• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হিলিতে তীব্র গরমে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
দিনাজপুরের হিলিতে গত কয়েক দিন থেকে বেড়েছে তাপমাত্রা, যার ফলে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ। সেই সঙ্গে হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন হাসপাতালে ৫ থেকে ১০ জন রোগী ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা নিতে আসছেন। এই জেলাতে ৩৭ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। জরুরি কাজ ছাড়া বাহিরে বের হচ্ছে না মানুষ। ফলে আয় কমেছে রিকশা, অটোচার্জার চালকদের।  রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে হিলির বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায় লোক সংখ্যা অনেকটাই কম। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে রিকশা, ভ্যান ও অটোচার্জার নিয়ে বসে বসে সময় পার করছেন চালকরা।  হিলি চারমাথা মোড়ে বসে থাকা কয়েকজন রিকশাচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিনে তাদের ২০০ থেকে ২৫০ টাকা আয় করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কারণ, সকাল থেকে ১০টা পর্যন্ত যাত্রী কিছুটা দেখা মিললেও দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত তেমন যাত্রী বা মানুষের দেখা মিলছে না। ফলে তাদের আয় অনেকটাই কমে গেছে। বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়াতে সামান্য আয় দিয়ে তারা সংসার চালাতে পারছেন না বলেও জানান। হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইলতুতমিশ আকন্দ বলেন, অতিরিক্ত গরম হওয়ার কারণে হিলিতে গত কয়েক দিনের তুলনায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ জন রোগী হাসপাতালে সেবা নিতে আসছেন। অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন আবার কেউ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছেন। এই গরমে ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পেতে হলে সবাইকে পচা-বাসি খাবার পরিহার করতে হবে।  দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, শনিবার দিনাজপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬৬ শতাংশ। বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪ কিলোমিটার। 
৩ ঘণ্টা আগে

হিলিতে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পেয়ে খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসেবে গরিব অসহায় ১৬ হাজার ৯৫০ জন কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভিজিএফের ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় হাকিমপুর উপজেলার বোয়াদাড় ইউনিয়ন কার্যালয়ে চাল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লায়লা ইয়াসমিন ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ছদরুল ইসলাম। ঈদের আগে এসব চাল পেয়ে খুশি গরিব অসহায় দুস্থ পরিবারের মানুষগুলো। এই চাল বিতরণ শনিবার পর্যন্ত চলবে। হিলির বোয়ালদাড় গ্রামের বাসিন্দা মোজাফর রহমান বলেন, আমরা গরিব মানুষ। সামনে ঈদ, এই ঈদে ১০ কেজি চাল পাওয়া আমাদের জন্য অনেক বড় বিষয়। বাজারে জিনিসপত্রের যে দাম, চাল আর কিনতে হবে না আমাদের। আমরা অনেক খুশি হয়েছি।  হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, পৌরসভায় ৩ হাজার ১৮১ জন কার্ডধারী পরিবারে মাঝে ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়েছে। এই বছর প্রায় ৭০ শতাংশ মহিলা এবং ৩০ শতাংশ পুরুষের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়েছে। আগামীতে আরও সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লায়লা ইয়াসমিন বলেন, ঈদের আগে গরিব অসহায় দুস্থ পরিবারের মানুষজন যেন একটু স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করতে পারে সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের উপহার হিসেবে ভিজিএফের ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। আমরা নিয়মিত প্রতিটি ইউনিয়ন এবং পৌরসভা মনিটরিং করছি। কেউ যেন কোনো কার্ড জালিয়াতি না করতে পারে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৩

নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এমপি শান্তর মাসব্যাপী ইফতার আয়োজন
ময়মনসিংহ নগরীতে প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ইফতার আয়োজন করেছেন সদর আসনের সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্ত। রমজানের প্রথম দিন থেকে একমাস চলবে এই ইফতার আয়োজন কার্যক্রম। আর চেয়ার টেবিলে বসে ইফতার করতে পেরেও খুশি এসব দরিদ্র মানুষগুলো। সরেজমিনে দেখা গেছে রোববার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরীর মিন্টু কলেজ মাঠে ইফতার করেছেন প্রায় সাত শতাধিক শ্রমজীবী অতিথি। এই অতিথিদের সবাই অসহায় ও হতদরিদ্র শ্রমজীবী।  আয়োজকেরা জানান, প্রতিদিন পঞ্চাশ কেজি চালের সঙ্গে একশত কেজি মুরগি দিয়ে পাঁচ শতাধিক অতিথির জন‍্য খিচুড়ি রান্না করা হয়। সেই খিচুরি, শরবত ও খেজুর দেওয়া হয় ইফতারে।   দেখা যায়, বিকেল ৬টা বাজতেই নগরীর রিক্সা ও অটো চালকরা দলে দলে এসো জড়ো হয় মিন্টু কলেজ গেটে। এরপর তারা কলেজ মাঠের ফাঁকা স্থানে রিক্সা ও অটো সারিবদ্ধ ভাবে রেখে চেয়ারে বসছেন ইফতার করতে। এতে অংশ নিচ্ছেন অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষরাও। জেলা যুবলীগের সদস্য এবিএম আখতারুজ্জামান রবিন জানান, রমজান মাসে আমরা চাই ধনী-গরীব সবাই এক সঙ্গে ইফতার করি। সামর্থ্যবান মানুষগুলো এভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালে সমাজে এক ধরনের দৃষ্টান্ত স্থাপন হত। এমপি শান্তর উদ্দেশ্য অসহায়দের পাশে দাড়ানো। সেই মনোভাব থেকেই এই আয়োজন।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৬

নীলফামারীতে হাড় কাঁপানো শীত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
গত কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা, হিমশীতল বাতাস আর হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে উত্তরের জেলা নীলফামারীর জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। রাত থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। ঘন কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত আচ্ছন্ন থাকায় দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। শীতের দাপটে বেশ কাবু হয়ে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। সেই সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালে।  মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সপ্তাহ ধরে জেলার তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। দিনের অধিকাংশ সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সূর্য উত্তাপ ছড়াতে না পারায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এমন অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে বের না হওয়ায় রাস্তাঘাট, হাটবাজার, রেলস্টেশন বাস টার্মিনালসহ লোকালয়ে মানুষজনের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। সরকারি-বেসরকারি অফিসে চাকরিজীবীরা আসলেও কাজকর্মে চলছে স্থবিরতা। জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষরা বের হলেও কাজ না পেয়ে পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। রিকশা-ভ্যানচালক, দিনমজুর, কৃষি শ্রমিকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। শহরের কালীতলা এলাকার একজন রিকশাচালক বলেন, খুব ঠান্ডায় মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। শহরে লোকজনও অনেক কম, রিকশার যাত্রী হচ্ছে না। শীতের কারণে আমরাও বিপদে পড়ছি। দিন এসে দিন খাই তাই ঠান্ডা সহ্য করি বাইরে বের হইছি। সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন, এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। গতকালের থেকে আজকে তাপমাত্রা একটু বেড়েছে। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোয় রোগীর চাপও বেড়েছে। নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একজন মা বলেন, তিন দিন ধরে আমার বাচ্চার জ্বর শ্বাসকষ্ট তাই হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। ডাক্তারের চিকিৎসায় এখন ভালো আছে। নীলফামারীর জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আউয়াল বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন যেখানে চার থেকে পাঁচজন শিশু ভর্তি হতো সেখানে বর্তমানে ২০ থেকে ২৫ জন ভর্তি হচ্ছে। শিশুদের সকালে ঘর থেকে বের না করে কুসুম গরম পানি খাওয়ানো ও সতেজ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। নীলফামারীর জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, শীত মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সরকারি সহায়তা প্রস্তুত রয়েছে। শীতবস্ত্র হিসেবে জেলার ছয় উপজেলা ও চার পৌরসভায় তিন দফায় ৩৬ হাজার ৮৮০টি কম্বল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শীতার্ত মানুষের কথা চিন্তা করে আরও শীতবস্ত্রের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আশা করি দ্রুত শীতবস্ত্র পাওয়া যাবে। 
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৯

কুড়িগ্রামে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন, নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে 
কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা কম থাকলেও হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় শ্রমজীবী ও নিম্ন-আয়ের মানুয় পড়েছে বিপাকে। সাথে রয়েছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। গত চার দিন ধরে দিনে সূর্যের মুখ দেখা যায় না। ফলে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে এ জেলার মানুষ।  শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা গতদিনের চেয়ে আরও ১ ডিগ্রি কমেছে।  এদিকে, রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় জেলার শীতের ঠান্ডার তীব্রতা বেড়ে গেছে। ঠান্ডা বেশি অনুভূত হওয়ায় নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ ঘর থেকে বের হতে না পেরে পড়েছেন বিপাকে। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডার হাত থেকে রেহাই পেতে আগুনের পাশে উত্তাপ নিচ্ছেন। জেলার আড়াইশ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় ৩০ থেকে ৩৫ জন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগী ভর্তি হয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। তবে এ হার আরও বাড়তে পারে।  জেলার রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, এ জনপদে তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন কমতে থাকবে। তবে এ মাসের শেষে একটি শৈত্যপ্রবাহ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে বলেও জানান তিনি।  জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, প্রচন্ড শীতের কথা বিবেচনা করে শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত ৫২ হাজার কম্বল শীতার্ত মানুষের জন্য ৯ উপজেলায় বন্টন করা হয়েছে। এছাড়াও শিশু ও দরিদ্র কর্মজীবীদের জন্য গরম কাপড়েরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।  
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়