• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চিরকুট লিখে মুয়াজ্জিনের আত্মহত্যা
চিরকুট লিখে সিলেটের শাহপরাণ এলাকার লাল খাঁটঙ্গী মাদানী মসজিদের মুয়াজ্জিন দেলওয়ার হোসাইন দিলাল (১৯) আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ফজরের নামাজের সময় মসজিদের মুয়াজ্জিনের কক্ষ থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মো. দেলওয়ার হোসাইন সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রামনগর গ্রামের মো. মুসলিম আলীর ছেলে। জানা গেছে, মঙ্গলবার ফজরের নামাজের সময় মসজিদে আজান না হওয়ায় মুসল্লিরা গিয়ে মুয়াজ্জিনের থাকার কক্ষে ডাকাডাকি করে। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে দরজা ভেঙে মুয়াজ্জিন দিলালের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার মরদেহের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। তাতে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’। শাহপরাণ থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, চিরকুট লিখে মসজিদের মুয়াজ্জিন আত্মহত্যা করেছেন। তবে ককি কারণে মুয়াজ্জিন আত্মহত্যা করেছেন তা আমরা ক্ষতিয়ে দেখছি। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  
০১ মে ২০২৪, ০৩:৫৪

নকল করতে গিয়ে ধরা, চিরকুট লিখে আত্মহত্যা
যশোরের মনিরামপুরে চিরকুট লিখে দ্বাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।  শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে বাগডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সাবিহা সকালে কলেজে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় অংশ নেয়। শিক্ষার্থী সাবিহা খাতুন উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের আবদুল জলিলের মেয়ে। সে গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। চিরকুটে লেখা ছিল, ‘আমার কিছু মনে থাকে না বলে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার আগে অল্প একটু কাগজে তথ্য লিখে নিয়ে যাই পড়তে পড়তে। পরীক্ষা শুরু হয়ে যাওয়ায় তা ফেলে দিতে মনে ছিল না। তারপর পরীক্ষার মধ্যে কলেজের সমাজবিজ্ঞান শিক্ষক তা দেখে ফেলে। আমি তার কাছে ভুল স্বীকার করলাম। অনেকবার বললাম খাতাটা দেন। তিনি আমার খাতা নিয়ে দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রাখল, তবুও খাতাটা দিল না। তাসলিমা ম্যাডাম এবং ইসমাইল স্যার আমাকে তাড়িয়ে দিল। এত করে বললাম ওটা আমার ফেলে দিতে মনে নেই তাও তারা আমাকে পরীক্ষার সুযোগ দিল না। তাই আমি অবশেষে লজ্জায় মুখ দেখাতে না পেরে দুনিয়া থেকে বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাক সবাই। আমার ভুলত্রুটি থাকলে সবাই মাফ করে দিও। আমার কাছে ফারহানা ২৫ টাকা পাবে এবং সুবর্ণা ৫ টাকা পাবে, এটা তোমরা দিয়ে দিও।’ এ ব্যাপারে গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম বলেন, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাবিহা খাতুনের আত্মহত্যার বিষয়টি দুঃখজনক। পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষার্থী সাবিহার কাছে নকল পাওয়া যায়। যে কারণে কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদ্বয় তার কাছ থেকে খাতা নিয়ে নেন। এ ব্যাপারে শিক্ষক ও কমিটিকে নিয়ে জরুরি সভা করা হয়েছে। মনিরামপুর থানার ওসি এ বি এম মেহেদী মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়