• ঢাকা রোববার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
ঘূর্ণিঝড়ের সময় রাসুল (সা.) যে দোয়া পড়তেন
ঘূর্ণিঝড়সহ সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মহান আল্লাহ তা’আলার শক্তি ও ক্ষমতার কথা, আমাদের ‍দুর্বলতা, হীনতা ও মুখাপেক্ষিতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আল্লাহ বলেন, ‘জলে-স্থলে বিপর্যয় মানুষের কৃতকর্মের ফল’ (সুরা রুমের : ৪১)। অর্থাৎ, আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী এরূপ পরীক্ষা ও বিপদ-আপদ আসে মানুষের গুনাহের কারণে। তাই যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতে হতাশ না হয়ে বরং নিজের গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে তাওবা করা ও বেশি বেশি তাকে স্মরণ করা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিপর্যয় ও প্রতিকূল অবস্থায় রাসুল (সা.) খুব বিচলিত হয়ে পড়তেন এবং আল্লাহর শাস্তির ভয় করতেন। এ সময় তিনি তওবা-ইস্তেগফার-নামাজে মশগুল হতেন ও তার সাহাবাদেরও বেশি বেশি তা করার নির্দেশ দিতেন। এসময় আমাদের এ আমলগুলোর প্রতি যত্নবান হতে হবে। বিশেষত অতীতের সব গোনাহ ও ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করে নিতে হবে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে রাসুল (সা.) কয়েকটি দোয়া শিখিয়েছেন। হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তীব্র বাতাস ও ঝড়ের সময় পড়তেন, আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ও খাইরা মা ফীহা ওয়া খাইরা মা উরসিলাত বিহি ওয়া আউজুবিকা শাররাহা ওয়া শাররা মা ফীহা ওয়া শাররা মা উরসিলাত বিহি। অর্থ: হে আল্লাহ্‌! আমি আপনার কাছে এর কল্যাণ চাই, এর মধ্যে যে কল্যাণ আছে সেটা চাই এবং যে কল্যাণ দিয়ে এটাকে পাঠানো হয়ে তা চাই এবং আমি আপনার কাছে এর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই, এর মধ্যে যে অনিষ্ট অন্তর্ভুক্ত আছে তা থেকে আশ্রয় চাই এবং যে অনিষ্টসহ এটাকে পাঠানো হয়েছে তা থেকে আশ্রয় চাই। (সহিহ মুসলিম) আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বজ্রধ্বনি ও মেঘের গর্জন শুনলে বলতেন, আল্লাহুম্মা লা তাকতুলনা বিগাদাবিকা ওয়ালা তুহলিকনা বিআযাবিকা, ওয়া আফিনা কাবলা যা-লিকা। অর্থ: ‘হে আল্লাহ আপনার গজব দিয়ে আমাদের মেরে ফেলবেন না, আপনার শাস্তি দিয়ে আমাদের নিশ্চিহ্ন করবেন না, তার আগেই আমাদের ক্ষমা করে দিন। (সুনানে তিরমিজি)
১৬ ঘণ্টা আগে

ইরানের রাস্তায় রাস্তায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, রাইসির জন্য দোয়া
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এ ঘটনায় ইরানজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়েই চলেছে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় থাকা ইরানিরা রাতভর তেহরানের রাস্তায় নেমে নিখোঁজদের জন্য দোয়া করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরানের কেন্দ্রস্থল ভ্যালি-আসর স্কয়ারে মানুষকে রাস্তায় হাঁটু গেড়ে বসে প্রার্থনা করতে দেখা গেছে। রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের খবর শোনার পর তার নিরাপদে ফিরে আসার জন্য দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদে ইমাম রেজা (আ.)-এর মাজারে প্রার্থনা করেন হাজারও মানুষ। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রোববার সন্ধ্যায় হাজারো মানুষ ইব্রাহিম রাইসির সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা করতে ইমাম রেজা (আ.)- এর মাজারে জড়ো হন। এদিন ছিল শিয়াদের অষ্টম ইমাম রেজা (আ.)-এর জন্মবার্ষিকী। রোববার (১৯ মে) একটি বাঁধ উদ্বোধন করে ইরানি প্রদেশ পূর্ব আজারবাইজানের তারবিজে যাচ্ছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এই সময় তার সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন। তারবিজে ফেরার পথেই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সে হিসেবে এখন পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে সহমর্মিতা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা। এ ছাড়া ঘটনার অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য সৌদি আরব, তুরস্ক, আর্মেনিয়া, রাশিয়া, ইউরোপীয় কমিশনসহ উপসাগরীয় বিভিন্ন দেশ প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
২০ মে ২০২৪, ১০:২৮

অস্ত্রোপচারের আগে দোয়া চাইলেন রাখি
গত কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ বলিউডের ড্রামা কুইন খ্যাত অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত। ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। যদিও প্রথমে সবাই ভেবেছিল, হয়তো বরাবরের মতো এটাও কোনো নাটকীয়তার অংশ। প্রচারে আসার কৌশল হাতে নিয়েছেন রাখি। তবে জানা যায়, সত্যিই অসুস্থ রাখি। কদিন আগেই বুকে এবং পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। একাধিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, অভিনেত্রীর জরায়ুতে টিউমার। শিগগিরই অস্ত্রোপচার করাতে হবে রাখির। আর তাই অস্ত্রোপচারের আগে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি। তবে রাখির জরায়ুতে সত্যিই টিউমার আছে কি না, হাসপাতাল সূত্রে তেমন কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, ‘রাখির স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোনো তথ্য পেতে হলে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’  এদিকে শনিবার (১৮ মে) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আনেন রাখি। হুইলচেয়ারে বসে থাকা অবস্থায় অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার জন্য দোয়া করুন। আমার কান্না পাচ্ছে, ভয় লাগছে। তবে ঈশ্বরে বিশ্বাস রয়েছে। আমি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠব। আমার শরীরটা এখন একটু খারাপ।’ ওই ভিডিওতে তিনি আরও বলেন, ‘১০ সেন্টিমিটারের একটা টিউমার ধরা পড়েছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করুন। হাসতে হাসতে অপারেশন থিয়েটারে যাচ্ছি, হাসতে হাসতেই বের হবো। জীবনে অনেক কঠিন লড়াই লড়েছি। এটাও পার হবো। আমি এর থেকে বেশি কথা বলতে পারছি না। রিতেশ আমার ব্যাপারে আপনাদের সব জানাবে।’  প্রথমে শোনা যাচ্ছিল, হৃদ্‌যন্ত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে রাখির। কিন্তু পরে জানা যায়, জরায়ুতে টিউমার ধরা পড়েছে তার। অভিনেত্রীর প্রাক্তন স্বামী রিতেশ সিং নিশ্চিত করেন বিষয়টি। প্রায় ১০ সেন্টিমিটার সাইজের একটি বিরাট টিউমার রাখির জরায়ুতে বাসা বেঁধেছে বলে জানা গেছে। সূত্র: আনন্দবাজার
১৯ মে ২০২৪, ১০:২৩

রাসুল (সা.) সুস্থ থাকতে যে দোয়া পড়তেন
মহান আল্লাহর অনেক বড় নিয়ামত সুস্থতা। অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই নিয়ামতের কদর অনুধাবন করা যায় না। রোগ থেকে পরিত্রাণের জন্য মানুষ সারা জীবনের অর্জিত সব সম্পত্তি দিয়ে দিতে রাজি হয়ে যায়। শরীর অসুস্থ থাকলে মনও অসুস্থ হয়ে যায়। এছাড়া ইবাদতের জন্য দেহ ও মনের সুস্থতা জরুরি।  নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুস্থ থাকতে বিভিন্ন নিয়ম ও দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন। সুস্থ থাকতে আমাদেরকে সেসব দোয়া এবং নিয়ম মেনে চলা অতীব জরুরি। রাসুল (সা.) বলেন, ‘দুইটি নিয়ামত এমন আছে, যে দুইটিতে (অবহেলার কারণে) অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর তা হলো, সুস্থতা আর অবসর সময়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৪১২)   স্বাচ্ছন্দ্যে ও সুস্থ থাকতে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়মিত একটি দোয়া পড়তেন। আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি আমার পিতাকে বললাম, বাবা! আমি আপনাকে প্রতিদিন ভোরে ও সন্ধ্যায় তিনবার বলতে শুনি, যে আপনি এই দোয়া পাঠ করছেন।  তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ বাক্যগুলোর মাধ্যমে দোয়া করতে শুনেছি। সে জন্য আমিও তার নিয়ম অনুসরণ করতে ভালোবাসি। (আবু দাউদ, হাদিস: ৫০৯০)   উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আফিনি ফি সাময়ি; আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাসারি। লা ইলাহা ইল্লা আনতা, আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল কুফরি ওয়াল ফাকরি। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল ক্বাবারি, লা ইলাহা ইল্লা আনতা। অর্থ: হে আল্লাহ, আমার দেহ সুস্থ রাখুন। হে আল্লাহ, আমাকে সুস্থ রাখুন আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে। হে আল্লাহ, আমাকে সুস্থ রাখুন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই।
১৬ মে ২০২৪, ১৭:৫৮

রাসুল (সা.) দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির জন্য যে দোয়া পড়তেন
অতীতের কোনো ঘটনা নিয়ে হয়তো আপনার মাঝে আক্ষেপ কাজ করছে। তাই মনে হতে পারে যদি এমনটা না করে এমনটা করতাম কিংবা পূর্বের কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আজও হিসেব কষে যাওয়াকেই এক কথায় অতিচিন্তা কিংবা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। মানুষের জীবনে নিত্যসঙ্গী এটি। সব সময় এসব থেকে মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া মুমিনের কর্তব্য। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এসব পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য বিভিন্ন দোয়া করতেন।  এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, এমন একটি দোয়া সম্পর্কে আমি অবগত আছি, কোনো বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি তা পাঠ করলে, আল্লাহ তা'আলা তার সেই বিপদ দূর করে দেন। সেটি হচ্ছে আমার ভাই ইউনুস (আ.)-এর দোয়া। দোয়াটি হলো- لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ، إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জলিমিন। অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই; আমি আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নিঃসন্দেহে আমি নিজের প্রতি অবিচার করেছি।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৩৫০৫) আল কোরআনের আল আম্বিয়ায়ও (আয়াত: ৮৭) এই আয়াতের উল্লেখ আছে। মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহ.)... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পেরেশানির সময় নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়তেন- اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الهَمِّ وَالحَزَنِ، وَالعَجزِ وَالكَسَلِ، وَالبُخلِ وَالجُبنِ، وَضَلَعِ الدَّينِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি, ওয়া আউজু বিকা মিনাল আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আউজু বিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউজু বিকা মিন গালাবাতিদ দাইনি ওয়া কাহরির রিজাল।   অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি দুশ্চিন্তা, দুঃখ, অপারগতা, অলসতা, কৃপণতা, ভীরুতা, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে আপনার আশ্রয় নিচ্ছি। (বুখারি, হাদিস: ২৮৯৩)
০৯ মে ২০২৪, ১৮:৫০

রাসুল (সা.) বজ্রপাতের সময় যে দোয়া পড়তেন
সুস্পষ্টভাবে পবিত্র কোরআনে বজ্রপাতের মৌলিক কারণ বর্ণনা করা হয়েছে। মানুষের কৃতকর্মই বজ্রপাতের মৌলিক কারণ। অত্যাচার, নির্যাতন, সুদ, ঘুস, জিনা, ব্যভিচার দুর্নীতি, অশ্লীলতা হেন অপরাধ নেই যা আজ সমাজময় ছড়িয়ে পড়ছে না। পাপের সমুদ্রে আকণ্ঠ ডুবে আছি আমরা। আমাদের কৃতকর্মের কারণেই আজ সর্বত্র বিপর্যয়। বজ্র হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার একটি শক্তিশালী নিদর্শন। এর মাধ্যমে তিনি পৃথিবীবাসীকে ধমক দেন। সতর্ক করেন। আল্লাহ তাআলা ‘রাদ’ নামে পবিত্র কোরআন মাজিদে একটি স্বতন্ত্র সুরা নাযিল করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, বজ্র তাঁরই (আল্লাহর) তাসবিহ ও হামদ জ্ঞাপন করে এবং তাঁর ভয়ে ফেরেশতারাও (তাসবিহরত আছেন)। তিনিই গর্জমান বিজলি পাঠান তারপর যার ওপর ইচ্ছা তাকে বিপদরূপে পতিত করেন। আর তাদের (কাফেরদের) অবস্থা এই যে, তারা আল্লাহ সম্বন্ধেই তর্কবিতর্ক করছে, অথচ তাঁর শক্তি অতি প্রচণ্ড;। (সূরা রাদ : ১৩)। ইরশাদ হয়েছে, মানুষ নিজ হাতে যা কামায়, তার ফলে স্থলে ও জলে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে, আল্লাহ তাদেরকে তাদের কতক কৃতকর্মের স্বাদ গ্রহণ করাবেন সে জন্য : হয়তো (এর ফলে) তারা ফিরে আসবে। (সূরা রুম, আয়াত : ৪১) মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর উম্মতকে বজ্রপাত থেকে বেঁচে থাকতে শিখিয়েছেন দোয়া। যারা এ দোয়া পড়বেন, আল্লাহ তাআলা তাদের বজ্রপাতের ক্ষতি থেকে হেফাজত করবেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর বাবা থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) যখন বজ্রের শব্দ শুনতেন বা বিদ্যুতের চমক দেখতেন; তখন সঙ্গে সঙ্গে বলতেন- আল্লাহুম্মা লা তাক্বতুলনা বিগাদাবিকা ওয়া লা তুহলিকনা বিআজাবিকা, ওয়া আ’ফিনা ক্ববলা জালিকা।’ (তিরমিজি) অর্থ: হে আমাদের প্রভু! তোমার ক্রোধের বশবর্তী হয়ে আমাদের মেরে ফেলো না। আর তোমার আজাব দিয়ে আমাদের ধ্বংস করো না। এর আগেই আমাদের ক্ষমা ও নিরাপত্তার চাদরে আবৃত করো। ‘মুসান্নাফে আবি শায়বা’য় বজ্রের আক্রমণে মৃত্যু থেকে বাঁচতে ছোট্ট একটি তাসবিহ পড়ার কথা বলা হয়েছে। যে ব্যক্তি এ তাসবিহ পড়বেন; তিনি বজ্রপাতের আঘাত থেকে মুক্ত থাকবেন।  তাসবিহটি হলো: সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি।  
০৭ মে ২০২৪, ২৩:৪৭

রাসুল (সা.) বৃষ্টির সময় যে দোয়া পড়তেন
তীব্র তাপদাহের পরে বৈশাখের শেষের দিকে রাজধানীসহ দেশের অনেক জায়গায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। বৃষ্টি আল্লাহর রহমতের নিদর্শন। বিশেষত দীর্ঘ দিন অনাবৃষ্টি ও তাপপ্রবাহের পর বৃষ্টি আল্লাহর অনেক বড় নেয়ামত।  আল্লাহ বলেন, মানুষ নিরাশ হয়ে যাওয়ার পর তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তার রহমত ছড়িয়ে দেন, তিনি-ই সকল গুণে প্রশংসিত প্রকৃত অভিভাবক। (সুরা শূরা: ২৮) বৃষ্টি দেখে দোয়া পড়া সুন্নত। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বৃষ্টি হতে দেখলে বলতেন, আল্লাহুম্মা সাইয়্যেবান নাফিআন। অর্থ : হে আল্লাহ, আপনি এ বৃষ্টিকে প্রবহমান এবং উপকারী বানিয়ে দিন (সহিহ বুখারি: ১০৩২) বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়। তাই এ সময় অন্যান্য দোয়াও করা উচিত। হজরত সাহল বিন সাদ (রা.) বলেন, ‘দুই সময়ের দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না কিংবা (তিনি বলেছেন), খুব কমই ফেরত দেওয়া হয়- আজানের সময় এবং রণাঙ্গণে শত্রুর মুখোমুখি হওয়ার সময়ের দোয়া। অন্য বর্ণনা অনুযায়ী বৃষ্টির সময়ের দোয়া। (সুনানে আবু দাউদ: ২৫৪০)
০৬ মে ২০২৪, ০৩:২০

তীব্র গরম থেকে বাঁচার দোয়া
রাজধানীসহ সারাদেশেই চলছে তীব্র তাপদাহ। তাপদাহের কারণে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর অতিরিক্ত গরমের ফলে ডায়রিয়া, ঠান্ডা-কাশিসহ অনেক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নানা বয়সি মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে বাঁচার জন্য রাসুল (সা.) আমাদের বিভিন্ন দোয়া শিখিয়েছেন। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন গরম বেশি পড়বে, তখন বেশি নামাজ আদায় কর। কারণ অতিরিক্ত গরম হলো জাহান্নামের নিশ্বাস। (মিশকাত : ৫৯১) হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, জাহান্নাম তার রবের কাছে অভিযোগ করে বলে হে রব, আমার এক অংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলেছে। মহান আল্লাহ তখন তাকে দুটি নিশ্বাস ফেলার অনুমতি দেন। একটি নিশ্বাস শীতকালে, আরেকটি গ্রীষ্মকালে। কাজেই তোমরা গরমের তীব্রতা এবং শীতের তীব্রতা পেয়ে থাকো (বোখারি, হাদিস : ৩২৬০)। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে- আবু জার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এক সফরে আমরা আল্লাহর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে ছিলাম। এক সময় মুয়াজ্জিন জোহরের আজান দিতে চেয়েছিল। তখন নবিজি (সা.) বলেন, গরম কমতে দাও। কিছুক্ষণ পর আবার মুয়াজ্জিন আজান দিতে চাইলে নবিজি পুনরায় বলেন, গরম কমতে দাও। এভাবে তিনি (নামাজ আদায়ে) এত বিলম্ব করলেন যে, আমরা টিলাগুলোর ছায়া দেখতে পেলাম। এরপর নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, গরমের প্রচণ্ডতা হয় জাহান্নামের উত্তাপ হতে। কাজেই গরম প্রচণ্ড হলে উত্তাপ কমার পর নামাজ আদায় কর। (বোখারি ৫৩৯)। তীব্র গরম থেকে বাঁচার দোয়া: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ وَجَمِيعِ سَخَطِكَ উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন যাওয়ালি নি'মাতিকা ওয়া তাহাওউলি আফিয়াতিকা ওয়া ফুজাআতি নিক্বমাতিকা ওয়া জামি'য়ি সাখাত্বিকা অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই আপনার নিয়ামতের বিলুপ্তি, আপনার অনুকম্পার পরিবর্তন, আকস্মিক শাস্তি এবং আপনার সমস্ত ক্রোধ থেকে। اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيثًا مَرِيئًا نَافِعًا غَيْرَ ضَارٍّ عَاجِلاً غَيْرَ آجِلٍ ‏ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাস কিনা গাইসান মুগিসান মুরিয়্যান নাফিয়ান গাইরা দাররিন আজিলান গাইরা আজিলিন। অর্থ : হে আল্লাহ, আমাদেরকে বিলম্বে নয় বরং তাড়াতাড়ি ক্ষতিমুক্ত-কল্যাণময়, তৃপ্তিদায়ক, সজীবতা দানকারী, মুষল ধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করুন।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৫

তীব্র গরমে মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তেন
তাপদাহে পুড়ছে দেশ। দিনদিন তাপমাত্রার পারদ ওপরের দিকে উঠছে। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। চলমান এই অবস্থা আরও তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর, ‘হিট অ্যালার্ট’ বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার সময় আরও তিন দিন বাড়িয়েছে। হাদিসের বর্ণিত আছে যে, প্রখ্যাত সাহাবি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় ও প্রচণ্ড গরম পড়ায় একদিন নবী (সা.) এর কাছে কিছু লোক এলো। (গরমের তীব্রতায়) তারা কাঁদছিল। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন তাদের জন্য এভাবে দোয়া করলেন- اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيثًا مَرِيئًا نَافِعًا غَيْرَ ضَارٍّ عَاجِلاً غَيْرَ آجِلٍ ‏ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাস কিনা গাইসান মুগিসান মুরিয়্যান নাফিয়ান গাইরা দাররিন আজিলান গাইরা আজিলিন। অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদেরকে বিলম্বে নয় বরং তাড়াতাড়ি ক্ষতিমুক্ত-কল্যাণময়, তৃপ্তিদায়ক, সজীবতা দানকারী, মুষল ধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করো। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তাদের ওপর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যায় (এবং বৃষ্টি হয়)। (আবু দাউদ ১১৬৯, ইবনু খুযাইমাহ ১৪১৬) হাদিসে গরমকে আল্লাহর ক্রোধ বলা হয়েছে। আর আল্লাহর ক্রোধ থেকে বাঁচার জন্য নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেমন দান সদকা করতে বলেছেন, তেমনি দোয়াও শিখিয়ে গেছেন। দোয়াটি হলো- اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ، وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ، وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ، وَجَمِيعِ سَخَطِكَ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আউজুবিকা মিন যাওয়ালি নি-মাতিকা ওয়া তাহাউলি আফিয়াতিকা ওয়া ফুজাআতি নিকমাতিকা ওয়া জামিয়ি সাখাতিকা। অর্থ: হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি আপনার নিকট আপনার অনুগ্রহের অপসরণ, নিরাপত্তার প্রত্যাবর্তন, আকস্মিক পাকড়াও এবং যাবতীয় অসন্তোষ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ (মুসলিম ২৭৩৯, আবু দাউদ ১৫৪৫) তাই আসুন দুর্বিষহ এ সময়ে শান্তির বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করি। সম্ভব হলে ‘সালাতুল ইসতিসকা’ বা বৃষ্টির নামাজ পড়ি। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৯

বিপদ-আপদ থেকে বাঁচার দোয়া
প্রত্যেকটি মানুষের জীবনেই বিপদ-আপদ আসে। অনেক সময় পাপের পরিণাম হিসেবেও নেমে আসে বিপদ। তবে মাঝেমধ্যে আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা হিসেবেও আসতে পারে বিভিন্ন ধরনের বিপদ-আপদ এবং বালামসিবত। এ জন্য আল্লাহর রসুল (সা.) সব ধরনের বিপদ-মুসিবত থেকে মুক্তির জন্য দোয়া শিখিয়েছেন।  হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তি (আল্লাহর কাছে) কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন। অথবা তদানুযায়ী তার থেকে কোনো অমঙ্গল প্রতিহত করেন। যতক্ষণ না সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয় বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দোয়া করে। (তিরমিজি)   হযরত সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, দোয়া ছাড়া আর কিছুই তাকদির পরিবর্তন করতে পারে না আর নেক আমল ছাড়া আর কিছুই বয়সে বৃদ্ধি ঘটায় না। (সহিহ ১৫৪, তিরমিজি ২১৩৯) হযরত উসমান ইবনে আফফান (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা তিনবার করে এই দোয়াটি পাঠ করবে, তাকে আসমান-জমিনের কোনো জিনিস ক্ষতি করতে পারবে না।   উচ্চারণ : বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মায়াস‌মিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়ালা ফিসসামা-ই ওহুয়াস সামিউল আলিম   অর্থাৎ, আমি আল্লাহ‌র নামে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যার নামের সঙ্গে আসমান ও জমিনে কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না, আর তিনি সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪১০)
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়