• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সকে মূল্যায়ন করতে বিসিবির নতুন উদ্যোগ
গত ফেব্রুয়ারির বোর্ড মিটিংয়ে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বাড়ানো প্রস্তাব দিয়েছিল অপারেশন্স বিভাগ। তবে ম্যাচ ফি নয়, দুই পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও ইসমাইল হায়াদার মল্লিকের মতামতের ভিত্তিতে ভিন্ন পথে হাঁটছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অপারেশন্স বিভাগের প্রস্তাবনায় ম্যাচ ফি সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্টে, ১ লাখ টাকা ওয়ানডেতে আর সবচেয়ে কম ৫০ হাজার টাকা টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বাড়ানোর কথা বলা হয়। কিন্তু ম্যাচ ফি বাড়ানোর পরিবর্তে পারফরম্যান্স বোনাস দেওয়ার বিষয়ে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন বিসিবির ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান মল্লিক ও হাই পারফরম্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান দুর্জয়। এই দুজনের মতামতের সঙ্গে অধিকাংশ পরিচালক একাত্মতা প্রকাশ করেন। শেষ পর্যন্ত বোর্ড ম্যাচ ফি বাড়ানোর পরিবর্তে পারফরম্যান্স বোনাস বাড়ানোর সিদ্ধান্তে আসে। সর্বসম্মতিক্রমে বোর্ড ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটিটি পারফরম্যান্স বোনাস দেওয়ার কাঠামো তৈরি করার নির্দেশ দেয়। এমনিতে ম্যাচ জয় কিংবা সিরিজ জয়ে বিসিবি আলাদা বোনাস দিয়ে থাকে। এবার এই বোনাসের অর্থ বাড়বে। সঙ্গে সংযুক্ত হবে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স বোনাসও।  অর্থ্যাৎ কোনো ম্যাচে পারফর্ম করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা কিংবা সেঞ্চুরি-ফাইফার পেলে আলাদা অর্থ পাবেন ক্রিকেটাররা। পারফরম্যান্স বোনাসের কাঠামো তৈরি নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছেন ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফিস।  তিনি বলেন, বিসিবি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে পারফরম্যান্স বোনাসের কাঠামো তৈরি করতে। আমরা সেটা নিয়ে কাজ করছি। আমরা কাজ শেষে বোর্ডের সামনে তুলে ধরবো, বোর্ড পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। সবশেষ ২০২০ সালে বাড়ানো হয়েছিল ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি। সেই সময় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে টেস্টে ম্যাচ ফি হয়েছিল ৬ লাখ টাকা, ওয়ানডেতে ২ লাখ থেকে ৩ লাখ, আর টি-টোয়েন্টিতে ১ লাখ ২৫ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা। বর্তমানে চার বছর আগে বাড়ানো অর্থই পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা।
৭ ঘণ্টা আগে

‌‘অপতথ্য রোধে সরকার, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ একসঙ্গে কাজ করতে পারে’
অপতথ্য রোধে সরকার, পেশাদার গণমাধ্যম এবং সুশীল সমাজ অংশীদার হয়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ মাইডাস সেন্টারে দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন উপলক্ষে  ইউনেস্কো, টিআইবি এবং আর্টিকেল নাইন্টিন আয়োজিত 'বর্তমান বৈশ্বিক পরিবেশগত সংকটের প্রেক্ষাপটে মুক্ত গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা' শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, সরকারের সমালোচনা করা সমস্যা নয়। সত্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে যেকোন সমালোচনা করলে সেটা সরকার স্বাগত জানায়। যখন পরিকল্পিতভবে অপতথ্যের প্রচার করা হয়, দেশের উন্নয়ন থামানোর জন্য সাংবাদিকতার অপব্যবহার করা হয়, অপতথ্য প্রচারের জন্য পরিবেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সেটিই সমস্যা তৈরি করে। এক্ষেত্রে অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সাংবাদিকতা বন্ধে সরকার, পেশাদার গণমাধ্যম এবং সুশীল সমাজ একসাথে অংশীদার হয়ে কাজ করতে পারে। তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহের সাথে সাথে সমাজের সর্বস্তরে অপতথ্যের অস্তিত্ব বিরাজ করে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খুবই কার্যকর, যখন এর ব্যবহার করা হয়। অপতথ্যের বিস্তৃতির মাধ্যমে যখন গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অপব্যবহার করা হয়, তখন এটি অত্যন্ত নেতিবাচক হয়। এটি সমাজে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে নেতিবাচকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং জনগণের ক্ষতি করে। এ ব্যাপারে আমাদেরক সতর্ক থাকতে হবে। অপতথ্য প্রতিরোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চায়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সংগতিপূর্ণ। আমাদের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানের মাধ্যমে এ বিষয়গুলোর সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। আমরা গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য সংগ্রাম করেছি, জীবন উৎসর্গ করেছি এবং একটি দেশ তৈরি করেছি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, যখন আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলবো তখন সেটা জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে হতে হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যাতে কোন গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য অপব্যবহার না হয়। যখনই আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা চিন্তা করবো, তা যেনো গণমাধ্যমের সঠিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে হয়, অপব্যবহারের ক্ষেত্রে নয়। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত পনেরো বছরে গণমাধ্যমের বিস্তৃতির জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন এবং গণমাধ্যমের দ্রুততার সাথে বিকাশ হয়েছে। সরকারের যদি গণমাধ্যম্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশ্যে থাকতো তাহলে সরকার গণমাধ্যমের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে চাইতো না। এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে সরকারের অঙ্গীকারের একটি উদাহরণ। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে মৌলিক সততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার যে কোনো ধরনের সমালোচনা সব সময় স্বাগত জানাবে এবং দেশের যেকোনো প্রান্তের প্রতিবেদক বা সাংবাদিককে সুরক্ষা দেবে। সত্য ও বৈজ্ঞানিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে এমনকি সরকারের সমালোচনা করলেও সেটি সরকার প্রশংসা করবে ও স্বাগত জানাবে। প্যানেল আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ও অফিস প্রধান সুজান ভাইজ, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এবং মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক।প্যানেল আলোচনা সঞ্চালনা করেন আর্টিকেল নাইন্টিন-এর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক শেখ মঞ্জুর-ই-আলম। প্যানেল আলোচনার পূর্বে বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপন করেন দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান শামসুদ্দিন ইলিয়াস এবং ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক উসরাত ফাহমিদা।
০২ মে ২০২৪, ১৮:০০

উপজেলা ভোট সুষ্ঠু করতে ওসি ও এসআইকে বদলির নির্দেশ
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন করার জন্য চাঁদপুরের মতলব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।  বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসি থেকে নির্দেশনাটি পুলিশের মহাপরিদর্শককে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ হোসেন এবং সাব-ইন্সপেক্টর মো. আবু হানিফকে প্রত্যাহার করে তদস্থলে উপযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা পদায়নের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। বর্ণিতাবস্থায় উল্লিখিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো।’
০২ মে ২০২৪, ১৭:০৭

বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায় ৮০টি সৌদি কোম্পানি
বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী ৮০টি সৌদি কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। দেশটির পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সৌদি আরব সফররত প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান দেশটির মন্ত্রী ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের চিফ অব স্টাফ ও পরিচালনা পর্ষদের মহাসচিব সাদ আল কোরডের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। পিআইএফ মহাসচিব সালমান এফ রহমান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সেই বৈঠকে সাদ আল কোরডে এই তথ্য দেন।  বাংলাদেশকে জ্বালানি সহযোগিতার আগ্রহী সৌদি আরব। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিলম্বিত অর্থ প্রদানপদ্ধতিতে অপরিশোধিত তেল কেনার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা সৌদি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় আছে বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবের সহকারী জ্বালানি মন্ত্রী মোহাম্মদ আল ইব্রাহিম। এ সময় তাঁরা দুই দেশের অংশীদারত্বের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয়েছে। এখন কারিগরি বিষয় নিয়ে কাজ চলছে এবং বাংলাদেশের কারিগরি দলের সঙ্গে বৈঠক করবে সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বৈঠকে জেভি ডিএপটি সার কারখানা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বিশেষ সভায় যোগদান শেষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি এসব বৈঠক করেন।
০২ মে ২০২৪, ১৬:০৯

বিয়ে করতে বলায় প্রেমিকাকে হত্যা করে প্রেমিক, অতঃপর...
নরসিংদীর মাধবদীতে প্রেমিকাকে হত্যার দায়ে দীন ইসলাম নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয় তাকে।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শামীমা পারভীন এ রায় দেন। মামলার বরাতে জানা যায়, নিহত খাদিজা বেগম মাধবদীর একটি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্বামী সন্তান না থাকায় খাদিজা বেগম মাধবদী এলাকায় ভাড়া বাসায় একাই বসবাস করতেন। কাজের সুবাদে দীন ইসলাম নামে এক শ্রমিকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এক সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে খাদিজার বাসায় যাতায়াত শুরু করেন দ্বীন ইসলাম। এরইমধ্যে খাদিজা বিয়ের জন্য দ্বীন ইসলামকে চাপ দিলে তিনি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে মতবিভেদ দেখা দিলে ২০১৮ সালের ১৩ মে খাদিজার বাসায় তাকে হত্যা করেন প্রেমিক দ্বীন ইসলাম।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট অলিউল্লাহ। তিনি জানান, নিহত খাদিজার বিয়ের কিছুদিন পরই তার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কাজের সুবাদে মাধবদী থাকতেন তিনি। পরে দীন ইসলামের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তারা একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। বিয়ের জন্য চাপ দিলেই বিপত্তি দেখা দেয়।  তিনি আরও জানান, ২০১৮ সালের ১৩ মে বাসায় এসে খাদিজাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ ফেলে পালিয়ে যান দীন। ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত দ্বীন ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
০১ মে ২০২৪, ১২:৫০

কর্মীদের সঙ্গে যেমন আচরণ করতে বলেছেন রাসুল (সা.)
মহান আল্লাহ তা’আলা বৈচিত্র্য দিয়েই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন মানুষকে। কাউকে সম্পদশালী করেছেন আবার কাউকে করেছেন দীনহীন। কাউকে বেশি মেধা দিয়েছেন, কাউকে দিয়েছেন কম। কেউ বাস করছে সমাজের উচ্চস্তরে, তো কেউ নিম্নস্তরে। বাহ্যত মানুষে মানুষে মেধা-সম্পদ-সম্পত্তির পার্থক্য দেখা গেলেও, আমরা একে-অপরের মুখাপেক্ষী। একজনের প্রয়োজনে আরেকজনকে সহযোগিতার দরকার হয়। কেউ স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। আমাদের সমাজে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যারা অন্যের অধীনে কাজ করেন, বিশেষ করে কায়িক শ্রম নির্ভর যারা, তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়। তাদের অধিকার আদায় হয় না ঠিকমতো। মজুরি মেলে না ঠিকঠাক, পেটের দায়ের সুযোগ নিয়ে কম মজুরিতে অতিরিক্ত খাটানো হয় শ্রমিকদের। শ্রমজীবী মানুষের দুর্দশার এই চিত্র শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী। অথচ ইসলাম সমাজের-উঁচু-নিচু, জাতপাতের ভেদাভেদ, বৈষম্য কখনোই প্রশ্রয় দেয় না। সবসময় শ্রমিক বা অধীনস্ত কর্মীদের অধিকার নিশ্চিত করতে বলেছেন আল্লাহর রাসূল (সা.)। যারা শ্রমিকের অধিকার আদায়ে অবহেলা করে তাদের সর্তক করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কঠিন শাস্তির। এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যারা তোমাদের কাজ করছে, তারা তোমাদেরই ভাই। আল্লাহ তাদের তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন। তোমরা যা খাবে, তা থেকে তাদের খাওয়াবে এবং যা পরিধান করবে, তা তাদের পরিধান করতে দেবে।’ (বুখারি ও মুসলিম) অপর এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘তোমরা অধীনস্তদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে এবং তাদের কোনো রকমের কষ্ট দেবে না। তোমরা কি জানো না, তাদেরও তোমাদের মতো একটি হৃদয় আছে। ব্যথাদানে তারা দুঃখিত হয় এবং কষ্টবোধ করে। আরাম ও শান্তি প্রদান করলে সন্তুষ্ট হয়। তোমাদের কী হয়েছে যে তোমরা তাদের প্রতি আন্তরিকতা প্রদর্শন করো না।’ (বুখারি) রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘মজুরদের সাধ্যের অতীত কোনো কাজ করতে তাদের বাধ্য করবে না। অগত্যা যদি তা করাতে হয়, তবে নিজে সাহায্য করো।’ (বুখারি)  অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘কোনো শ্রমিককে এমন কোনো দুঃসাধ্য কাজ করতে বাধ্য করা যাবে না, যা তাকে অক্ষম ও অকর্মণ্য বানিয়ে দেবে।’ (বুখারি) শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন করার পরিণাম সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে স্বীয় দাস-দাসীকে (শ্রমিককে) প্রহার করবে, কিয়ামতের দিন তাকে তার পরিণাম ভোগ করতে হবে।’ (বায়হাকি) শ্রমিকের মজুরি যথাসময়ে পরিশোধ করার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেছেন বিশ্বনবী। তিনি বলেছেন, ‘মজুরকে তার শরীরের ঘাম শুকানোর আগেই মজুরি পরিশোধ করে দাও।’ (ইবনে মাজাহ)
০১ মে ২০২৪, ১১:২৬

রেলের উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী রাশিয়া
রেলের সার্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিটস্কি মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের সঙ্গে বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানান। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে বড় বড় স্থাপনা নির্মাণে রাশিয়ার অভিজ্ঞতা আছে। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা বাংলাদেশে রেলওয়ের উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী। এ সময় তিনি রেলমন্ত্রীকে রাশিয়ার বিভিন্ন রেল স্থাপনা পরিদর্শনে আমন্ত্রণ জানান। রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, ১৯৭১ সাল থেকেই রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক বিরাজমান। দ্বিপক্ষীয় স্বার্থে ভবিষ্যতেও এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, রাশিয়া আমাদের অনেক বড় উন্নয়ন অংশীদার। রাশিয়ার অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চলমান আছে। তারা আমাদের অনেক প্রকল্পে সাহায্য করছে এবং ভবিষ্যতে এ সাহায্য অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি। বৈঠকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৫

ওজন বাড়িয়ে বিপাকে পরিণীতি, বিয়েতে করতে পারেননি ইচ্ছে পূরণ
ইমতিয়াজ আলির নতুন ছবি ‘অমর সিংহ চমকিলা’ কিছুদিন আগেই একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে। তারপর থেকে রীতিমতো সাড়া ফেলেছে ছবিটি। এ ছবিটি মূলত ‘পাঞ্জাবের এলভিস প্রিসলি’ অভিধায় অভিষিক্ত গায়ক অমর সিংহ চমকিলার ‘বায়োপিক’। অমর সিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন গায়ক-অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জ, এবং তার দ্বিতীয়া স্ত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন পরিণীতি চোপড়া। এই ছবির জন্য প্রায় ১৬ কেজি ওজন বাড়িয়েছিলেন পরিণীতি। কিন্তু এই অভ্যাস আদৌ ভালো নয় বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি যখন চমকিলা ছবির চুক্তি সই করি, তখন আমি সত্যিই ফিট ছিলাম। তার আগে আমি দু’বছর ধরে শরীরচর্চা করছিলাম। খুব ফিট শরীর নিয়ে যখন ইমতিয়াজ আলি স্যারের কাছে গিয়েছিলাম তখন গল্পটা পড়ে আমার ভালো লেগেছিল, আমি ছবিটা করতে চেয়েছিলাম। তবে স্যার বলেছিলেন যে, আমি অমরজোৎ কৌরের মতো দেখতে নই। সে কারণেই আমি ১৬ কেজি ওজন বাড়িয়েছিলাম। যা আদৌ ভালো নয়। কীভাবে ওজন বাড়িয়েছিলেন পরিণীতি? প্রায় ছ’মাস ধরে ওজন বাড়িয়েছিলেন তিনি। পরিণীতি বলেন, ভারী খাবার খেতাম আর প্রচুর ঘুমাতাম। অনেকটা পরিমাণ ভাত আর তিন-চারটি করে রুটি খেতে খেতে আমার ‘ডবল চিন’ হয়ে গিয়েছিল। ছ’মাস ধরেই অস্বাস্থ্যকর খাওয়া দাওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। এখনও সেই ওজন কমাতে পারিনি। বদল যাওয়া এই পরিণীতির শরীর ও মনে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে শুরু করে। অভিনেত্রী বলেন, এই অভ্যাস আমার ঘুমের ওপর সাংঘাতিক প্রভাব ফেলেছিল। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে আপনি যখন অস্বাস্থ্যকর খাওয়া দাওয়া করেন, তখন তা মেজাজের ওপরেও প্রভাব ফেলে, শরীরের গতি মন্থর হয়ে পড়ে। আমার স্ট্যামিনা প্রায় শূন্য হয়ে যায়। এক বর্ষীয়ান অভিনেত্রীকে যখন আমি বলি, এই ছবির জন্য প্রায় ২০ কেজি ওজন বাড়াতে চাই, তিনি আমায় পাগল বলেছিলেন। তিনি বলেন, আমি আমার ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চাইছি। এই ছবির শুটিংয়ের মাঝেই পরিণীতির বিয়ে হয়। রাজনীতিবিদ রাঘব চড্ডার সঙ্গে বিয়ে হয় তার। পরিণীতি বলেন, ওই চেহারা নিয়েই আমি বিয়ে করি, অনেক ইচ্ছেই সেভাবে পূরণ করতে পারিনি। তবে শেষমেশ চমকিলার মতো ছবির জন্য সব আত্মত্যাগই সার্থক মনে করি।’
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৬

বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দরে বছরে চলাচল করতে পারবে ২৬ কোটি যাত্রী
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে শুরু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ। নতুন এই বিমানবন্দরটি দিয়ে বছরে চলাচল করতে পারবে ২৬ কোটি যাত্রী। দুবাইয়ের প্রধানমন্ত্রী এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের নামানুসারে নতুন এই বিমানবন্দরটির নাম রাখা হয়েছে আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। খবর আল জাজিরার।  প্রধানমন্ত্রী রশিদ আল মাকতুম জানিয়েছেন, বিমানবন্দরটি নির্মাণে খরচ হচ্ছে তিন হাজার ৫০০ কোটি ডলার। বর্তমান দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চেয়ে পাঁচগুণ বড় নির্মিতব্য এই বিমানবন্দরটি। তিনি আরও জানিয়েছেন, নির্মাণ শেষ হলে আসছে বছরগুলোতে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব কার্যকলাপ নতুন এই আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানান্তরিত হবে। এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে রশিদ আল-মাকতুম বলেন, যেহেতু দুবাই বিমানবন্দরের চারপাশে সম্পূর্ণ শহর তৈরি হয়েছে, তাই এই বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করেও একটি শহর তৈরি করা হবে। সেখানে অন্তত ১০ লাখ মানুষের আবাসন চাহিদা পূরণ হবে। বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা ছাড়াও বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলোর অফিস তৈরি করা হবে নতুন শহরে। নতুন বিমানবন্দরটির অবস্থান দুবাই শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ২০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে বিশাল এলাকাজুড়ে। এই বিমানবন্দর হবে পরিবেশবান্ধব ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ।  জানা গেছে, নতুন বিমানবন্দরে থাকবে চারশটি টার্মিনাল গেট এবং ৫টি রানওয়ে। স্থানীয় বৃহত্তম বিমান পরিবহণ সংস্থা এমিরেটস এবং এর ছোট অংশীদার ফ্লাই দুবাই এ বিমানবন্দরে স্থানান্তরিত হবে। এছাড়া, দুবাই থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশে যাতায়াত করা অন্য সব অংশীদার এয়ারলাইন্সও এখান থেকে পরিচালিত হবে।  
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়