• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভয়াল ২৯ এপ্রিল : এখনও অরক্ষিত উপকূল 
আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল। ১৯৯১ সালের এ দিনে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় এক লাখ ৩৮ হাজার মানুষ নিহত এবং এক কোটি মানুষ তাদের সর্বস্ব হারান। নিহতের সংখ্যা বিচারে স্মরণকালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে ’৯১-এর এই ঘূর্ণিঝড় একটি। ’৯১-এর এই ভয়াল ঘটনা এখনও দুঃস্বপ্নের মতো তাড়িয়ে বেড়ায় উপকূলবাসীকে। ঘটনার এত বছর পরও স্মৃতি থেকে মুছে ফেলতে পারছেন না সেই দুঃসহ দিনটি। গভীর রাতে বেঁচে যাওয়াদের আজও ঘুম ভেঙে যায় জলোচ্ছ্বাস আর ঘূর্ণিঝড়ের কথা মনে হলে। নিহতদের লাশ, স্বজন হারানোদের আর্তচিৎকার আর বিলাপ বারবার ফিরে আসে তাদের জীবনে। চারদিকে নদী আর সাগরবেষ্টিত সন্দ্বীপ দেশের মূলভূণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে এখানকার মানুষদের নিত্য বসবাস। ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত এখানকার বাসিন্দারা। ভয়াল ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে সন্দ্বীপের প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যান। বাড়িঘর, ফসলের মাঠ, রাস্তা-ঘাটসহ পুরো সন্দ্বীপ বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই দিনটির কথা আজও ভোলেনি সন্দ্বীপের মানুষ। দ্বীপবাসী আজও মুছে ফেলতে পারছেন না সেই দুঃসহ দিনটি। গভীর রাতে ঘুম ভেঙে যায় জলোচ্ছ্বাস আর ঘূর্ণিঝড়ের কথা মনে হলে। লাশ, স্বজন হারানোদের আর্তচিৎকার আর বিলাপ বারবার ফিরে আসে তাদের জীবনে। দীর্ঘ ৩৩ বছর পরেও অরক্ষিত দ্বীপের বেড়িবাঁধ। ৫৬ কিলোমিটার ব্লক বেড়িবাঁধের মধ্যে ব্লক বেড়িবাঁধ হয়েছে মাত্র ১০ কিলোমিটার। বাকি মাটির বেড়িবাঁধগুলো বেশিরভাগ জায়গা দিয়ে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। জলোচ্ছ্বাসের সময় দ্বীপের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো হলো- সন্দ্বীপ পৌরসভা, মগধরা ইউনিয়নের দক্ষিণ ও পূর্ব অংশ, সারিকাইত ইউনিয়নের দক্ষিণ ও মাইটভাঙ্গা, মুছাপুর, আজিমপুর, রহমতপুর, কালাপানিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমাংশ। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জোয়ার হলে এসব এলাকার লোকালয়ে পানি ঢোকে। সন্দ্বীপে বসবাসরত প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষের জন্য শতাধিক সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। প্রতি চার হাজার মানুষের জন্য সাইক্লোন শেল্টার একটি। একটি সাইক্লোন শেল্টারের ধারণ ক্ষমতা তিন শ’রও কম মানুষ। সন্দ্বীপের বেড়িবাঁধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন প্রায় ৭০-৮০ হাজার মানুষ। মাঈটভাঙ্গা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুল হাসান আরটিভিকে বলেন, ১৯৯১ সালের স্মৃতি আমরা সন্দ্বীপবাসী কখনও ভুলতে পারব না। এ দিনে আমরা অনেক স্বজন হারিয়েছি। সন্দ্বীপকে সুরক্ষিত করতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার দাবি জানাচ্ছি। সারিকাইত ইউনিয়নের বাসিন্দা ফোরকান উদ্দিন আরটিভিকে বলেন, ‘সেদিনের স্মৃতি মনে পড়লে খুবই খারাপ লাগে। লাশ পানিতে ভাসতেছিল। এ ছাড়া অনেক গবাদি পশুও মারা যায়। দুঃখের বিষয় আমরা আজও আতঙ্কে দিন কাটাই টেকসই বেড়িবাঁধের অভাবে।’ ৬৫ বছরের বয়োবৃদ্ধ সারিকাইত বাংলাবাজার বেড়িবাঁধের বাসিন্দা বাসু জলদাস আরটিভিকে বলেন, ‘১৯৯১ সালের বন্যায় আমি আমার ২ ছেলেকে হারিয়েছি। আমি বর্তমানে খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছি। এখনও এই বৃদ্ধ বয়সেও সাগরে যেতে হয়।’ সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমা আরটিভিকে বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড ইতোমধ্যে সন্দ্বীপ সুরক্ষায় নতুনভাবে ৫৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও ১২ কিলোমিটার টেকসই ব্লক বেড়িবাঁধ নির্মাণ করবে। এ কাজ সম্পন্ন হলে সন্দ্বীপ সুরক্ষিত হবে।’
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৭

জিম্মি জাহাজ উপকূল থেকে ফের সরিয়ে নিয়েছে দস্যুরা
সোমালিয়ার উপকূলে নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজটিকে কাছাকাছি আরেক এলাকায় জলদস্যুরা সরিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জাহাজটির চিফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খান। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় জাহাজের মালিকপক্ষের কাছে এক ই-মেইল বার্তায় এ কথা জানান তিনি।  তথ্যসূত্র বলছে, গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুরে প্রথমে সোমালিয়ার গ্যারাকাদ উপকূল থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে জিম্মি জাহাজটি নোঙর করেছিল দস্যুরা। এরপর সন্ধ্যার দিকে উপকূল থেকে ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রাখে। শুক্রবার জাহাজটি আবারও নোঙর তুলে কাছাকাছি আরেক এলাকায় নিয়ে যায়।  ধারণা করা হচ্ছে, দস্যুরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে জাহাজের অবস্থান পরিবর্তন করছে।   বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসআর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরেুল করিম। তিনি বলেন, চিফ অফিসারের মেইল পেয়েছি। জাহাজের সব নাবিক সুস্থ আছেন বলে চিফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. আতিক উল্লাহ খান জানিয়েছেন। দস্যুরা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছে না এবং এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের আর্থিক দাবি-দাওয়া নিয়েও কথা বলেনি। জাহাজ নিয়ে তাদের পছন্দমতো কোনো নিরাপদ অবস্থানে পৌঁছানোর পরই হয়তো জলদস্যুরা মুক্তিপণ দাবি করতে পারে। এদিকে কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, দস্যুরা এখনও যোগাযোগ করেনি। তবে আমরা বসে নেই। আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারী সংগঠনগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ চলছে। এর আগে মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জিম্মি করার তৃতীয় দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে আসে দস্যুরা।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়