• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আইডিবি থেকে ৩১৭৯ কোটি টাকা ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ
ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি) থেকে ২৮ দশমিক ৯ কোটি ডলার ঋণ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রতি ডলার ১১০ টাকা হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ তিন হাজার ১৭৯ কোটি টাকা। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সৌদি আরবের রিয়াদে আইডিবি'র বোর্ড অব গভর্নরসের বার্ষিক সভা ২০২৪-এ বাংলাদেশ সরকার ও ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মধ্যে এ ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের পক্ষে ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. মনসুর মুহতার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. মুহাম্মদ আল জাসের উপস্থিত ছিলেন। ‘রুরাল অ্যান্ড প্রি-আরবান হাউজিং ফাইনান্স প্রজেক্ট-সেকেন্ড ফেইজ’ শীর্ষক প্রকল্পে এ ঋণ দিচ্ছে আইডিবি।সরকারের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের মাধ্যমে ৫ বছর মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে প্রকল্পটি।  প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের পল্লী ও শহরতলী এলাকায় বসবাসরত নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য পরিকল্পিত, টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব আবাসন নিশ্চিতকল্পে সাশ্রয়ী গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান করা হবে। এটির বাস্তবায়নের ফলে জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে চাষযোগ্য জমি সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি গৃহ নির্মাণ ঋণ দিতে সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের।  
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৪

বিদ্যুৎ ও গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না
এখন থেকে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ নিতে হলে লাগবে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র। সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এই নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ (ডিএফআইএম)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় দুটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলো হলো- ইকোনমিক জোন বা সরকার নির্ধারিত শিল্প এলাকা ছাড়া অন্য কোনো স্থানে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হলে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ প্রদান না করা। এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার আগে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে।    এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ, লিজ বা বিনিয়োগ সুবিধা প্রদানের আগে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র গ্রহণের জন্য দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করা হলো।   ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩-এর ৪১(২)(ঘ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বাংলাদেশে কার্যরত সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।    এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংককেও একই নির্দেশনা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।  
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৫

খেলাপি ঋণ ও ভর্তুকি কমানোর পদক্ষেপ জানতে চায় আইএমএফ
দেশের ব্যাংক খাত ভুগছে নানা সংকটে। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ ছাড়ে রিজার্ভের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য পূরণে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমন পরিস্থিতিতে ঋণের শর্তগুলো নিয়ে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেছে ঢাকা সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদল। আইএমএফ’র দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ শর্তগুলোই পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। মুদ্রা বিনিময়ে চাপিয়ে দেওয়া দরের কারণেই দেশের আর্থিক হিসাব ঋণাত্মক ও রিজার্ভে পতন অব্যহত রয়েছে বলে মনে করে আইএমএফ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে আইএমএফ। এছাড়া বাজার ভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার ও সুদের হার বাস্তবায়নে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়েও জানতে চেয়েছে সংস্থাটি। বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাংকগুলোর গড় খেলাপি ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা। এ বিষয়ে বাংলাদেশের পদক্ষেপেরে বিষয়ে জানকে চেয়েছে সংস্থাটি।  ইতোমধ্যে আইএমএফের ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড়ে রিজার্ভের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বারবার ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে সুদের হার বাস্তবায়ন, রাজস্ব আয় বাড়ানো ও বাজার ভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় চালু করার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে মুদ্রা বিনিময় ও ক্রলিং পেগ বাস্তবায়ন নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ায় ক্রলিং পেগ বাস্তবায়ন নিয়ে আপাতত কোনো পরামর্শ দেয়নি বাংলাদেশে অবস্থানরত আইএমএফের প্রতিনিধি দল। বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আর্থিক খাত সংস্কার, খেলাপি ঋণ, সুদের হার বাস্তবায়ন, মুদ্রানীতি, মূল্যস্ফীতি, বিদেশি বাণিজ্যের ভারসাম্য ও আউটলুক, মুদ্রা বাজার ও তারল্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করেছে আইএমএফ। তিনি আরও বলেন, আইএমএফের মিশনের সঙ্গে বুধবার (২৪ এপ্রিল) আমাদের বৈঠক শুরু হয়েছে। এখন সংস্থাটি আমাদের কাছ থেকে বিশ্লেষণ করার জন্য তথ্যগুলো সংগ্রহ করছে। এরপর হয়তো বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেবে। বৈঠকে উপস্থিত অর্থ বিভাগের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, শুধু আইএমএফের শর্ত পূরণই নয় দেশের সার্বিক উন্নয়নে রাজস্ব বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। বিষয়টি নিয়ে অনেক বছর থেকে আলোচনা হলেও তেমন উন্নতি হয় নি। বরং ২০১৫ সালের তুলনায় কিছুটা কমে গত কয়েক বছর কর জিডিপির অনুপাত ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। এ জন্য করনীতি  এবং কর আহরণ কর্তৃপক্ষ আলাদা করার পুরনো আলোচনাও পুনরায় উঠে এসেছে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আগামীতে সহজ শর্তের এবং কম সুদের বৈদেশিক ঋণ কমে যাবে। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর ঋণের সুদহার বেড়েছে।  আগামী আরও বাড়বে । বাজেট সহায়তা নিলে বিভিন্ন ধরনের শর্ত বিষয় আসে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বাড়ানো গেলে বাজেট সহায়তা নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।  এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার আরও বাজারভিত্তিক করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি কিছুটা বাড়ায় ইতোমধ্যে চলতি হিসাবে বেশ উন্নতি হয়েছে। তবে আর্থিক হিসাবে ঘাটতি রয়েই গেছে।  চলতি হিসাবে স্থিতিশীলতা রক্ষার পাশাপাশি আর্থিক ঘাটতি কাঠিয়ে উঠার তাগিদ দেওয়া হয়। সার্বিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর ওপর বাড়তি নজর দিতে বলা হয়েছে। আইএমএফ গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণপ্রস্তাব অনুমোদন করে। ইতোমধ্যে দুই কিস্তিতে ১১৫ কোটি ৮২ লাখ ডলার ছাড় করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মে মাস নাগাদ তৃতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ডলার ছাড় করা হতে পারে। 
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৫

৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিপি
বাংলাদেশ সরকারকে ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। Loan 4440- BAN: Climate-Resilient Integrated Southwest Project for Water Resources Management'  শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ চুক্তি সই হয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। শনিবার (২০ এপ্রিল) এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ঢাকায় ঋণচুক্তি ও প্রকল্পচুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় বলে জানা গেছে।  বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবির পক্ষে বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং উভয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।  বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির আবাসিক মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্পটি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। আলোচ্যে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আনুষঙ্গিক উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আনয়ন, সমন্বিত পানি সম্পদ ও অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং উন্নত অবকাঠামো নির্মাণ ও সমন্বিত সহায়তার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অর্জন সম্ভব হবে। ঋণটি এডিবির Ordinary Operations (Concessional) বা নমনীয় শর্তে পাওয়া গিয়েছে যার সুদের হার ২ শতাংশ এবং ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। এছাড়া অন্য কোনো চার্জ নেই। এছাড়া প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত সুবিধাদির দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব বজায় রাখার নিমিত্ত পানি ব্যবস্থাপনা সংঘ গঠন করা হবে। প্রকল্পটির  জানুয়ারি ২০২৪ হতে শুরু হয়ে ২০২৮ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে।  এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে সদস্য লাভের পর থেকে এডিবি থেকে এর অর্থনীতির অগ্রাধিকারভুক্ত বিভিন্ন খাতসমূহে ধারাবাহিকভাবে আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছে।  বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি সাধারণত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানিসম্পদ ও সুশাসনকে প্রাধান্য দেয়। এ যাবত বাংলাদেশ সরকারকে ৩১ হাজার ৫৪৭.৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা ও ৫৭১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান সহায়তা প্রদান করেছে এডিবি।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৮

উপজেলা নির্বাচন / ঋণ খেলাপি প্রার্থী শনাক্তে তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী  প্রার্থীদের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রার্থীদের মধ্য থেকে ঋণ খেলাপিদের শনাক্ত করতেই সব রিটার্নিং কর্মকতার কাছে এ তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর অতিরিক্ত পরিচালক মো. আনিচুর রহমান। এর আগে, ঋণ খেলাপিদের তথ্য দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছিল নির্বাচন কমিশন। চিঠির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী প্রার্থীদের ঋণ খেলাপ সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের লক্ষ্যে সব প্রার্থীর পূর্ণনাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, স্বামীর নাম (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) বাংলা ও ইংরেজিতে, জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর, করদাতা শনাক্তকরণ সংখ্যা (টিআইএন), জন্ম তারিখ, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা সম্বলিত তথ্য সংযুক্ত ছক অনুযায়ী যথাযথভাবে পূরণ করে রিটার্নিং অফিসার অথবা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নামসহ সিল, স্বাক্ষর ও ফোন (মোবাইল) নম্বর যুক্ত করে ই-মেইল এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে প্রেরণ করতে হবে। প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। এই ধাপের নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য মনোনয়ন দাখিলের সময় শেষ হয়েছে আজ বিকেল ৪টায়। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ১৫০টি উপজেলায় মনোনয়ন দাখিল করেছেন ১ হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তপসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাই আগামী ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত, যা নিষ্পত্তি হবে ২১ এপ্রিলে। এছাড়া প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৩ এপ্রিল। প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৫

সরকারের ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে : সিপিডি
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরকারের ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটির দাবি, কোভিড বা ইউক্রেন যুদ্ধ নয়, ভিন্ন কারণে সরকারের এই ঋণ নেওয়ার প্রবণতা ত্বরান্বিত হয়েছে। বিশেষ করে ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা বৃদ্ধির বিপরীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রাজস্ব আদায় না হওয়াকে এ প্রবণতার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছে সিপিডি।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে ‘বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ও ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা’ নিয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। ঢাকার লেকশোর হোটেলে যৌথভাবে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে সিপিডি ও এশিয়া ফাউন্ডেশন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা পাবলিকলি গ্যারান্টিযুক্ত ঋণের দায়বদ্ধতার একটি বড় অংশ পরিশোধের জন্য নতুন করে ঋণ নিচ্ছি। তাই দ্রুত অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বাড়ানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈদেশিক ঋণ এবং ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতার হার বেড়েছে। ২০২৩ সালের জুনে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিদেশি ঋণ ছিল ৯৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার, যা একই বছরের সেপ্টেম্বরে ১০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। এসময় তিনি সতর্ক করে বলেন, ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জিডিপি, রাজস্ব আয়, রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্গে তুলনা করে বৈদেশিক ঋণ ও ঋণ পরিশোধের দায়বদ্ধতার দ্রুত বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক মোস্তাফিজুর। এ অর্থনীতিবিদ বলেছেন, ঋণ বহনের সক্ষমতা ও ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা উদ্বেগ তৈরি করেছে। দিন শেষে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ গুরুত্বপূর্ণ, যা অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি উভয় ঋণ পরিশোধের জন্য বিবেচনা করতে হবে। অভ্যন্তরীণ সম্পদের একটি ক্রমবর্ধমান অংশ দেশি ও বিদেশি ঋণের মূল ও সুদ পরিশোধে ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০২৪ সাল আমাদের জন্য কঠিন হবে উল্লেখ করে সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, নীতি নির্ধারকেরা প্রায়ই বলেন- অর্থনীতিবিদেরা ঠিকমত বিশ্লেষণ করতে পারেন না, ভবিষ্যতও বলতে পারেন না। উচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারকরা পেশাদার অর্থনীতিবিদদের নিয়ে প্রায়শই শ্লেষাত্মক ও ব্যাঙ্গাত্মক কথা বলেন। আজ থেকে দুই বছর আগে সিপিডিতে বসেই আমি বলেছিলাম, ২০২৪ সাল আমাদের জন্য কঠিন হবে। সেখানে দায়-দেনা পরিশোধে বড় ধরনের ধাক্কা আসতে পারে। ২০২৫ সাল থেকে ঋণ পরিশোধে অস্বস্তি শুরু হবে। ২০২৬ সালে এটা আরও বাড়বে। ঋণের হিসাবে গাফলতি আছে। এ হিসাবে এখনো অনেক কিছু বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রসঙ্গে ড. দেবপ্রিয় বলেন, যদি ১০০ শতাংশ ঋণ নেওয়া হয়ে থাকে, তবে তার ৮০ শতাংশ সরকারের আর ২০ শতাংশ ব্যক্তিখাতের।  বিদেশের তুলনায় সরকার দেশের ভেতর থেকে দ্বিগুণ ঋণ নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার তো দেশের ভেতরেও ঋণ নিচ্ছে। সেই ঋণের পরিমাণ কত? যে ঋণ আমরা বিদেশ থেকে নিই, তার দ্বিগুণ আমরা দেশ থেকে নিই। সরকারের এখন যে ঋণের পরিমাণ তার দুই-তৃতীয়াংশ অভ্যন্তরীণ ঋণ, সেটিই বড় বিষয়। সরকারের দায়-দেনা পরিস্থিতি বুঝতে হলে বৈদেশিক ঋণের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ঋণও দেখতে হবে। বৈদেশিক ঋণের কারণে মাথাপিছু দায়-দেনা যদি ৩১০ ডলার হয়, অভ্যন্তরীণ ঋণ যোগ করলে সেটা বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৮৫০ ডলার। আমাদের উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে জানিয়ে তিনি এরপর বলেন, ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, রেভিনিউ বাজেট থেকে উন্নয়ন প্রকল্পকে অর্থায়ন করতে একটা পয়সাও দিতে পারে না। আমরা প্রতারণামূলক বাস্তবতা বা ইউলিসিভ রিয়েলিটিতে আছি। শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশও স্বল্প মেয়াদি ঋণের ফাঁদে পড়ছে দাবি করে সিপিডির চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ প্রফেসর রেহমান সোবহান বলেন, দেশের মেগা অবকাঠামো প্রকল্পগুলো বিদেশি ঋণে করা হচ্ছে। এসব প্রকল্পে প্রয়োজনের চেয়ে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি ব্যয় হচ্ছে। শ্রীলংকা স্বল্পকালীন ঋণের ফাঁদে পড়েছিল। রপ্তানি কমে আসায় এসব ঋণ যথাযথভাবে পরিশোধ করতে পারেনি দেশটি। আফ্রিকার কিছু দেশেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ তেমন অবস্থানে নেই। কিন্তু দেশে স্বল্প মেয়াদি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪৯

ঋণ ও আমানতের সুদহার বাড়ল
বর্তমানে যে পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের সুদহার নির্ধারণ করছে, তা হলো ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ তথা– সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে পরিচিত। এর ফলে ঋণের সুদহার সহনীয় পর্যায় মার্জিনের হার কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবুও বেড়েছে ঋণ ও আমানতের সুদহার দুটোই বেড়েছে। প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি এপ্রিল মাসে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে (এনবিএফআই) আমানত রাখলে সুদ মিলবে সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ আর ঋণ নিলে গুনতে হবে ১৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ সুদ। বুধবার (৩ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশে ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ। নতুন নি‌র্দেশনা অনুযায়ী, ‘স্মার্ট’ হারের সঙ্গে আমান‌তে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ এবং ঋ‌ণে ৫ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে এপ্রিল মাসে ঋণ ও আমান‌তে সুদহার নির্ধারণ কর‌বে। ঋণের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্মার্টের সঙ্গে (বর্তমানে স্মার্ট ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ) সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ মার্জিন যোগ করে সুদহার নির্ধারণ করতে হবে। আগে এই মার্জিন ছিল সাড়ে ৫ শতাংশ। ফ‌লে নতুন হিসেবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদহার এর সর্বোচ্চ সীমা হবে ১৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আমানতের সুদহারের ক্ষেত্রে বর্তমান স্মার্ট ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশের সঙ্গে মার্জিন যোগ হবে ২ শতাংশ। এতে ক‌রে আমানতের সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এতে সুদহারের বিষয়টি ছাড়া অন্য কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। সেই হিসেবে এর আগের প্রজ্ঞাপনের অন্যান্য শর্তাবলি অপরিবর্তিত থাকবে। প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরের ৬ মাসের গড় সুদহার (স্মার্ট রেট) ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। গত ফেব্রুয়ারিতে তা ছিল ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং সবশেষ মার্চে স্মার্ট রেট প্রায় এক শতাংশ বেড়ে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশে উঠেছে।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৭

৮ মাসেই ২০৩ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধ
চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম আট মাসে সরকার সুদ ও আসলসহ বিদেশি ঋণ পরিশোধ করেছে ২০৩ কোটি ডলার। এর মধ্যে সুদ ৮০ দশমিক ৫৯ মার্কিন ডলার এবং আসল ১২২ দশমিক ৪০ কোটি ডলার। অথচ গত বছরের একই সময় অর্থাৎ প্রথম আট মাসে বাংলাদেশ বিদেশি ঋণ পরিশাধ করেছিল ১৪২ দশমিক ৪১ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ৮ মাসে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে ৬১ কোটি ডলার। সোমবার (২৫ মার্চ) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে এই চিত্র দেখা গেছে। ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, ঋণ পরিশোধের ব্যয় এতটা বাড়ার পেছনে সুদ পরিশোধই মূলত ভূমিকা রাখছে, আট মাসে সুদ পরিশোধ করা হয়েছে ৮০ কোটি ৬০ লাখ ডলার (৮০৬ মিলিয়ন)। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ৪০ কোটি ৩০ লাখ ডলার সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়, যার তুলনায় এটি দ্বিগুণ হয়েছে। ইআরডি জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ প্রতিশ্রুতি বেড়েছে। উন্নয়ন সহযোগীরা এ সময়ে ৭২০ কোটি ডলারের ঋণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৭৮ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কাছ থেকে ৯৯২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি আদায়ের লক্ষ্য রয়েছে বলেও জানান তারা। ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে সবচেয়ে বেশি প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে এডিবির কাছ থেকে। এ সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া গেছে ২৬২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি। এ ছাড়া জাপানের কাছ থেকে ২০২ কোটি ডলার, বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ১৪১ কোটি ডলারের ঋণ প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। ইআরডির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বৈদেশিক অর্থছাড় হয়েছে ৪৯৯ দশমিক ৭ কোটি ডলার। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে অর্থছাড়ের পরিমাণ ছিল ৪৮৭ কোটি ডলার। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় করেছে এডিবি। এ সংস্থা অর্থছাড় করেছে ১৩০ কোটি ডলার। জাপান ছাড় করেছে ১০৪ কোটি ডলার। এরপরে বিশ্বব্যাংক ছাড় করেছে ৮৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। এ ছাড়া রাশিয়া ৮০ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং চীন ৩৬ কোটি ১৭ লাখ ডলার ছাড় করেছে। গত অর্থবছরে (জুলাই-জুন) বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের পরিশোধ করেছে ২৬৭ কোটি ডলার। এর মধ্যে সুদ হিসেবে পরিশোধ করেছে ৯৩ কোটি ৫৬ লাখ, আর আসল পরিশোধ করেছে ১৭৩ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরে পরিশোধ বেড়ে হবে ৩৫৬ কোটি ডলার। আগামী দুই অর্থবছরে তা আরও বেড়ে হবে যথাক্রমে ৪২১ কোটি এবং ৪৭২ কোটি ডলার।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫০

ঋণ করে খাবার কিনছেন দেশের ৪ কোটি মানুষ
চলমান অর্থনৈতিক সংকট এবং লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের কারণে দেশের চার কোটি মানুষ খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের মতো মৌলিক চাহিদা মেটাচ্ছে ঋণ করে। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খাদ্য নিরাপত্তা জরিপে সংকটের এমন চিত্র উঠে এসেছে। ২০২২ সালের জুনের ১৫ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার খানার ওপর এই জরিপ চালায় সংস্থাটি। বিবিএসের প্রতিবেদন বলছে, দেশের মোট জনসংখ্যার চার ভাগের এক ভাগ মানুষ ঋণ করে তাদের মৌলিক চাহিদা মেটাচ্ছেন। এতে গ্রামের ২৮ শতাংশ এবং শহরের ২৪ শতাংশ ও সিটি করপোরেশনের ১৫ শতাংশ মানুষ রয়েছেন। সংস্থাটি বলছে, ২২ শতাংশ পরিবার মাঝারি বা তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত থাকলেও সবচেয়ে বেশি ২৬ দশমিক ১৩ শতাংশ কৃষক পরিবারের সমস্যা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন অবস্থার জন্য অর্থনৈতিক সংকট এবং লাগামহীন বাজার ব্যবস্থাকেই দায়ী। এই অবস্থায় তাল সামলানোর বেশি চাপে মধ্যবিত্ত শ্রেণি। বিআইআইসিসির গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবীর বলেন, অর্থনৈতিক চাপ ও মূল্যস্ফীতির কারণে তাদের প্রকৃত আয় কমে গেছে। এ সময়ে কর্মসংস্থান হলেও তা গুণগত নয়। ফলে পর্যাপ্ত আয়-উপার্জন না থাকায় মানুষ ঋণ করছেন। বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক ড. জাহিদ হোসেন বলেন, এই তথ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি কতটা ভঙ্গুর। প্রয়োজন মেটাতে ঋণ করে চলছেন অনেকে। যারা দরিদ্রসীমার ওপরে আছেন, তাদেরও যে আয় বেশি সেটা কিন্তু নয়। তারাও আরামদায়ক পরিস্থিতিতে নেই।   এটা বাংলাদেশের জন্য রেড অ্যালার্ম জানিয়ে বিআইআইসিসির গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবীর বলেন, যদি দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থায় থাকেন, তবে খাদ্য নিরাপত্তাহীন মানুষগুলো জনসম্পদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবেন।  
২৪ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৯

বিদেশি ঋণ এখন ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি
বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন বা দশ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। গত ডিসেম্বর শেষে বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে নেওয়া ঋণের স্থিতি ছিল ১০০ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন (১০ হাজার ৬৪ কোটি) ডলার। যা দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে) এ ঋণের পরিমাণ ১১ লাখ ৭ হাজার ৪০ কোটি টাকা। দেশের মোট বিদেশি ঋণের ৭৯ শতাংশই নিয়েছে সরকার। বাকি ২১ শতাংশ ঋণ নিয়েছে বেসরকারি খাত। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৯ হাজার ৬৫২ কোটি ডলার। সেই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়েছে ৪১২ কোটি ডলার। বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের শেষে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৯ হাজার ৬৫৫ কোটি ডলার। তার মানে পরের তিন মাসে ৪ বিলিয়ন বা ৪০৯ কোটি ডলারের বিদেশি ঋণ বেড়েছে। সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে সরকারের বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ২০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। ওই সময় বিদেশি উৎস থেকে দেশের বেসরকারি খাতের ঋণ নেয়ার সুযোগ ছিল না। অন্যদিকে সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণও ছিল খুবই কম। কিন্তু এর পর থেকে সরকারের বিদেশি ঋণ দ্রুতগতিতে বেড়েছে। একই সঙ্গে বিদেশি ঋণ বেড়েছে বেসরকারি খাতেরও। সরকারি-বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণের স্থিতি গত ডিসেম্বর শেষে ১০০ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয় বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে উঠে এসেছে। সে হিসাবে গত ১৩ বছরে বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৩৯৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবায়ন অনুযায়ী, দেশের সরকারি-বেসরকারি বিদেশি ঋণ স্থিতি মোট জিডিপির প্রায় ২৩ শতাংশ। ঋণের এ অনুপাতকে অর্থনীতির জন্য মোটেই উদ্বেগজনক নয় বলে মনে করে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক।  এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, ‌বিদেশি ঋণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালেও দেশের জিডিপির আকারের তুলনায় এটি খুব বেশি নয়। এখনও অনেক বিদেশি ঋণ নেওয়ার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। বিশ্ববাজারে সুদহার বাড়ায় দেশের বেসরকারি খাতের স্বল্পমেয়াদি প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ কমে গেছে। এটি না হলে বিদেশি ঋণের স্থিতি অনেক আগেই ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেত। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৪ হাজার ১১৭ কোটি ডলার। আর গত ২০২২–২৩ অর্থবছর শেষে তা ৯ হাজার ৮১১ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। অর্থাৎ গত আট বছরে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। গত ডিসেম্বর শেষে সেটি আরও বেড়েছে। জনশুমারি ও গৃহগণনা শুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। সেই হিসাবে গত ডিসেম্বরের শেষে মাথাপিছু বিদেশি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫৯২ ডলার (প্রায় ৬৫ হাজার টাকা)। যদিও গত জুনের হিসাবে মাথাপিছু বিদেশি ঋণ ছিল ৫৭৪ ডলার। আট বছর আগে এটা ছিল ২৫৭ ডলারের কিছু বেশি। মোট বিদেশি ঋণের মধ্যে সরকারি খাতে ৭৯ শতাংশ আর বেসরকারি খাতে ২১ শতাংশ। গত ডিসেম্বর শেষে সরকারি খাতে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৭ হাজার ৯৬৯ কোটি ডলার। তার আগের তিন মাসে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৭ হাজার ৫২৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত বছরের শেষ তিন মাসে সরকারি খাতে বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়েছে ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ। অন্যদিকে গত ডিসেম্বর শেষে বেসরকারি খাতের ঋণের স্থিতি দাঁড়ায় ২ হাজার ৯৫ কোটি ডলার। যা গত সেপ্টেম্বরে ছিল ২ হাজার ১২৮ কোটি ডলার। সরকার বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মতো সংস্থা এবং জাপান, চীন, রাশিয়া ও ভারতের মতো দেশের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি বিদেশি ঋণ নেয়। এই সব ঋণ নেওয়া হয় মূলত প্রকল্প বাস্তবায়ন ও বাজেট সহায়তা হিসেবে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) গত ডিসেম্বরের হিসাবে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঋণদানে শীর্ষ দেশ ও সংস্থার মধ্যে ছিল বিশ্বব্যাংক, জাপান, এডিবি ও চীন। সাম্প্রতিককালে চীনা ঋণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সরকারি বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের পাশাপাশি গত এক দশকে বিদ্যুৎ খাতেও বিপুল পরিমাণ বিদেশি ঋণ এসেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ এসেছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য ১১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে রাশিয়া। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ২ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়া হয়েছে চীন থেকে। আর রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণসহায়তা দিয়েছে ভারত। এ ছাড়া মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য প্রকল্প ঘিরে জাপান থেকে ৪৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকার সমপরিমাণ ঋণসহায়তা নেওয়া হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদেশি ঋণের স্থিতি এখন ১১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ রয়েছে ২ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার।  সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছর থেকে অনেক মেগা প্রকল্পের ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হচ্ছে। এতে বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়বে। এমনিতেই দেশে ডলারের তীব্র সংকট চলছে। বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ায় আরও বেশি পরিমাণে ডলারের প্রয়োজন হবে। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়সহ দেশের ডলার সংস্থান বাড়ানো যাচ্ছে না। বিপরীতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষয় ক্রমাগত বাড়ছে।  
২২ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়