• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সকে মূল্যায়ন করতে বিসিবির নতুন উদ্যোগ
গত ফেব্রুয়ারির বোর্ড মিটিংয়ে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বাড়ানো প্রস্তাব দিয়েছিল অপারেশন্স বিভাগ। তবে ম্যাচ ফি নয়, দুই পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও ইসমাইল হায়াদার মল্লিকের মতামতের ভিত্তিতে ভিন্ন পথে হাঁটছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অপারেশন্স বিভাগের প্রস্তাবনায় ম্যাচ ফি সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্টে, ১ লাখ টাকা ওয়ানডেতে আর সবচেয়ে কম ৫০ হাজার টাকা টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বাড়ানোর কথা বলা হয়। কিন্তু ম্যাচ ফি বাড়ানোর পরিবর্তে পারফরম্যান্স বোনাস দেওয়ার বিষয়ে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন বিসিবির ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান মল্লিক ও হাই পারফরম্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান দুর্জয়। এই দুজনের মতামতের সঙ্গে অধিকাংশ পরিচালক একাত্মতা প্রকাশ করেন। শেষ পর্যন্ত বোর্ড ম্যাচ ফি বাড়ানোর পরিবর্তে পারফরম্যান্স বোনাস বাড়ানোর সিদ্ধান্তে আসে। সর্বসম্মতিক্রমে বোর্ড ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটিটি পারফরম্যান্স বোনাস দেওয়ার কাঠামো তৈরি করার নির্দেশ দেয়। এমনিতে ম্যাচ জয় কিংবা সিরিজ জয়ে বিসিবি আলাদা বোনাস দিয়ে থাকে। এবার এই বোনাসের অর্থ বাড়বে। সঙ্গে সংযুক্ত হবে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স বোনাসও।  অর্থ্যাৎ কোনো ম্যাচে পারফর্ম করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা কিংবা সেঞ্চুরি-ফাইফার পেলে আলাদা অর্থ পাবেন ক্রিকেটাররা। পারফরম্যান্স বোনাসের কাঠামো তৈরি নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছেন ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফিস।  তিনি বলেন, বিসিবি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে পারফরম্যান্স বোনাসের কাঠামো তৈরি করতে। আমরা সেটা নিয়ে কাজ করছি। আমরা কাজ শেষে বোর্ডের সামনে তুলে ধরবো, বোর্ড পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। সবশেষ ২০২০ সালে বাড়ানো হয়েছিল ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি। সেই সময় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে টেস্টে ম্যাচ ফি হয়েছিল ৬ লাখ টাকা, ওয়ানডেতে ২ লাখ থেকে ৩ লাখ, আর টি-টোয়েন্টিতে ১ লাখ ২৫ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা। বর্তমানে চার বছর আগে বাড়ানো অর্থই পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা।
৫ ঘণ্টা আগে

নারী আম্পায়ারের অধীনে খেলতে ক্রিকেটারদের আপত্তি
ডিপিএলে আম্পায়ার নিয়ে অভিযোগ নতুন কিছু নয়। তবে এবার নারী আম্পায়ারের অধীনে খেলতে আপত্তি জানিয়েছে দুই ক্লাব। প্রাইম ব্যাংক এবং মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিতর্কিত ম্যাচে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সুপার লিগের প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে মনিরুজ্জামানের সঙ্গে ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। নারী আম্পায়ারকে দেখে এদিন মাঠেই ক্ষোভ আর হতাশা প্রকাশ করেন দুই দলের ক্রিকেটার ও অফিসিয়ালরা। যার ফলে নির্ধারিত সময়ে শুরু করা যায়নি ম্যাচ। ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর জেসিকে নিয়েই শুরু হয় খেলা। তবে এদিন আম্পায়ার পরিবর্তন চেয়ে নাকি ফোন করা হয়েছিল কমিটির চেয়ারম্যানকে।    দেশের বেসরকারি একটি গণমাধ্যমকে ইফতেখার আহমেদ মিঠু বলেন, তারা (দুই দল) এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল, কিন্তু পরে মেনে নিয়েছে। তিনি (জেসি) একজন আইসিসির অফিশিয়াল আন্তর্জাতিক আম্পায়ার। তাকে যেহেতু দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, অবশ্যই মূল্যায়ন করে দেয়া হয়েছে। এখন এটা না মানলে তো আমরা বৈষম্য করছি।     সাথিরা জাকির জেসি আইসিসির প্যানেলভুক্ত আম্পায়ার। যেখানে আইসিসি অনুমোদন দিয়েছে তাকে সেখানে ডিপিএলের দুই দল যেন ভুলতে বসেছে সব নিয়ম-নীতি। তাই শাস্তির মুখে পড়তে পারে দু'দলই।    দুই দলের শাস্তির বিষয়ে তিনি বলেন, শাস্তি দেয়ার বিষয়টা আসলে সিসিডিএমের। আমরা তাদের জানাব। আমি শাস্তি দেওয়ার কেউ না। আমি আমার আম্পায়ারকে শাস্তি দিতে পারব। আমি যেটা শুনেছি এটা হয়েছে। আমি খুঁজে বের করার চেষ্টা করব কী হয়েছে। যদি এটা আসলেই হয়ে থাকে তাহলে এটা আসলে বৈষম্য। তিনি একজন আন্তর্জাতিক আম্পায়ার, নারী হোক বা পুরুষ। একই ম্যাচের অন্য ঘটনা মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ আউট। আবু হায়দার রনির এই ক্যাচ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। তবে সিনিয়র ক্রিকেটারের এমন কাণ্ড মোটেও ভালো ভাবে নেয়নি বিসিবি। মুশফিকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আম্পায়ার কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, মুশফিকও তো জানে নিয়মটা কী। মুশফিক দীর্ঘদিন ধরে খেলছে। সে জানে এখানে করণীয় কী। এটা নিয়ে যে আম্পায়ারদের দোষারোপ কেন করল সেটা বোধগম্য নয়।  ‘আম্পায়ার কিন্তু নিয়মের বাইরে যায়নি। আম্পায়ার রনিকে জিজ্ঞেস করেছে আউট কিনা। খেলোয়াড়দের আসলে সম্মানটা বাড়াতে হবে।' তিনি আরও বলেন, তারা (আম্পায়াররা) হয়তো ভুল করছে কিন্তু এটা ইচ্ছাকৃত না। আম্পায়ারের কাছে প্লেয়ার বলবে, আউট কি আউট না। এখানে আম্পায়ারের দোষটা কী। প্লেয়ার যদি আম্পায়ারকে সত্যি না বলে এখানে তার কী করার। এখানে আম্পায়ারকে দোষ দেয়ার কিছু নেই।    
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৯

ক্রিকেটারদের ফিটনেস বাড়াতে সেনাবাহিনীর অধীনে ট্রেনিং
ভারত বিশ্বকাপে ফিল্ডিং দেখে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দেশটি কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা। এবার পাকিস্তান প্রিমিয়ার লিগে ছক্কা মারতে না পারায় বাবর-রিজওয়ানদের ফিটনেস নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন নতুন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তার আগে ক্রিকেটারদের সম্পূর্ণ ফিট করতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে পিসিবি। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ইসলামাবাদের একটা হোটেলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলাপ কালে এই ঘোষণা দিয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভী। আগামী ২৫ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত কুকুল সেনাবাহিনী ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নেবেন বাবর-রিজওয়ানরা। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে পিসিবি। সেনাবাহিনীর অধীনে ট্রেনিং নিয়ে নাকভী বলেন, আমি যখন লাহোরে খেলা দেখছিলাম, আমার মনে হয় না তোমাদের মধ্যে (পাকিস্তানি ক্রিকেটার) কেউ গ্যালারিতে ছক্কা মেরেছো। যখনই এরকম কোনো ছক্কা মারা হয়েছে, আমার মনে হয়েছে বিদেশি কোনো খেলোয়াড় মেরেছে। আমি বোর্ডকে বলছিলাম, খেলোয়াড়দের ফিটনেস বাড়ানোর জন্য একটা পরিকল্পনা করতে। তোমাদের সবাইকে যথাযথভাবে চেষ্টা করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের সামনে নিউজিল্যান্ড সিরিজ আছে। এরপর আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সিরিজ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আমি অবাক হয়েছি এটা ভেবে, ‘কখন আমরা প্রস্তুতি নিব?’ কোনো সময়ই নেই। যাইহোক, আমরা একটা সময় খুঁজে পেয়েছি।  ‘সেই সময়টাতে আমরা কুকুল (মিলিটারি অ্যাকাডেমি) একটি ক্যাম্পের আয়োজন করেছি মার্চের ২৫ তারিখ থেকে এপ্রিলের ৮ তারিখ। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তোমাদের প্রশিক্ষণে যুক্ত থাকবে এবং আশা করি তারা তোমাদের উপকার করবেন।’ এর আগে ২০১৬ সালে মিসবাহ উল হক অধিনায়ক থাকাকালীন একবার কুকুলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। সেবার ইংল্যান্ডে গিয়ে তাদের বিপক্ষে ২-২ এ টেস্ট সিরিজ ড্র করেছিল দলটি। জাতীয় দলে থাকা খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে নাকভি বলেন, আমি তোমাদের শতভাগ সমর্থন দেব। কিন্তু তোমাদের বলব, পাকিস্তানকে সবার আগে প্রাধান্য দিতে এবং টি-টোয়েন্টি লিগকে পরে প্রাধান্য দিতে। যখন দেশের আগে টাকা প্রাধান্য পায়, এটা আসলেই দুর্ভাগ্যজনক। আর তোমরা যদি তাইই করো, তবে আমাদের মাঝে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৩

ভ্যানে চড়ে মিরপুরে প্রবেশ করল ক্রিকেটারদের কিট ব্যাগ
গত আসরে বিপিএলের নানা অনিয়ম চোখে পড়াই সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে। তাই এবারের আসর শুরু অনেক আগে থেকেই টুর্নামেন্টকে জাঁকজমক করার চেষ্টা করছে আয়োজকরা। তবে বিপিএল বলে কথা অনিয়ম থাকবে না, তাই কখনও হয়। এবার দেখা গেল ভ্যানে করে ক্রিকেটারদের কিট ব্যাগ স্টেডিয়ামে প্রবেশ করানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) মিরপুরে অনুশীলন করেছে দুর্দান্ত ঢাকা। এ ছাড়া সেখানে উপস্থিত ছিলেন উদ্বোধনী দিনের দুই ম্যাচে চার দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। এ সময় দেখা যায় দুটি ভ্যান ক্রিকেটারদের বেশ কয়েকটি কিট ব্যাগ নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করছেন। তবে নির্দিষ্ট করে বোঝা যায়নি আসলে কোন দলের ক্রিকেটারদের এই ব্যাগগুলো। তবে দুইটি ব্যাগে খুলনা টাইগার্সের লোগো দেখে মনে হচ্ছিল ভ্যান দুটি খুলনা টাইগার্সের হতে পারে। এর আগে আমরা দেখেছি যেকোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দলগুলো নিজেদের টিম বাসকে ক্রিকেটারদের ছবি এবং দলের লোগোর ছবি দিয়ে রাঙিয়ে তুলতেন। তবে এবারের আসরে সেই ঐতিহ্যও হারিয়েছে দলগুলো। বিসিবি যেখানে নিজেদের লভ্যাংশ ভাগ করতে চাই না, সেখানে দল গুলোই বা কেন বাড়তি খরচ করবে। তাই সাদামাটা ভাবে আয়োজন করে যতটা টাকা বাঁচানো যায়, এই পথেই হাঁটছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা। আসরের সব থেকে সফল দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক নাফিসা কামালতো বলেই দিয়েছেন, চলতি আসর শেষে দল রাখবেন না তিনি। আগামীকাল আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে মোকাবিলা করবে দুর্দান্ত ঢাকা। দিনের অপর ম্যাচে সন্ধ্যায় মুখোমুখি হবে সিলেট ও চট্টগ্রাম।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়