিনি প্রতারণাগুলো করেছেন বলে পুলিশ দাবি।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:২৭

ঝিনাইদহ-১  / নৌকার প্রার্থী আবদুল হাইসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুল হাই এবং তার দুই অনুসারীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।  বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক বৈজয়ন্ত বিশ্বাস এ আদেশ দেন।  গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিকৃত অপর দুজন হলেন শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম ও সারুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, শৈলকূপা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তায়জুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার মামলা নং-৬৫০ ও ৬৫১। ২৬ ডিসেম্বর আদালতে মামলা দু’টির সমন জারি করে আজ বুধবার স্ব-শরীরে শুনানিতে তাদেরকে হাজির হতে বলা হয়। এদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত আদালতে আসামিরা হাজির না হওয়ায় এ আদেশ প্রদান করা হয়। 
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়