• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘রাজধানীর ১০ থানায় কিশোর গ্যাং বেশি’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, রাজধানীর ৫০ থানার মধ্যে ১০টি থানায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপরাধ দেখা গেছে। এর মধ্যে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলন নিয়ে ছায়া সংসদ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।  ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজকের কিশোর আগামী দিনের যুবক। তারাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী কেউ অপরাধ করলে আমরা তাকে কিশোর অপরাধী বলছি। এই বয়সী কিশোররা দলবদ্ধভাবে অপরাধ করলে তাকে আমরা বলছি কিশোর গ্যাং। হাবিবুর রহমান বলেন, কিশোর গ্যাং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম করে থাকে পুলিশ। মসজিদে মসজিদে জুমার দিনে ওসিরা কিশোর গ্যাং বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে গিয়েও কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে আসল কাজ হবে পরিবার থেকে। মা, বাবা বড় ভাই-বোন এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষকও ভূমিকা রাখবেন।  তিনি বলেন, ঢাকা শহরে খেলার মাঠের সংখ্যা কম। মাঠ নিয়ে আন্দোলনও হয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো খেলাধুলার মাঠের বিষয়ে কাজ করতে পারে।  কিশোর গ্যাংয়ের গড ফাদারদের তালিকা করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা যারা রয়েছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের অদ্ভুত-অদ্ভুত নাম রয়েছে, তাদের তালিকা করা হয়েছে। যারা মদদদাতা, গড ফাদার তারা ওইভাবে গড ফাদার নয়। তারা যে কিশোর অপরাধের জন্য গ্যাং তৈরি করেছে বিষয়টি এমন নয়। রাজনৈতিকভাবে কিছু লোক কিশোরদের নিয়ে যাচ্ছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। কিশোর অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতি আছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো গাফিলতি নেই। অভিযোগ এলেই সঙ্গে সঙ্গে মামলা গ্রহণ করা হয় এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাজ নয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জনসাধারণের কাজ। জনগণ সোচ্চার হলে কিশোর গ্যাং কালচার কমে যাবে। টিকটকে অশালীন কন্টেন্টের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি অবশ্যই নেতিবাচক। ইতোমধ্যে এমন টিকটকারদের আমাদের সাইবার টিম আইনের আওতায় এনেছে। পুলিশের সাইবার টিম থেকে নিয়মিত বিটিআরসি'র কাছে বিভিন্ন কনটেন্টের তালিকা দেওয়া হয়।   হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলদের কিছু অনুসারী রয়েছেন যাদের ১৮ বছরের উপরে বয়স। এলাকায় রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে কেউ কেউ কিশোরদের ব্যবহার করছে। সরাসরি কোনো কাউন্সিল কিশোরদের নিয়ে অপরাধ করার জন্য গ্যাং তৈরি করেছে এমন তথ্য পাইনি। কাউন্সিলদের সহযোগী রয়েছেন এমন কেউ কেউ আছেন তারা কিশোরদের নিয়ে চলাচল করেন। এসব কিশোরদের বেশিরভাগই ছিন্নমূল। বেশিরভাগ কিশোরদের বাবা নেই। মা থাকলেও দেখা যায় অন্যের বাসায় কাজ করেন। এসব বিষয়েও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে আইনের আওতায় পড়লে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক পাতিনেতাদের বিভিন্ন সময় থানায় ডেকে শাসানো হচ্ছে।  তিনি আরও বলেন, সমাজের ভদ্রলোকরা মনে করেন থানায় অভিযোগ দিতে গেলে বিপদে পড়বেন এজন্য সেই ভয়ে থানায় যান না। এটি সমাজের সবচেয়ে দুর্বলতা এবং নেতিবাচক দিক। যারা সমাজের ভালো মানুষ, শান্তি প্রিয় মানুষ, তারা যদি ঐক্যবদ্ধ হন তবে অনেক কঠিন কাজই সহজ হয়ে যায়। আমি সেটির আহ্বান জানাই। সমাজে ভালো মানুষ যারা তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। 
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৪

টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীর ওপর হামলা-ছিনতাই, কিশোর গ্যাংকে ধরতে মরিয়া পুলিশ
টাঙ্গাইল গোপালপুরে ব্যবসায়ীর ওপর হামলা চালিয়ে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের পর এলাকা থেকে পালিয়েছে মুশফিক, সিয়াম সাকিন ও জয় ঘোষ নামের তিন কিশোর গ্যাং সদস্য। ঘটনার পরদিন থানায় তাদের নামে মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ঢেউটিন ব্যবসায়ী হাজী মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের ওপর এই হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। আসামিদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক তৈয়ব বলেন, আসামিদের ধরতে সব রকম চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। বেশ কয়েক বার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর পরই তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। আজ হোক বা কাল শাস্তি তাদের পেতেই হবে। অপরাধীদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। থানার অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, গত ৪ মার্চ অভিযোগকারীর ছেলে দিদার হোসেনের সঙ্গে অভিযুক্ত মুশফিকের খেলাধুলা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। সে সময় স্থানীয় কাউন্সিলর মইনুদ্দিন বাবু বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। তারপরও ওই সময় বাদীর ছেলেকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় মুশফিক। এর জেরে গতকাল শুক্রবার আ. রশিদের ছেলে মুশফিকের নেতৃত্বে কিছু কিশোর গ্যাং সদস্য বাদীর স্বামী জালাল উদ্দিনের ওপর দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হঠাৎ করে হামলা চালায়। এ সময় ভুক্তভোগীর কাছে থাকা ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হামলার পর ভুক্তভোগীসহ তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয় অভিযুক্ত মুশফিক। ঘটনার পরদিন চার জনের নাম উল্লেখ্য করে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী মোছা. ফিরোজা বেগম। তিনি বলেন, ঘটনার ছয় দিন পার হতে চলেছে এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। আমার একটাই চাওয়া অপরাধীদের আটক করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা।   বর্তমানে জালাল উদ্দিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৪

ঘরে বসে টেলিস্কোপ তৈরি করল কিশোর ফারাবী 
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে এক যুবক নিজ হাতে টেলিস্কোপ তৈরি করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এখন তার বাড়িতে এটি দেখতে ভিড় করছেন স্থানীয়রা। রাজারহাটের সেই যুবকের নাম ফাহাদ আল ফারাবী (১৬)। এত কম বয়সে টেলিস্কোপ তৈরিতে সফলতা পাওয়ায় সে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে। পোষা বিড়ালের নামে টেলিস্কোপটির নাম দিয়েছে সে এনইকেও-কে-১।  ফাহাদ তার মেধা ও প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে টেলিস্কোপ বানিয়েছে। আর তাই তার এমন প্রতিভা দেখে খুশি এলাকাবাসী ও তার স্বজনরা। তার আবিষ্কৃত টেলিস্কোপের মাধ্যমে খালি চোখে চাঁদ, সূর্যের স্পষ্ট ছবি দেখতে পাওয়ায় প্রতিদিন তার বাড়িতে অনেক মানুষের ভিড় দেখা যায়। ফাহাদ আল ফারাবী রাজারহাট উপজেলার মেকুটারী গ্রামের জয়নুল আবেদীন ও পারভীন খন্দকারের ছোট ছেলে। সে রাজার হাট পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের বর্তমানে মাত্র দশম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করছে বলে জানা গেছে।  ফাহাদ আল ফারাবী ছোটবেলা থেকে মহাকাশ সম্পর্কে জানতে অত্যন্ত আগ্রহী ছিল। বইয়ের পাতায় গ্রহ, নক্ষত্র ও উপগ্রহের অবস্থান পড়ে দেখার খুব ইচ্ছে হয় তার। ২০২১ সালের শেষে টেলিস্কোপ বানানো সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে থাকে সে। একপর্যায়ে সে পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে টেলিস্কোপ কিনতে পাওয়া যায়। বাজারে একটি টেলিস্কোপের দাম ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। শিক্ষার্থী হয়ে এত টাকা সংগ্রহ করতে পারবে না বলে ২০২৩ সালে নিজেই টেলিস্কোপ তৈরির প্রকল্প হাতে নেয় সে। এ কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছিলেন ফাহাদ আল ফারাবীর বড় ভাই ফাহমিদ আল জাবের। তিন মাসের মধ্যে টেলিস্কোপ বানাতে পেরে খুশি ফাহাদ আল ফারাবী।  ফাহাদ আল ফারাবীর ইচ্ছে, সরকারি কোনো সহযোগিতা পেলে টেলিস্কোপ নিয়ে গবেষণা করতে আগ্রহীদের মাঝে স্বল্প দামে তা সরবরাহ করবে।  এ বিষয়ে ফারাবী জানায়, আমি ছোটবেলা থেকেই মহাকাশ নিয়ে কাজ করছি। এস্ট্রোনমি ইন্সট্রুমেন্ট না থাকায় কাজ করতে পারিনি। ২০২৩ সালে ঢাকার এক এস্ট্রোনমি হাউজ থেকে যন্ত্রপাতিগুলো সংগ্রহ করে টেলিস্কোপটি বানাতে সক্ষম হই। আমি এখন অত্যন্ত খুশি। ছড়িয়ে দিতে চাই এটি সবখানে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৬

টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীর ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা, ২ লাখ টাকা ছিনতাই
টাঙ্গাইল গোপালপুরে এক ব্যবসায়ীর ওপর হামলা চালিয়ে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটির জেরে ওই ব্যবসায়ীর ওপর হামলা চালায় তারা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানাধীন কোনাবাড়ি ৩নং ওয়ার্ড সাকিনস্থ ডাকবাংলোর সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে ছেলের ওপর প্রতিশোধ নিতে এই হামলা চালায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা।  আহত হাজী মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন টাঙ্গাইল গোপালপুরে ঢেউটিন ব্যবসা মেসার্স সততা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী। থানার অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, গত ৪ মার্চ অভিযোগকারীর ছেলে দিদার হোসেনের সঙ্গে অভিযুক্ত মুশফিকের খেলাধুলা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। সে সময় স্থানীয় কাউন্সিলর মইনুদ্দিন বাবু বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। তারপরও ওই সময় বাদীর ছেলেকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় মুশফিক। এর জেরে গতকাল শুক্রবার আ. রশিদের ছেলে মুশফিকের নেতৃত্বে কিছু কিশোর গ্যাং সদস্য বাদীর স্বামী জালাল উদ্দিনের ওপর দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হঠাৎ করে হামলা চালায়। এ সময় ভুক্তভোগীর কাছে থাকা ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হামলার পর ভুক্তভোগীসহ তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয় অভিযুক্ত মুশফিক। বর্তমানে জালাল উদ্দিন গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। ডাক্তার জানিয়েছেন, দুই থেকে তিনদিন তার চিকিৎসা লাগতে পারে। বিষয়টি নিয়ে গোপালপুর শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি বেলায়াত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীর ওপর হামলা মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি নিয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটা মামলা করা হয়েছে। ওসি স্যার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, রাতের মধ্যেই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে। যদি কোনো কারণে সঠিক বিচার না হয় পরবর্তীতে সমিতির সবাই বসে আমরা সিদ্ধান্ত নিবো। মামলার বাদী মোছা. ফিরোজা বেগম বলেন, দেড় মাস আগে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আমার ছেলে সঙ্গে মুশফিকের (বিবাদী) খেলাধুলা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় কাউন্সিলর মইনুদ্দিন বাবু তখনই ঘটনার মীমাংসা করে দেন। সেই শত্রুতার জেরে ছেলের প্রতিশোধ নিতে আমার স্বামীর ওপর হামলা চালায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। হামলার একপর্যায়ে আমার স্বামীর হাতে থাকা শপিং ব্যাগের মধ্যে ওনার বন্ধু মো. মোশারফের গরু বিক্রির টাকাসহ মোট ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। প্রশাসনের কাছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।  আহত ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন বলেন, গতকাল বিকেলে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ কয়েকজন ছেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় আমার কাছে থাকা ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে নেয়। হামলার সময় ডাক-চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে যায়। আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও সঠিক বিচার চাই। এ বিষয় জানতে অভিযুক্ত কিশোর গ্যাং সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক তৈয়ব বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৫

গৌরীপুরে কিল-ঘুষিতে কিশোর খুন
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে তুচ্ছ ঘটনায় কিল-ঘুষিতে মো. মোফাজ্জল হোসেন (১২) নামে এক কিশোর মারা গেছে। সে স্থানীয় পাইবাকুড়ি উচ্চবিদ‍্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের বাঘবেড় গ্রামে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। নিহত কিশোর মোফাজ্জল হোসেন মৃত আলাল উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় বোকাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আল মুক্তাদির বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। শুনেছি চেয়ারে বসা নিয়ে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে।    গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাড়ির পাশে বসে খেলাধুলা করছিল একদল শিশু ও কিশোর। এ সময় চেয়ারে বসা নিয়ে স্থানীয় উচ্চবিদ‍্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মোবারক হোসেনের (১৪) সঙ্গে কথা-কাটাকাটি ও তর্কবির্তক হয় নিহত মোফাজ্জেল হোসেনের। এ ঘটনায় মোবারক হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে মোফাজ্জল হোসেনকে কিল-ঘুষি, চড়-থাপ্পড় ও লাথি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মোফাজ্জল।   ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোবারক হোসেনকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। 
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৭

টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে উপহার পেল ৬৯ কিশোর
টানা ৪০ দিন তাকবিরে উলার সঙ্গে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ৬৯ কিশোরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জনকে পুরস্কার হিসেবে বাইসাইকেল ও ৬৬ জনকে স্কুল ব্যাগ প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে উপজেলার বহুরিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কিশোরদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসী।  শিশু-কিশোরদের মোবাইলের কুফল, অতিরিক্ত আসক্ততা থেকে নামাজে আগ্রহী ও মসজিদমুখী করতেই এ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইমাম ও খতিব। মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের রমজান মাসের ১০ দিন পূর্বে এই নামাজ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে ১০ এপ্রিল শেষ হয়। যেখানে বহুরিয়া গ্রামের ৬৯ জন কিশোর অংশ নেন। টানা ৪০ দিন তাকবিরে উলার সঙ্গে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে এসে আদায় করতে সক্ষম হয় ২৯ জন কিশোর। বাকি ৩০ জন কিশোর একাধারে ৪০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে পড়তে সক্ষম হয়নি। এজন্য তাদেরকে সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে একটি করে স্কুল ব্যাগ প্রদান করা হয়। এদের প্রত্যেকের বয়স ৮ থেকে ১৬ বছর। তারা প্রতিদিন নামাজ শেষে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছেন। পুরস্কার বিতরণকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বহুরিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ঈমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি ইয়ামিন বিন মাজিদ, বহুরিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি আব্দুস ছামাদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক খান আব্দুল আলিম বাদশা, বহুরিয়া ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল সামাদ সিকদার, বহুরিয়া ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়া, বহুরিয়া আদর্শ নূরানী ও হাফেজিয়া মাদরাসার সভাপতি মল্লিক লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম সিকদার, অর্থ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম, বহুরিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কয়েদ আলী সিকদার, সাধারণ সম্পাদক মো. আউলাদ হোসেনসহ এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ নূরুল আলম বলেন, সব ধর্মের মূল্যবোধই সৃষ্টির কল্যাণে নিবেদিত। তাই যে আয়োজনের মাধ্যমে ওই কিশোরদের ভালো কাজের দিকে উৎসাহিত করা হয়েছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৭

ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার সেই চিকিৎসক বাবার মৃত্যু
চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার চিকিৎসক কোরবান আলী মারা গেছেন।  বুধবার (১০ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহতের ছেলে আলী রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  জানা গেছে, গত ৫ এপ্রিল বিকেলে পশ্চিম ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকায় বেশ কয়েকজন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য একজন পথচারীকে মারতে দেখেন কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা রানা। এ সময় লোকটিকে সাহায্য চাইলে রানা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে ১পুলিশ এসে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়।  পরে কিশোর গ্যাংয়ের অন্য সদস্যরা রানার বাসার সামনে এসে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বাসার পাশের দোকানে ইফতারি কিনতে গেলে কয়েকজন কিশোর গ্যাং সদস্য রানার ওপর হামলা চালায়। এ সময় রানাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার বাবা কোরবান আলীর ওপরও হামলা চালায় তারা। হামলায় কোরবান আলী মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। এ ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে আকবর শাহ থানায় একটি মামলা করা হয়।  ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  আকবর শাহ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হামলাকারীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৪

কিশোর গ্যাং / ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে হামলার শিকার চিকিৎসক বাবা
কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ৬০ বছর বয়সী কোরবান আলী নামে এক দন্তচিকিৎসক বাবা। বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে কোরবান আলীর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ থানার ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাত থেকে এক পথচারীকে বাঁচাতে ৯৯৯-এ কল করার অপরাধে ডা. কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা রানাকে মারধর করার সময় এ ঘটনা ঘটে।  অভিযুক্ত ওই কিশোর গ্যাং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী ও ছাত্রলীগকর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ। হামলার পর প্রথমে ডা. কোরবান আলীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ‘মেডিকেল সেন্টার’ নামে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালটির আইসিইউতে লাইফ সাপোর্ট আছেন তিনি।  ভুক্তভোগীর স্বজন জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ডা. কোরবান আলীর অবস্থা বর্তমানে সংকটাপন্ন। চিকিৎসকরা রোববার রাতেই তাকে ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ঘোষণা করেছেন। তবে তার লাইফ সাপোর্ট এখনো খোলা হয়নি। যেকোনো সময় কৃত্রিম লাইফ সাপোর্ট অটো শাটডাউন হয়ে যেতে পারে।’ জসিম উদ্দিন আরও বলেন, ‘কয়েক দিন আগে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী ডাক্তারের ছেলে আলী রেজা রানা। এমন সময় একদল কিশোর একজন পথচারীকে পেটাচ্ছিল। তাদের মার সহ্য করতে না পেরে লোকটি বাঁচাও বলে চিৎকার করছিল। লোকটিকে কিশোর দলের মার থেকে বাঁচাতে জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন দেন রানা। পরে পুলিশ এসে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়।’ জসিম উদ্দিন জানান, এই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে রানার বাসার সামনে এসে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এরপর গত শুক্রবার বাসার পাশের দোকানে ইফতারি কিনতে গেলে কয়েকজন কিশোর গ্যাং সদস্য রানার ওপর হামলা চালায়। এ সময় রানাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার বাবা কোরবান আলীর ওপরও হামলা চালায় কিশোর গ্যাং। হামলায় কোরবান আলী মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। আকবর শাহ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হামলাকারীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী। এ ঘটনায় ৮-১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। আমরা মামলাটি তদন্ত করছি। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৭

কিশোর গ্যাং মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনা
কিশোর গ্যাং মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্র ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।  বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।  তিনি বলেন, দেশে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে অভিভাবক, শিক্ষকদেরকে সম্পৃক্ত করে তাদেরকে সংশোধনের পরিবেশ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদেরকে দাগি আসামির সঙ্গে না রেখে, তাদের সংশোধনাগারে আলাদা রেখেই কাউন্সিলিং করতে হবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশে সংশোধনাগারের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশনাও দিয়েছেন।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়