• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নোংরা বরফের শরবতে প্রাণ জুড়াচ্ছেন ঢাকাবাসী! (ভিডিও)
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ। বাইরে বেরোলেই গলা শুকিয়ে হয়ে যাচ্ছে কাঠ। তৃষ্ণা মেটাতে মন চায় বরফ ঠান্ডা এক গ্লাস শরবত। কাঠফাটা গরমে ঠান্ডা বরফ দেওয়া এক গ্লাস শরবতে যেন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহের এই সময়ে সড়কের পাশে, মোড়ে মোড়ে বসেছে শরবতের দোকান। বিক্রি হচ্ছে লেবু, বেলের শরবত ও আখের রস। এ ছাড়া পেঁপে, আনারস, মাল্টা, আঙুরসহ বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ফলের জুস। আর তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললেও ঠান্ডার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে মাছ হিমায়িত করার বরফ। তীব্র গরমে একটু স্বস্তির আশায় রাস্তার পাশের এসব শরবত বা জুসের দোকানে হরহামেশাই ভিড় করছেন পথচারীরা। ক্লান্তি দূর করতে শরবত, আখের রস বা জুসে তৃষ্ণা মেটানো এই বরফ কোথা থেকে আসছে তা জানেও না ভোক্তা। জানা গেছে, ওয়াসার সাপ্লাইয়ের পানি দিয়ে, মাছসহ পচনশীল দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য তৈরি করা হয় এ বরফ। বরফ মিশ্রিত এসব পানিও গরমে দেহের ক্ষতি করে, তার ওপরে দূষিত পানির ফলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে নানা রোগ। মাছ বাজারের পানি আর ছাগলের মল-মূত্রে একাকার নোংরা পরিবেশে রাখা বরফ কিনে তা দিয়ে আখের রস করছিলেন ফার্মগেট এলাকার এক বিক্রেতা, আরটিভির ক্যামেরা দেখেই পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। একজন অ্যালোভেরার শরবত বিক্রেতা বলেন, স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকায় সবসময় বরফ ব্যবহার করি না। তবে গরমে তৃষ্ণা মেটাতে বরফের চাহিদা থাকায় ব্যবহার করছেন তিনিও। শরবত পান করা ক্রেতারা বলেছেন, গরমে হাতের নাগালে শরবত পেয়ে আমরা কিনে খাই। কিন্তু এসব বরফ কোথা থেকে আসে তা জানি না। নগরবাসী বলছেন, দূষিত পানির এই বরফ মিশিয়ে নানা ধরনের পানীয় বিক্রি করা হচ্ছে। এজন্য সরকারের তদারকির অভাবকেই দায়ী করছেন তারা।
৬ ঘণ্টা আগে

ইফতার করতে গিয়ে পরিচ্ছন্ন শহর নোংরা করল রাজশাহী জেলা আ.লীগ
পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে রাজশাহীর সুনাম দেশ-বিদেশে। সেই শহরের অলোকার মোড়ে ইফতারের আয়োজন করে স্থানটিকে রীতিমতো ভাগাড়ে পরিণত করেছে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ।  রোববার (১৭ মার্চ) এ ইফতার অনুষ্ঠানের পর ওই এলাকার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। উঠেছে প্রতিবাদ আর নিন্দার ঝড়। ক্ষুব্ধ নগরবাসী জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সমালোচনাও করছেন। এ দিকে রোজা শুরুর আগেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইফতার পার্টি না করার ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই নির্দেশনা মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো এবার ইফতার পার্টি করছে না। তবে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ করেছে এর ব্যতিক্রম। রোববার বিকেলে নগরীর অলোকার মোড়ে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারা। ইফতার শেষে খাবারের প্যাকেট ছড়িয়ে ছিটিয়ে পুরো অলোকার মোড় ও আশপাশের এলাকা নোংরা করা হয়েছে। এতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ওই এলাকাজুড়ে। জেলা আওয়ামী লীগের এই কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ নগরবাসী।   নগরবাসী বলছেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি রাজশাহী নগরী। পরিচ্ছন্নতায় রাজশাহী নগরীর সুনাম দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে রাজশাহী মহানগরবাসীও এখন অনেক সচেতন। নগরবাসী কেউ যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ও কোন খাবারের প্যাকেট ফেলেন না। কিন্তু আজ নগরীর বাইরে থেকে এসে ইফতার মাহফিল আয়োজন করে শহর নোংরা করে যাওয়া হলো। ইফতারের প্যাকেট ও উচ্ছিষ্ট এভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে যাওয়া কোন সভ্য মানুষের কাজ হতে পারে না। এটি বহিরাগতদের পক্ষেই সম্ভব হয়েছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, কারণ এই শহরের প্রতি তাদের কোনো ভালোবাসা ও দায়িত্ব নেই। বিশিষ্টজনরা আরও বলছেন, ইফতার আয়োজন যারা করেছেন, তাদের উচিত ছিল এলাকাটি পরিষ্কার করা। কিন্তু তারা তা না করে পুরো এলাকাটি নোংরা করে গেছেন। যিনি প্রধান অতিথি ছিলেন, তিনিও কিছু বলেননি। এখন ওই এলাকা দিয়ে চলাফেরা করা কষ্ট হচ্ছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করেন শহরকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখতে। সেখানে একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা শহরে এভাবে অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা করে যাবে, এটি কাম্য হতে পারে না। শহর নোংরা করে তারা নিজেদের রুচি ও মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষা করে ইফতারের আয়োজন এবং শহরকে এভাবে নোংরা করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেই ইফতার পার্টি না করার নির্দেশনা দিয়েছেন। সেখানে তার দলের নেতাকর্মীরা ইফতারের আয়োজন করলেন। এটা গরিব মানুষের সঙ্গে তামাশা। জেলা আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাল। তারা যেভাবে শহর নোংরা করে গেলেন তা দুঃখজনক। অন্য কেউ করলে অপরাধ, এমপি-মন্ত্রীরা করলে অপরাধ নয় এটা তো হতে পারে না।’ জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাকিরুল ইসলাম সান্টু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ইফতার পার্টি না করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের এটা ইফতার পার্টি ছিল না। আমাদের আলোচনা সভা ছিল। এর সঙ্গে নিজেরা ইফতার করেছি, কিছু বিতরণ করা হয়েছে।’ শহর নোংরা করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেরা লোক লাগিয়ে দিয়েছি। রাতের মধ্যেই আমরা পরিষ্কার করে ফেলব।’
১৮ মার্চ ২০২৪, ০১:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়