• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তীরে এসে তরী ডুবলো পাকিস্তানের, সিরিজে এক হাত নিউজিল্যান্ডের
ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচের টি-টোয়েন্টি  সিরিজে প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও, পরের তিন ম্যাচের দুটিতে হেরেছে পাকিস্তান। এতে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে কিউরা। চতুর্থ ম্যাচে বাবরদের চার রানে হারিয়েছে সফরকারীরা। তাই সিরিজ রক্ষা করতে হলে শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে জিততেই হবে। বৃহস্পতিবার ( ২৫ এপ্রিল) টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানকে ১৭৯ রানের লক্ষ্য দেয় নিউজিল্যান্ড। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান তুলতে পারে স্বাগতিকরা। এতে চার রানের জয় পায় সফরকারীরা। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অধিনায়ক বাবর আজমকে হারায় পাকিস্তান। ৪ বলে ৫ রান করেন এই ডান হাতি ব্যাটার। আরেক ওপেনার সাইম আইয়ুব ১৫ বলে ২০ রান করে আউট হলে হাল ধরেন ফখর জামান। ইফতিখার আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে যোগ করেন ৪১ বলে ৫৯ রান।  উইকেটে থিতু হওয়া ইফতিখার ও ফখর পরপর ওভারে আউট হলে পাকিস্তানের জয়ের পথ কঠিন হয়ে যায়। দুজনও বলও খেলে যান বেশ কিছু। চারে নামা ফখর ৬১ রান করতে খেলেন ৪৫ বল, ইফতিখার ২৩ রান করেন ২০ বলে।  শেষ তিন ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৩৯ রান, যা শেষ বলে নেমে আসে ৬ রানে। ইমাদ ১১ বলের ইনিংসে চারটি চার মারলেও শেষ বলে ছয়ের প্রয়োজন মেটাতে পারেননি। এতে চার রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।  এর আগে নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে ১৭৮ রানের সংগ্রহ গড়ে টিম রবিনসনের ৫১ ও ডিন ফক্সক্রফটের ৩৪ রানের সৌজন্যে। পাকিস্তানের হয়ে আব্বাস আফ্রিদি নেন ২০ রানে ৩ উইকেট।  
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩০

জার্সি পরিবর্তনের দিনে তীরে এসে তরী ডুবলো বেঙ্গালুরুর, টানা সপ্তম হার
ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে কলকাতার বিপক্ষে জার্সি বদলে ফেলার ঘোষণা দিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তবুও শেষ রক্ষা হয়নি কোহলিদের। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে তীরে এসে তরী ডুবেছে বেঙ্গালুরুর। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ১ রানে হারের তিতো স্বাদ পেয়েছে তারা। এতে টানা সপ্তম হারের দেখা পেলো দলটি। রোববার (২১ এপ্রিল) ঘরের মাঠে ব্যাট করতে নেমে বেঙ্গালুরুকে ২২৩ রানের লক্ষ্য দেয় কলকাতা। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান তুলতে পারে বেঙ্গালুরু। এতে ১ রানের জয় পায় কলকাতা। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে বেঙ্গালুরুর দুই ওপেনার বিরাট কোহলি এবং ফাফ ডু প্লেসিস। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি দুজনের কেউই। ৭ বলে ১৮ রান করে কোহলি আউট হলে ৭ বলে ৭ রান করে তাকে সঙ্গ দেন ডু প্লেসিস। এরপর বেঙ্গালুরু শিবিরে হাল ধরেন উইল জ্যাক এবং রজত পাতিদার। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ১০২ রান। ৩২ বলে ৫৫ রান করে জ্যাক এবং ২৩ বলে ৫২ রান করে পাতিদার আউট হলে বিপাকে পড়ে বেঙ্গালুরু। ব্যাট হাতে ভরসা দিতে পারেননি গ্রিন (৬) এবং মাহিপাল লোমরোরও (৪)। সুয়াশকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন দিনেশ কার্তিক। দুজনের ব্যাটে ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে কোহলিরা। কিন্তু ১৮ বলে ২৪ রান করে সুয়াশ আউট লড়াই করতে থাকেন কার্তিক। শেষ ১২ বলে বেঙ্গালুরু লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩১ রান। কিন্তু ১৯তম ওভারের শেষ বলে কার্তিক আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বেঙ্গালুরু। ১৮ বলে ২৫ রান করেন তিনি।  ৬ বলে বেঙ্গালুরুর লক্ষ্য দাঁড়ায় ২১ রান। তবে ২৪ কোটি রুপির স্টার্কের চার বলে তিন ছক্কার হাঁকিয়ে চমক দেখান কারান শর্মা। তবে পঞ্চম বলে কারানকে দুর্দান্ত ক্যাচে আউট করেন স্টার্ক। পরের বলে জয়ের জন্য তিন দরকার থাকলেও ডাবল নিতে গিয়ে লকি ফার্গুসন রান আউট হলে ১ রানের জয় পায় কলকাতা। এতে টানা সপ্তম হারের স্বাদ পায় বেঙ্গালুরু। কলকাতা নাইট রাইডার্সের সর্বোচ্চ দিন উইকেট শিকার করেন আন্দ্রে রাসেল। হার্সিত রানা এবং সুনিল নারিন নেন দুটি করে উইকেট।  এছাড়াও ভারুণ চক্রবর্তী ও মিচেল স্টার্ক একটি করে উইকেট নেন। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে কলকাতার দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও সুনিল নারিন। তবে দুই রানের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন সল্ট। ১৪ বলে ৪৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। ১৫ বলে ১০ রান করে তাকে সঙ্গ দেন নারিনও। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি রাঘুভানশি। ৪ বলে ৩ রান করে এই ডান হাতি ব্যাটার আউট হলে ভেঙ্কাতিশ আইয়ারকে (১৬) সাজঘরে ফেরান ক্যামরুন গ্রিন। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। ১৬ বলে ২৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন রিঙ্কু সিং। তবে ৩৫ বলে ফিফটি তুলে নেন আইয়ার। পরের বলেই গ্রিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন আইয়ার। শেষ দিকে জুটি গড়েন আন্দ্রে রাসেল এবং রামানদ্বীপ সিং। রাসেলের ২০ বলে ২৭ রান এবং রামানদ্বীপের ৯ বলের অপরাজিত ২৪ রানে ভর করে ছয় উইকেট হারিয়ে ২২২ রানের বড় পুঁজি পায় কলকাতা।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২৮

তীরে এসে তরী ডুবলো মুম্বাইয়ের, গিলের অভিষেক জয়
আইপিএলের ১৭তম আসরে চতুর্থ ম্যাচে গতবারের রানার্স আপ গুজরাট টাইটান্সের মুখোমুখি হয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এই ম্যাচে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের ছয় রানে হারিয়েছে গুজরাট টাইটান্স। এতে গিলের অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ম্যাচে জয় দিয়ে আসর শুরু করলো গুজরাট। রোববার (২৪ মার্চ) ঘরের মাঠ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ১৬৯ রানের লক্ষ্য দেয় গুজরাট টাইটান্স। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান তুলতে পারে মুম্বাই। এতে ৬ রানের জয় পায় গুজরাট টাইটান্স। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন গুজরাট টাইটান্সের দুই ওপেনার ‍ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি দুজনের কেউই। ১৫ বলে ১৯ রান করে সাহা আউট হলে, ২২ বলে ৩১ রান তাকে অনুসরণ করে সাজঘরে ফেরেন গিল। তৃতীয় উইকেটে ব্যাটিংয়ে নেমে রান তুলতে থাকেন সাই সুদর্শন। কিন্তু অপর প্রান্তে ১১ বলে ১৭ রান করে আজমতুল্লাহ ওমারজাই ও ডেভিড মিলার ১১ বলে ১২ রান করে আউট হন। এরপর সুদর্শনকে সঙ্গ দেন রাহুল তেওয়াতিয়া। ৩৯ বলে ৪৫ রান করে সুর্দশন  এবং ১৫ বলে ২২ করে তেওয়াতিয়া আউট হলে ছন্দ হারায় গুজরাট। শেষ পর্যন্ত বিজয় শাঙ্কার ৫ বলে ৬ রান এবং রশিদ খানের ৩ বলে ৪ রানের ইনিংসে ভর করে ছয় উইকেটে ১৬৮ রানের লড়াকু পুঁজি পায় গুজরাট টাইটান্স। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন জাসপ্রিত বুমরাহ। এ ছাড়াও জেরাল্ড কোয়েটজি দুটি এবং পিয়ুশ চাওলা নেন এক উইকেট। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় মুম্বাই। ইনিংসের চতুর্থ বলে শূন্য হাতে সাজঘরে ফেরেন ঈশান কিষান। তৃতীয় উইকেটে ব্যাটিংয়ে এসে দ্রুত রান তুলতে থাকেন নামান ধীর। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১০ বলে ২০ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই ডান হাতি ব্যাটার। কিন্তু পিচের এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন মুম্বাইয়ের সাবেক অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তাকে সঙ্গ দেন ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে খেলতে নামা ডেয়াল্ড ব্রেভিস। দুজনের ব্যাটে ভর করে জয়ে পথে এগোতে থাকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তবে ফিফটি আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন দুই ব্যাটারই। ২৯ বলে ৪৩ রানে রোহিত এবং ৩৮ বলে ৪৬ রান করে আউট হন ব্রেভিস। ১৮তম ওভারের শেষ বলে ১০ বলে ১১ রান করে টিম ডেভিড আউট হলে, ১২ বলে মুম্বাইয়ের লক্ষ্য দাঁড়াই ২৭ রান। ১৯তম ওভারে প্রথম বলে ছক্কা হাঁকালেও পরের বলে ক্যাচ আউট হন তিলক। ১৯ বলে ২৫ রান করেন তিনি। একই ওভারের শেষ বলে কোয়েটজি ১ রানে আউট হলে, ছয় বলে ১৯ রান দরকার ছিল মুম্বাইয়ের। ২০তম ওভারে প্রথম বলে ছক্কা মেরে দলকে জয়ের আশা দেখায় হার্দিক পান্ডিয়া। তবে তৃতীয় বলে এই ডান হাতি ব্যাটার ক্যাচ আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় মুম্বাই। নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান তুলতে পারে মুম্বাই। এতে ৬ রানের জয় পায় গুজরাট টাইটান্স। গুজরাট টাইটান্সের হয়ে আজমতুল্লাহ ওমারজাই, জনসন, উমেশ যাদব এবং মোহিত শর্মা দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও এক উইকেট নেন সাই কিশোর।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়