• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় মো. রাকিব (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (৫ মে) দুপুরে উপজেলার চরআবাবিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।  র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  রাকিব উপজেলার চর আবাবিল গ্রামের মিছির আলীর ছেলে ও পেশায় রঙমিস্ত্রি। ভিকটিম মাদরাসাছাত্রী তার প্রতিবেশী।  গত ২ মে রাকিবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রায়পুর থানায় ধর্ষণের মামলা করেন ভিকটিমের মা।  মামলার বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, ভিকটিমের বাবা দিনমজুর ও মা মানুষের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করে। ভিকটিম স্থানীয় একটি দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মাদরাসা যাওয়া-আসার পথে বিভিন্ন সময় আসামি ভিকটিমকে প্রেম নিবেদনসহ বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ২১ এপ্রিল বিকেলে ভিকটিম তার বাসা থেকে বড় বোনের শ্বশুর বাড়িতে যাচ্ছিল। এ সময় পথে অভিযুক্ত রাকিব অজ্ঞাতনামা আরও তিন জনের সহায়তায় তার মুখ চেপে ধরে সিএনজিযোগে তুলে নিয়ে যায়।  পরে হত্যার ভয় দেখিয়ে চাঁদপুরের হাইমচর লঞ্চঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় ওই শিক্ষার্থীকে। সেখানে লঞ্চের একটি কেবিনে আটকে রেখে রাকিব ভিকটিমকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে রাকিব তাকে বিয়ের কথা বলে তার বাড়িতে নিয়ে যায় এবং বসতঘরে আটক রাখে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে রায়পুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে র‍্যাব-১১ রাকিবকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে।  র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ বলেন, আসামি রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রায়পুর থানায় হস্তান্তর করা হবে।
০৫ মে ২০২৪, ২০:৫৪

৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা, মূলহোতা গ্রেপ্তার
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া ৯ বছরের শিশু তাজরিন সুলতানা ঝুমুকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি মফিজুল ইসলাম মফুকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গ্রেপ্তারকৃত আসামি মফিজুল ইসলাম মফু সদর দক্ষিণ উপজেলার খিলপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। বুধবার (১ মে) বেলা ১১টায় কুমিল্লা নগরীর শাকতলায় র‍্যাব-১১ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা। সংবাদ সম্মেলনে তানভির মাহমুদ পাশা বলেন, সোমবার (২৯ এপ্রিল) কুমিল্লার সদর দক্ষিণে ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিশেষ অভিযানে গত ৩০ এপ্রিল রাতে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার ফেরুয়া বাজার এলাকা থেকে ধর্ষক ও হত্যাকারী মফিজুল ইসলাম মফুকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়। তানভির মাহমুদ পাশা বলেন, নিহত শিশু গ্রেপ্তারকৃত আসামির প্রতিবেশী। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামি মফিজুল তার অসৎ কামনা চরিতার্থ করার জন্য ঘটনার দিন সকাল পৌনে ১০টায় ঘটনাস্থলের পাশের রাস্তায় ভিকটিমের আসার অপেক্ষায় ওৎ পেতে থাকে। ভিকটিম স্কুল থেকে বাসায় ফেরার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছালে গ্রেপ্তারকৃত আসামি ভিকটিমকে কৌশলে রাস্তার পাশের ধানখেতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ভিকটিম চিৎকার করার চেষ্টা করলে আসামি মফিজুল ভিকটিমের মুখ ও গলা চেপে ধরে। এতে ভিকটিম শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই শিশুটি মারা যায়। অতঃপর আসামি মফিজুল ভিকটিমের কোনো নড়াচড়া দেখতে না পেয়ে ভিকটিমের কানে থাকা দুল ছিঁড়ে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা ও অন্যান্য লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভিকটিমের মরদেহ দেখতে পায় এবং পুলিশকে খবর দেয়।  এই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।  উল্লেখ্য, সোমবার (২৯ এপ্রিল) কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার খিলপাড়া গ্রামে নয় বছরের শিশু তাজরিন সুলতানা ঝুমুকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
০১ মে ২০২৪, ১৬:৫৬

৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ মামলায় বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গায় ৬ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় সুন্নত আলী নামের এক ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা দর্শনা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত সুন্নত আলী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের মৃত পিরু মণ্ডলের ছেলে ও পেশায় মুদি দোকানদার। ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ভুক্তভোগী শিশুকে তার মা সুন্নত আলীর দোকান থেকে মোবাইলের রিচার্জ কার্ড (মিনিট কার্ড) কিনতে পাঠান। এ সময় বৃদ্ধ শিশুটিকে দোকানের মধ্যে নিয়ে তার যৌনাঙ্গে জোরপূর্বক আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেন। এতে শিশুটির যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে শিশুটি বাড়ি গিয়ে তার মাকে বিষয়টি জানালে তারা দ্রুত দর্শনা থানায় গিয়ে অভিযোগ দেন। পরে পুলিশের সহায়তায় শিশুটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতেই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে দর্শনা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দর্শনা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা। তিনি বলেন, শিশুটির পরিবার ধর্ষণ মামলা দায়ের করায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সরাসরি ধর্ষণ না হলেও যৌন চাহিদা পূরণ করতেই শিশুটির সঙ্গে এমন কাজ করেছেন তিনি। এ ছাড়া ধর্ষণ হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে আমরা চিকিৎসকের মতামত নেব। তদন্ত করে যেটা পাব সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফারহানা পলাশ বলেন, রাতেই ওই শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।
০১ মে ২০২৪, ১৭:৪৬

ধর্ষণ মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন সেই মুশতাক
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও ফাওজিয়া রাশেদীকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন আদালত।  খন্দকার মুশতাক প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য ও ফাওজিয়া রাশেদী কলেজটির অধ্যক্ষ। মামলার বাদী হলেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম। সোমবার (২৯ এপ্রিল) নির্ধারিত দিনে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় মুশতাক ও রাশেদীর স্থায়ী জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত। পাশাপাশি মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুন দিন ধার্য করা হয়। আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুকুর রহমান ভুইয়া সোহাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  এর আগে গত ১৪ মার্চ মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন একই আদালত। মামলার অভিযোগে বাদী মো. সাইফুল ইসলাম উল্লেখ করেন, তার মেয়ে মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং তার মেয়েকে  ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে আনতেন। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে খন্দকার মুশতাক মেয়েটিকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখাতেন। কিছুদিন পর আসামি ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেন। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় মেয়েটিকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেন মুশতাক।  এরকম আচরণের বিষয়ে পরে মেয়েটি কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করে। এ সময় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়ে অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী, মুশতাককে তার কক্ষে ডেকে আনেন। পরে মেয়েটিকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দেন এবং মুশতাক আহমেদকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন।  মামলার বিররণ অনুযায়ী, এ বিষয়ে মেয়েটির বাবা মো. সাইফুল ইসলাম অধ্যক্ষের কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা করেননি ফাওজিয়া রাশেদী, বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করে আসতে থাকেন। এ পরিস্থিতিতে সাইফুল ইসলাম উপায় না পেয়ে মেয়েকে নিয়ে গত ১২ জুন ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে চলে যান। কিন্তু মুশতাক আহমেদ তার লোকজন দিয়ে মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সেখান থেকে। এরপর সাইফুল ইসলাম জানতে পারেন যে তার মেয়েকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে খন্দকার মুশতাক আহমেদ অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছেন এবং যৌন নিপীড়ন করেছেন।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৪

ধর্ষণ মামলা : আ.লীগ থেকে বড় মনিরকে অব্যাহতি
টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে দলটি। তাকে চূড়ান্ত অব্যাহতির জন্য দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে সুপারিশ করেছেন শহর আওয়ামী লীগের নেতারা, এমন তথ্যও জানা গেছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ। তিনি বলেন, ঈদের আগে দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে গোলাম কিবরিয়াকে চূড়ান্ত অব্যাহতি প্রদানের জন্য সুপারিশ করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদকের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো পাওয়া যায়নি। জানা যায়, টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক এমএ রৌফ স্বাক্ষরিত এই পত্র পাঠানো হয়েছে। দলের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ প্রসঙ্গে গোলাম কিবরিয়া জানান, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তার ও তাদের পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ এবং রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য তার বিরুদ্ধে এ ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গোলাম কিবরিয়া বড় মনির টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের দলীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের ভাই। গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে গত বছর এপ্রিলে এক নারী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ধর্ষণের ফলে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হন। পরে ওই নারী একটি ছেলেসন্তান জন্ম দেন। আদালতের নির্দেশে ওই সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। এতে বলা হয় ওই সন্তানের জৈবিক পিতা গোলাম কিবরিয়া নন। এর কয়েক মাস পর ওই নারী আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে ওই নারীর বড় বোন তার ভাই জনি মির্জা ও সৌরভ পালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৩

স্কুলছাত্রীকে তিন দিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে তুলে নিয়ে তিনদিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটককৃতরা হলেন- উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পাঁচগাও গ্রামের মৃত লালু সরদারের ছেলে ইব্রাহিম সরদার দুদুল (২০), একই গ্রামের আলম মাঝির ছেলে তুষার মাঝি (২২), সুরেশ্বর গ্রামের আলম হাওলাদারের ছেলে মো. নাহিদ হাওলাদার (১৯) ও তাদের বন্ধু শাকিব হোসেন। জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। পরিবারের কেউ না থাকায় মায়ের সঙ্গে বোনের বাড়িতে থাকেন। ঈদের দিন সন্ধ্যায় নানা বাড়ি যাওয়ার পথে চন্ডিপুর ভিআইপি মোড় এলাকা থেকে তাকে একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায় দুদুল সরদার ও তুষার মাঝি নামের তুই তরুণ। তারা ওই শিক্ষার্থীকে সুরেশ্বর দরবার শরিফের পাশের একটি টিনের ঘরে নিয়ে দুদিন আটকে ধর্ষণ করে। শনিবার সকালে ওই দুই তরুণ আরও তিনজনকে ডেকে এনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে দুপুরে একটি অটোরিকশায় তুলে দেওয়া হয়। বাড়ি ফিরে বোনদের কাছে বিষয়টি খুলে বললে তারা পুলিশে অভিযোগ করেন। পুলিশ রাতে ভিকটিমকে চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। একই সঙ্গে অভিযান চালিয়ে দুল সরদার, তুষার মাঝি, শাকিব ও নাহিদকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বোন বাদী হয়ে মামলা করেন। ভুক্তভোগী বলেন, ঈদের দিন হেঁটে নানার বাড়িতে যাচ্ছিলাম। তখন দুদুল ও তুষার মাঝি আমাকে মুখ চেপে ধরে অটোরিকশায় সুরেশ্বর দরবার শরিফের কাছে একটি ঘরে নিয়ে আটকে রাখে। একপর্যায়ে তারা আমাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। শনিবার সকালে আরও তিনজন আমাকে ধর্ষণ করে। আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে একটি অটোরিকশায় আমাকে পাঠিয়ে দেয়। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা লিমিয়া সাদিয়া বলেন, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সবধরনের নমুনা ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ফলাফল আসলে ধর্ষণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।    
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৬

ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন হেফাজত নেতা মামুনুল হক
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।  জামিন শুনানির সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন মামুনুল হক। আদালতে তার পক্ষে জামিন আবেদন করে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রকিবউদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। পরে ওই রিসোর্ট ভাঙচুর করে মামুনুলকে ছিনিয়ে নেন তার অনুসারীরা। একই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।  এ ঘটনার ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী। একই বছরের ৩ নভেম্বর মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পুলিশ।   
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১০

২৫ দিন ধরে ধর্ষণ : চার আসামি ফের রিমান্ডে
রাজধানীতে একটি বাসায় শেকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলায় চার আসামিকে ফের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত আসামিদের প্রত্যেককে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামিরা হলেন সান, হিমেল, রকি ও সালমা ওরফে ঝুমুর। এর আগে, ৩ দিনের রিমান্ড শেষে এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। একইসঙ্গে আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। উল্লেখ্য, মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় শেকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় এক তরুণীকে। পরে ওই তরুণীর চিৎকারে এক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।  এরপর ভুক্তভোগী তরুণী ৩১ মার্চ রাতে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৩

শিকলে বেঁধে রেখে তরুণীকে ধর্ষণ : চার আসামি ফের রিমান্ডে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় শিকলে বেঁধে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ওই তরুণীর প্রেমিক সানসহ চার আসামির ফের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা— হিমেল, রকি ও সালমা ওরফে ঝুমুর। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক ফারুকুল ইসলাম তিন দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করেন এবং পুনরায় পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতে মোহাম্মদপুর থানার (নারী-শিশু) সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক উত্তম কুমার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত সোমবার (১ এপ্রিল) এ চার আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।  জানা যায়, মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় শিকলে বাঁধা অবস্থায় ২৫ দিন ধরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। নবীনগর হাউজিংয়ের ওই বাসায় তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণের অভিযোগে ৩১ মার্চ রাতে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। এর আগে তরুণীর চিৎকারে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে এক ব্যক্তি ফোন করলে পুলিশ তরুণীকে শিকলে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩২

তেঁতুলের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ শেষে হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লায় তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহিদা ইসলাম ইলমা নামে এক শিশুকে তেঁতুলের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ শেষে হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।   মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের বিচারক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোহাম্মদ আলী বাপ্পি কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গজারিয়া গ্রামের বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মুজিবুর রহমান। মামলার বিবরণের সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ দুপুরে তাহিদা ইসলাম ইলমা বাসার সামনে খেলছিল। এ সময় আসামি বাপ্পি তেঁতুলের লোভ দেখিয়ে ইলমাকে তার ঘরে নিয়ে প্রথমে ধর্ষণ করে। পরে মরদেহটি কাঁথা পেঁচিয়ে পাশের ডাকাতিয়া নদীতে ফেলে দেয়। পরদিন ইলমার মরদেহ খুঁজে পায় স্বজনরা। এ ঘটনায় ইলমার বাবা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  পুলিশ আসামি বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করে। পরে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত একজনকে খালাস এবং একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। 
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়