• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘সিনেমার পাশাপাশি নাটকেও ভালো গান হচ্ছে’
টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ। যিনি ব্যতিক্রমধর্মী গল্প আর নির্মাণের মুন্সিয়ানায় তৈরি করেছেন আলাদা এক পরিচিতি। সম্প্রতি এই নির্মাতা কাজসহ নানা বিষয় নিয়ে মুখোমুখি হয়েছিলেন আরটিভির। আরটিভি: নির্মাণে বাজেট একটা বড় ব্যাপার। প্রায়ই শোনা যায়, আগের তুলনায় বাজেট কমে গেছে। কথাটা কতটুকু সত্য? বান্নাহ: কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাজেট কমে গেছে। আর যখনই বাজেট কমে যায়, নির্মাণে তার প্রভাব পড়ে। তখন মেকিংয়ের ফ্রিডমটা আসলে থাকে না। ভালো কিছু করার ইচ্ছে থাকলেও সেই অর্থে আসলে হয়ে ওঠে না। আরটিভি: নাটকে গান যুক্ত হচ্ছে, সেগুলো দর্শকপ্রিয়তাও পাচ্ছে। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন? বান্নাহ: নাটকে গান থাকাটা দারুণ বিষয়। কারণ, কালচারালি আমাদের উপমহাদেশের মানুষ গান পছন্দ করে। তাই আমাদের নাটকে এর ব্যবহার আরও বাড়ানো উচিত। আরও কোয়ালিটি সম্পন্ন গান আসা উচিত। যেটা অলরেডি হচ্ছে এবং এটা খুব ভালো বিষয়। সিনেমাতে তো হচ্ছিল, এখন নাটকেও হচ্ছে। যার ফলে গানের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট, তাদেরও কাজ করার জায়গা বেড়ে যাচ্ছে। এটা খুব পজিটিভ বিষয়।    আরটিভি: বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে একটু জানতে চাই... বান্নাহ: নিয়মিত কাজ করলেও এখন ইচ্ছে করেই সংখ্যাটা কমিয়ে দিয়েছি। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘ভেজা চোখের গল্প’ ও ‘মন জড়াবো তোরই ঘরে’ নামের দুটি নাটক। দুটোতেই দর্শকদের প্রচণ্ড ভালোবাসা পেয়েছি এবং পাচ্ছি।  আরটিভি: এখনকার অনেক তরুণ নির্মাতা ভালো কাজ করছেন। তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কী? বান্নাহ: তরুণ নির্মাতারা ভালো কাজ করছেন। তাদের জন্য বিশেষ করে বলার কিছু নেই। তবে একটাই অনুরোধ, গল্পটা ভালো বইলেন। এই জায়গাটা স্ট্রং রাইখেন। যেটা অলরেডি আপনারা করছেন। সেজন্য আপনাদের অভিনন্দন। আরটিভি: অন্যদের কাজ দেখা হয়? বান্নাহ: হ্যাঁ, দেখা হয়। সময় পেলেই অন্যদের কাজ দেখতে বসে যাই। আরটিভি: হালের অভিনয়শিল্পীরা কেমন কাজ করছেন, আপনার চোখে তাদের মূল্যায়ন কেমন? বান্নাহ: তরুণ অভিনয়শিল্পীরা খুব ভালো করছেন। বিশেষ করে খায়রুল বাসার, ইয়াশ রোহান, শ্বাশত দত্ত, আরশ খানদের কথা বলতে হবে। এর বাইরেও অনেকে আছেন, সবার নাম যদিও এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না। তবে তারা ভালো করছেন, এতটুকু বলতেই হবে। আরটিভি: নাটকের মান আগের মতো নেই, এই অভিযোগ প্রায়ই ওঠে। বিষয়টি নিয়ে কি বলবেন? বান্নাহ: নাটকের মান আগের মতো নেই, এটা একটা পুরোনো অভিযোগ। ক্যারিয়ারের শুরুতে শুনেছি, এখনও একই কথা শুনি। আমার মনে হয়, এই অভিযোগটা সবসময়ই থাকবে। এটা নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। আরটিভি: ঈদের কাজের প্ল্যানিং কী? বান্নাহ: ঈদের কাজের পরিকল্পনা করছি। ইনশাআল্লাহ, খুব দ্রুতই করে ফেলবো।  আরটিভি: প্রায় সাড়ে চার শ’র মতো একক নাটক তৈরি করেছেন। নিজের সেরা ১০টি কাজের কথা যদি জানতে চাই... বান্নাহ: ওভাবে আসলে কখনো তালিকা করা হয়নি। তবে এই মুহূর্তে মনে পড়ছে ফ্ল্যাশব্যাক, ফায়ার ফ্লাই, শত ডানার প্রজাপতি, তোমার পিছু পিছু, আমি তোমার গল্প হবো, আশ্রয়, মায়ের ডাক, সুইপারম্যান, ব্যঞ্জনবর্ণ ও মেমোরিজ কল্পতরুর গল্প’র নাম। আরটিভি: বড় পর্দায় আপনাকে কবে পাচ্ছি আমরা? বান্নাহ: বড় পর্দায় আমাকে খুব দ্রুতই পাবেন। তবে দিনক্ষণ তারিখ বলতে পারবো না। সেটা ৬ মাসও হতে পারে, আবার ১ বছরও হতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগে

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান
শোবিজের দর্শকনন্দিত অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। অভিনয়ের পাশাপাশি গানেও বেশ পারদর্শী তিনি। সম্প্রতি তারই প্রমাণ মিলল গেল ঈদে ইত্যাদিতে তার গাওয়া ‘রঙে রঙে রঙিন হব’। প্রথম গানেই বাজিমাত করেছেন ফারিণ।  অন্যদিকে গানে অভিনেত্রীর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও গায়ক তাহসান খান। গানের জগতে জনপ্রিয়তার কোনো জুড়ি নেই তার। তবে নায়িকা থেকে গায়িকা ফারিণ যেন প্রথম গানেই নজর কাড়লেন শ্রোতা-দর্শকদের।  শুধু তাই নয়, বর্তমানে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে রয়েছে তাহসান-ফারিণের ‘রঙে রঙে রঙিন হব’। ইত্যাদিতে গানটি প্রচারের পর গত ১৬ এপ্রিল ইউটিউবে মুক্তি পায়। এরপরই যেন গানটি লুফে নেন শ্রোতারা।   এখন পর্যন্ত তাহসান-ফারিণের রঙে রঙে রঙিন হব’ গানটির মোট ভিউ দাঁড়িয়েছে ৯৫ লাখ ৭২ হাজারের বেশি। গানটির ভূয়সী প্রশংসা করছেন দর্শক-শ্রোতারা। বাংলাদেশ অংশে (মিউজিক) ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের তালিকার শীর্ষে রয়েছে এই গানটি।  বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে উপস্থাপক হানিফ সংকেত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘প্রিয় দর্শক, ঈদের বিশেষ ইত্যাদিতে প্রচারিত সবগুলো গানই আপনারা পছন্দ করেছেন জেনে আমরা আনন্দিত। গানটির মধ্যে শিল্পী তাহসান ও তাসনিয়া ফারিণের গাওয়া ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ গানটি আপনাদের বিচারে সেরা গান নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে মিউজিক বিভাগে এক নম্বর স্থানে উঠে আসে, যা এখনও অটুট আছে।’   কবির বকুলের কথায় ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ সুর ও সংগীত পরিচালনায় ছিলেন ইমরান মাহমুদুল। দারুন অভিনয় করেন ফারিণ। কিন্তু তিনি যে ভালো গানও করেন কেউই জানতেন না। এবার ইত্যাদিতে গান গাওয়ার মাধ্যমে প্রকাশ্যে এলো সেটা। এ প্রসঙ্গে ফারিণ বলেন, আমি কিন্তু নায়িকার আগে গায়িকা। যশোর থেকে ঢাকায় এসেও গানের চর্চা করেছি। দিনের পর দিন গান শিখেছি। জাতীয়, বিভাগীয় পর্যায়ে গান করেছি। গান গেয়ে অনেক পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু অভিনয়ের কারণে গানের প্রতিভা এতদিন কেউ জানতে পারেনি। মূলত দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় মায়ের ইচ্ছাতেই অনেকটা জোর করেই গান শেখানো হয় ফারিণকে। মায়ের আগ্রহেই শিক্ষকের কাছে গান শিখতে শিখতে গানের প্রেমে পড়ে যান তিনি। 
০১ মে ২০২৪, ১৩:৪৫

শিরোনামহীনের নতুন গান প্রকাশ
প্রকাশ পেলো দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড শিরোনামহীনের নতুন গান ‘জানে না কেউ’। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে এক জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে প্রিমিয়ারের মাধ্যমে এটি উন্মুক্ত করা হয়। একই সঙ্গে জানানো হয়, শ্রোতারা ইউটিউব, স্পটিফাই, আইটিউনস, আমাজনসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সকল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে গানটি শুনতে পাবেন। শিরোনামহীন এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের অষ্টম অ্যালবাম ‘বাতিঘর’-এ থাকছে সর্বমোট ১০টি গান। ব্যান্ডলিডার জিয়াউর রহমানের কথা ও সুরে ‘জানেনা কেউ’র মিউজিক ভিডিওর পাশাপাশি শ্রোতাদের কাভার বা গাওয়ার সুবিধার্থে প্রকাশ করা হবে লিরিক ভিডিও। এ ছাড়া এই গানের পারফরম্যান্স ভিডিও এবং আন্তর্জাতিক শ্রোতাদের জন্য প্রকাশ পাবে ইংরেজি ভার্সনও। শিরোনামহীনের ব্যান্ড লিডার এবং গীতিকার সুরকার জিয়াউর রহমান বলেন, শ্রোতাদের ভালোবাসায় শিরোনামহীন অনেক ঝড়, বাধা অতিক্রম করেছে। তবুও থমকে যায়নি, ২৮ বছর পাড়ি দিয়েছে। আরও বহুদূর পথ চলতে চায়।  ‘জানে না কেউ’ গানের মিউজিক ভিডিও চিত্রায়িত হয়েছে ভারতের হিমাচল প্রদেশের মানালি, সিস্যু, বিয়াস নদী ও দিল্লিতে। এতে শিরোনামহীন ব্যান্ডের সদস্যরা ছাড়াও ছিলেন সিফাত আমিন শুভ ও জান্নাতুল ফেরদৌস বিসমি। এটি নির্মাণে সহযোগিতা করেছে বহুজাতিক কোম্পানি সিনার্জি সল্যুশন্স। উল্লেখ্য, আগামী জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়া ও আগস্টে কানাডায় একাধিক কনসার্ট ট্যুরে যাচ্ছে ব্যান্ড শিরোনামহীন। এ ছাড়া এ বছর আরও গান রিলিজ পাবে তাদের। 
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২২

আতিফ আসলামের কনসার্টে গান গাওয়ার সুযোগ না পেয়ে ক্ষুব্ধ মাশা
সদ্য ঢাকার মঞ্চ মাতিয়েছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বসুন্ধরার ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ‘লেটস ভাইভ’র আয়োজিত এই কনসার্টে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তরুণ সংগীতশিল্পী মাশা ইসলাম।  তবে আমন্ত্রণ পেলেও পারফর্মের সুযোগ পাননি তিনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এই গায়িকা। মাশার অভিযোগ, আয়োজকদের অব্যবস্থাপনার কারণে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। কনসার্ট শেষ করে শুক্রবার রাতেই নিজের ফেসবুকে পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন মাশা। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন— আয়োজকদের অব্যবস্থাপনার কারণে আমার ২০ মিনিটের পারফরমেন্স স্লট বাতিল হয়ে গেছে। দৃশ্যত একজন বিদেশী শিল্পীর জন্য একজন স্থানীয় শিল্পী স্লট বাতিল হতে পারে। তবে আমরা পৃথিবীর সামনে নিজেদের মর্যাদা নিজেরাই নিচু করি। এরপর আয়োজকদের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে গায়িকা লেখেন, অভিনন্দন, ‘লেটস ভাইভ’ আপনাদের ক্রমাগত অপমান, অপদস্ত এবং প্রশ্নবোধক ব্যবহারের জন্য। একদিন আমাদের সবাইকে নিজেদের কর্মের ফল দিতে হবে। সবশেষে ভক্তদের উদ্দেশে মাশা লেখেন, আমার প্রিয় মানুষগুলো, আমি আপনাদের জন্য সুন্দর একটি পারফরম্যান্স তৈরি করেছিলাম। কিন্তু আমি দুঃখিত, সেটা প্রকাশ করার সুযোগ হয়নি।   তবে বিষয়টি নিয়ে আয়োজক প্রতিষ্ঠান লেটস ভাইব ও ব্লুজ কমিউনিকেশনসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের তরফ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। গত ১৮ এপ্রিল বিকেলে ঢাকায় আসেন আতিফ। পরের দিন শুক্রবার ঢাকার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অংশ নেন তিনি। এদিন বিকেল ৫টা থেকে শুরু হয় কনসার্ট। যেখানে গানে গানে শ্রোতা-দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন আতিফ।   প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত ওয়েব সিনেমা ‘দুই দিনের দুনিয়া’র আলোচিত গান ‘টেকা পাখি’ দিয়ে আলোচনায় আসেন মাশা। এর আগে ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে বিভিন্ন গান আপলোড করে পরিচিতি পান তিনি।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১০

সমুদ্রের রোমাঞ্চকর গল্প বলেন তারা, শোনান গান
নিঃসীম সমুদ্রে ভেসে চলা নাবিকদের জীবন সমুদ্রের মতোই বৈচিত্রময়। বিশাল বিশাল ফণা তোলা সব ঢেউ। মাঝসমুদ্রে থাকা জাহাজের গায়ে মুহুর্মুহু আছড়ে পড়ে একেকটা ঢেউ। মুহূর্তেই বাষ্পের মতো ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে সমুদ্রের নোনা পানি। ভয়ংকর গর্জনে সমুদ্র তার খ্যাপাটে ভাবের জানান দেয়। এই গর্জনে গায়ে কাটা দেয়। কখনো আবার সমুদ্র থাকে শান্ত। পাটি বিছানো নীল সমুদ্রের দিগন্তরেখায় হেসে ওঠে রংধনু। সমুদ্রের এমন সব বৈচিত্র্যপূর্ণ রূপ মানুষের সামনে তুলে ধরেন দুই নাবিক আবদুল্লাহিল মারুফ ও মোহাম্মদ রেদওয়ান সরকার। সেইল উইথ মারুফ : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘সেইল উইথ মারুফ’ নামে পরিচিত আব্দুল্লাহিল মারুফ। পেশায় একজন নাবিক। সমুদ্রগামী জাহাজে বসে অবসরে তিনি ভ্লগ করেন। ভ্লগিংয়ের মাধ্যমে এই তরুণ তুলে ধরেন সমুদ্র, সমুদ্রযাত্রা, সমুদ্রচারী জীবনের নানা দিক। দারুণ গানও করেন মারুফ। জাহাজে বসে তার করা গানে মুগ্ধ হন নেটিজেনরা। তার গান, ভ্লগ লাখো দর্শক দেখেন। তারা তাকে প্রশংসায় ভাসান।  মারুফের শৈশব-কৈশোর কেটেছে জন্মস্থান রাজশাহীতে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে তিনি ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগে। কিন্তু ভিন্ন কিছু করার ইচ্ছে থেকে সেই যাত্রা আর দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। এরপর ভর্তি হন দেশের একটি বেসরকারি মেরিটাইম ইনস্টিটিউটে। সেখান থেকে সামুদ্রিক প্রকৌশলবিদ্যার প্রাথমিক দীক্ষা নিয়ে যোগ দেন জাহাজের শিক্ষানবিশ কর্মী হিসাবে। পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ডের লিভারপুল জন মুর্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেন উচ্চতর প্রফেশনাল ডিগ্রি। বর্তমানে তিনি হংকং ভিত্তিক একটি কোম্পানির তেলবাহী জাহাজের সেকেন্ড অফিসার হিসাবে কর্মরত আছেন। নাবিক হিসেবে এখন পর্যন্ত ২৫টির বেশি দেশে গেছেন মারুফ। সমুদ্রযাত্রা করেছেন প্রায় ৪০টি। ২০২১ সালের আগস্টে চীন থেকে ভেনেজুয়েলা যাওয়ার পথে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে বড় ঝড়ের কবলে পড়েছিল মারুফের জাহাজ। কী মনে করে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সমুদ্রের ভিডিও ধারণ করেন তিনি। নিজের ফেসবুক পেজে ভিডিওটি প্রকাশ করেন। হাজারো মানুষ ভিডিওটি দেখেন। তারা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানান। অনেকে সমুদ্রযাত্রার নানা গল্প জানার আগ্রহ দেখান। এই ঘটনার পরই সমুদ্রযাত্রা নিয়ে ভ্লগ করার ভাবনা মাথায় আসে মারুফের। তিনি বলেন, ‘আমার ভ্লগিংয়ের উদ্দেশ্য হলো, সমুদ্রযাত্রার অজানা দিকগুলো বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে খুব সাধারণভাবে তুলে ধরা।’ ‘সেইল উইথ মারুফ’ নামের ফেসবুক পেজে এখন পর্যন্ত ৪০টির মতো ভিডিও আপলোড করেছেন এই নাবিক। এসব ভিডিওতে সমুদ্র, ঝড়ঝঞ্ঝা, ঢেউ, সমুদ্রযাত্রা, বন্দর, জাহাজের অভ্যন্তরীণ নানা কারিগরি বিষয়, জাহাজ পরিচালনা, নাবিকদের কাজ, খাওয়াদাওয়াসহ হরেক কৌতূহলোদ্দীপক বিবরণ রয়েছে।  মারুফ বলেন, শখের বশেই তার প্রফেশনাল জীবনকে নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করা। সাধারণ মানুষের পক্ষে সামুদ্রিক জাহাজের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকৌশল সম্পর্কে জানা সম্ভব হয় না। তাই এমন কনটেন্টের আগ্রহ বেশি। অবসরে আরেকটা কাজ করেন মারুফ। তিনি জাহাজে বসে হাতে তুলে নেন ইউকেলেলে। দরদভরা কণ্ঠে তোলেন সুর। গেয়ে ওঠেন, ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘আহারে জীবন’, ‘পথের ক্লান্তি ভুলে স্নেহভরা কোলে তব’, ‘দিন যায়, কথা থাকে’, ‘ওকি একবার আসিয়া সোনার চান্দ মোর যাও দেখিয়া রে’, ‘কি নামে ডেকে বলব তোমাকে’, ‘প্রেমে পড়া বারণ’, ‘যদি হিমালয় হয়ে’ এমন সব গান। হিন্দি গানেও সমান পারদর্শী তিনি। মারুফ অধিকাংশ গান জাহাজের ব্রিজে বসে করেন। সেখান থেকে সহজেই সমুদ্র দেখা যায়। তার গান সমুদ্রের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি ভীষণ ভালোবাসা মারুফের। তবে গানের প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা তার নেই। শুনে শুনে গান রপ্ত করেছেন তিনি। মারুফ বলেন, পরিবার থেকে বহু দূরে, সমুদ্রচারী জীবনের নানা বাঁকে গানই আমাকে উজ্জীবিত রাখে।  হৃদয় দ্য সেইলর : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মোহাম্মদ রেদওয়ান সরকারের পরিচয় ‘হৃদয় দ্য সেইলর’। সমুদ্রজীবনের নানা বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করেন এই নাবিক। হৃদয় কাজ করছেন জাহাজের ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে। জাহাজে আসার আগে স্যোশাল মিডিয়ায় টেক ভিডিও কনটেন্ট বানানোর নেশা ছিলো হৃদয়ের। নীল সমুদ্রের স্নিগ্ধ জলে এসেও সে নেশা আর কাটেনি। এখন ভিডিও বানান জাহাজের নাবিক জীবন নিয়ে। নাবিকরা কীভাবে ঘুমান, ইঞ্জিন রুম-ব্রিজে কী কাজ চলে, জাহাজে কেউ মারা গেলে কী করা হয়, জলদস্যু এলে কী করা হয় —এমন সব চমকপ্রদ ঘটনা তার কনটেন্টের বিষয়বস্তু। যা সাধারণ মানুষের কাছে খুবই আগ্রহের।  ফেসবুক আর টিকটকে হৃদয়ের অনুসারীর সংখ্যা সাত লাখের অধিক। ইউটিউব চ্যানেল যেমন (৭ মার্চ পর্যন্ত) ১৩৮টি ভিডিও তুলেছি। আমার এই চ্যানেলে যুক্ত আছেন ১ লাখ ৭১ হাজার সাবস্ক্রাইবার। আর ভিডিওগুলো দেখা হয়েছে ১ কোটি ৮৮ লাখের বেশিবার। দর্শকরা কমেন্ট বক্সে জানতে চান জাহাজের অভ্যন্তরীণ খুঁটিনাটি নানা বিষয়ে। হৃদয় চেষ্টা করেন সেগুলোকে পরিবর্তী ভিডিওতে যুক্ত করার। মোহাম্মদ রেদওয়ান বলেন, বেশ কয়েক বছর হলো ইউটিউবে আমার আনাগোনা। তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আগ্রহ থাকায় এটা নিয়ে ভিডিও বানাতাম। সেগুলো শেয়ারও করতাম। কিন্তু সেটি ছিল অনিয়মিত। তবে কাজটা করতে আমার আনন্দই লাগে। সেই আনন্দই এবার নতুন মাত্রা পায়। ইউটিউবে আমার চ্যানেল ‘হৃদয় দ্য সেইলর’-এ আপলোড করতে থাকি। এখন ‘হৃদয় দ্য সেইলর’ নামেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে পেজ ও চ্যানেল আছে। একই ভিডিও সব মাধ্যমেই শেয়ার করি। মোহাম্মদ রেদওয়ান সরকারের জন্ম, বেড়ে উঠা কুড়িগ্রামে। কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোন হৃদয়। এরপর উচ্চশিক্ষার ভর্তিযুদ্ধে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলেও আগ্রহের জায়গা থেকে ভর্তি হন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে। এরপর একাডেমিক এবং শিক্ষানবিস পর্ব শেষ করে ২০২২ সালে জাহাজের পেশাদার জগতে ঢুকে পড়েন।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪০

বৈশাখের ‘মেলায় যাইরে’ গান তৈরির পেছনের গল্প
পহেলা বৈশাখ এলেই চায়ের দোকান থেকে শুরু করে যেকোন আড্ডায় বাজতে শোনা যায়  ‘মেলায় যাইরে মেলায় যাইরে’ গানটি। গানটি ১৯৯০ সালে জনপ্রিয় ব্যান্ড ফিডব্যাকের একটি অ্যালবামের শিরোনাম সংগীত হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছিল। গান তৈরির হিসেবে এবার ৩৪ বছর হতে চলছে। গানের বয়স বাড়লেও এর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি একটুও।  বৈশাখের এই গানের সুর ও কণ্ঠ দিয়েছেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী মাকসুদুল হক। ১৯৯০ সালে গানটি যখন প্রকাশ পায় তখন তিনি যুক্ত ছিলো জনপ্রিয় ব্যান্ড ফিডব্যাকের সঙ্গে। ১৯৯৬ সালে ফিডব্যাক ছেড়ে ‘মাকসুদ ও ঢাকা’ ব্যান্ড গড়ে তোলেন মাকসুদুল হক। কীভাবে গানটি তৈরি হয়েছিল, সেই গল্প শুনিয়েছিলেন গানটির স্রষ্টা মাকসুদ।  মাকসুদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, গানটি লিখি ১৯৮৮ সালে । প্রথমত গানটি আমি একবারে লিখতে পারিনি। আমার সময় লেগেছিল দুই মাস। লেখার পর  সাত-আটবার সংশোধন করেছি। এরপর  সুর করেছি।  স্টেজে আমরা গানটা পারফর্ম করাও শুরু করি। গানটি রেকর্ডিং একদিনে হয়নি। অনেক সময় লেগেছে। আমরা  সেই সময়  ডিজিটালে রেকর্ডিং করেছি। সেজন্যই সময় বেশি লেগেছিল।  ঢাক, ঢোল, মন্দিরার শব্দ লাইভে বাজানো সম্ভব নয়। ব্যান্ডের সদস্যদের সঙ্গে আমাদের কথা কাটাকাটি কত কিছু যে হয়েছে। রেকর্ডিং স্টুডিওতে গিয়েও বেগ পেতে হয়েছে অনেক। পুরো গান তৈরি হতে  প্রায় এক থেকে দেড় বছর সময় লেগেছিল।  গানের জন্মকথা প্রসঙ্গে মাকসুদ দেশের এক পত্রিকায় তার লেখায়  উল্লেখ করেছিলেন, কত সময় ব্যয় করে এর কথা লিখেছি, তার সঠিক হিসাব-নিকাশ হয়তো এখন দেওয়া সম্ভব নয়। এটুকু মনে আছে, গানে সেই চিত্র তুলে ধরতে চেয়েছি, যা প্রতি বৈশাখে আমাদের চোখে পড়ে। অনেক শব্দের কাটিকুটি শেষে বেরিয়ে এসেছিল কিছু ছন্দোবদ্ধ কথা। লেখা শেষে নিজেই তাতে সুর বসিয়েছি। এরপর ফিডব্যাকে সদস্যদের সঙ্গে বসেছি কম্পোজিশন নিয়ে। বাদ্য বাদনেও অনেকটা সময় ব্যয় করতে হয়েছে। এরপর কণ্ঠে তুলি নিয়েছি গান। গেয়েছি মনপ্রাণ উজাড় করে, লেগেছে বাঙালির ঘরে ঘরে এ কি মাতন দোলা, লেগেছে সুরেরই তালে তালে হৃদয়ে মাতন দোলা; বছর ঘুরে এলো আরেক প্রভাতে, ফিরে এলো সুরেরই মঞ্জরি; পলাশ শিমুলগাছে লেগেছে আগুন, এ বুঝি বৈশাখ এলেই শুনি, মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে...। স্টুডিওতে গিয়ে রেকর্ড করা পর্যন্ত একটি গানের পেছনে কত সময় ব্যয় করতে হয়, তার লেখাজোখা থাকে না। কারণ, সংগীত কোনো কাজ নয়, একধরনের সাধনা। যারা গান করেন, তারা ভালো করেই জানেন, প্রতিটি সৃষ্টির পেছনে কতটা শ্রম-ঘাম ঝরাতে হয়। যা হোক, “মেলা” গানটি রেকর্ড করার পর আমি, ফোয়াদ নাসের বাবু, পিয়ারু খান, লাবু রহমান, সেকেন্দার আহমেদ খোকা—প্রত্যেকেই অন্য রকম এক সৃষ্টির স্বাদ পেয়েছিলাম। ১৯৮৮ সালে  চট্টগাম মেডিকেল কলেজ হলে ফিডক্যাকের প্রথম কনসার্টে ‘মেলায় যাইরে মেলায় যাইরে’ গানটি প্রথম গাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে মাকসুদ বলেন,   সেই কনসার্টে আমরা প্রথম এই গান গাই। একেবারে নতুন গান। কিন্তু এটা শোনার পর  ডাক্তার ও ছাত্র সবাই একসঙ্গে নেচেছে।  সবার অনুরোধে সেদিন এই গান আমাদের দুবার গাইতে হয়েছিল।   নব্বই দশকে যখন গানটি তুমুল জনপ্রিয় তখনকার একটি ঘটনা উল্লেখ করে এই জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী বলেন, ১৯৯২ সালে  তো ল্যান্ডফোন ছিল । এক ভদ্রমহিলা বাসার ল্যান্ডফোনের নাম্বারে বারবার ফোন করেছিলেন আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য। যখন ফোন করতেন আমাকে তিনি বাসায় পেতেন না। আমার স্ত্রী এটা বলার পর একদিন আমি সেই ভদ্রমহিলার সঙ্গে ফোনে কথা বললাম।  তিনি আমাকে বলেছিলেন, আপনার  কাছে এই গান  কি  আমি জানি না।  তবে  আমার কাছে  এই গান  অনেক কিছু। আমার কোলে তিন মাস বয়সী শিশু এখন।  তাকে কিছুতেই দুধ খাওয়ানো যেত না। অনেক কষ্ট হতো।  একদিন আপনার গানটা ঘরে বাজছিল তখন আমার বাচ্চা হঠাৎ করেই দুধ  খাওয়া  শুরু করল। এখন এই গান না শুনলে আমার বাচ্চা দুধ খায় না। এই কথা শোনার পর  আমার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি চলে এসেছিল। এখন মনে হয়, এটুকু ভালো কাজের জন্য ঈশ্বর আমাকে দিয়ে গানটা করিয়েছিলেন। সবার এসব ভালোবাসার  আমার কাছে  গুরুত্বপূর্ণ, ওটা  খুব গুরুত্বপূর্ণ নয় যে ‘মেলায় যাইরে’  কত হাজার লোক তালি দিল, নাচল।  
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২১

এবার ঈদে হিন্দি গান শোনাবেন ড. মাহফুজুর রহমান
প্রতি বছরের মতো এবার ঈদেও একগুচ্ছ গান নিয়ে আসছেন বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান। তার গান মানেই শ্রোতাদের বাড়তি আগ্রহ। ঈদের বিশেষ একক সংগীতানুষ্ঠানে তিনি প্রায় ১০টির মতো গান শোনাবেন বলে জানা গেছে। এটিএন নিউজে ঈদের দিন রাত ৯টায় এবং দ্বিতীয় দিন একই সময় গান শোনাবেন। দুইদিনের জন্য নির্ধারিত তার সংগীত অনুষ্ঠান দুটির নাম যথাক্রমে দিল মে হো তুম এবং দু চোখে শুধু তুমি। সংগীত পরিচালনা করেছেন মান্নান মোহাম্মদ ও রাজেশ ঘোষ। দিল মে হো তুম অনুষ্ঠানে তার সহশিল্পী হিসেবে থাকবেন ভাবনা, সামিয়া, পুনম নীলিমা। অন্যদিকে এটিএন বাংলায়ও ঈদের দিন ও পরের দিন থাকছে মাহফুজুর রহমানের একক সংগীতানুষ্ঠান। চ্যানেলটিতে ঈদের দিন ১০.৩০ মিনিটে প্রচার হবে ‘তুমি শুধু আমারই থেকো’। অনুষ্ঠানে রয়েছে মোট ১০ টি গান। অ্যালবামের গানগুলোতে সুরারোপ করেছেন মান্নান মোহাম্মদ ও রাজেশ ঘোষ। বাংলা গানের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে থাকছে জনপ্রিয় কয়েকটি গজল। অ্যালবামে রয়েছে আমায় ভালোবাসো না, তোমার চোখ দুটি, তুমি যে শুধু আমার, যাবে যদি চলে যাও এবং বুকের মাঝে রাখবো শিরোনামের গান। গজলের মধ্যে রয়েছে মেরে মিতুয়া, ম্যায় জিস দিন, জানে কাহা, ম্যায় সায়ের তো নেহি এবং চিটঠি আয়ি হ্যায়। ঈদের পরদিন রাত ১০.৩০ মিনিটে প্রচার হবে সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘লেকে পেহেলা পেহেলা পেয়ার’। একক এবং ডুয়েট হিন্দি গান দিয়ে সাজানো হয়েছে এই অনুষ্ঠানটি। অনুষ্ঠানে থাকছে দিল কিয়া কারে, মেরে মেহেবুব, রাজাকো রাণি সে পেয়ার, লেকে পেহেলা পেহেলা পেয়ার, বারিস মে তু, তুহি এ মুঝকো বাতাদে, ধীরে ধীরে সে, হামকো হামিসে, ম্যায় জিস দিন ভুলাদু এবং মিলে হো তুম হামকো শিরোনামের গান।  ডুয়েট গানগুলোতে ড. মাহফুজুর রহমানের সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন সামিয়া জাহান, নীলিমা, ভাবনা আহমেদ ও মারিয়া চৌধুরী।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৫১

নতুনভাবে চিত্রায়িত হলো সালমানের দুই গান
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ অভিনীত ‘আনন্দ অশ্রু’ সিনেমা ১৯৯৭ সালে মুক্তি পায়। শিবলী সাদিক পরিচালিত সিনেমাটি তখন দারুন ব্যবসাসফল হয়। এরমধ্যে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের গীত, সুর ও সংগীতায়োজনে ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’ এবং ‘তুমি আমার এমনই একজন’ গান দুটি এখনও সমান জনপ্রিয়। সালমানভক্তদের জন্য নতুন খবর হচ্ছে ২৭ বছর পর এই গান দুটিকে নতুন করে সামনে তুলে ধরছেন ডিম এম মাসুদ। তার প্রযোজনায় গান দুটির নতুন করে অমিত চ্যাটার্জির সংগীতায়োজনে কাভার করেছেন মোমিন বিশ্বাস ও স্মরণ। আর এতে মডেল হয়েছেন ডি এম মাসুদ নিজেই। গান দুটির মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছেন সালমান শাহ অভিনীত শেষ সিনেমা প্রেম প্রিয়াসীর পরিচালক রেজা হাসমত। জানা গেছে, গত ২৮ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি মধুপুর লোাকেশনে গান দুটির মিউজিক ভিডিও করা হয়। এ ব্যাপারে মডেল ও প্রযোজক ডি এম মাসুদ বলেন, গানে অরিজিনাল ফ্লেবার দিতে আমরা পুরো টিম নিয়ে মধুপুর গিয়েছি। এখানেই সালমান শাহ তার অমর গান ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’ গানটির সঙ্গে ঠোঁট মিলিয়েছিলেন। অপর গানটি ‘তুমি আমার এমনই একজন’ গানটির জন্য অরিজিনাল লোকেশান মধুপুর জাতীয় উদ্যানে মিউজিক ভিডিও শুট করা হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, মহানায়ক সালমান শাহ এবং প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ আহমেদ ইমতিয়াজ বুুলবুলের স্মরণে কাভার সং দুটি উৎসর্গ করা হয়েছে।  কাভার সং দুটি চাঁদ রাতে সন্ধ্যা ৭টায় ডি এম মাসুদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল এম এন এন্টারটেইনমেন্ট-এ মুক্তি পাবে।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪১

আমার ছেলে গান না শিখে কোরআন শিখেছে : খালিদের স্ত্রী
চাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট কণ্ঠশিল্পী খালিদ সবাইকে কাঁদিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। তার নিথর দেহ যখন হাসপাতালে পড়ে আছে তখন তার কিশোর সন্তান জুয়াইফা আরিফ যুক্তরাষ্ট্রে নিজের স্কুলে। সেখানে বসেই পান বাবার মৃত্যু সংবাদ। এরপর তিনিও বাবাকে নিয়ে দেন একটি ভিডিও বার্তা।  একজন সাংবাদিক ও উপস্থাপকের  মাধ্যমে সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভিডিও বার্তা দেন জুয়াইফা আরিফ। সেই ভিডিওতে সদ্য প্রয়াত বাবার জন্য দোয়া চেয়ে বলেছেন, আমার বাবা হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। আপনারা সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। তাকে মাফ করে দিয়েন। এদিকে ওই ভিডিও বার্তায় তবে খালিদপুত্র ছিলেন স্বাভাবিক। পিতার মৃত্যুর পর তার এই স্বাভাবিক আচরণ নেটিজেনদের অনেকে ভালো চোখে দেখেননি। কেউ কেউ করেছেন সমালোচনা। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন গায়কের স্ত্রী শামীমা জামান। নিজের ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, আমি আর আমার ছেলে রোবট। আমরা কাঁদব না। তাতে তোদের কীরে সমাজ? এর আগে তিনি লিখেছিলেন, এই ছেলে ১২ বছর বয়স থেকে নামাজ পড়ে, মাশাআল্লাহ, এই ছেলের গানের গলা থাকা সত্ত্বেও গান না শিখে কোরআন শিখেছে। এই ছেলে বাবাকে নামাজ পড়তে বলতে বলতে হতাশ হয়েছে। সে তার অসুস্থ মায়ের সেবা করেছে ৭ মাস, রাত ৪টা পর্যন্ত বায়েজিদ বোস্তামির মতো দাঁড়িয়ে থেকে। ছেলে তার মায়ের মৃত্যুর অপেক্ষায় একা একটি বাসায় কাটিয়েছে। এরপর তিনি লেখেন, এই ছেলে তার আল্লাহর হুকুম পালন করতে আমেরিকান মেয়েদের আহ্বান সত্ত্বেও একটা প্রেম করেনি। এই ছেলে তেমন বন্ধু হয় না যখন সে দেখে বন্ধুগুলো গাজা খায়। এই ছেলে প্রতিটি কাজে আগে আল্লাহর বিধান কি জেনে নেয়, আমেরিকার স্কুলের হারাম চিকেন দেখলে না খেয়ে থাকে তবু হারাম পেটে দেয় না, এই ছেলেকে তার বাবার টাকা দিতে হয় না, তার মা তার জন্য যথেষ্ট উপার্জন করে। তার বাবার চিন্তা এই ছেলেকে নিয়ে নয় যতটা, তার গান আর ভক্ত শিষ্যদের নিয়ে। তাই খুব খেয়াল করে আমার ছেলেকে নিয়ে না জেনে একটা খারাপ কথা উচ্চারণ করলে ওপর আল্লাহ তার বিচার করবেন। সবশেষে শামীমা লিখেছিলেন, আরিক স্কুল থেকে এসে বুঝতেও পারছে না আসলে কি ঘটে গেছে, ও স্মার্ট তো তাই হঠাৎ করে খ্যাত হয়ে কীভাবে কথা বলবে? যত্তসব। আর সানগ্লাস? উন্নত দেশে কান্না লুকাতেও সানগ্লাস পরে মানুষ। শুধু সাংবাদিক তানভীর তারেকের অনুরোধে ও এই কথাগুলো বলতে রাজি হয়েছে। বড়দের সম্মান করে বলে, নয়তো মিডিয়ায় কথা বলতে বা কাজ করতে ও পছন্দ করে না। প্রসঙ্গত, ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন খালিদ। সেসময় তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান খালিদ চলে গেছেন, তাকে ফেরানো গেল না কিছুতেই।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়